Ajker Patrika

কেন্দ্র চাইলেও বাংলাদেশি শরণার্থীদের বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করবে না মিজোরাম

আপডেট : ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১: ৫২
কেন্দ্র চাইলেও বাংলাদেশি শরণার্থীদের বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করবে না মিজোরাম

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশের পরও বাংলাদেশ ও মিয়ানমার থেকে প্রবেশ করা শরণার্থীদের বায়োমেট্রিক ডেটা সংগ্রহ না করার ঘোষণা দিয়েছে মিজোরাম রাজ্য সরকার। আজ বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী লালদোহামা এই ঘোষণা দিয়েছেন।

এক পরিসংখ্যানের বরাতে দ্য হিন্দু জানিয়েছে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে মিজোরামে অন্তত ৩২ হাজার ২২১ জন মিয়ানমারের নাগরিক এবং ১ হাজার ১৬৭ জন বাংলাদেশি শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছে। মিয়ানমার থেকে আশ্রয় নেওয়া মানুষ মূলত দেশটির শিন সম্প্রদায়ের। গৃহযুদ্ধের কারণে তারা মিজোরামে প্রবেশ করেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে আশ্রয় নেওয়া মানুষের বেশির ভাগই কুকি-চীন নামে পরিচিত। পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের দ্বন্দ্বের কারণে তারা রাজ্যটিতে প্রবেশ করেছে। পাশাপাশি ভারতের অন্যান্য রাজ্য থেকে বিতাড়িত হয়ে মিজোরামে আশ্রয় নেওয়া মানুষের সংখ্যাও প্রায় ৯ হাজার। 

আজ বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিধানসভায় লালদোহামা জানান, গত বছরের এপ্রিলে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিজোরাম রাজ্য সরকারকে অবৈধ অভিবাসীদের বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছিল। একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল মণিপুর রাজ্য সরকারকেও। 

ভারতের মিজোরামের সঙ্গে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। ফলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের জের ধরে দুই দেশ থেকেই মিজোরামে অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে। রাজ্যটির আগের মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট (এমএনএফ) সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে শরণার্থীদের বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের উদ্যোগ নিলেও পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়িয়েছিল। গত বছরের নভেম্বরে রাজ্যটির ক্ষমতায় আসে লালদোহামার নেতৃত্বাধীন একটি আঞ্চলিক জোট সরকার। এবার এই সরকারও কেন্দ্রের নির্দেশ পালন না করার ঘোষণা দিয়েছে। 

জানা গেছে, মিজোরামের সংখ্যাগরিষ্ঠ মিজো সম্প্রদায় মিয়ানমারের শিন এবং বাংলাদেশি কুকি-চীন শরণার্থীদের সঙ্গে নৃতাত্ত্বিকভাবে সম্পর্কিত। 

বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ না করার বিষয়ে একটি প্রশ্নের জবাবে মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লালদোহামা জানিয়েছেন, শরণার্থীরা ভয় পাচ্ছে এই ভেবে যে বায়োমেট্রিক তথ্য দিলে ভারত থেকে তাদের বিতাড়িত হতে হবে। 

মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, মিয়ানমার ও বাংলাদেশে শান্তি ফিরে না আসার আগপর্যন্ত কোনো অভিবাসীকেই ফেরত পাঠানো হবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত