নির্বাচনী বন্ড কেনার বিধানে বিরোধীদের যথেষ্ট নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যবস্থা নেই বলে উল্লেখ করেছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। আদালত বলেছেন, এই বন্ডে ‘বেছে বেছে গোপনীয়তা’ রক্ষা করা সম্ভব।
নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে কোনো রাজনৈতিক দলকে অনুদান দেওয়ার তথ্য স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ায় নথিভুক্ত থাকে। গোয়েন্দা সংস্থা ও তদন্তকারী প্রতিষ্ঠান চাইলেই সেই অনুদানদাতার তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। সরকারি সংস্থা সহজেই বের করতে পারবে, কে কোন রাজনৈতিক দলকে অনুদান দিয়েছে। আজ বুধবার শুনানিতে আদালত এ বিষয়েই উদ্বেগ জানিয়েছেন।
বেনামি অনুদানের বিধান না থাকলে রাজনৈতিক তহবিলের একটি বড় অংশ হবে কালো টাকা—বিজেপি সরকারের এমন দাবির জবাবে আদালত এই পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।
আজ নির্বাচনী বন্ড স্কিমের আইনি বৈধতা চ্যালেঞ্জের দ্বিতীয় দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, আমি যদি ‘ক’ দলকে অনুদান দিই এবং ‘খ’ দল সরকার গঠন করে, আমি নিপীড়নের আতঙ্কে থাকব। তাহলে নগদ অর্থ দেওয়াই নিরাপদ। তাহলে আমার সাদা টাকা কালো টাকায় পরিণত হবে। এটা দেশের অর্থনীতির জন্য বিপজ্জনক।
সরকারি দলের যুক্তি হলো, যে দলকে অনুদান দেওয়া হয়েছে, সেটি নির্বাচনে জয়ী না হলে অনুদানদাতাদের ‘নিপীড়ন এবং প্রতিশোধ’ থেকে রক্ষা করার জন্য বেনামি অনুদানের বিধানটি প্রয়োজন।
প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘এই স্কিমের সমস্যা হলো, এতে শুধু আংশিক গোপনীয়তা রক্ষার সুযোগ আছে। এটি এসবিআইয়ের কাছে গোপনীয় নয়...আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে গোপনীয় নয়...।’
আদালত বলেন, প্রচলিত আইন অনুসারে, একটি কোম্পানি কোন দলকে অনুদান দিয়েছে, সে সম্পর্কে তথ্য না দিলেও কী পরিমাণ অর্থ অনুদান হিসেবে দিয়েছে, তা অবশ্যই প্রকাশ করতে হবে। তবে যেহেতু কোম্পানির ব্যালেন্স শিটে এই অর্থের উল্লেখ থাকবে, তাই যেকোনো দল জানবে ওই কোম্পানি থেকে দলটি কত অর্থ পেয়েছে।
তবে নির্বাচনী বন্ড বাতিল ঘোষণা করা হলে ‘নগদ অর্থ প্রদান করা সবচেয়ে নিরাপদ উপায়’ হবে—এই যুক্তি নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি।
আদালত বলেছেন, বন্ডের উদ্দেশ্য হলো নির্বাচনী তহবিলের জন্য নগদ অর্থের ওপর থেকে নির্ভরতা কমিয়ে, জবাবদিহিমূলক উৎসের ওপর নির্ভরতা নিশ্চিত করা—এ বিষয়ে আদালত একমত।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এ নিয়ে কাজ হচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি।’ তবে আদালত বলছেন, ‘রাজনৈতিক তহবিলের ক্ষেত্রে সাদা অর্থ আনার প্রক্রিয়ায় নির্বাচনী বন্ড স্কিমটি “সম্পূর্ণ তথ্য সংগ্রহের ফাঁদ” বলে মনে হচ্ছে। উদ্দেশ্যটি প্রশংসনীয় হতে পারে, কিন্তু আপনি (সরকার) কি প্রয়োজনীয় পন্থা অবলম্বন করেছেন?’
আদালত বলেন, ‘প্রশ্ন হলো, আমরা যদি এই প্রস্তাব গ্রহণ করি, আমরা এটি পছন্দ করি বা না করি, যদি আমাদের পরিচয় প্রকাশের প্রয়োজন হয়, আমাদের রাজনৈতিক ব্যবস্থা এমন যে সেখানে নিপীড়ন হবে। এখানে দুটি বিষয়—প্রথমত, গোপনীয়তা রক্ষার সুযোগ দেওয়ার মাধ্যমে আপনি বৃহত্তর জনস্বার্থ নিশ্চিত করছেন কি না। দ্বিতীয়ত, যখন ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তি বিরোধী দলের দাতার তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন, তখন সীমিত গোপনীয়তার কী হবে?’
উল্লেখ্য, ইলেক্টোরাল বন্ড বা নির্বাচনী বন্ড নামে একটি বিশেষ স্কিম আনতে ২০১৬ ও ২০১৭ সালের অর্থ আইনে পরিবর্তন এনেছে ভারতের বিজেপি সরকার।
এটি মূলত সুদবিহীন একটি সরকারি বন্ড। কোনো কোম্পানি বা ব্যক্তি কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনুমোদিত কোনো শাখা থেকে এই বন্ড কিনতে পারে। ১ হাজার, ১০ হাজার, ১ লাখ, ১০ লাখ, ১ কোটি এবং এর গুণিতক পরিমাণ টাকায় এই বন্ড কেনা যায়। বন্ডে ক্রেতার পরিচয় থাকে না। রাজনৈতিক দলকে সরাসরি নগদ অর্থ অনুদান না দিয়ে ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে অনুদান দেওয়ার এই বিশেষ ব্যবস্থা চালু করেছে সরকার।
নির্বাচনী বন্ড কেনার বিধানে বিরোধীদের যথেষ্ট নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যবস্থা নেই বলে উল্লেখ করেছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। আদালত বলেছেন, এই বন্ডে ‘বেছে বেছে গোপনীয়তা’ রক্ষা করা সম্ভব।
নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে কোনো রাজনৈতিক দলকে অনুদান দেওয়ার তথ্য স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ায় নথিভুক্ত থাকে। গোয়েন্দা সংস্থা ও তদন্তকারী প্রতিষ্ঠান চাইলেই সেই অনুদানদাতার তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। সরকারি সংস্থা সহজেই বের করতে পারবে, কে কোন রাজনৈতিক দলকে অনুদান দিয়েছে। আজ বুধবার শুনানিতে আদালত এ বিষয়েই উদ্বেগ জানিয়েছেন।
বেনামি অনুদানের বিধান না থাকলে রাজনৈতিক তহবিলের একটি বড় অংশ হবে কালো টাকা—বিজেপি সরকারের এমন দাবির জবাবে আদালত এই পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।
আজ নির্বাচনী বন্ড স্কিমের আইনি বৈধতা চ্যালেঞ্জের দ্বিতীয় দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, আমি যদি ‘ক’ দলকে অনুদান দিই এবং ‘খ’ দল সরকার গঠন করে, আমি নিপীড়নের আতঙ্কে থাকব। তাহলে নগদ অর্থ দেওয়াই নিরাপদ। তাহলে আমার সাদা টাকা কালো টাকায় পরিণত হবে। এটা দেশের অর্থনীতির জন্য বিপজ্জনক।
সরকারি দলের যুক্তি হলো, যে দলকে অনুদান দেওয়া হয়েছে, সেটি নির্বাচনে জয়ী না হলে অনুদানদাতাদের ‘নিপীড়ন এবং প্রতিশোধ’ থেকে রক্ষা করার জন্য বেনামি অনুদানের বিধানটি প্রয়োজন।
প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘এই স্কিমের সমস্যা হলো, এতে শুধু আংশিক গোপনীয়তা রক্ষার সুযোগ আছে। এটি এসবিআইয়ের কাছে গোপনীয় নয়...আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে গোপনীয় নয়...।’
আদালত বলেন, প্রচলিত আইন অনুসারে, একটি কোম্পানি কোন দলকে অনুদান দিয়েছে, সে সম্পর্কে তথ্য না দিলেও কী পরিমাণ অর্থ অনুদান হিসেবে দিয়েছে, তা অবশ্যই প্রকাশ করতে হবে। তবে যেহেতু কোম্পানির ব্যালেন্স শিটে এই অর্থের উল্লেখ থাকবে, তাই যেকোনো দল জানবে ওই কোম্পানি থেকে দলটি কত অর্থ পেয়েছে।
তবে নির্বাচনী বন্ড বাতিল ঘোষণা করা হলে ‘নগদ অর্থ প্রদান করা সবচেয়ে নিরাপদ উপায়’ হবে—এই যুক্তি নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি।
আদালত বলেছেন, বন্ডের উদ্দেশ্য হলো নির্বাচনী তহবিলের জন্য নগদ অর্থের ওপর থেকে নির্ভরতা কমিয়ে, জবাবদিহিমূলক উৎসের ওপর নির্ভরতা নিশ্চিত করা—এ বিষয়ে আদালত একমত।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এ নিয়ে কাজ হচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি।’ তবে আদালত বলছেন, ‘রাজনৈতিক তহবিলের ক্ষেত্রে সাদা অর্থ আনার প্রক্রিয়ায় নির্বাচনী বন্ড স্কিমটি “সম্পূর্ণ তথ্য সংগ্রহের ফাঁদ” বলে মনে হচ্ছে। উদ্দেশ্যটি প্রশংসনীয় হতে পারে, কিন্তু আপনি (সরকার) কি প্রয়োজনীয় পন্থা অবলম্বন করেছেন?’
আদালত বলেন, ‘প্রশ্ন হলো, আমরা যদি এই প্রস্তাব গ্রহণ করি, আমরা এটি পছন্দ করি বা না করি, যদি আমাদের পরিচয় প্রকাশের প্রয়োজন হয়, আমাদের রাজনৈতিক ব্যবস্থা এমন যে সেখানে নিপীড়ন হবে। এখানে দুটি বিষয়—প্রথমত, গোপনীয়তা রক্ষার সুযোগ দেওয়ার মাধ্যমে আপনি বৃহত্তর জনস্বার্থ নিশ্চিত করছেন কি না। দ্বিতীয়ত, যখন ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তি বিরোধী দলের দাতার তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন, তখন সীমিত গোপনীয়তার কী হবে?’
উল্লেখ্য, ইলেক্টোরাল বন্ড বা নির্বাচনী বন্ড নামে একটি বিশেষ স্কিম আনতে ২০১৬ ও ২০১৭ সালের অর্থ আইনে পরিবর্তন এনেছে ভারতের বিজেপি সরকার।
এটি মূলত সুদবিহীন একটি সরকারি বন্ড। কোনো কোম্পানি বা ব্যক্তি কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনুমোদিত কোনো শাখা থেকে এই বন্ড কিনতে পারে। ১ হাজার, ১০ হাজার, ১ লাখ, ১০ লাখ, ১ কোটি এবং এর গুণিতক পরিমাণ টাকায় এই বন্ড কেনা যায়। বন্ডে ক্রেতার পরিচয় থাকে না। রাজনৈতিক দলকে সরাসরি নগদ অর্থ অনুদান না দিয়ে ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে অনুদান দেওয়ার এই বিশেষ ব্যবস্থা চালু করেছে সরকার।
আগামী চার দিনের মধ্যে ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসতে চান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আলোচনার সম্ভাব্য ভেন্যু তুরস্কের ইস্তাম্বুল। গতকাল শনিবার, রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলে এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন খোদ পুতিন। জানান, ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় রাশিয়া প্রস্তুত।
২ ঘণ্টা আগেগাজায় ইসরায়েলি অবরোধের কারণে খাবারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। অঞ্চলটিতে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এর ফলে, অঞ্চলটির ৬৫ হাজারের বেশি শিশু মৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়েছে। গাজা প্রশাসনের জনসংযোগ বিভাগের তথ্যের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে লন্ডন থেকে পরিচালিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক...
৩ ঘণ্টা আগেভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের শ্রীনগরে আজ শনিবার রাতে বিকট বিস্ফোরণে শব্দ শোনা গেছে। ভারত সরকারের একটি সূত্র অভিযোগ করেছে, যুদ্ধবিরতি ঘোষণার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মাথায় পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে।
১২ ঘণ্টা আগেইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে এক বৈঠকে ইউরোপীয় নেতারা রাশিয়াকে ৩০ দিনের একটি নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আগামী সোমবার থেকে এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার দাবি জানানো হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে...
১২ ঘণ্টা আগে