চীনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরেই পলাতক ছিলেন একটি ফিলিপিনো শহরের মেয়র অ্যালিস গুও। গত মে মাসের মাঝামাঝিতে রহস্যজনক পরিচয়ের জন্য তিনি ফিলিপাইনসহ বিশ্ব গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছিলেন। বুধবার বিবিসি জানিয়েছে, কয়েক সপ্তাহ পলাতক থাকার পর ইন্দোনেশিয়ায় গ্রেপ্তার হয়েছেন অ্যালিস।
ফিলিপাইন কর্তৃপক্ষ জানায়, অ্যালিসের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তদন্ত শুরু হওয়ার পর গত জুলাই মাসে তিনি উধাও হয়ে যান। তাঁর বিরুদ্ধে অনলাইন ক্যাসিনোসহ মানব পাচার সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছিল। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন অ্যালিস গুও। তাঁর গ্রেপ্তারের বিষয়ে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বলেছেন, যত দ্রুত সম্ভব তাঁকে ফিলিপাইনে ফেরত আনা হবে।
ফিলিপিনো কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে, তদন্ত চলার মধ্যে গত জুলাইয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়েছিলেন অ্যালিস। পরে বেশ কয়েকবার নৌকা বদল করে তিনি প্রতিবেশী মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর অতিক্রম করে ইন্দোনেশিয়া যান। মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার পশ্চিম সীমান্তে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত মে মাসে জানা গিয়েছিল, অ্যালিস গুওর বাবা একজন চীনা এবং মা ফিলিপিনো। রাজধানী ম্যানিলা থেকে উত্তরে অবস্থিত ফিলিপাইনের ছিমছাম শহর বামবানের একটি খামারে মায়ের সঙ্গে বেড়ে উঠেছেন তিনি। শুধু তা–ই নয়, অল্প বয়সেই তিনি ওই শহরের মেয়র নির্বাচিত হন। দিঘল কালো চুলের ৩৫ বছর বয়সী অ্যালিস স্থানীয় ট্যাগালগ ভাষায় কোনো বিদেশি প্রভাব ছাড়াই অনর্গল কথা বলেন। জনসমাগমে তিনি সাধারণত গোলাপি রঙের পোশাক পরতে ভালোবাসেন। কিন্তু অনলাইন ক্যাসিনোতে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ উঠলে তাঁর পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। তিনি কোথা থেকে এলেন, পারিবারিক পরিচয় কী—সেই বিষয়গুলো ছিল অজানা। ফিলিপিনো সমাজের জন্য এটি একটি অস্বাভাবিক ঘটনা।
নাগরিকত্ব নিয়ে সন্দেহের কারণেও তদন্তের মুখে পড়েন অ্যালিস। কেউ কেউ তাঁকে চীনা এজেন্ট হিসেবেও আখ্যায়িত করে। তাঁর পারিবারিক উপাধি ‘গুও’ ফিলিপিনোদের সাধারণ পারিবারিক নামগুলোর মধ্যে নেই। নিজের পরিচয় নিয়ে গত ৪ মে একটি সিনেট শুনানিতে অ্যালিস দাবি করেন, ১৭ বছর বয়স হওয়ার পর তাঁর জন্মনিবন্ধন করা হয়েছিল। কারণ, তিনি কোনো হাসপাতাল বা ক্লিনিকে জন্ম নেননি। ফলে জন্মের পরপরই জন্মনিবন্ধনও করা হয়নি।
আরও দাবি করেন, পারিবারিক আবহের মধ্যেই তিনি বাড়িতে পড়াশোনা করেছেন। তবে তিনি তাঁর হোম-স্কুল সংস্থার নাম, এমনকি শিক্ষকদের নামও বলতে পারেননি। তিনি বলেন, তাঁর বাবা ফিলিপিনো। কিন্তু ব্যবসায়িক নথিপত্রে তাঁর বাবা একজন চীনা নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত।
সে সময় অ্যালিসের প্রসঙ্গে বক্তব্য দেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র। গুওর বিরুদ্ধে তদন্তকে সমর্থন করে সাংবাদিকদের কাছে প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি টারলাকের (যে প্রদেশে শহরটি অবস্থিত) সব রাজনীতিবিদকে চিনি। কেউই অ্যালিসকে চেনে না। তাই আমরা ভাবছি—তিনি কোথা থেকে এসেছেন, তা জানতে সত্যিই তদন্ত প্রয়োজন।’
চীনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরেই পলাতক ছিলেন একটি ফিলিপিনো শহরের মেয়র অ্যালিস গুও। গত মে মাসের মাঝামাঝিতে রহস্যজনক পরিচয়ের জন্য তিনি ফিলিপাইনসহ বিশ্ব গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছিলেন। বুধবার বিবিসি জানিয়েছে, কয়েক সপ্তাহ পলাতক থাকার পর ইন্দোনেশিয়ায় গ্রেপ্তার হয়েছেন অ্যালিস।
ফিলিপাইন কর্তৃপক্ষ জানায়, অ্যালিসের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তদন্ত শুরু হওয়ার পর গত জুলাই মাসে তিনি উধাও হয়ে যান। তাঁর বিরুদ্ধে অনলাইন ক্যাসিনোসহ মানব পাচার সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছিল। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন অ্যালিস গুও। তাঁর গ্রেপ্তারের বিষয়ে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বলেছেন, যত দ্রুত সম্ভব তাঁকে ফিলিপাইনে ফেরত আনা হবে।
ফিলিপিনো কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে, তদন্ত চলার মধ্যে গত জুলাইয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়েছিলেন অ্যালিস। পরে বেশ কয়েকবার নৌকা বদল করে তিনি প্রতিবেশী মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর অতিক্রম করে ইন্দোনেশিয়া যান। মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার পশ্চিম সীমান্তে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত মে মাসে জানা গিয়েছিল, অ্যালিস গুওর বাবা একজন চীনা এবং মা ফিলিপিনো। রাজধানী ম্যানিলা থেকে উত্তরে অবস্থিত ফিলিপাইনের ছিমছাম শহর বামবানের একটি খামারে মায়ের সঙ্গে বেড়ে উঠেছেন তিনি। শুধু তা–ই নয়, অল্প বয়সেই তিনি ওই শহরের মেয়র নির্বাচিত হন। দিঘল কালো চুলের ৩৫ বছর বয়সী অ্যালিস স্থানীয় ট্যাগালগ ভাষায় কোনো বিদেশি প্রভাব ছাড়াই অনর্গল কথা বলেন। জনসমাগমে তিনি সাধারণত গোলাপি রঙের পোশাক পরতে ভালোবাসেন। কিন্তু অনলাইন ক্যাসিনোতে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ উঠলে তাঁর পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। তিনি কোথা থেকে এলেন, পারিবারিক পরিচয় কী—সেই বিষয়গুলো ছিল অজানা। ফিলিপিনো সমাজের জন্য এটি একটি অস্বাভাবিক ঘটনা।
নাগরিকত্ব নিয়ে সন্দেহের কারণেও তদন্তের মুখে পড়েন অ্যালিস। কেউ কেউ তাঁকে চীনা এজেন্ট হিসেবেও আখ্যায়িত করে। তাঁর পারিবারিক উপাধি ‘গুও’ ফিলিপিনোদের সাধারণ পারিবারিক নামগুলোর মধ্যে নেই। নিজের পরিচয় নিয়ে গত ৪ মে একটি সিনেট শুনানিতে অ্যালিস দাবি করেন, ১৭ বছর বয়স হওয়ার পর তাঁর জন্মনিবন্ধন করা হয়েছিল। কারণ, তিনি কোনো হাসপাতাল বা ক্লিনিকে জন্ম নেননি। ফলে জন্মের পরপরই জন্মনিবন্ধনও করা হয়নি।
আরও দাবি করেন, পারিবারিক আবহের মধ্যেই তিনি বাড়িতে পড়াশোনা করেছেন। তবে তিনি তাঁর হোম-স্কুল সংস্থার নাম, এমনকি শিক্ষকদের নামও বলতে পারেননি। তিনি বলেন, তাঁর বাবা ফিলিপিনো। কিন্তু ব্যবসায়িক নথিপত্রে তাঁর বাবা একজন চীনা নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত।
সে সময় অ্যালিসের প্রসঙ্গে বক্তব্য দেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র। গুওর বিরুদ্ধে তদন্তকে সমর্থন করে সাংবাদিকদের কাছে প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি টারলাকের (যে প্রদেশে শহরটি অবস্থিত) সব রাজনীতিবিদকে চিনি। কেউই অ্যালিসকে চেনে না। তাই আমরা ভাবছি—তিনি কোথা থেকে এসেছেন, তা জানতে সত্যিই তদন্ত প্রয়োজন।’
ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের এমপি ও দলটির সাবেক প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধীকে আটক করেছে দিল্লি পুলিশ। নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেছিন্নমূল মানুষদের ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ছাড়তে বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শহরের অপরাধ দমন করার অঙ্গীকার পূরণে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। গতকাল রোববার এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমরা আপনাদের থাকার জায়গা দেব, তবে রাজধানী থেকে অনেক দূরে।’
২ ঘণ্টা আগেআফগানিস্তানে জাতিসংঘের নারী কর্মীদের হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। রোববার আফগানিস্তানের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সর্বশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। ওই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ভয়াবহ এই তথ্য। কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর মে মাসে...
২ ঘণ্টা আগেভারতে রাখি বন্ধন উদ্যাপনের পর বোনকে হত্যা করেছে অরবিন্দ নামের এক যুবক। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বোনের প্রেমের সম্পর্ক মানতে না পেরে তাকে হত্যা করেছে ২৫ বছর বয়সী ওই যুবক। উত্তর প্রদেশের ঝাঁসি জেলার গারউথা এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।
৩ ঘণ্টা আগে