বাংলাদেশের ৫০তম স্বাধীনতাবার্ষিকী উদ্যাপনে যোগ দিতে গত বছর ঢাকা সফরে এসেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সে সময় তিনি দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সমর্থনে ‘সত্যাগ্রহে’ অংশ নিয়েছিলেন এবং এর জন্য তাঁকে ‘কারাবরণ’ করতে হয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন। কিন্তু ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় তাঁর এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি। দেশটির গণমাধ্যম দ্য অয়্যার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
অয়্যারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তথ্য অধিকার আইন (আরটিআই) অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রীর সত্যাগ্রহ ও কারাবরণ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বলেছে, তাঁর (নরেদ্র মোদির) গ্রেপ্তার, কারাবরণ কিংবা মুক্তির বিশদ বিবরণের কোনো প্রমাণ নেই।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি, মুজিববর্ষ উদ্যাপন এবং বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গত বছরের স্বাধীনতা দিবসে (২৬ মার্চ) বাংলাদেশে এসেছিলেন নরেদ্র মোদি। সেই সফরে তিনি জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছিলেন। তখন মোদি বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার বয়স ছিল ২০-২২ বছর। আমি তখন আমার কয়েকজন সহকর্মীর সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সমর্থনে সত্যাগ্রহের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। এ জন্য আমাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।’
মোদির এমন দাবির পর ভারতে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। দেশটির বিরোধীদলীয় কয়েকজন নেতা মোদির দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এ ছাড়া মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা, চা বিক্রেতা হিসেবে তাঁর অতীত জীবন ইত্যাদি নিয়েও বিতর্ক আছে।
গত ২৭ মার্চ দ্য অয়্যারে এক নিবন্ধে শুদ্ধব্রত সেনগুপ্ত নামের একজন প্রাবন্ধিক লিখেছেন, ১৯৭১ সালের ১১ আগস্ট দিল্লিতে ‘বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিন’ ব্যানারে আন্দোলন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছিল জনসংঘ। সেই আন্দোলনই ‘সত্যাগ্রহ’, যেখানে নরেন্দ্র মোদি অংশগ্রহণ করেছিলেন বলে দাবি করেছেন।
নরেদ্র মোদির এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ২৭ মার্চ জয়েশ গুরনানি নামের এক ব্যক্তি পাঁচটি তথ্য চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেছিলেন। আবেদনপত্রে তিনি নরেদ্র মোদিকে গ্রেপ্তার করার নথির অনুলিপি, সংশ্লিষ্ট থানায় দায়ের করা মামলার অনুলিপি, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা অথবা গ্রেপ্তারের প্রাসঙ্গিক অন্য কোনো নথির অনুলিপি, কারামুক্ত হওয়ার নথির অনুলিপি চেয়েছিলেন এবং যে কারাগারে তিনি ছিলেন, সেই করাগারের নাম জানতে চেয়েছিলেন।
দ্য অয়্যার বলেছে, জয়েশ গুরনানির আবেদনের সরাসরি কোনো জবাব দিতে পারেনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। শুধু বলেছে, এসব তথ্য শুধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যেই রয়েছে। বক্তব্যটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। তারা আরও বলেছে, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর পদে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় শুধু নরেন্দ্র মোদির অফিশিয়াল নথি সংরক্ষণ করছে।
বাংলাদেশের ৫০তম স্বাধীনতাবার্ষিকী উদ্যাপনে যোগ দিতে গত বছর ঢাকা সফরে এসেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সে সময় তিনি দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সমর্থনে ‘সত্যাগ্রহে’ অংশ নিয়েছিলেন এবং এর জন্য তাঁকে ‘কারাবরণ’ করতে হয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন। কিন্তু ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় তাঁর এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি। দেশটির গণমাধ্যম দ্য অয়্যার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
অয়্যারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তথ্য অধিকার আইন (আরটিআই) অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রীর সত্যাগ্রহ ও কারাবরণ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বলেছে, তাঁর (নরেদ্র মোদির) গ্রেপ্তার, কারাবরণ কিংবা মুক্তির বিশদ বিবরণের কোনো প্রমাণ নেই।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি, মুজিববর্ষ উদ্যাপন এবং বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গত বছরের স্বাধীনতা দিবসে (২৬ মার্চ) বাংলাদেশে এসেছিলেন নরেদ্র মোদি। সেই সফরে তিনি জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছিলেন। তখন মোদি বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় আমার বয়স ছিল ২০-২২ বছর। আমি তখন আমার কয়েকজন সহকর্মীর সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সমর্থনে সত্যাগ্রহের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। এ জন্য আমাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।’
মোদির এমন দাবির পর ভারতে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। দেশটির বিরোধীদলীয় কয়েকজন নেতা মোদির দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এ ছাড়া মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা, চা বিক্রেতা হিসেবে তাঁর অতীত জীবন ইত্যাদি নিয়েও বিতর্ক আছে।
গত ২৭ মার্চ দ্য অয়্যারে এক নিবন্ধে শুদ্ধব্রত সেনগুপ্ত নামের একজন প্রাবন্ধিক লিখেছেন, ১৯৭১ সালের ১১ আগস্ট দিল্লিতে ‘বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিন’ ব্যানারে আন্দোলন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছিল জনসংঘ। সেই আন্দোলনই ‘সত্যাগ্রহ’, যেখানে নরেন্দ্র মোদি অংশগ্রহণ করেছিলেন বলে দাবি করেছেন।
নরেদ্র মোদির এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ২৭ মার্চ জয়েশ গুরনানি নামের এক ব্যক্তি পাঁচটি তথ্য চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেছিলেন। আবেদনপত্রে তিনি নরেদ্র মোদিকে গ্রেপ্তার করার নথির অনুলিপি, সংশ্লিষ্ট থানায় দায়ের করা মামলার অনুলিপি, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা অথবা গ্রেপ্তারের প্রাসঙ্গিক অন্য কোনো নথির অনুলিপি, কারামুক্ত হওয়ার নথির অনুলিপি চেয়েছিলেন এবং যে কারাগারে তিনি ছিলেন, সেই করাগারের নাম জানতে চেয়েছিলেন।
দ্য অয়্যার বলেছে, জয়েশ গুরনানির আবেদনের সরাসরি কোনো জবাব দিতে পারেনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। শুধু বলেছে, এসব তথ্য শুধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যেই রয়েছে। বক্তব্যটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। তারা আরও বলেছে, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর পদে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় শুধু নরেন্দ্র মোদির অফিশিয়াল নথি সংরক্ষণ করছে।
ওয়াশিংটনে ছয় বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৈঠকে ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, তুরস্কের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে দেশটির কাছে আবারও নিজেদের তৈরি উন্নত এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রির সুযোগ দেওয়া হতে পারে।
৯ ঘণ্টা আগেইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের পাঁচ বছরের শিশু টিম হ্রিশচুক কল্পনাও করেনি, তার স্কুলজীবনের প্রথম দিনটি কাটাতে হবে ভূগর্ভস্থ আশ্রয়ে। ২ সেপ্টেম্বর সকালে যখন বিমান হামলার সাইরেন বাজল, তখন সে এবং তার সহপাঠীরা ক্লাসরুম ছেড়ে সোজা চলে যায় বাংকারে।
৯ ঘণ্টা আগেপ্রায় ৬০ বছর পর প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দিলেন সিরিয়ার কোনো নেতা। এ নেতা আর কেউ নন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারা। তাঁর এ যাত্রা এক অপ্রত্যাশিত মাইলফলক। একসময় আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি নামে পরিচিত শারা ছিলেন সিরিয়ার আল-কায়েদা শাখার নেতা।
১০ ঘণ্টা আগেব্যবসার সংকট কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে বড় ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে কফি জায়ান্ট স্টারবাকস। কোম্পানিটি ঘোষণা দিয়েছে, তাদের কয়েক শ ক্যাফে বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং সদর দপ্তরে নতুন করে ছাঁটাই করা হবে। এসব উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান সিইও ব্রায়ান নিকোলের নেতৃত্বে।
১১ ঘণ্টা আগে