Ajker Patrika

ফিলিপাইন থেকে পালিয়ে ইন্দোনেশিয়ায় গিয়ে গ্রেপ্তার আলোচিত সেই মেয়র

আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০: ৫০
ফিলিপাইন থেকে পালিয়ে ইন্দোনেশিয়ায় গিয়ে গ্রেপ্তার আলোচিত সেই মেয়র

চীনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরেই পলাতক ছিলেন একটি ফিলিপিনো শহরের মেয়র অ্যালিস গুও। গত মে মাসের মাঝামাঝিতে রহস্যজনক পরিচয়ের জন্য তিনি ফিলিপাইনসহ বিশ্ব গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছিলেন। বুধবার বিবিসি জানিয়েছে, কয়েক সপ্তাহ পলাতক থাকার পর ইন্দোনেশিয়ায় গ্রেপ্তার হয়েছেন অ্যালিস।

ফিলিপাইন কর্তৃপক্ষ জানায়, অ্যালিসের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তদন্ত শুরু হওয়ার পর গত জুলাই মাসে তিনি উধাও হয়ে যান। তাঁর বিরুদ্ধে অনলাইন ক্যাসিনোসহ মানব পাচার সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছিল। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন অ্যালিস গুও। তাঁর গ্রেপ্তারের বিষয়ে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বলেছেন, যত দ্রুত সম্ভব তাঁকে ফিলিপাইনে ফেরত আনা হবে।

ফিলিপিনো কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে, তদন্ত চলার মধ্যে গত জুলাইয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়েছিলেন অ্যালিস। পরে বেশ কয়েকবার নৌকা বদল করে তিনি প্রতিবেশী মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর অতিক্রম করে ইন্দোনেশিয়া যান। মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার পশ্চিম সীমান্তে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত মে মাসে জানা গিয়েছিল, অ্যালিস গুওর বাবা একজন চীনা এবং মা ফিলিপিনো। রাজধানী ম্যানিলা থেকে উত্তরে অবস্থিত ফিলিপাইনের ছিমছাম শহর বামবানের একটি খামারে মায়ের সঙ্গে বেড়ে উঠেছেন তিনি। শুধু তা–ই নয়, অল্প বয়সেই তিনি ওই শহরের মেয়র নির্বাচিত হন। দিঘল কালো চুলের ৩৫ বছর বয়সী অ্যালিস স্থানীয় ট্যাগালগ ভাষায় কোনো বিদেশি প্রভাব ছাড়াই অনর্গল কথা বলেন। জনসমাগমে তিনি সাধারণত গোলাপি রঙের পোশাক পরতে ভালোবাসেন। কিন্তু অনলাইন ক্যাসিনোতে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ উঠলে তাঁর পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। তিনি কোথা থেকে এলেন, পারিবারিক পরিচয় কী—সেই বিষয়গুলো ছিল অজানা। ফিলিপিনো সমাজের জন্য এটি একটি অস্বাভাবিক ঘটনা।

নাগরিকত্ব নিয়ে সন্দেহের কারণেও তদন্তের মুখে পড়েন অ্যালিস। কেউ কেউ তাঁকে চীনা এজেন্ট হিসেবেও আখ্যায়িত করে। তাঁর পারিবারিক উপাধি ‘গুও’ ফিলিপিনোদের সাধারণ পারিবারিক নামগুলোর মধ্যে নেই। নিজের পরিচয় নিয়ে গত ৪ মে একটি সিনেট শুনানিতে অ্যালিস দাবি করেন, ১৭ বছর বয়স হওয়ার পর তাঁর জন্মনিবন্ধন করা হয়েছিল। কারণ, তিনি কোনো হাসপাতাল বা ক্লিনিকে জন্ম নেননি। ফলে জন্মের পরপরই জন্মনিবন্ধনও করা হয়নি।

আরও দাবি করেন, পারিবারিক আবহের মধ্যেই তিনি বাড়িতে পড়াশোনা করেছেন। তবে তিনি তাঁর হোম-স্কুল সংস্থার নাম, এমনকি শিক্ষকদের নামও বলতে পারেননি। তিনি বলেন, তাঁর বাবা ফিলিপিনো। কিন্তু ব্যবসায়িক নথিপত্রে তাঁর বাবা একজন চীনা নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত।

সে সময় অ্যালিসের প্রসঙ্গে বক্তব্য দেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র। গুওর বিরুদ্ধে তদন্তকে সমর্থন করে সাংবাদিকদের কাছে প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি টারলাকের (যে প্রদেশে শহরটি অবস্থিত) সব রাজনীতিবিদকে চিনি। কেউই অ্যালিসকে চেনে না। তাই আমরা ভাবছি—তিনি কোথা থেকে এসেছেন, তা জানতে সত্যিই তদন্ত প্রয়োজন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত