ঢাকা: দ্বিতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ ভারতে কোভিডের গণ টিকা প্রয়োগ শুরু হয় চলতি বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে। শুরুতে অন্যান্য দেশের মতো স্বাস্থ্যকর্মী, ফ্রন্টলাইন কর্মী এবং বয়স্কদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত সরকার। পরে এপ্রিলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ৪৫ বছরের বেশি বয়সীরা করোনার টিকা নিতে পারবেন। গত মে মাসে ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সীরাও ভ্যাকসিন পাবেন বলে জানানো হয়।
ভারত সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ১৩৮ কোটি জনসংখ্যার দেশটিতে ষাটোর্ধ্ব ৪৩ শতাংশ মানুষ এ পর্যন্ত কোভিড টিকার অন্তত একটি ডোজ পেয়েছেন। আর ৪৫ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে টিকার একটি ডোজ পেয়েছেন ৩৭ শতাংশ।
গত এপ্রিলে ভারতে শুরু হয় করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ। তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টিকা প্রয়োগ কর্মসূচি ত্বরান্বিত করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদেরও টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত সরকার।
এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই ওই বয়সীরা টিকা নিবন্ধনের ওয়েবসাইটে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। কিন্তু এ মধ্যেই শুরু হয় টিকার তীব্র সংকট। এমনকি সেরাম ইনস্টিটিউটের টিকা রপ্তানি বন্ধ করেও সংকট মেটাতে পারেনি ভারত। গত ৪ জুন পর্যন্ত ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সী পাঁচ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে পেরেছে ভারত, যা মোট জনসংখ্যার মাত্র ৮ শতাংশ।
ভারতে টিকা কর্মসূচিতে আরও একটি জটিলতা হলো–বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে একই টিকা ভিন্ন দাম। কিছু হাসপাতালে ভারতে তৈরি কোভিশিল্ডের একটি ডোজের দাম রাখা হচ্ছে ১ হাজার ৮০০ রুপি। কিন্তু এর সরকার নির্ধারিত দাম ৯৫০ রুপি।
ভারতে শহরাঞ্চলের বাসিন্দারাই গ্রামাঞ্চলের মানুষের চেয়ে বেশি টিকা পেয়েছেন। এর মানে দাঁড়াচ্ছে, বেশির ভাগ অঞ্চলেই টিকা পৌঁছায়নি এবং অনেক মানুষেরই টিকা কেনার টাকা নেই।
পোলিও, ডিপথেরিয়া এবং অন্যান্য রোগের টিকার সবচেয়ে বড় উৎপাদনকারী দেশ ভারত। ভারত গত এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ৬ কোটি ৬০ লাখের বেশি ডোজ টিকা ৯৫টি দেশে রপ্তানি করেছে অথবা উপহার হিসেবে দিয়েছে। কিন্তু ভারতে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর থেকে টিকার চাহিদা বেড়েছে। এখন ভারত টিকা আমদানি শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে টিকা পাওয়ারও প্রত্যাশা করছে।
ভারত সরকার আশা করছে, জুন থেকে দেশটিতে টিকা সরবরাহ অবস্থার উন্নতি হবে। এ ছাড়া ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯৫ কোটি প্রাপ্তবয়স্কের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে টিকা উৎপাদন করা যাবে বলে জানিয়েছে ভারত সরকার।
সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ কমে আসায় ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে। যদিও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার কারণে এই সংক্রমণ আবার বেড়ে যেতে পারে। এই জন্য টিকা প্রয়োগ কর্মসূচি আরও ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
জুনের ৮ তারিখ পর্যন্ত ভারতে ৪ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক টিকার দুটি ডোজ পেয়েছেন। এই বয়সী প্রায় ১৪ শতাংশ মানুষ কমপক্ষে একটি ডোজ পেয়েছেন। এ ছাড়া ১৮-৪৫ বছর বয়সীদের এক-দশমাংশেরও কম মানুষ ভারতে টিকা পেয়েছেন।
সূত্র: রয়টার্স
ঢাকা: দ্বিতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ ভারতে কোভিডের গণ টিকা প্রয়োগ শুরু হয় চলতি বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে। শুরুতে অন্যান্য দেশের মতো স্বাস্থ্যকর্মী, ফ্রন্টলাইন কর্মী এবং বয়স্কদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত সরকার। পরে এপ্রিলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ৪৫ বছরের বেশি বয়সীরা করোনার টিকা নিতে পারবেন। গত মে মাসে ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সীরাও ভ্যাকসিন পাবেন বলে জানানো হয়।
ভারত সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ১৩৮ কোটি জনসংখ্যার দেশটিতে ষাটোর্ধ্ব ৪৩ শতাংশ মানুষ এ পর্যন্ত কোভিড টিকার অন্তত একটি ডোজ পেয়েছেন। আর ৪৫ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে টিকার একটি ডোজ পেয়েছেন ৩৭ শতাংশ।
গত এপ্রিলে ভারতে শুরু হয় করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ। তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টিকা প্রয়োগ কর্মসূচি ত্বরান্বিত করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদেরও টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত সরকার।
এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই ওই বয়সীরা টিকা নিবন্ধনের ওয়েবসাইটে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। কিন্তু এ মধ্যেই শুরু হয় টিকার তীব্র সংকট। এমনকি সেরাম ইনস্টিটিউটের টিকা রপ্তানি বন্ধ করেও সংকট মেটাতে পারেনি ভারত। গত ৪ জুন পর্যন্ত ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সী পাঁচ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে পেরেছে ভারত, যা মোট জনসংখ্যার মাত্র ৮ শতাংশ।
ভারতে টিকা কর্মসূচিতে আরও একটি জটিলতা হলো–বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে একই টিকা ভিন্ন দাম। কিছু হাসপাতালে ভারতে তৈরি কোভিশিল্ডের একটি ডোজের দাম রাখা হচ্ছে ১ হাজার ৮০০ রুপি। কিন্তু এর সরকার নির্ধারিত দাম ৯৫০ রুপি।
ভারতে শহরাঞ্চলের বাসিন্দারাই গ্রামাঞ্চলের মানুষের চেয়ে বেশি টিকা পেয়েছেন। এর মানে দাঁড়াচ্ছে, বেশির ভাগ অঞ্চলেই টিকা পৌঁছায়নি এবং অনেক মানুষেরই টিকা কেনার টাকা নেই।
পোলিও, ডিপথেরিয়া এবং অন্যান্য রোগের টিকার সবচেয়ে বড় উৎপাদনকারী দেশ ভারত। ভারত গত এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ৬ কোটি ৬০ লাখের বেশি ডোজ টিকা ৯৫টি দেশে রপ্তানি করেছে অথবা উপহার হিসেবে দিয়েছে। কিন্তু ভারতে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর থেকে টিকার চাহিদা বেড়েছে। এখন ভারত টিকা আমদানি শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে টিকা পাওয়ারও প্রত্যাশা করছে।
ভারত সরকার আশা করছে, জুন থেকে দেশটিতে টিকা সরবরাহ অবস্থার উন্নতি হবে। এ ছাড়া ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯৫ কোটি প্রাপ্তবয়স্কের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে টিকা উৎপাদন করা যাবে বলে জানিয়েছে ভারত সরকার।
সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ কমে আসায় ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে। যদিও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার কারণে এই সংক্রমণ আবার বেড়ে যেতে পারে। এই জন্য টিকা প্রয়োগ কর্মসূচি আরও ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
জুনের ৮ তারিখ পর্যন্ত ভারতে ৪ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক টিকার দুটি ডোজ পেয়েছেন। এই বয়সী প্রায় ১৪ শতাংশ মানুষ কমপক্ষে একটি ডোজ পেয়েছেন। এ ছাড়া ১৮-৪৫ বছর বয়সীদের এক-দশমাংশেরও কম মানুষ ভারতে টিকা পেয়েছেন।
সূত্র: রয়টার্স
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরবের সঙ্গে আজ মঙ্গলবার (১৩ মে) একটি কৌশলগত অর্থনৈতিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় প্রায় ১৪২ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের অস্ত্র চুক্তি।
১০ ঘণ্টা আগে২০১৬ সালের অক্টোবরে প্যারিসে এক ভয়াবহ ডাকাতির শিকার হন মার্কিন রিয়েলিটি তারকা কিম কারদাশিয়ান। সেই ঘটনার বিচারে চলমান মামলায় আজ মঙ্গলবার আদালতে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে আবেগে ভেঙে পড়েন তিনি। আদালতে কিম জানান, ঘটনার সময় তিনি নিশ্চিত ছিলেন, তাঁকে ধর্ষণ ও হত্যা করা হবে।
১১ ঘণ্টা আগেনির্দোষ হয়েও প্রায় চার দশক ধরে জেল খাটছেন পিটার সুলিভান। শেষ পর্যন্ত তিনি মুক্তি পেলেন। ধারণা করা হচ্ছে, ব্রিটেনের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে দীর্ঘতম ভুল রায়। ১৯৮৭ সালে ২১ বছর বয়সী ডায়ান সিনডালকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন সুলিভান।
১১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের মধ্যে ইতিহাসের অন্যতম বড় প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে ঘোষণা করেছে হোয়াইট হাউস। চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবকে আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সরবরাহ করবে, যার মূল্য প্রায় ১৪২ বিলিয়ন ডলার।
১২ ঘণ্টা আগে