Ajker Patrika

ভারতের পার্লামেন্টে নিষিদ্ধ করা হলো যেসব শব্দ

আপডেট : ১৪ জুলাই ২০২২, ১৪: ২২
ভারতের পার্লামেন্টে নিষিদ্ধ করা হলো যেসব শব্দ

‘জুমলাজীবী’, ‘বাল বুদ্ধি’, ‘কোভিড স্প্রেডার’, ‘স্নুপগেট’ প্রতিদিনের অভিব্যক্তিতে যোগ হওয়া এমন একগুচ্ছ শব্দকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করল ভারতের পার্লামেন্ট। সোমবার থেকে শুরু হওয়া নতুন অধিবেশনের আগে সংসদের জন্য অনুপযুক্ত বলে মনে করা এসব শব্দের তালিকা দেওয়া হয়েছে। 

কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনায় বিরোধীদের ভাষা নিয়ন্ত্রণেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হলো বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে গত বছর বিভিন্ন অধিবেশনে পার্লামেন্টের দুই কক্ষই বিরোধীদের সমালোচনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এবার লোকসভা ও রাজ্যসভায় বেশ কিছু শব্দ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল পার্লামেন্ট। 

এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, এখন থেকে পার্লামেন্টে ব্যবহার নিষিদ্ধ এসব শব্দের দীর্ঘ তালিকা পুস্তিকা আকারে প্রকাশ করেছে লোকসভা সেক্রেটারিয়েট। তালিকায় ইংরেজি ও হিন্দি দুটি ভাষার শব্দই রয়েছে। 

হিন্দি শব্দের মধ্যে ‘জুমলাজীবী’, ‘বাল বুদ্ধি’, ‘কোভিড স্প্রেডার’ ও ‘স্নুপগেট’ আর ইংরেজির মধ্যে বহুল ব্যবহৃত ‘অ্যাশেমড’, ‘অ্যাবিউসড’, ‘বিট্রেইড’, ‘কোরাপ্ট’, ‘ড্রামা’, ‘হিপোক্রেসি’, ‘ইনকমপিটেন্ট’ শব্দগুলোকে আসন্ন নতুন অধিবেশনে অসাংবিধানিক আখ্যা দেওয়া হয়েছে। 

কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনায় বিরোধীদের ভাষা নিয়ন্ত্রণেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হলো বলে মনে করা হচ্ছে

আর এই খবর শেয়ার করে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন বিরোধী সাংসদেরা। টুইট করে এই অসাংবিধানিক শব্দগুলো ব্যবহার করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। মহুয়া লিখেছেন, ‘একটা অযোগ্য সরকার কীভাবে জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে এসেছে, তা আমি লোকসভায় দাঁড়িয়ে বলতে পারব না? মিথ্যাচারের জন্য এই সরকারের লজ্জিত হওয়া উচিত।’

১৮ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে ভারতের পার্লামেন্টের নতুন অধিবেশন। এই অধিবেশন চলাকালে ‘অ্যানার্কিস্ট’, ‘শকুনি’, ‘ডিক্টেটোরিয়াল’, ‘তানাশা’, ‘তানাশাহী’, ‘জয়চাঁদ’, ‘বিনাশ পুরুষ’, ‘খালিস্তান’ এবং ‘খুন সে ক্ষেতি’ শব্দগুলোও সংসদের দুই কক্ষের অধিবেশনেই বাতিল করা হয়েছে। আর লোকসভা সেক্রেটারিয়েটের নিষিদ্ধ তালিকায় রয়েছে ‘দোহরা চরিত্র’, ‘নিকম্মা’, ‘নোটাঙ্কি’, ‘ঢিন্ডোরা পিটনা’ ও ‘বেহরি সরকার’। 

সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। তিনি টুইটারে লিখেছেন, ‘অ্যাশেমড, অ্যাবিউসড, বিট্রেইড, কোরাপ্ট, হিপোক্রেসি, ইনকমপিটেন্ট শব্দগুলো ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু আমি এই শব্দগুলো ব্যবহার করব। আমাকে বরখাস্ত করেন। গণতন্ত্রের জন্য লড়াই চলবে।’ 

এদিকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করা শব্দগুলোর ভবিষ্যতে ব্যবহার বিষয়ে পুস্তিকা আকারে প্রকাশ করেছে লোকসভা সেক্রেটারিয়েট। যদিও এ ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ও লোকসভার স্পিকার। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত