Ajker Patrika

ইউক্রেনকে আরও সাহায্য ফ্রান্স, জার্মানি, পোল্যান্ডের

ডয়চে ভেলে
ইউক্রেনকে আরও সাহায্য ফ্রান্স, জার্মানি, পোল্যান্ডের

ইউক্রেন এখন পাল্টা আক্রমণ করে রাশিয়ার কাছ থেকে সাতটি গ্রাম পুনরুদ্ধার নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তিন নেতা আলোচনা করলেন, কী করে ইউক্রেনকে এই বিষয়ে আরও সাহায্য করা হবে এবং কী করে ইউক্রেন রাশিয়ার হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করবে? ইউক্রেনকে আর কী সামরিক সাহায্য দেওয়া হবে?

মাখোঁ বলেছেন, ‘আমরা ইউক্রেনকে যথাসম্ভব সাহায্য করব। আমরা ইউক্রনকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সামরিক গাড়ি দিয়ে সাহায্য করছি। আগামী দিন ও সপ্তাহেও সেই সাহায্য করে যাব।’

মাখোঁ বলেছেন, ‘ইউক্রেনের এই পাল্টা আঘাত হানা আগামী বেশ কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাস চালু থাকবে। আমরা ইউক্রেনের পাশে থাকব। তারা যাতে আরও এলাকা নিজেদের অধীনে নিয়ে আসতে পারে, তা দেখব। তাহলেই ভালো অবস্থায় থেকে আলোচনা শুরু করতে পারব।’

ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতি
ডুডা গতকাল সোমবার প্যারিস পৌঁছান। তারপর আসেন শলৎস। ডুডা বলেছেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য করার প্রস্তাব এবার অনুমোদন করা উচিত। ইউক্রেনও আবেদন জানিয়েছে, ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলনে যেন তাদের আবেদন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারা ন্যাটো-ইউক্রেন কমিশনের জায়গায় নতুন ন্যাটো-ইউক্রেন কাউন্সিল গঠন করার কথা বলেছে। তারা মূলত নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে কথা বলবে ও সিদ্ধান্ত নেবে।

শলৎস বলেছেন, ‘এখন প্রয়োজন হলো, ইউক্রেনকে সাহায্য করে যাওয়া। যত দিন দরকার আমরা সেটাই করে যাব।’

কেন এক জোট ফ্রান্স, জার্মানি, পোল্যান্ড?
১৯৯১ সালে জার্মানির ওয়েইমারে পোল্যান্ড, ফ্রান্স ও জার্মানি একসঙ্গে বৈঠক করে। এর নাম হয় ওয়েইমার ত্রিভুজ। এই বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল পোল্যান্ড-সহ সাবেক সোভিয়েত দেশগুলোকে ন্যাটোর কাছে নিয়ে আসা।

রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর পুরো প্রেক্ষাপটটা বদলে যায়। ২০২২-এর ফেব্রুয়ারিতে তিন দেশের নেতারা এক জোট হয়েছিলেন। আবার ২০২৩-এর ফেব্রুয়ারিতে মিউনিখে তারা বৈঠক করেন।

রাশিয়া নিয়ে পোল্যান্ড কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে। ডুডা অতীতে বেশ কয়েকবার রাশিয়ার প্রতি নরম মনোভাব দেখানোর জন্য জার্মানি ও ফ্রান্সের কড়া সমালোচনা করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত