যুক্তরাষ্ট্রের শিখ নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুন হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ নিয়ে অবশেষে মুখ খুলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ব্রিটিশ দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে একটি হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে ভারতের নাগরিকের কথিত যোগসূত্রের বিষয়ে দেওয়া যেকোনো প্রমাণ ভারত অবশ্যই খতিয়ে দেখবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানান হয়েছে এ খবর। মোদি আশা প্রকাশ করেছেন, এই হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না। তিনি বলেন, ‘আমাদের কোনো নাগরিক ভালো-মন্দ কিছু করলে আমরা তা খতিয়ে দেখতে প্রস্তুত। কারণ, ভারত আইনের শাসনের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ।’
বিশেষজ্ঞদের মতে, শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সাম্প্রতিক অভিযোগগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে ফাটল ধরতে পারে। তবে ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে মোদি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের ঊর্ধ্বমুখী গতিপথ সম্পর্কে তিনি আত্মবিশ্বাসী।
নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সম্পর্ককে শক্তিশালী করার জন্য শক্তিশালী দ্বিপক্ষীয় সমর্থন রয়েছে—যা একটি পরিপক্ব ও স্থিতিশীল অংশীদারত্বের সুস্পষ্ট সূচক। কয়েকটি ঘটনাকে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের সঙ্গে যুক্ত করার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।’
বিদেশভিত্তিক কিছু চরমপন্থী গোষ্ঠীর কার্যকলাপ নিয়ে ভারত উদ্বিগ্ন বলেও এ সময় জানান মোদি।
গত নভেম্বরে নিউইয়র্কে খালিস্তানপন্থী শিখ নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার ষড়যন্ত্রের জন্য একজন ভারতীয়কে অভিযুক্ত করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের কৌঁসুলিদের দাবি, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার দ্বৈত নাগরিক পান্নুনকে হত্যা করতে নিখিল গুপ্ত (৫২) নামের একজন ভারতীয় নাগরিক এক মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে ভাড়াটে খুনি ভেবে ১ লাখ ডলার (১ কোটি ১০ লাখ ২১ হাজার টাকার বেশি) দেন। কৌঁসুলিরা এর সপক্ষে তথ্যপ্রমাণ পেয়েছেন।
মামলার নথিতে তখন শিখ অধিকারকর্মী পান্নুনের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। তবে তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক, একজন আইনজীবী এবং ভারত সরকারের সমালোচক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ জানায় যুক্তরাষ্ট্র। গত নভেম্বরের শেষ দিকে বাইডেন প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এই হত্যাচেষ্টাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে এবং বিষয়টি ভারত সরকারের উচ্চপর্যায়ে জানানো হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসন তখন বলেন, ‘আমরা এই সমস্যাটিকে অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছি এবং মার্কিন সরকার বিষয়টি ভারত সরকারের সর্বোচ্চ স্তরের কর্মকর্তা পর্যায়ে জানিয়েছে। তাঁরা (ভারতীয় কর্মকর্তারা) বলেছেন, এ ধরনের কার্যকলাপ তাঁদের নীতি নয়...আমরা বুঝি যে ভারত সরকার এ বিষয়ে অধিকতর তদন্ত করছে এবং আগামী দিনগুলোতে এ বিষয়ে আরও কথা বলতে হবে।’
পান্নুনকে হত্যাচেষ্টার বিষয়টি এমন একসময়ে সামনে এসেছিল, যখন খালিস্তান আন্দোলনের নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারের হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে ভারত-কানাডার মধ্যে স্থগিত থাকা ই-ভিসা ফের চালুর ঘোষণা দেয় দিল্লি। কানাডার অভিযোগ, খালিস্তান আন্দোলনের নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে ভারত সরকারের হাত রয়েছে এবং ভারতের গোয়েন্দা অ্যাজেন্টরাই হরদীপকে হত্যা করেছে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক তখন তলানিতে নেমে আসে।
গুরপতবন্ত সিং পান্নুন কানাডায় আইন পেশার সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা করা হয়। ২০২০ সালে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে আখ্যা দেয় এবং সন্ত্রাসবাদ ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে তাঁকে ইন্টারপোলের ‘ওয়ান্টেড’ তালিকায় রাখা হয়েছে। পান্নুন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক শিখস ফর জাস্টিসেরও (এসএফজে) প্রতিষ্ঠাতা, যার কানাডা চ্যাপ্টারের নেতৃত্বে ছিলেন নিজ্জার।
যুক্তরাষ্ট্রের শিখ নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুন হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ নিয়ে অবশেষে মুখ খুলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ব্রিটিশ দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে একটি হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে ভারতের নাগরিকের কথিত যোগসূত্রের বিষয়ে দেওয়া যেকোনো প্রমাণ ভারত অবশ্যই খতিয়ে দেখবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানান হয়েছে এ খবর। মোদি আশা প্রকাশ করেছেন, এই হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না। তিনি বলেন, ‘আমাদের কোনো নাগরিক ভালো-মন্দ কিছু করলে আমরা তা খতিয়ে দেখতে প্রস্তুত। কারণ, ভারত আইনের শাসনের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ।’
বিশেষজ্ঞদের মতে, শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সাম্প্রতিক অভিযোগগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে ফাটল ধরতে পারে। তবে ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে মোদি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের ঊর্ধ্বমুখী গতিপথ সম্পর্কে তিনি আত্মবিশ্বাসী।
নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সম্পর্ককে শক্তিশালী করার জন্য শক্তিশালী দ্বিপক্ষীয় সমর্থন রয়েছে—যা একটি পরিপক্ব ও স্থিতিশীল অংশীদারত্বের সুস্পষ্ট সূচক। কয়েকটি ঘটনাকে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের সঙ্গে যুক্ত করার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।’
বিদেশভিত্তিক কিছু চরমপন্থী গোষ্ঠীর কার্যকলাপ নিয়ে ভারত উদ্বিগ্ন বলেও এ সময় জানান মোদি।
গত নভেম্বরে নিউইয়র্কে খালিস্তানপন্থী শিখ নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার ষড়যন্ত্রের জন্য একজন ভারতীয়কে অভিযুক্ত করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের কৌঁসুলিদের দাবি, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার দ্বৈত নাগরিক পান্নুনকে হত্যা করতে নিখিল গুপ্ত (৫২) নামের একজন ভারতীয় নাগরিক এক মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে ভাড়াটে খুনি ভেবে ১ লাখ ডলার (১ কোটি ১০ লাখ ২১ হাজার টাকার বেশি) দেন। কৌঁসুলিরা এর সপক্ষে তথ্যপ্রমাণ পেয়েছেন।
মামলার নথিতে তখন শিখ অধিকারকর্মী পান্নুনের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। তবে তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক, একজন আইনজীবী এবং ভারত সরকারের সমালোচক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ জানায় যুক্তরাষ্ট্র। গত নভেম্বরের শেষ দিকে বাইডেন প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এই হত্যাচেষ্টাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে এবং বিষয়টি ভারত সরকারের উচ্চপর্যায়ে জানানো হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসন তখন বলেন, ‘আমরা এই সমস্যাটিকে অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছি এবং মার্কিন সরকার বিষয়টি ভারত সরকারের সর্বোচ্চ স্তরের কর্মকর্তা পর্যায়ে জানিয়েছে। তাঁরা (ভারতীয় কর্মকর্তারা) বলেছেন, এ ধরনের কার্যকলাপ তাঁদের নীতি নয়...আমরা বুঝি যে ভারত সরকার এ বিষয়ে অধিকতর তদন্ত করছে এবং আগামী দিনগুলোতে এ বিষয়ে আরও কথা বলতে হবে।’
পান্নুনকে হত্যাচেষ্টার বিষয়টি এমন একসময়ে সামনে এসেছিল, যখন খালিস্তান আন্দোলনের নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারের হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে ভারত-কানাডার মধ্যে স্থগিত থাকা ই-ভিসা ফের চালুর ঘোষণা দেয় দিল্লি। কানাডার অভিযোগ, খালিস্তান আন্দোলনের নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে ভারত সরকারের হাত রয়েছে এবং ভারতের গোয়েন্দা অ্যাজেন্টরাই হরদীপকে হত্যা করেছে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক তখন তলানিতে নেমে আসে।
গুরপতবন্ত সিং পান্নুন কানাডায় আইন পেশার সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা করা হয়। ২০২০ সালে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে আখ্যা দেয় এবং সন্ত্রাসবাদ ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে তাঁকে ইন্টারপোলের ‘ওয়ান্টেড’ তালিকায় রাখা হয়েছে। পান্নুন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক শিখস ফর জাস্টিসেরও (এসএফজে) প্রতিষ্ঠাতা, যার কানাডা চ্যাপ্টারের নেতৃত্বে ছিলেন নিজ্জার।
ব্রিটিশ নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক অধ্যাপক মাইকেল ক্লার্ক বলেছেন, পাকিস্তান তাদের সামরিক সরঞ্জাম ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা দিয়ে ভারতকে অবাক করে দিতে পেরেছে। পাকিস্তানের সক্ষমতার সামনে ভারত অনেকটাই অপ্রস্তুত অবস্থায় পড়ে গিয়েছিল বলে মনে করেন তিনি।
১০ মিনিট আগেভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার সাম্প্রতিক যুদ্ধকে ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্বাধীনতা যুদ্ধের সঙ্গে মেলাতে চান না ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতা ও এমপি শশী থারুর। সাম্প্রতিক সময়ে ১৯৭১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকার সঙ্গে ভারতে ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতারা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র...
১ ঘণ্টা আগেকাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার জবাব দিতে ভারত পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর ও পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরিচালনা করেছিল। তাৎক্ষণিক সে হামলা প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। পাশাপাশি হুংকার দিয়েছিল, ‘যথোপযুক্ত’ জবাব দেবে তারা।
১ ঘণ্টা আগেআগামী চার দিনের মধ্যে ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসতে চান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আলোচনার সম্ভাব্য ভেন্যু তুরস্কের ইস্তাম্বুল। গতকাল শনিবার, রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলে এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছেন খোদ পুতিন। জানান, ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় রাশিয়া প্রস্তুত।
৪ ঘণ্টা আগে