বেলারুশের পশ্চিম সীমান্তের কাছে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। ন্যাটোর কোল ঘেঁষে রাশিয়ার এ পদক্ষেপ রুশ-পশ্চিমা সম্পর্কের অচলাবস্থা আরও বাড়াবে বলে মনে করেন বেলারুশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রোববার রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বরিস গ্রিজলভ বেলারুশের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, অস্ত্রগুলো বেলারুশের পশ্চিম সীমান্তের কাছে মোতায়েন করা হবে। এতে উভয় দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিতরূপেই বাড়বে।
১৩ মাস আগে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হয়েছে পারমাণবিক অস্ত্রের বিষয়টি। রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করবে কি না সে ব্যাপারে বিশ্বজুড়ে আলোচনা এখনো অব্যাহত রয়েছে। এসব আলোচনার মধ্যেই গত ২৬ মার্চ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বেলারুশ সীমান্তে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের ঘোষণা দেন।
ওই দিন পুতিন রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেন, ‘কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের জন্য প্রতিবেশী বেলারুশের সঙ্গে মস্কো একটি চুক্তি করেছে। তবে বেলারুশের সঙ্গে চুক্তিটি পরমাণু বিস্তার রোধকরণ চুক্তি লঙ্ঘন করবে না। যুক্তরাষ্ট্র কয়েক দশক ধরে ইউরোপীয় মিত্রদের ভূখণ্ডে পরমাণু অস্ত্র মোতায়েন করেছে। আমরাও একই ধরনের কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরমাণু বিস্তার রোধকরণের কোনো ধরনের আন্তর্জাতিক নিয়ম লঙ্ঘন না করে আমরাও আমাদের মিত্রদের ভূখণ্ডে পরমাণু অস্ত্র মোতায়েনে জোর দিয়েছি।’
কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপন নিয়ে রাশিয়া ও বেলারুশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা চলছিল। এর মধ্যে গত বছর ইউক্রেনে রুশ সৈন্য পাঠানোর জন্য বেলারুশ তাদের ভূখণ্ড ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার পর এ আলোচনা আরও গতি পেয়েছে।
পুতিন জানান, বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো দীর্ঘদিন ধরে তাঁর দেশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের বিষয়টি উত্থাপন করছিলেন। কারণ দেশটির সঙ্গে ন্যাটো সদস্য পোল্যান্ডের সীমান্ত রয়েছে।
আগামী ১ জুলাইয়ের মধ্যে রাশিয়া বেলারুশে পারমাণবিক অস্ত্রাগার নির্মাণ শেষ করবে বলেও জানিয়েছেন পুতিন। তিনি আরও বলেন, পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম এমন ১০টি উড়োজাহাজ ইতিমধ্যে বেলারুশে মোতায়েন করেছে রাশিয়া। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা স্থানান্তর করা হয়েছে।
তবে গতকালে সাক্ষাৎকারে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বরিস গ্রিজলভ বলেন, কোথায় অস্ত্র স্থাপন করা হবে, তা এখনো নির্দিষ্ট করা হয়নি। তবে প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশে ১ জুলাইয়ের মধ্যেই তা সম্পন্ন করা হবে।
এর আগে গত শুক্রবার বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো বলেছেন, তিনি রাশিয়াকে তাঁর দেশে আন্তমহাদেশীয় পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনের অনুমতি দেবেন।
বেলারুশের উত্তরে লিথুনিয়া এবং লাটভিয়ার সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরুর পরে ওই অঞ্চলে অতিরিক্ত সৈন্য মোতায়েন করেছে ন্যাটো।
এদিকে বেলারুশ সীমান্তে রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের ঘোষণাকে ভীষণ ‘উদ্বেগজনক’ বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘মস্কো পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে এমন কোনো লক্ষণ নেই। তবে আমরা আগের মতোই ন্যাটো জোটের সম্মিলিত প্রতিরক্ষার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি।’
অপর দিকে বেলারুশে পরমাণু অস্ত্র মোতায়েনের পুতিনের ঘোষণাকে ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ বলে অভিহিত করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন টু অ্যাবোলিশ নিউক্লিয়ার উয়েপনস (আইসিএএন)। এক টুইটার পোস্টে সংস্থাটি বলেছে, পারমাণবিক অস্ত্র লেনদেন ইউক্রেন যুদ্ধের পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলবে এবং বিপর্যয়কর মানবিক পরিণতির ঝুঁকি তৈরি করবে।
বেলারুশের পশ্চিম সীমান্তের কাছে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। ন্যাটোর কোল ঘেঁষে রাশিয়ার এ পদক্ষেপ রুশ-পশ্চিমা সম্পর্কের অচলাবস্থা আরও বাড়াবে বলে মনে করেন বেলারুশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রোববার রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বরিস গ্রিজলভ বেলারুশের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, অস্ত্রগুলো বেলারুশের পশ্চিম সীমান্তের কাছে মোতায়েন করা হবে। এতে উভয় দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিতরূপেই বাড়বে।
১৩ মাস আগে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হয়েছে পারমাণবিক অস্ত্রের বিষয়টি। রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করবে কি না সে ব্যাপারে বিশ্বজুড়ে আলোচনা এখনো অব্যাহত রয়েছে। এসব আলোচনার মধ্যেই গত ২৬ মার্চ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বেলারুশ সীমান্তে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের ঘোষণা দেন।
ওই দিন পুতিন রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেন, ‘কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের জন্য প্রতিবেশী বেলারুশের সঙ্গে মস্কো একটি চুক্তি করেছে। তবে বেলারুশের সঙ্গে চুক্তিটি পরমাণু বিস্তার রোধকরণ চুক্তি লঙ্ঘন করবে না। যুক্তরাষ্ট্র কয়েক দশক ধরে ইউরোপীয় মিত্রদের ভূখণ্ডে পরমাণু অস্ত্র মোতায়েন করেছে। আমরাও একই ধরনের কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরমাণু বিস্তার রোধকরণের কোনো ধরনের আন্তর্জাতিক নিয়ম লঙ্ঘন না করে আমরাও আমাদের মিত্রদের ভূখণ্ডে পরমাণু অস্ত্র মোতায়েনে জোর দিয়েছি।’
কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপন নিয়ে রাশিয়া ও বেলারুশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা চলছিল। এর মধ্যে গত বছর ইউক্রেনে রুশ সৈন্য পাঠানোর জন্য বেলারুশ তাদের ভূখণ্ড ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার পর এ আলোচনা আরও গতি পেয়েছে।
পুতিন জানান, বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো দীর্ঘদিন ধরে তাঁর দেশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের বিষয়টি উত্থাপন করছিলেন। কারণ দেশটির সঙ্গে ন্যাটো সদস্য পোল্যান্ডের সীমান্ত রয়েছে।
আগামী ১ জুলাইয়ের মধ্যে রাশিয়া বেলারুশে পারমাণবিক অস্ত্রাগার নির্মাণ শেষ করবে বলেও জানিয়েছেন পুতিন। তিনি আরও বলেন, পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম এমন ১০টি উড়োজাহাজ ইতিমধ্যে বেলারুশে মোতায়েন করেছে রাশিয়া। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা স্থানান্তর করা হয়েছে।
তবে গতকালে সাক্ষাৎকারে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বরিস গ্রিজলভ বলেন, কোথায় অস্ত্র স্থাপন করা হবে, তা এখনো নির্দিষ্ট করা হয়নি। তবে প্রেসিডেন্ট পুতিনের নির্দেশে ১ জুলাইয়ের মধ্যেই তা সম্পন্ন করা হবে।
এর আগে গত শুক্রবার বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো বলেছেন, তিনি রাশিয়াকে তাঁর দেশে আন্তমহাদেশীয় পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনের অনুমতি দেবেন।
বেলারুশের উত্তরে লিথুনিয়া এবং লাটভিয়ার সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরুর পরে ওই অঞ্চলে অতিরিক্ত সৈন্য মোতায়েন করেছে ন্যাটো।
এদিকে বেলারুশ সীমান্তে রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের ঘোষণাকে ভীষণ ‘উদ্বেগজনক’ বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘মস্কো পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে এমন কোনো লক্ষণ নেই। তবে আমরা আগের মতোই ন্যাটো জোটের সম্মিলিত প্রতিরক্ষার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি।’
অপর দিকে বেলারুশে পরমাণু অস্ত্র মোতায়েনের পুতিনের ঘোষণাকে ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ বলে অভিহিত করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন টু অ্যাবোলিশ নিউক্লিয়ার উয়েপনস (আইসিএএন)। এক টুইটার পোস্টে সংস্থাটি বলেছে, পারমাণবিক অস্ত্র লেনদেন ইউক্রেন যুদ্ধের পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলবে এবং বিপর্যয়কর মানবিক পরিণতির ঝুঁকি তৈরি করবে।
বিশ্ব রাজনীতির উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ বোমারু বিমান এখন আলোচনার কেন্দ্রে। আকাশপথে নিঃশব্দ ও প্রায় অদৃশ্য এই যুদ্ধযান শুধু আধুনিক প্রযুক্তির বিস্ময় নয়, বরং এটি যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত শক্তির প্রতীক।
২ মিনিট আগেইরানে থাকা ‘বন্ধুদের’ তথ্যের অবিচ্ছিন্ন প্রবাহ নিশ্চিত করতে আগামী কয়েক সপ্তাহের জন্য দেশটিতে স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা বিনা মূল্যে চালু করার জন্য স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ককে আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত রিচার্ড গ্রেনেল।
১ ঘণ্টা আগেএনডিটিভি জানিয়েছে, হামলায় বাংকার বাস্টার বোমা ও টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র মিলিয়ে অভিযান চালানো হয়, যা ছিল গত কয়েক বছরে ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে সরাসরি সামরিক পদক্ষেপ।
১ ঘণ্টা আগেতাঁর ভাষ্য, ইরানের রাজনৈতিক শাসন টিকে গেছে এবং সম্ভবত আরও শক্ত অবস্থানে পৌঁছেছে। দেশটির মানুষ এখন আধ্যাত্মিক নেতৃত্বের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। এমনকি যারা আগে নির্লিপ্ত ছিল বা বিরোধিতা করত, তারাও এখন এই নেতৃত্বের পাশে দাঁড়াচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে