Ajker Patrika

বোরকা পরে ৫ তলায় উঠে কিশোরীকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করলেন তরুণ

অনলাইন ডেস্ক
তৌফিক ও নেহা। ছবি: এনডিটিভি
তৌফিক ও নেহা। ছবি: এনডিটিভি

বোরকা পরে এক কিশোরীকে পাঁচতলা ভবনের ছাদ থেকে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ২৬ বছর বয়সী এক তরুণের বিরুদ্ধে। হত্যার পর পালিয়ে ছিলেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির উত্তর-পূর্বের অশোক নগর এলাকায়। অভিযুক্ত তৌফিক উত্তর প্রদেশের রামপুর শহরের বাসিন্দা।

পুলিশের বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, গত সোমবার সকালে অশোক নগরে নেহা নামের এক ১৯ বছরের কিশোরীর বাড়িতে বোরকা পরে যান তৌফিক। এরপর বাড়ির পাঁচতলা ছাদ থেকে নেহাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন তিনি।

গুরুতর অবস্থায় নেহাকে গুরু ত্যাগ বাহাদুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সেদিন রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নয়াদিল্লির জ্যোতি নগর থানায় অভিযোগ করে নেহার পরিবার।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, নিজের পরিচয় গোপন রাখতে এবং ভুক্তভোগীর পরিবার ও প্রতিবেশীদের চোখ এড়াতে বোরকা পরে আবাসিক ভবনটিতে প্রবেশ করেন তৌফিক।

গ্রেপ্তারের পর তিনি নিজেই পুলিশের কাছে স্বীকার করেন, নেহার কাছে সরাসরি পৌঁছানোর জন্য ছদ্মবেশ নিয়েছিলেন, যাতে কোনো সন্দেহ তৈরি না হয়।

সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিওতে দেখা গেছে, একজন বোরকা পরা ব্যক্তি ভবনটিতে প্রবেশ করছেন এবং পরে সন্দেহজনকভাবে সেখান থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন।

দিল্লি পুলিশের একাধিক সূত্র বলছে, বেশ কয়েক মাস ধরে নেহা ও তৌফিকের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। একপর্যায়ে নেহা জানতে পারেন, তৌফিকের পরিবার অন্য এক নারীর সঙ্গে তাঁর বিয়ের পরিকল্পনা করছে। এ নিয়ে ছাদের ওপর তৌফিক ও নেহার মধ্যে উত্তপ্ত বাগ্‌বিতণ্ডা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অবশ্য নেহার পরিবার পুলিশ সূত্রের এই বক্তব্য মানতে নারাজ। তাদের ভাষ্য, তৌফিকের সঙ্গে নেহার কখনোই প্রেম ছিল না। নেহা তাঁকে প্রতিবছর রাখি পরাতেন।

নেহার পরিবার জানায়, প্রায় তিন বছর ধরে তৌফিককে চেনেন তারা। প্রায়ই তাদের বাড়িতে আসতেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত