‘কী অদ্ভুত উপায়ে আমি ভাসছি/নক্ষত্রগুলোকে আজ অন্য রকম মনে হচ্ছে/এখানে, আমি টিনের এক কৌটার ভেতর বসে আছি/পৃথিবী থেকে অনেক ওপরে/নিচে নীলরঙা পৃথিবী/আর আমার কিছুই করার নেই।’ সোভিয়েত ইউনিয়নের ইউরি গ্যাগারিন যখন মহাকাশে বিচরণ করছিলেন, তখন তাঁর মনে হয়তো পপস্টার ডেভিড বউয়ির বিখ্যাত ‘স্পেস অডিটি’ গানের মতোই অনুভূতি হয়েছিল। আর তার সঙ্গে জড়িয়ে ছিল প্রথমবার মহাকাশে যাওয়ার উত্তেজনা।
মহাশূন্য প্রতিযোগিতায় ১৯৬১ সালে এগিয়ে যায় তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন। কিন্তু এরপর থেকে মহাকাশ ভ্রমণে নেই উল্লেখ করার মতো তাদের কোনো অর্জন। সোভিয়েত ইউনিয়নের আগেই চাঁদে মানুষ পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৬৯ সালে প্রথম চাঁদে পা রাখেন নীল আর্মস্ট্রং। মহাকাশে নিজেদের স্টেশন বানিয়ে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে গেছে চীনও। রাশিয়া এখনো প্রথম অর্জন নিয়েই বসে থাকবে—এটা কি করে হয়? তাই প্রতিযোগিতায় গতকাল নতুন এক মাইলফলক যুক্ত করেছে রাশিয়া। এবারও লড়াইটা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেই। কী সেই লড়াই?
গত বছরই মহাকাশে সিনেমার শুটিং করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। মিশন ইমপসিবল তারকা টম ক্রুজকে নিয়ে হবে সেই শুটিং। এতে সহায়তা করবে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এবং ইলন মাস্কের কোম্পানি স্পেসএক্স। কিন্তু শুটিংয়ের জন্য মহাকাশযাত্রার তারিখ ঠিক করা হয়নি এখনো।
এই সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে নতুন মাইলফলক গড়েছে রাশিয়া। গতকাল প্রথমবার মহাকাশের উদ্দেশে যাত্রা করেছেন দেশটির একজন নির্মাতা এবং অভিনেত্রী। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ১২ দিন সিনেমার শুটিং করবেন তাঁরা। বাংলাদেশ সময় গতকাল বেলা ৩টায় বাইকোনার কসমোড্রোম থেকে সুয়োজের মহাকাশযানে করে শুরু হয় মহাকাশযাত্রা। ‘সুয়োজ এমএস-১৯’ নামের এ মিশন ধূলিসাৎ করে দেয় মিশন ইমপসিবল তারকাকে নিয়ে গড়া যুক্তরাষ্ট্রের স্বপ্ন।
যে সিনেমার জন্য এত আয়োজন তার গল্পটা হলো—মহাকাশ স্টেশনে একজন নভোচারী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। যেকোনো সময় মারা যেতে পারেন। দ্রুত তাঁর চিকিৎসা প্রয়োজন। এ অবস্থায় পাঠানো হচ্ছে একজন চিকিৎসক। তাঁর সেই অভিযান এবং মহাকাশ স্টেশনে অবস্থানের সময়টাই দেখানো হবে ‘দ্য চ্যালেঞ্জ’ শিরোনামের সিনেমায়।
শুটিং করতে মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশে এরই মধ্যে রওনা দিয়েছেন নির্মাতা ক্লিম শিপেনকো (৩৮) এবং অভিনেত্রী ইউলিয়া পেরেসিল্ড (৩৭)। কিন্তু তাঁদের তো মহাকাশে যাওয়ার অভিজ্ঞতা নেই। যাবেন কি করে? তাই সঙ্গে গেছেন তিনবার লম্বা সময় ধরে মহাকাশে যাত্রা করা অভিজ্ঞ নভোচারী অ্যান্টন কাপলেরভ। তিনি কয়েক মাস সেখানে থাকলেও ১৭ অক্টোবর ফিরে আসবেন সিনেমার দুই কলাকুশলী। এ তথ্য জানিয়েছে রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থা রসকসমস।
সিনেমার নাম দ্য চ্যালেঞ্জ। আর বাস্তবেও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে শিপেনকো ও পেরেশিল্ডকে। কেননা, সেখানে থাকছেন না অন্য কলাকুশলীরা। নির্মাতার কাজের অন্যতম সাহায্যকারী ক্যামেরাপারসন এবং প্রোডাকশন হাউসের লাইট নিয়ে কাজ করা কর্মীরা। কিন্তু নির্মাতা ক্লিম শিপেনকোতে কাজ করতে হবে একা। ক্যামেরা চালাতে হবে তাঁকেই। সঙ্গে আলোর (লাইট) ব্যবস্থাও করতে হবে। কিছুটা বিপাকে পড়তে পারেন অভিনেত্রী ইউলিয়া পেরেসিল্ডও। কেননা, সেখানে থাকছেন না কোনো মেকআপ আর্টিস্ট। ফলে নিজেই এ কাজ করতে হবে।
বিজ্ঞানভিত্তিক সাময়িকী ‘স্পেস’ জানিয়েছে, সব প্রস্তুতি নিয়েই তাঁরা মহাকাশে পাড়ি জমিয়েছেন। এতক্ষণে হয়তো শুরু হয়ে গেছে সিনেমার শুটিং। এর মধ্য দিয়ে রাশিয়া যে মাইলফলকে পৌঁছে গেছে, সেটি তাদের পরবর্তী পদক্ষেপেও বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে গবেষণা সংস্থা রসকসমস।
‘কী অদ্ভুত উপায়ে আমি ভাসছি/নক্ষত্রগুলোকে আজ অন্য রকম মনে হচ্ছে/এখানে, আমি টিনের এক কৌটার ভেতর বসে আছি/পৃথিবী থেকে অনেক ওপরে/নিচে নীলরঙা পৃথিবী/আর আমার কিছুই করার নেই।’ সোভিয়েত ইউনিয়নের ইউরি গ্যাগারিন যখন মহাকাশে বিচরণ করছিলেন, তখন তাঁর মনে হয়তো পপস্টার ডেভিড বউয়ির বিখ্যাত ‘স্পেস অডিটি’ গানের মতোই অনুভূতি হয়েছিল। আর তার সঙ্গে জড়িয়ে ছিল প্রথমবার মহাকাশে যাওয়ার উত্তেজনা।
মহাশূন্য প্রতিযোগিতায় ১৯৬১ সালে এগিয়ে যায় তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন। কিন্তু এরপর থেকে মহাকাশ ভ্রমণে নেই উল্লেখ করার মতো তাদের কোনো অর্জন। সোভিয়েত ইউনিয়নের আগেই চাঁদে মানুষ পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৬৯ সালে প্রথম চাঁদে পা রাখেন নীল আর্মস্ট্রং। মহাকাশে নিজেদের স্টেশন বানিয়ে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে গেছে চীনও। রাশিয়া এখনো প্রথম অর্জন নিয়েই বসে থাকবে—এটা কি করে হয়? তাই প্রতিযোগিতায় গতকাল নতুন এক মাইলফলক যুক্ত করেছে রাশিয়া। এবারও লড়াইটা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেই। কী সেই লড়াই?
গত বছরই মহাকাশে সিনেমার শুটিং করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। মিশন ইমপসিবল তারকা টম ক্রুজকে নিয়ে হবে সেই শুটিং। এতে সহায়তা করবে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এবং ইলন মাস্কের কোম্পানি স্পেসএক্স। কিন্তু শুটিংয়ের জন্য মহাকাশযাত্রার তারিখ ঠিক করা হয়নি এখনো।
এই সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে নতুন মাইলফলক গড়েছে রাশিয়া। গতকাল প্রথমবার মহাকাশের উদ্দেশে যাত্রা করেছেন দেশটির একজন নির্মাতা এবং অভিনেত্রী। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ১২ দিন সিনেমার শুটিং করবেন তাঁরা। বাংলাদেশ সময় গতকাল বেলা ৩টায় বাইকোনার কসমোড্রোম থেকে সুয়োজের মহাকাশযানে করে শুরু হয় মহাকাশযাত্রা। ‘সুয়োজ এমএস-১৯’ নামের এ মিশন ধূলিসাৎ করে দেয় মিশন ইমপসিবল তারকাকে নিয়ে গড়া যুক্তরাষ্ট্রের স্বপ্ন।
যে সিনেমার জন্য এত আয়োজন তার গল্পটা হলো—মহাকাশ স্টেশনে একজন নভোচারী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। যেকোনো সময় মারা যেতে পারেন। দ্রুত তাঁর চিকিৎসা প্রয়োজন। এ অবস্থায় পাঠানো হচ্ছে একজন চিকিৎসক। তাঁর সেই অভিযান এবং মহাকাশ স্টেশনে অবস্থানের সময়টাই দেখানো হবে ‘দ্য চ্যালেঞ্জ’ শিরোনামের সিনেমায়।
শুটিং করতে মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশে এরই মধ্যে রওনা দিয়েছেন নির্মাতা ক্লিম শিপেনকো (৩৮) এবং অভিনেত্রী ইউলিয়া পেরেসিল্ড (৩৭)। কিন্তু তাঁদের তো মহাকাশে যাওয়ার অভিজ্ঞতা নেই। যাবেন কি করে? তাই সঙ্গে গেছেন তিনবার লম্বা সময় ধরে মহাকাশে যাত্রা করা অভিজ্ঞ নভোচারী অ্যান্টন কাপলেরভ। তিনি কয়েক মাস সেখানে থাকলেও ১৭ অক্টোবর ফিরে আসবেন সিনেমার দুই কলাকুশলী। এ তথ্য জানিয়েছে রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থা রসকসমস।
সিনেমার নাম দ্য চ্যালেঞ্জ। আর বাস্তবেও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে শিপেনকো ও পেরেশিল্ডকে। কেননা, সেখানে থাকছেন না অন্য কলাকুশলীরা। নির্মাতার কাজের অন্যতম সাহায্যকারী ক্যামেরাপারসন এবং প্রোডাকশন হাউসের লাইট নিয়ে কাজ করা কর্মীরা। কিন্তু নির্মাতা ক্লিম শিপেনকোতে কাজ করতে হবে একা। ক্যামেরা চালাতে হবে তাঁকেই। সঙ্গে আলোর (লাইট) ব্যবস্থাও করতে হবে। কিছুটা বিপাকে পড়তে পারেন অভিনেত্রী ইউলিয়া পেরেসিল্ডও। কেননা, সেখানে থাকছেন না কোনো মেকআপ আর্টিস্ট। ফলে নিজেই এ কাজ করতে হবে।
বিজ্ঞানভিত্তিক সাময়িকী ‘স্পেস’ জানিয়েছে, সব প্রস্তুতি নিয়েই তাঁরা মহাকাশে পাড়ি জমিয়েছেন। এতক্ষণে হয়তো শুরু হয়ে গেছে সিনেমার শুটিং। এর মধ্য দিয়ে রাশিয়া যে মাইলফলকে পৌঁছে গেছে, সেটি তাদের পরবর্তী পদক্ষেপেও বজায় থাকবে বলে জানিয়েছে গবেষণা সংস্থা রসকসমস।
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আকস্মিক সামরিক হামলার পর তার ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ (এমএজিএ) শিবিরের রক্ষণশীল গণমাধ্যম ও প্রভাবশালী মহলে বিভেদ দেখা দিয়েছে।
১০ মিনিট আগেইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, এই হামলা জাতিসংঘ সনদের লঙ্ঘন এবং মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান উত্তেজনার জন্য ইসরায়েলের ‘অবিরাম যুদ্ধবাজ পদক্ষেপ ও আঞ্চলিক সম্প্রসারণ’ দায়ী।
১ ঘণ্টা আগেইরানে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি হামলায় ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়েছে ইরানিদের মধ্যে। ইরান এই হামলার মোক্ষম জবাব দেবে বলে আশা করছেন তারা। গতকাল রোববার হাজার হাজার ক্ষুব্ধ জনতা রাজপথে নেমে আসেন। ইরানের পতাকা ও বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাজধানী তেহরানের ইনকিলাব স্কয়ারে জড়ো হন তারা।
১ ঘণ্টা আগেইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া। যদিও ক্রেমলিন সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি, তবে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের সনদ লঙ্ঘনের শামিল বলে উল্লেখ করেছে।
২ ঘণ্টা আগে