কলকাতা প্রতিনিধি
ভারতের আসাম ও পশ্চিমবঙ্গে হাতি-মানুষের লড়াই বহুদিনের। হাতির দল জমির ফসল নষ্ট করে ফেলে। প্রায়ই হাতির হানায় মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। আবার লোকালয়ে এসে পড়ায় মানুষের আক্রমণে হাতির মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে।
আসাম সরকারের হিসাব অনুযায়ী, ২০১০ থেকে ২০২০ এই ১০ বছরে ৮৭৫ জন মানুষ হাতির আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেন। অন্যদিকে ৮২৫টি হাতিও মারা গেছে এই সময়ের মধ্যে।
হাতি আর মানুষের এই প্রাণঘাতী লড়াই বন্ধে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে আসামের হাতিপ্রেমীদের সংগঠন ‘হাতিবন্ধু’। গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে তারা রাজ্যের নগাঁও জেলায় খোলা আকাশের নিচে গড়ে তুলেছে হাতির জন্য ব্যতিক্রমী ‘রেস্তোরাঁ’।
খোলা আকাশের নিচে তিন বছরের শ্রমে ২০৩ বিঘা (৩৩ একর) জমির ওপর এই রেস্তোরাঁ তৈরি করা হয়েছে। এখানকার মেনুতে রয়েছে হাতিদের সবচেয়ে প্রিয় নেপিয়ার ঘাস। এ ছাড়াও রয়েছে হাতিদের প্রিয় আউটেঙা (এলিফ্যান্ট অ্যাপল), কাঁঠাল এবং হাজার পঁচিশেক কলাগাছ।
নগাঁও জেলার হাতিখুলি-রংঘাং এলাকার ১২টি গ্রামের বাসিন্দারা এই রেস্তোরাঁর জন্য জমি দান করেছেন। চাষের জমি থেকে পাঁচ মাইল দূরে, পাহাড়ের কোলে গড়ে ওঠা হাতিবন্ধুর এই খাদ্য প্রকল্পই এখন স্থানীয় ৩৫০ থেকে ৪০০ হাতির ভোজনালয়।
আসামের বিশিষ্ট হাতিপ্রেমী ও হস্তী বিশেষজ্ঞ প্রদীপ ভূঁইয়া, পরিবেশপ্রেমী বিনোদ দুলু বরা ও ময়ুর হাজারিকাকে সঙ্গে নিয়ে তিন বছর আগে এই প্রকল্পের কাজ শুরু করেন। তাঁরা নিজেরাই হাতির প্রিয় খাবারের চাষ করেন।
নগাঁও ও কার্বিআংলং জেলার সীমান্তবর্তী এই জমিতে গণেশ পূজা দিয়ে হাতিদের খাবার-বাগানের উদ্বোধন করা হয়। নিজেদের পছন্দের রেস্তোরাঁ পেয়ে হাতিরা বেশ খুশি। মহানন্দে তাদের ভোজন চলছে। কৃষকেরাও খুশি। হাতি তাড়াতে তাঁদের এখন আর বাড়তি পরিশ্রম করতে হচ্ছে না, ফসলও থাকছে সুরক্ষিত। পরিবেশপ্রেমীরাও খুশি। কারণ, হাতি আর মানুষের লড়াই এত দিন ধরে কিছুতেই বন্ধ করা যাচ্ছিল না।
হাতিবন্ধুর সহসভাপতি রূণ ভূঁইয়া বলেছেন, ‘এখন আর হাতির দল কৃষকের ফসল নষ্ট করছে না। মহানন্দে নেপিয়ার ঘাস থেকে শুরু করে তারা রেস্তোরাঁয় পছন্দের খাবার খাচ্ছে।’
রূণ ভূঁইয়া জানান, এই প্রকল্পের নাম রাখা হয়েছে ‘হাতিবন্ধু হাতির বাসস্থান সমৃদ্ধকরণ প্রকল্প’। নাম থেকেই স্পষ্ট, হাতিদের নির্দিষ্ট বসবাসের জায়গাও ঠিক করে দিতে চাইছেন তাঁরা।
এই অভিনব উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে আসামের বন ও কৃষি দপ্তর। নগাঁওয়ের পর এখন অন্য জায়গা থেকেও হাতিদের জন্য নতুন নতুন রেস্তোরাঁ খোলার প্রস্তাব আসছে।
ভারতের আসাম ও পশ্চিমবঙ্গে হাতি-মানুষের লড়াই বহুদিনের। হাতির দল জমির ফসল নষ্ট করে ফেলে। প্রায়ই হাতির হানায় মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। আবার লোকালয়ে এসে পড়ায় মানুষের আক্রমণে হাতির মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে।
আসাম সরকারের হিসাব অনুযায়ী, ২০১০ থেকে ২০২০ এই ১০ বছরে ৮৭৫ জন মানুষ হাতির আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেন। অন্যদিকে ৮২৫টি হাতিও মারা গেছে এই সময়ের মধ্যে।
হাতি আর মানুষের এই প্রাণঘাতী লড়াই বন্ধে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে আসামের হাতিপ্রেমীদের সংগঠন ‘হাতিবন্ধু’। গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে তারা রাজ্যের নগাঁও জেলায় খোলা আকাশের নিচে গড়ে তুলেছে হাতির জন্য ব্যতিক্রমী ‘রেস্তোরাঁ’।
খোলা আকাশের নিচে তিন বছরের শ্রমে ২০৩ বিঘা (৩৩ একর) জমির ওপর এই রেস্তোরাঁ তৈরি করা হয়েছে। এখানকার মেনুতে রয়েছে হাতিদের সবচেয়ে প্রিয় নেপিয়ার ঘাস। এ ছাড়াও রয়েছে হাতিদের প্রিয় আউটেঙা (এলিফ্যান্ট অ্যাপল), কাঁঠাল এবং হাজার পঁচিশেক কলাগাছ।
নগাঁও জেলার হাতিখুলি-রংঘাং এলাকার ১২টি গ্রামের বাসিন্দারা এই রেস্তোরাঁর জন্য জমি দান করেছেন। চাষের জমি থেকে পাঁচ মাইল দূরে, পাহাড়ের কোলে গড়ে ওঠা হাতিবন্ধুর এই খাদ্য প্রকল্পই এখন স্থানীয় ৩৫০ থেকে ৪০০ হাতির ভোজনালয়।
আসামের বিশিষ্ট হাতিপ্রেমী ও হস্তী বিশেষজ্ঞ প্রদীপ ভূঁইয়া, পরিবেশপ্রেমী বিনোদ দুলু বরা ও ময়ুর হাজারিকাকে সঙ্গে নিয়ে তিন বছর আগে এই প্রকল্পের কাজ শুরু করেন। তাঁরা নিজেরাই হাতির প্রিয় খাবারের চাষ করেন।
নগাঁও ও কার্বিআংলং জেলার সীমান্তবর্তী এই জমিতে গণেশ পূজা দিয়ে হাতিদের খাবার-বাগানের উদ্বোধন করা হয়। নিজেদের পছন্দের রেস্তোরাঁ পেয়ে হাতিরা বেশ খুশি। মহানন্দে তাদের ভোজন চলছে। কৃষকেরাও খুশি। হাতি তাড়াতে তাঁদের এখন আর বাড়তি পরিশ্রম করতে হচ্ছে না, ফসলও থাকছে সুরক্ষিত। পরিবেশপ্রেমীরাও খুশি। কারণ, হাতি আর মানুষের লড়াই এত দিন ধরে কিছুতেই বন্ধ করা যাচ্ছিল না।
হাতিবন্ধুর সহসভাপতি রূণ ভূঁইয়া বলেছেন, ‘এখন আর হাতির দল কৃষকের ফসল নষ্ট করছে না। মহানন্দে নেপিয়ার ঘাস থেকে শুরু করে তারা রেস্তোরাঁয় পছন্দের খাবার খাচ্ছে।’
রূণ ভূঁইয়া জানান, এই প্রকল্পের নাম রাখা হয়েছে ‘হাতিবন্ধু হাতির বাসস্থান সমৃদ্ধকরণ প্রকল্প’। নাম থেকেই স্পষ্ট, হাতিদের নির্দিষ্ট বসবাসের জায়গাও ঠিক করে দিতে চাইছেন তাঁরা।
এই অভিনব উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে আসামের বন ও কৃষি দপ্তর। নগাঁওয়ের পর এখন অন্য জায়গা থেকেও হাতিদের জন্য নতুন নতুন রেস্তোরাঁ খোলার প্রস্তাব আসছে।
ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান সংঘাতের মধ্যে ইরানের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে বড় ধরনের বোমা হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই ঘটনায় প্রতিশোধ নিতে চায় ইরান। দেশটির ইরানের সর্বোচ্চ নেতা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছে।
৭ মিনিট আগেসিরিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় হাসাকাহ প্রদেশে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর একটি ঘাঁটিতে হামলার ঘটনা ঘটেছ। সোমবার হাসাকাহর ওই ঘাঁটি মর্টার হামলার শিকার হয়েছে। তবে এই হামলায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনও হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি।
৯ মিনিট আগেইরানে মার্কিন বোমা হামলার এক দিন পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, বর্তমান ইরানি শাসকগোষ্ঠী যদি ‘ইরানকে আবারও মহান’ করতে না পারে, তবে শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন হতেই পারে।
৩৩ মিনিট আগেইরানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব-প্রতিপত্তি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লব। এ বিপ্লবের পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রতিপক্ষে পরিণত হয়েছিল ইরান। এই বিপ্লবের মাধ্যমে পতন হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভির সরকারের। বিপ্লবের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আয়াতুল্লাহ...
১ ঘণ্টা আগে