‘বাংলাদেশি’ গঞ্জনা সইতে না পেরে আসামের মরিগাঁও জেলায় মানিক দাস (৬০) নামে এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারতের জাতীয় নাগরিকপঞ্জিতে (এনআরসি) মানিক দাসের নাম থাকলেও ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে তিনি নিজের নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য লড়ছিলেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে।
২০১৯ সালের আগস্টে ভারতের জাতীয় নাগরিকপঞ্জি তৈরি হলেও এটি এখনো আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পায়নি।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামের মরিগাঁও জেলার বরখাল গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন মানিক দাস। তাঁর পরিবারের দাবি, ‘হতাশা ও মানসিক নির্যাতন’ থেকে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
মানিক দাসের ছেলে কার্তিক দাস বলেন, ‘ভারতের জাতীয় নাগরিকপঞ্জিতে নাম থাকা সত্ত্বেও তাঁকে বাংলাদেশি বলে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। আমাদের সবার নামই এনআরসিতে ছিল। পুলিশ কেন তাঁকে নোটিশ পাঠিয়ে মামলা করেছে তা আমরা জানি না। এনআরসিতে আমার বাবার নাম ছিল। পুরো প্রক্রিয়ার কারণে তিনি হতাশ ছিলেন । এতে তিনি মানসিক নির্যাতনের সম্মুখীন হন। যাদের নাম আসাম এনআরসিতে স্থান করে নিয়েছে, তাদের যদি বিদেশি বা বাংলাদেশি হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তাহলে এনআরসি করে কী লাভ?’
মানিক দাসের এনআরসির ডকুমেন্ট সংগ্রহ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। সেখানে দেখা যায়, মানিক দাস ও তাঁর পুরো পরিবারের নাম ওই তালিকায় রয়েছে। ২০১৯ সালের আগস্টে ভারতের জাতীয় নাগরিকপঞ্জি তৈরি হলেও নভেম্বরের ২০ তারিখ ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল মানিক দাসকে নোটিশ পাঠায়।
আসাম বর্ডার পুলিশ ২০০৪ সালে মানিক দাসকে বিদেশি আখ্যা দিয়ে মামলা করে। আর এ ঘটনার প্রায় ১৫ বছর পর তাঁকে এসংক্রান্ত নোটিশ দেওয়া হয়। এই নোটিশের একটি অনুলিপিও এনডিটিভির কাছে রয়েছে।
মরিগাঁও পুলিশের সুপারিনটেনডেন্ট অপর্ণা নটরাজন এনডিটিভিকে বলেন, ‘মানিক দাসের পরিবার গত ২০ জানুয়ারি জাগি রোড থানায় একটি নিখোঁজ মামলা দায়ের করে। পরদিন তাঁর লাশ পাওয়া যায়। পরে সেটির ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। আমরা একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা নথিভুক্ত করেছি এবং কোনো সুইসাইড নোট পাইনি। আমরা মামলাটি তদন্ত করছি।’
মানিক দাসের আইনজীবী দীপক বিশ্বাস বলেন, ‘মানিক দাসের নামে প্যান কার্ড, আধার কার্ড ও জমির দলিলও ছিল। আমরা ট্রাইব্যুনালে আমাদের জবাব দিয়েছিলাম । আমার বিশ্বাস আমরা প্রমাণ করতে সক্ষম হতাম যে তিনি একজন সত্যিকারের ভারতীয়।’
‘বাংলাদেশি’ গঞ্জনা সইতে না পেরে আসামের মরিগাঁও জেলায় মানিক দাস (৬০) নামে এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভারতের জাতীয় নাগরিকপঞ্জিতে (এনআরসি) মানিক দাসের নাম থাকলেও ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে তিনি নিজের নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য লড়ছিলেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে।
২০১৯ সালের আগস্টে ভারতের জাতীয় নাগরিকপঞ্জি তৈরি হলেও এটি এখনো আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পায়নি।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামের মরিগাঁও জেলার বরখাল গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন মানিক দাস। তাঁর পরিবারের দাবি, ‘হতাশা ও মানসিক নির্যাতন’ থেকে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
মানিক দাসের ছেলে কার্তিক দাস বলেন, ‘ভারতের জাতীয় নাগরিকপঞ্জিতে নাম থাকা সত্ত্বেও তাঁকে বাংলাদেশি বলে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। আমাদের সবার নামই এনআরসিতে ছিল। পুলিশ কেন তাঁকে নোটিশ পাঠিয়ে মামলা করেছে তা আমরা জানি না। এনআরসিতে আমার বাবার নাম ছিল। পুরো প্রক্রিয়ার কারণে তিনি হতাশ ছিলেন । এতে তিনি মানসিক নির্যাতনের সম্মুখীন হন। যাদের নাম আসাম এনআরসিতে স্থান করে নিয়েছে, তাদের যদি বিদেশি বা বাংলাদেশি হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তাহলে এনআরসি করে কী লাভ?’
মানিক দাসের এনআরসির ডকুমেন্ট সংগ্রহ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। সেখানে দেখা যায়, মানিক দাস ও তাঁর পুরো পরিবারের নাম ওই তালিকায় রয়েছে। ২০১৯ সালের আগস্টে ভারতের জাতীয় নাগরিকপঞ্জি তৈরি হলেও নভেম্বরের ২০ তারিখ ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল মানিক দাসকে নোটিশ পাঠায়।
আসাম বর্ডার পুলিশ ২০০৪ সালে মানিক দাসকে বিদেশি আখ্যা দিয়ে মামলা করে। আর এ ঘটনার প্রায় ১৫ বছর পর তাঁকে এসংক্রান্ত নোটিশ দেওয়া হয়। এই নোটিশের একটি অনুলিপিও এনডিটিভির কাছে রয়েছে।
মরিগাঁও পুলিশের সুপারিনটেনডেন্ট অপর্ণা নটরাজন এনডিটিভিকে বলেন, ‘মানিক দাসের পরিবার গত ২০ জানুয়ারি জাগি রোড থানায় একটি নিখোঁজ মামলা দায়ের করে। পরদিন তাঁর লাশ পাওয়া যায়। পরে সেটির ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। আমরা একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা নথিভুক্ত করেছি এবং কোনো সুইসাইড নোট পাইনি। আমরা মামলাটি তদন্ত করছি।’
মানিক দাসের আইনজীবী দীপক বিশ্বাস বলেন, ‘মানিক দাসের নামে প্যান কার্ড, আধার কার্ড ও জমির দলিলও ছিল। আমরা ট্রাইব্যুনালে আমাদের জবাব দিয়েছিলাম । আমার বিশ্বাস আমরা প্রমাণ করতে সক্ষম হতাম যে তিনি একজন সত্যিকারের ভারতীয়।’
কাতারের আল-উদেইদ মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ইরানের প্রতিশোধমূলক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ডব্লিউএএম এক বিবৃতিতে জানায়, আমিরাত কাতারের সার্বভৌমত্ব ও আকাশসীমায় ইরানি বিপ্লবী গার্ডের এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের সরাসরি...
৫ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক হামলার জবাবে ইরান তার পাল্টা প্রতিক্রিয়া অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন এক শীর্ষস্থানীয় ইরানি কর্মকর্তা। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। ওই কর্মকর্তা বলেন, আক্রমণকারীকে শাস্তি দেওয়ার পর আমাদের কূটনৈতিক প্রজ্ঞা রয়েছে।
১৬ মিনিট আগেকাতারে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি আল-উদেইদে ইরানের পাল্টা হামলার ঘটনায় সৌদি আরব তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। একে ‘আন্তর্জাতিক আইন ও সুসম্পর্কের নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে দেশটি। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘আমরা এই হামলাকে সবচেয়ে কঠোর ভাষায় নিন্দা জানাই।’
১ ঘণ্টা আগেদোহা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মুহান্নাদ সেলুম মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাতারভিত্তিক ঘাঁটি আল-উদেইদে ইরানের সর্বশেষ হামলাটি মূলত প্রতীকী এবং এটি ইরান-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনার একটি নতুন স্তর। তিনি বলেন, ইরান অতীতে যুক্তরাষ্ট্রকে লক্ষ্য করে ইরাকের ভেতরে হামলা চালিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে