Ajker Patrika

রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, যাত্রীর তালিকায় ভাগনারপ্রধান প্রিগোঝিন

আপডেট : ২৪ আগস্ট ২০২৩, ০১: ৩৬
রাশিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, যাত্রীর তালিকায় ভাগনারপ্রধান প্রিগোঝিন

রাশিয়ায় ১০ আরোহী নিয়ে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে, যাদের কেউ জীবিত নেই। ওই বিমানের যাত্রীর তালিকায় রুশ ভাড়াটে যোদ্ধার দল ভাগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোঝিনের নাম ছিল বলে রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। 

বুধবার রাতে মস্কোর উত্তরে বিধ্বস্ত হওয়া জেট বিমানের আরোহীদের মধ্যে সাত জন যাত্রী ও তিন জন ক্রু ছিলেন। এই ঘটনায় প্রিগোঝিনও নিহত হয়ে থাকতে পারেন বলে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে। 

তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, ভাগনারপ্রধান প্রিগোঝিন ওই বিমানে সশরীরে ছিলেন- এমন নিশ্চিত কোনো তথ্য নেই। তিনি ওই বিমানে ছিলেন কিনা তা রয়টার্সের পক্ষ থেকেও তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করা যায়নি।

বিবিসির খবরে বলা হয়, জেট বিমানটি রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে যাচ্ছিল। রাশিয়ার বোলোগভস্কি এলাকার আকাশ থেকে পড়ে যেতে দেখা গেছে। মাঠের ওপর বিধ্বস্ত হয়ে এটি জ্বলতে থাকে।

রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ‘রোসাভিয়েতসিয়ার’ বলছে, বিধ্বস্ত বিমানটির যাত্রীর তালিকায় প্রিগোঝিনের নাম ও ডাকনাম ছিল। এমব্রেয়ার লিগ্যাসি-৬০০ বিজনেস জেট বিমানের আরোহীদের সবার মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

রুশ ভাড়াটে যোদ্ধার দল ভাগনার।

এর আগে ভাগনার গ্রুপ–সংশ্লিষ্ট টেলিগ্রাম চ্যানেল গ্রে জোন খবর দিয়েছে, মস্কোর উত্তরে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থার গুলিবর্ষণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে।

ভাগনার প্রধান প্রিগোঝিন পুতিনের শেফ ও বন্ধু হিসাবে পরিচিত ছিলেন। ক্রেমলিন শাসকের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের যোগসূত্র ছিল। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দেশটিতে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করছিলেন ভাগনার সেনারা। তবে রুশ সামরিক নেতৃত্বের প্রতি অসন্তোষ ছিলপ্রিগোঝিনের।

গত ২৩ জুন রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বকে উৎখাতের জন্য ইউক্রেন সীমান্ত থেকে মস্কোর দিকে অভিযান শুরু করেন তিনি। পথে কয়েকটি শহর নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেন ভাগনারের যোদ্ধারা। ভাগনারের নিয়ন্ত্রণে যায় গুরুত্বপূর্ণ একটি রুশ সেনাঘাঁটি। বিদ্রোহ করে বসেন প্রিগোশিন। সেই বিদ্রোহ ব্যর্থ হলেও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সময়ের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন।

পরে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় অভিযান বন্ধের ঘোষণা দিয়ে ভাগনার সেনারা রাশিয়া ছেড়ে বেলারুশে চলে যাবেন বলে সমঝোতা করেন প্রিগোঝিন।

বিদ্রোহের পর ভাগনার সেনারা বেলারুশে চলে যান। তবে ভাগনারপ্রধান প্রিগোঝিনের অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে যায়। তিনি বেলারুশে আছেন বলে খবর ছড়ায়। এমনকি তাঁর রাশিয়া সফর এবং পুতিনের সঙ্গে দেখা করার খবরও জানা যায়। কিন্তু তাকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি।

৬২ বছর বয়সী প্রিগোঝিন ঠিক দুই মাস আগে রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করে একটি অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সঙ্গীদের নিয়ে পরে তাঁর মস্কো যাত্রা ব্যর্থ হয়। এ অবস্থায় তাঁকে সতর্ক করা হয়েছিল যে—তাঁর জীবন হুমকির মধ্যে রয়েছে।

ভাগনারের সঙ্গে যুক্ত একটি সূত্র দাবি করেছে, প্রিগোঝিনকে বহন করা বিমানটিকে গুলি করে বিধ্বস্ত করা হয়েছে। তবে এটি এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষার্থীদের ‘কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে’ সপরিবারে পালিয়েছেন বিএসবির বাশার

এনসিপি নেতা সারওয়ার তুষারের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়নি: শহিদুল আলম

পাকিস্তানে হামলায় ‘লোইটারিং মিউনিশনস’ ব্যবহারের দাবি ভারতের, এটি কীভাবে কাজ করে

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ: পাকিস্তানে নিহত বেড়ে ২৬, আহত ৪৬

সীমান্তে সাদা পতাকা উড়িয়ে আত্মসমর্পণের ইঙ্গিত দিয়েছে ভারত: পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত