হামিদ মীর, ইসলামাবাদ

আফগানিস্তানে মার্কিন সমর্থিত সরকারের পতনের জন্য কারা দায়ী তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। এ ক্ষেত্রে মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ করে আসছে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই বাগ্যুদ্ধের মধ্যেও উভয় দেশেই তালেবানদের ক্ষমতা দখলের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিণতি উপেক্ষা করছে, আর তা হলো আফগানিস্তানে মাদক ব্যবসার বিস্তৃতি; যা গোটা বিশ্বের জন্য এক অশনিসংকেত। আগামী বছরগুলোতে আফগানিস্তান থেকে আসা ‘মাদকের স্রোত’ সন্ত্রাসবাদের চেয়ে বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে বলেও শঙ্কা রয়েছে।
আফগানিস্তানে তালেবানের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ২০ বছরের যুদ্ধ শেষেও দেশটির মাদকনির্ভর অর্থনীতি ধ্বংস করতে ব্যর্থ হয়েছে মার্কিনরা, যা ছিল বিদ্রোহীদের অর্থায়নের সবচেয়ে বড় উৎস। এ ছাড়া সুপরিচিত অনেক আফগান মাদকসম্রাটের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকা নিয়ে কখনোই কোনো রাখঢাক ছিল না তালেবান নেতাদের। আর সবচেয়ে ভয়াবহ বাস্তবতা হলো, ২০০১ সালেও যেখানে আফগানিস্তানের ৮ হাজার হেক্টর জমিতে আফিমের চাষ হতো, ২০২০ সাল পর্যন্ত তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ২৪ হাজার হেক্টরে।
মাদক ব্যবসা থেকে শুধু তালেবান যোদ্ধারাই লাভবান হয়নি, আহমদ ওয়ালি কারজাই এবং জেনারেল আবদুল রশিদ দস্তুমও একই বাণিজ্যে জড়িত ছিলেন, যারা মার্কিন মিত্র হিসেবে পরিচিত। ২০১৮ সালে জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ দপ্তর উত্তর আফগানিস্তানকে ‘হেরোইন হাব’ হিসেবে ঘোষণা করে, যা ২০০১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের যুদ্ধবাজ মিত্রদের দখলে ছিল। তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের কয়েক মাস আগে জাতিসংঘের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন যে এই গ্রুপ মাদক ব্যবসা থেকে বার্ষিক ৪০ কোটি ডলারের বেশি আয় করছে। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আফিম উৎপাদনকারী দেশ আফগানিস্তান। বিশ্বের ৮০ শতাংশেরও বেশি আফিম উৎপাদন করে দেশটি।
তালেবানরা কীভাবে এই অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে? মূলত আফিম চাষের ওপর কর বসিয়ে এবং পরে তা প্রক্রিয়াজাতকরণ ও পাচারের সুরক্ষা প্রদানের মাধ্যমে মুনাফা অর্জন করে কট্টর মৌলবাদী এই গোষ্ঠী। যেসব ল্যাবে আফিমকে হেরোইনে রূপান্তরিত করা হয়, সেখান থেকেও কর আদায় করা হয়। আশ্চর্যজনক হলো, আফগানিস্তানে উৎপাদিত আফিম থেকে তৈরি হেরোইন ইউরোপের বাজারের ৯৫ শতাংশ চাহিদা পূরণ করে।
সম্প্রতি আমি একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে সুইজারল্যান্ডে গিয়েছিলাম, যেখানে আমার আলোচনার বিষয় ছিল সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ থেকে শিক্ষা নেওয়া। ওই অনুষ্ঠানে প্রশ্নোত্তর পর্বের সময় আমি বেশির ভাগ ইতালীয় এবং জার্মান ভাষাভাষী শ্রোতার মধ্যে একটি নির্দিষ্ট উদ্বেগ লক্ষ করেছি। এ ছাড়া আফগানিস্তান থেকে আসা মাদক নিয়ে স্থানীয় অনেক রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিক উদ্বিগ্ন ছিলেন।
পাকিস্তানে ফেরার পর আমি এসব বিষয় নিয়ে বেশ কয়েকজন আফগান এবং পাকিস্তান সরকারের কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলি। তাঁদের পাশাপাশি জাতিসংঘের অনেক কর্মকর্তাও নিশ্চিত করেছেন, মাদক ব্যবসার কারণে আফগানিস্তান ধীরে ধীরে এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকায় জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে উঠছে। বিশ্বের বিভিন্ন অংশে আফগান মাদক চোরাচালানের সবচেয়ে জনপ্রিয় রুট হচ্ছে পাকিস্তান, ইরান, মধ্য এশিয়া ও তুরস্ক।
আফগানিস্তানে তৈরি হেরোইন ইতালি, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মাদক কারবারিদের কাছেও পাচার করা হচ্ছে। আফগানিস্তানে মাদক তৈরির ল্যাবগুলোতে কেবল হেরোইনই উৎপাদন করা হচ্ছে না, বরং এফিড্রা উদ্ভিদ থেকে মেথামফেটামিন (মেথ বা আইস নামে পরিচিত) তৈরিও শুরু হয়েছে; যা আফগানিস্তান ছাড়াও আশপাশের দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে।
মাদক ব্যবসা বন্ধের পরিকল্পনার বিষয়ে সম্প্রতি আমি কয়েকজন তালেবান নেতার সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করলেও এ নিয়ে কোনো ধরনের মন্তব্যই করেননি তাঁরা। তবে নিচের সারির কিছু তালেবান কর্মকর্তা গত সপ্তাহে কাবুলে মদের দোকানগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া এবং হেলমন্দ প্রদেশে সাত শতাধিক মাদকসেবী গ্রেপ্তারের কিছু তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে গত আগস্টে তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে শুধু পাকিস্তান নয়, ভারতেও বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে পুলিশ। গত মাসে ভারতের একটি বন্দরে প্রায় তিন টন হেরোইন জব্দ করা হয়, যা পাঠানো হয়েছিল ইরান থেকে এবং উৎপাদক হয়েছে আফগানিস্তানে।
তালেবান নেতাদের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি এবং প্রশংসা অর্জনের অন্যতম মাধ্যম হতে পারে আফিম চাষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ। কিন্তু তাঁরা যদি সেটি না করে, আমার ধারণা আফগান মাদক ব্যবসা ভবিষ্যতে বৈশ্বিক দুর্যোগ হয়ে উঠতে পারে। আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই একবার বলেছিলেন, আফগানিস্তান আফিম ধ্বংস না করলে আফিমই আফগানিস্তানকে ধ্বংস করে দেবে। বর্তমানে তিনি তালেবানের সুরক্ষায় কাবুলে বসবাস করছেন। পরামর্শ থাকবে, তালেবান হামিদ কারজাইয়ের সতর্কবাণী মেনে চলবে।
হামিদ মীর: পাকিস্তানি সাংবাদিক এবং লেখক। লেখাটি মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত হয়েছে। লেখকের অনুমতি নিয়ে ছাপা হলো।

আফগানিস্তানে মার্কিন সমর্থিত সরকারের পতনের জন্য কারা দায়ী তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। এ ক্ষেত্রে মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ করে আসছে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই বাগ্যুদ্ধের মধ্যেও উভয় দেশেই তালেবানদের ক্ষমতা দখলের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিণতি উপেক্ষা করছে, আর তা হলো আফগানিস্তানে মাদক ব্যবসার বিস্তৃতি; যা গোটা বিশ্বের জন্য এক অশনিসংকেত। আগামী বছরগুলোতে আফগানিস্তান থেকে আসা ‘মাদকের স্রোত’ সন্ত্রাসবাদের চেয়ে বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে বলেও শঙ্কা রয়েছে।
আফগানিস্তানে তালেবানের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ২০ বছরের যুদ্ধ শেষেও দেশটির মাদকনির্ভর অর্থনীতি ধ্বংস করতে ব্যর্থ হয়েছে মার্কিনরা, যা ছিল বিদ্রোহীদের অর্থায়নের সবচেয়ে বড় উৎস। এ ছাড়া সুপরিচিত অনেক আফগান মাদকসম্রাটের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকা নিয়ে কখনোই কোনো রাখঢাক ছিল না তালেবান নেতাদের। আর সবচেয়ে ভয়াবহ বাস্তবতা হলো, ২০০১ সালেও যেখানে আফগানিস্তানের ৮ হাজার হেক্টর জমিতে আফিমের চাষ হতো, ২০২০ সাল পর্যন্ত তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ২৪ হাজার হেক্টরে।
মাদক ব্যবসা থেকে শুধু তালেবান যোদ্ধারাই লাভবান হয়নি, আহমদ ওয়ালি কারজাই এবং জেনারেল আবদুল রশিদ দস্তুমও একই বাণিজ্যে জড়িত ছিলেন, যারা মার্কিন মিত্র হিসেবে পরিচিত। ২০১৮ সালে জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ দপ্তর উত্তর আফগানিস্তানকে ‘হেরোইন হাব’ হিসেবে ঘোষণা করে, যা ২০০১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের যুদ্ধবাজ মিত্রদের দখলে ছিল। তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের কয়েক মাস আগে জাতিসংঘের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন যে এই গ্রুপ মাদক ব্যবসা থেকে বার্ষিক ৪০ কোটি ডলারের বেশি আয় করছে। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আফিম উৎপাদনকারী দেশ আফগানিস্তান। বিশ্বের ৮০ শতাংশেরও বেশি আফিম উৎপাদন করে দেশটি।
তালেবানরা কীভাবে এই অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে? মূলত আফিম চাষের ওপর কর বসিয়ে এবং পরে তা প্রক্রিয়াজাতকরণ ও পাচারের সুরক্ষা প্রদানের মাধ্যমে মুনাফা অর্জন করে কট্টর মৌলবাদী এই গোষ্ঠী। যেসব ল্যাবে আফিমকে হেরোইনে রূপান্তরিত করা হয়, সেখান থেকেও কর আদায় করা হয়। আশ্চর্যজনক হলো, আফগানিস্তানে উৎপাদিত আফিম থেকে তৈরি হেরোইন ইউরোপের বাজারের ৯৫ শতাংশ চাহিদা পূরণ করে।
সম্প্রতি আমি একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে সুইজারল্যান্ডে গিয়েছিলাম, যেখানে আমার আলোচনার বিষয় ছিল সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ থেকে শিক্ষা নেওয়া। ওই অনুষ্ঠানে প্রশ্নোত্তর পর্বের সময় আমি বেশির ভাগ ইতালীয় এবং জার্মান ভাষাভাষী শ্রোতার মধ্যে একটি নির্দিষ্ট উদ্বেগ লক্ষ করেছি। এ ছাড়া আফগানিস্তান থেকে আসা মাদক নিয়ে স্থানীয় অনেক রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিক উদ্বিগ্ন ছিলেন।
পাকিস্তানে ফেরার পর আমি এসব বিষয় নিয়ে বেশ কয়েকজন আফগান এবং পাকিস্তান সরকারের কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলি। তাঁদের পাশাপাশি জাতিসংঘের অনেক কর্মকর্তাও নিশ্চিত করেছেন, মাদক ব্যবসার কারণে আফগানিস্তান ধীরে ধীরে এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকায় জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে উঠছে। বিশ্বের বিভিন্ন অংশে আফগান মাদক চোরাচালানের সবচেয়ে জনপ্রিয় রুট হচ্ছে পাকিস্তান, ইরান, মধ্য এশিয়া ও তুরস্ক।
আফগানিস্তানে তৈরি হেরোইন ইতালি, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মাদক কারবারিদের কাছেও পাচার করা হচ্ছে। আফগানিস্তানে মাদক তৈরির ল্যাবগুলোতে কেবল হেরোইনই উৎপাদন করা হচ্ছে না, বরং এফিড্রা উদ্ভিদ থেকে মেথামফেটামিন (মেথ বা আইস নামে পরিচিত) তৈরিও শুরু হয়েছে; যা আফগানিস্তান ছাড়াও আশপাশের দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে।
মাদক ব্যবসা বন্ধের পরিকল্পনার বিষয়ে সম্প্রতি আমি কয়েকজন তালেবান নেতার সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করলেও এ নিয়ে কোনো ধরনের মন্তব্যই করেননি তাঁরা। তবে নিচের সারির কিছু তালেবান কর্মকর্তা গত সপ্তাহে কাবুলে মদের দোকানগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া এবং হেলমন্দ প্রদেশে সাত শতাধিক মাদকসেবী গ্রেপ্তারের কিছু তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে গত আগস্টে তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে শুধু পাকিস্তান নয়, ভারতেও বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে পুলিশ। গত মাসে ভারতের একটি বন্দরে প্রায় তিন টন হেরোইন জব্দ করা হয়, যা পাঠানো হয়েছিল ইরান থেকে এবং উৎপাদক হয়েছে আফগানিস্তানে।
তালেবান নেতাদের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি এবং প্রশংসা অর্জনের অন্যতম মাধ্যম হতে পারে আফিম চাষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ। কিন্তু তাঁরা যদি সেটি না করে, আমার ধারণা আফগান মাদক ব্যবসা ভবিষ্যতে বৈশ্বিক দুর্যোগ হয়ে উঠতে পারে। আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই একবার বলেছিলেন, আফগানিস্তান আফিম ধ্বংস না করলে আফিমই আফগানিস্তানকে ধ্বংস করে দেবে। বর্তমানে তিনি তালেবানের সুরক্ষায় কাবুলে বসবাস করছেন। পরামর্শ থাকবে, তালেবান হামিদ কারজাইয়ের সতর্কবাণী মেনে চলবে।
হামিদ মীর: পাকিস্তানি সাংবাদিক এবং লেখক। লেখাটি মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত হয়েছে। লেখকের অনুমতি নিয়ে ছাপা হলো।
হামিদ মীর, ইসলামাবাদ

আফগানিস্তানে মার্কিন সমর্থিত সরকারের পতনের জন্য কারা দায়ী তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। এ ক্ষেত্রে মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ করে আসছে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই বাগ্যুদ্ধের মধ্যেও উভয় দেশেই তালেবানদের ক্ষমতা দখলের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিণতি উপেক্ষা করছে, আর তা হলো আফগানিস্তানে মাদক ব্যবসার বিস্তৃতি; যা গোটা বিশ্বের জন্য এক অশনিসংকেত। আগামী বছরগুলোতে আফগানিস্তান থেকে আসা ‘মাদকের স্রোত’ সন্ত্রাসবাদের চেয়ে বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে বলেও শঙ্কা রয়েছে।
আফগানিস্তানে তালেবানের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ২০ বছরের যুদ্ধ শেষেও দেশটির মাদকনির্ভর অর্থনীতি ধ্বংস করতে ব্যর্থ হয়েছে মার্কিনরা, যা ছিল বিদ্রোহীদের অর্থায়নের সবচেয়ে বড় উৎস। এ ছাড়া সুপরিচিত অনেক আফগান মাদকসম্রাটের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকা নিয়ে কখনোই কোনো রাখঢাক ছিল না তালেবান নেতাদের। আর সবচেয়ে ভয়াবহ বাস্তবতা হলো, ২০০১ সালেও যেখানে আফগানিস্তানের ৮ হাজার হেক্টর জমিতে আফিমের চাষ হতো, ২০২০ সাল পর্যন্ত তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ২৪ হাজার হেক্টরে।
মাদক ব্যবসা থেকে শুধু তালেবান যোদ্ধারাই লাভবান হয়নি, আহমদ ওয়ালি কারজাই এবং জেনারেল আবদুল রশিদ দস্তুমও একই বাণিজ্যে জড়িত ছিলেন, যারা মার্কিন মিত্র হিসেবে পরিচিত। ২০১৮ সালে জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ দপ্তর উত্তর আফগানিস্তানকে ‘হেরোইন হাব’ হিসেবে ঘোষণা করে, যা ২০০১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের যুদ্ধবাজ মিত্রদের দখলে ছিল। তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের কয়েক মাস আগে জাতিসংঘের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন যে এই গ্রুপ মাদক ব্যবসা থেকে বার্ষিক ৪০ কোটি ডলারের বেশি আয় করছে। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আফিম উৎপাদনকারী দেশ আফগানিস্তান। বিশ্বের ৮০ শতাংশেরও বেশি আফিম উৎপাদন করে দেশটি।
তালেবানরা কীভাবে এই অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে? মূলত আফিম চাষের ওপর কর বসিয়ে এবং পরে তা প্রক্রিয়াজাতকরণ ও পাচারের সুরক্ষা প্রদানের মাধ্যমে মুনাফা অর্জন করে কট্টর মৌলবাদী এই গোষ্ঠী। যেসব ল্যাবে আফিমকে হেরোইনে রূপান্তরিত করা হয়, সেখান থেকেও কর আদায় করা হয়। আশ্চর্যজনক হলো, আফগানিস্তানে উৎপাদিত আফিম থেকে তৈরি হেরোইন ইউরোপের বাজারের ৯৫ শতাংশ চাহিদা পূরণ করে।
সম্প্রতি আমি একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে সুইজারল্যান্ডে গিয়েছিলাম, যেখানে আমার আলোচনার বিষয় ছিল সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ থেকে শিক্ষা নেওয়া। ওই অনুষ্ঠানে প্রশ্নোত্তর পর্বের সময় আমি বেশির ভাগ ইতালীয় এবং জার্মান ভাষাভাষী শ্রোতার মধ্যে একটি নির্দিষ্ট উদ্বেগ লক্ষ করেছি। এ ছাড়া আফগানিস্তান থেকে আসা মাদক নিয়ে স্থানীয় অনেক রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিক উদ্বিগ্ন ছিলেন।
পাকিস্তানে ফেরার পর আমি এসব বিষয় নিয়ে বেশ কয়েকজন আফগান এবং পাকিস্তান সরকারের কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলি। তাঁদের পাশাপাশি জাতিসংঘের অনেক কর্মকর্তাও নিশ্চিত করেছেন, মাদক ব্যবসার কারণে আফগানিস্তান ধীরে ধীরে এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকায় জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে উঠছে। বিশ্বের বিভিন্ন অংশে আফগান মাদক চোরাচালানের সবচেয়ে জনপ্রিয় রুট হচ্ছে পাকিস্তান, ইরান, মধ্য এশিয়া ও তুরস্ক।
আফগানিস্তানে তৈরি হেরোইন ইতালি, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মাদক কারবারিদের কাছেও পাচার করা হচ্ছে। আফগানিস্তানে মাদক তৈরির ল্যাবগুলোতে কেবল হেরোইনই উৎপাদন করা হচ্ছে না, বরং এফিড্রা উদ্ভিদ থেকে মেথামফেটামিন (মেথ বা আইস নামে পরিচিত) তৈরিও শুরু হয়েছে; যা আফগানিস্তান ছাড়াও আশপাশের দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে।
মাদক ব্যবসা বন্ধের পরিকল্পনার বিষয়ে সম্প্রতি আমি কয়েকজন তালেবান নেতার সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করলেও এ নিয়ে কোনো ধরনের মন্তব্যই করেননি তাঁরা। তবে নিচের সারির কিছু তালেবান কর্মকর্তা গত সপ্তাহে কাবুলে মদের দোকানগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া এবং হেলমন্দ প্রদেশে সাত শতাধিক মাদকসেবী গ্রেপ্তারের কিছু তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে গত আগস্টে তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে শুধু পাকিস্তান নয়, ভারতেও বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে পুলিশ। গত মাসে ভারতের একটি বন্দরে প্রায় তিন টন হেরোইন জব্দ করা হয়, যা পাঠানো হয়েছিল ইরান থেকে এবং উৎপাদক হয়েছে আফগানিস্তানে।
তালেবান নেতাদের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি এবং প্রশংসা অর্জনের অন্যতম মাধ্যম হতে পারে আফিম চাষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ। কিন্তু তাঁরা যদি সেটি না করে, আমার ধারণা আফগান মাদক ব্যবসা ভবিষ্যতে বৈশ্বিক দুর্যোগ হয়ে উঠতে পারে। আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই একবার বলেছিলেন, আফগানিস্তান আফিম ধ্বংস না করলে আফিমই আফগানিস্তানকে ধ্বংস করে দেবে। বর্তমানে তিনি তালেবানের সুরক্ষায় কাবুলে বসবাস করছেন। পরামর্শ থাকবে, তালেবান হামিদ কারজাইয়ের সতর্কবাণী মেনে চলবে।
হামিদ মীর: পাকিস্তানি সাংবাদিক এবং লেখক। লেখাটি মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত হয়েছে। লেখকের অনুমতি নিয়ে ছাপা হলো।

আফগানিস্তানে মার্কিন সমর্থিত সরকারের পতনের জন্য কারা দায়ী তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। এ ক্ষেত্রে মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ করে আসছে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই বাগ্যুদ্ধের মধ্যেও উভয় দেশেই তালেবানদের ক্ষমতা দখলের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিণতি উপেক্ষা করছে, আর তা হলো আফগানিস্তানে মাদক ব্যবসার বিস্তৃতি; যা গোটা বিশ্বের জন্য এক অশনিসংকেত। আগামী বছরগুলোতে আফগানিস্তান থেকে আসা ‘মাদকের স্রোত’ সন্ত্রাসবাদের চেয়ে বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে বলেও শঙ্কা রয়েছে।
আফগানিস্তানে তালেবানের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ২০ বছরের যুদ্ধ শেষেও দেশটির মাদকনির্ভর অর্থনীতি ধ্বংস করতে ব্যর্থ হয়েছে মার্কিনরা, যা ছিল বিদ্রোহীদের অর্থায়নের সবচেয়ে বড় উৎস। এ ছাড়া সুপরিচিত অনেক আফগান মাদকসম্রাটের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকা নিয়ে কখনোই কোনো রাখঢাক ছিল না তালেবান নেতাদের। আর সবচেয়ে ভয়াবহ বাস্তবতা হলো, ২০০১ সালেও যেখানে আফগানিস্তানের ৮ হাজার হেক্টর জমিতে আফিমের চাষ হতো, ২০২০ সাল পর্যন্ত তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ২৪ হাজার হেক্টরে।
মাদক ব্যবসা থেকে শুধু তালেবান যোদ্ধারাই লাভবান হয়নি, আহমদ ওয়ালি কারজাই এবং জেনারেল আবদুল রশিদ দস্তুমও একই বাণিজ্যে জড়িত ছিলেন, যারা মার্কিন মিত্র হিসেবে পরিচিত। ২০১৮ সালে জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ দপ্তর উত্তর আফগানিস্তানকে ‘হেরোইন হাব’ হিসেবে ঘোষণা করে, যা ২০০১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের যুদ্ধবাজ মিত্রদের দখলে ছিল। তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের কয়েক মাস আগে জাতিসংঘের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন যে এই গ্রুপ মাদক ব্যবসা থেকে বার্ষিক ৪০ কোটি ডলারের বেশি আয় করছে। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আফিম উৎপাদনকারী দেশ আফগানিস্তান। বিশ্বের ৮০ শতাংশেরও বেশি আফিম উৎপাদন করে দেশটি।
তালেবানরা কীভাবে এই অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে? মূলত আফিম চাষের ওপর কর বসিয়ে এবং পরে তা প্রক্রিয়াজাতকরণ ও পাচারের সুরক্ষা প্রদানের মাধ্যমে মুনাফা অর্জন করে কট্টর মৌলবাদী এই গোষ্ঠী। যেসব ল্যাবে আফিমকে হেরোইনে রূপান্তরিত করা হয়, সেখান থেকেও কর আদায় করা হয়। আশ্চর্যজনক হলো, আফগানিস্তানে উৎপাদিত আফিম থেকে তৈরি হেরোইন ইউরোপের বাজারের ৯৫ শতাংশ চাহিদা পূরণ করে।
সম্প্রতি আমি একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে সুইজারল্যান্ডে গিয়েছিলাম, যেখানে আমার আলোচনার বিষয় ছিল সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ থেকে শিক্ষা নেওয়া। ওই অনুষ্ঠানে প্রশ্নোত্তর পর্বের সময় আমি বেশির ভাগ ইতালীয় এবং জার্মান ভাষাভাষী শ্রোতার মধ্যে একটি নির্দিষ্ট উদ্বেগ লক্ষ করেছি। এ ছাড়া আফগানিস্তান থেকে আসা মাদক নিয়ে স্থানীয় অনেক রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিক উদ্বিগ্ন ছিলেন।
পাকিস্তানে ফেরার পর আমি এসব বিষয় নিয়ে বেশ কয়েকজন আফগান এবং পাকিস্তান সরকারের কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলি। তাঁদের পাশাপাশি জাতিসংঘের অনেক কর্মকর্তাও নিশ্চিত করেছেন, মাদক ব্যবসার কারণে আফগানিস্তান ধীরে ধীরে এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকায় জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে উঠছে। বিশ্বের বিভিন্ন অংশে আফগান মাদক চোরাচালানের সবচেয়ে জনপ্রিয় রুট হচ্ছে পাকিস্তান, ইরান, মধ্য এশিয়া ও তুরস্ক।
আফগানিস্তানে তৈরি হেরোইন ইতালি, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মাদক কারবারিদের কাছেও পাচার করা হচ্ছে। আফগানিস্তানে মাদক তৈরির ল্যাবগুলোতে কেবল হেরোইনই উৎপাদন করা হচ্ছে না, বরং এফিড্রা উদ্ভিদ থেকে মেথামফেটামিন (মেথ বা আইস নামে পরিচিত) তৈরিও শুরু হয়েছে; যা আফগানিস্তান ছাড়াও আশপাশের দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে।
মাদক ব্যবসা বন্ধের পরিকল্পনার বিষয়ে সম্প্রতি আমি কয়েকজন তালেবান নেতার সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করলেও এ নিয়ে কোনো ধরনের মন্তব্যই করেননি তাঁরা। তবে নিচের সারির কিছু তালেবান কর্মকর্তা গত সপ্তাহে কাবুলে মদের দোকানগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া এবং হেলমন্দ প্রদেশে সাত শতাধিক মাদকসেবী গ্রেপ্তারের কিছু তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে গত আগস্টে তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে শুধু পাকিস্তান নয়, ভারতেও বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে পুলিশ। গত মাসে ভারতের একটি বন্দরে প্রায় তিন টন হেরোইন জব্দ করা হয়, যা পাঠানো হয়েছিল ইরান থেকে এবং উৎপাদক হয়েছে আফগানিস্তানে।
তালেবান নেতাদের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি এবং প্রশংসা অর্জনের অন্যতম মাধ্যম হতে পারে আফিম চাষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ। কিন্তু তাঁরা যদি সেটি না করে, আমার ধারণা আফগান মাদক ব্যবসা ভবিষ্যতে বৈশ্বিক দুর্যোগ হয়ে উঠতে পারে। আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই একবার বলেছিলেন, আফগানিস্তান আফিম ধ্বংস না করলে আফিমই আফগানিস্তানকে ধ্বংস করে দেবে। বর্তমানে তিনি তালেবানের সুরক্ষায় কাবুলে বসবাস করছেন। পরামর্শ থাকবে, তালেবান হামিদ কারজাইয়ের সতর্কবাণী মেনে চলবে।
হামিদ মীর: পাকিস্তানি সাংবাদিক এবং লেখক। লেখাটি মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত হয়েছে। লেখকের অনুমতি নিয়ে ছাপা হলো।

দেশের সবচেয়ে বড় বন্দুক হামলার একদিন পর সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) কড়া বন্দুক আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। শনিবার সিডনির বিখ্যাত বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের একটি হানুক্কাহ অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন।
৩৫ মিনিট আগে
হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের শীর্ষ মুখ ও প্রভাবশালী মিডিয়া উদ্যোক্তা জিমি লাইকে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএল) আওতায় বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছেন দেশটির আদালত। ৭৮ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ নাগরিক ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে কারাবন্দী রয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার প্রায় আট মাস পর চার্জশিট দিয়েছে ভারতের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। চার্জশিটে পাঁচ সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবাসহ (এলইটি) দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) নামের দুই সশস্ত্র সংগঠনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে
২ ঘণ্টা আগে
প্রায় ৬০ বছর আগের ঘটনা, তখন স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। চীনকে টেক্কা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা মিলে নামে এক গোপন অভিযানে। কিন্তু অভিযানে নেমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে হারিয়ে যায় নজরদারির কাজে ব্যবহৃত পারমাণবিক শক্তিচালিত একটি যন্ত্র, যেটি আজও হিমালয় পর্বতের বরফের নিচে
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশের সবচেয়ে বড় বন্দুক হামলার একদিন পর সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) কড়া বন্দুক আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। শনিবার সিডনির বিখ্যাত বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের একটি হানুক্কাহ অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন।
পুলিশ অভিযুক্তদের নাম প্রকাশ না করলেও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, তাঁদের একজনের নাম সাজিদ আকরাম এবং অন্যজন নাভিদ আকরাম। সম্পর্কে তাঁরা পিতা-পুত্র।
বন্দুকধারীদের গাড়িতে জঙ্গি সংস্থা আইএস-এর দুটি পতাকা পাওয়া গেছে। ২৪ বছর বয়সী অভিযুক্ত নাভিদের বাবা সাজিদ তথা অপর অভিযুক্তের কাছে ২০১৫ সাল থেকে অস্ত্রের লাইসেন্স ছিল এবং তাঁর কাছে ছয়টি নিবন্ধিত অস্ত্র ছিল। এসব অস্ত্র দিয়েই হামলাকারীরা প্রায় ১০–২০ মিনিট ধরে উৎসবে উপস্থিত মানুষদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে নিহত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে নারী, পুরুষ ও শিশুও রয়েছে এবং নিহতদের বয়স ১০ থেকে ৮৭ বছর পর্যন্ত।
রয়টার্স জানিয়েছে, হামলার পর হাসপাতালে নেওয়া ৪০ জনের মধ্যে দুজন পুলিশও ছিলেন। এ ছাড়া ঘটনার সময় হামলাকারী নাভিদ গুরুতর আহত হলেও তাঁর বাবা সাজিদ পুলিশের পাল্টা গুলিতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছেন।
সোমবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবেনিজ বলেছেন, ‘গতকাল আমরা যা দেখেছি, তা ছিল ধর্মবিরোধী খাঁটি শয়তানদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।’ তিনি ইহুদি সম্প্রদায়ের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে বলেন, অস্ট্রেলিয়ার সরকার বন্দুক নিয়ম কঠোর করবে এবং জাতীয় অস্ত্র নিবন্ধন চালু করবে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বন্ডাই বিচে প্রায় ১ হাজার মানুষ ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হতভম্ব হয়ে দিগ্বিদিক পালিয়ে যান। তবে আহমেদ আল-আহমেদ নামে এক বীর নাগরিক খালি হাতে এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে বহু মানুষের জীবন বাঁচান। এ সময় আল-আহমেদ নিজেও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
বিশ্ব নেতারা এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। এটি অস্ট্রেলিয়ায় এখন পর্যন্ত হওয়া সবচেয়ে গুরুতর বন্দুক হামলার ঘটনা।
উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় দেড় লাখ ইহুদি বসবাস করেন। তাঁদের এক-তৃতীয়াংশই বাস করেন সিডনির পূর্বাঞ্চলে।

দেশের সবচেয়ে বড় বন্দুক হামলার একদিন পর সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) কড়া বন্দুক আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। শনিবার সিডনির বিখ্যাত বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের একটি হানুক্কাহ অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন।
পুলিশ অভিযুক্তদের নাম প্রকাশ না করলেও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, তাঁদের একজনের নাম সাজিদ আকরাম এবং অন্যজন নাভিদ আকরাম। সম্পর্কে তাঁরা পিতা-পুত্র।
বন্দুকধারীদের গাড়িতে জঙ্গি সংস্থা আইএস-এর দুটি পতাকা পাওয়া গেছে। ২৪ বছর বয়সী অভিযুক্ত নাভিদের বাবা সাজিদ তথা অপর অভিযুক্তের কাছে ২০১৫ সাল থেকে অস্ত্রের লাইসেন্স ছিল এবং তাঁর কাছে ছয়টি নিবন্ধিত অস্ত্র ছিল। এসব অস্ত্র দিয়েই হামলাকারীরা প্রায় ১০–২০ মিনিট ধরে উৎসবে উপস্থিত মানুষদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে নিহত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে নারী, পুরুষ ও শিশুও রয়েছে এবং নিহতদের বয়স ১০ থেকে ৮৭ বছর পর্যন্ত।
রয়টার্স জানিয়েছে, হামলার পর হাসপাতালে নেওয়া ৪০ জনের মধ্যে দুজন পুলিশও ছিলেন। এ ছাড়া ঘটনার সময় হামলাকারী নাভিদ গুরুতর আহত হলেও তাঁর বাবা সাজিদ পুলিশের পাল্টা গুলিতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছেন।
সোমবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবেনিজ বলেছেন, ‘গতকাল আমরা যা দেখেছি, তা ছিল ধর্মবিরোধী খাঁটি শয়তানদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।’ তিনি ইহুদি সম্প্রদায়ের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে বলেন, অস্ট্রেলিয়ার সরকার বন্দুক নিয়ম কঠোর করবে এবং জাতীয় অস্ত্র নিবন্ধন চালু করবে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বন্ডাই বিচে প্রায় ১ হাজার মানুষ ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হতভম্ব হয়ে দিগ্বিদিক পালিয়ে যান। তবে আহমেদ আল-আহমেদ নামে এক বীর নাগরিক খালি হাতে এক হামলাকারীর কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে বহু মানুষের জীবন বাঁচান। এ সময় আল-আহমেদ নিজেও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
বিশ্ব নেতারা এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। এটি অস্ট্রেলিয়ায় এখন পর্যন্ত হওয়া সবচেয়ে গুরুতর বন্দুক হামলার ঘটনা।
উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় দেড় লাখ ইহুদি বসবাস করেন। তাঁদের এক-তৃতীয়াংশই বাস করেন সিডনির পূর্বাঞ্চলে।

আফগানিস্তানে মার্কিন সমর্থিত সরকারের পতনের জন্য কারা দায়ী তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। এ ক্ষেত্রে মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ করে আসছে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই বাগ্যুদ্ধের মধ্যেও, উভয় দেশই তালেবানদের ক্ষমতা দখলের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিণতি উপেক্ষা করছে, আর তা হলো আফগানিস্
০৭ অক্টোবর ২০২১
হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের শীর্ষ মুখ ও প্রভাবশালী মিডিয়া উদ্যোক্তা জিমি লাইকে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএল) আওতায় বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছেন দেশটির আদালত। ৭৮ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ নাগরিক ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে কারাবন্দী রয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার প্রায় আট মাস পর চার্জশিট দিয়েছে ভারতের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। চার্জশিটে পাঁচ সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবাসহ (এলইটি) দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) নামের দুই সশস্ত্র সংগঠনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে
২ ঘণ্টা আগে
প্রায় ৬০ বছর আগের ঘটনা, তখন স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। চীনকে টেক্কা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা মিলে নামে এক গোপন অভিযানে। কিন্তু অভিযানে নেমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে হারিয়ে যায় নজরদারির কাজে ব্যবহৃত পারমাণবিক শক্তিচালিত একটি যন্ত্র, যেটি আজও হিমালয় পর্বতের বরফের নিচে
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের শীর্ষ মুখ ও প্রভাবশালী মিডিয়া উদ্যোক্তা জিমি লাইকে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএল) আওতায় বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছেন দেশটির আদালত। ৭৮ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ নাগরিক ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে কারাবন্দী রয়েছেন। তিনি অভিযোগ অস্বীকার করলেও আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, তিনি হংকং ও চীনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপে বিদেশি সরকারগুলোর ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছিলেন। দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আশঙ্কা রয়েছে। আগামী বছরের শুরুতে তাঁর সাজা ঘোষণা হতে পারে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রায় ঘোষণার সময় বিচারক অ্যাস্থার তোহ বলেন, চীনের পিপলস রিপাবলিকের প্রতি জিমি লাইয়ের ঘৃণা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, লাই যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোকে হংকংয়ের অজুহাতে চীনের সরকার উৎখাতে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
আদালত আরও রায় দেন, বন্ধ হয়ে যাওয়া দৈনিক ‘অ্যাপল ডেইলি’ পত্রিকার মাধ্যমে লাই রাষ্ট্রদ্রোহমূলক লেখা প্রকাশ করেছিলেন, যা ঔপনিবেশিক আমলের একটি আইনের লঙ্ঘন।
বেইজিং শাসিত হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী জন লি এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন—লাইয়ের কর্মকাণ্ড দেশ ও হংকংবাসীর স্বার্থ ক্ষুণ্ন করেছে। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই রায়কে ‘নিষ্ঠুর বিচারিক প্রহসন’ আখ্যা দিয়ে বলছে, বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনটি কার্যত ভিন্নমত দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ২০১৯ সালে হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভের পর বেইজিং কোনো আইনসভা পরামর্শ ছাড়াই এই আইন প্রণয়ন করেছিল, যা কর্তৃপক্ষকে ব্যাপক ক্ষমতা দিয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, রায়ের সময় জিমি লাই শান্ত ছিলেন এবং আদালত ছাড়ার সময় পরিবারকে বিদায় জানান। তাঁর স্ত্রী টেরেসা, এক ছেলে ও ক্যাথলিক কার্ডিনাল জোসেফ জেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। লাইয়ের আইনজীবী জানান, দীর্ঘ রায় পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আপিল করা হবে কি না, তা তিনি স্পষ্ট করেননি।
এদিকে লাইয়ের ছেলে সেবাস্তিয়ান লাই যুক্তরাজ্য সরকারকে তাঁর বাবার মুক্তির জন্য আরও সক্রিয় হতে আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাজ্য এই মামলাকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নিপীড়ন’ আখ্যা দিয়ে নিন্দা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে লাইয়ের মুক্তি দাবি করে এলেও চীন ও হংকং সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
এক সময়ের সফল ব্যবসায়ী জিমি লাই ১৯৮৯ সালের চীনের তিয়েনআনমেন গণহত্যার পর গণতন্ত্র আন্দোলনে সক্রিয় হন। অনেক হংকংবাসীর চোখে তিনি এখনো মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও আইনের শাসনের প্রতীক। তবে এই রায় হংকংয়ের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।

হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের শীর্ষ মুখ ও প্রভাবশালী মিডিয়া উদ্যোক্তা জিমি লাইকে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএল) আওতায় বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছেন দেশটির আদালত। ৭৮ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ নাগরিক ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে কারাবন্দী রয়েছেন। তিনি অভিযোগ অস্বীকার করলেও আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, তিনি হংকং ও চীনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপে বিদেশি সরকারগুলোর ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছিলেন। দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আশঙ্কা রয়েছে। আগামী বছরের শুরুতে তাঁর সাজা ঘোষণা হতে পারে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রায় ঘোষণার সময় বিচারক অ্যাস্থার তোহ বলেন, চীনের পিপলস রিপাবলিকের প্রতি জিমি লাইয়ের ঘৃণা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, লাই যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোকে হংকংয়ের অজুহাতে চীনের সরকার উৎখাতে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
আদালত আরও রায় দেন, বন্ধ হয়ে যাওয়া দৈনিক ‘অ্যাপল ডেইলি’ পত্রিকার মাধ্যমে লাই রাষ্ট্রদ্রোহমূলক লেখা প্রকাশ করেছিলেন, যা ঔপনিবেশিক আমলের একটি আইনের লঙ্ঘন।
বেইজিং শাসিত হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী জন লি এই রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন—লাইয়ের কর্মকাণ্ড দেশ ও হংকংবাসীর স্বার্থ ক্ষুণ্ন করেছে। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই রায়কে ‘নিষ্ঠুর বিচারিক প্রহসন’ আখ্যা দিয়ে বলছে, বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনটি কার্যত ভিন্নমত দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ২০১৯ সালে হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভের পর বেইজিং কোনো আইনসভা পরামর্শ ছাড়াই এই আইন প্রণয়ন করেছিল, যা কর্তৃপক্ষকে ব্যাপক ক্ষমতা দিয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, রায়ের সময় জিমি লাই শান্ত ছিলেন এবং আদালত ছাড়ার সময় পরিবারকে বিদায় জানান। তাঁর স্ত্রী টেরেসা, এক ছেলে ও ক্যাথলিক কার্ডিনাল জোসেফ জেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। লাইয়ের আইনজীবী জানান, দীর্ঘ রায় পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আপিল করা হবে কি না, তা তিনি স্পষ্ট করেননি।
এদিকে লাইয়ের ছেলে সেবাস্তিয়ান লাই যুক্তরাজ্য সরকারকে তাঁর বাবার মুক্তির জন্য আরও সক্রিয় হতে আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাজ্য এই মামলাকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নিপীড়ন’ আখ্যা দিয়ে নিন্দা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে লাইয়ের মুক্তি দাবি করে এলেও চীন ও হংকং সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
এক সময়ের সফল ব্যবসায়ী জিমি লাই ১৯৮৯ সালের চীনের তিয়েনআনমেন গণহত্যার পর গণতন্ত্র আন্দোলনে সক্রিয় হন। অনেক হংকংবাসীর চোখে তিনি এখনো মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও আইনের শাসনের প্রতীক। তবে এই রায় হংকংয়ের বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।

আফগানিস্তানে মার্কিন সমর্থিত সরকারের পতনের জন্য কারা দায়ী তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। এ ক্ষেত্রে মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ করে আসছে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই বাগ্যুদ্ধের মধ্যেও, উভয় দেশই তালেবানদের ক্ষমতা দখলের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিণতি উপেক্ষা করছে, আর তা হলো আফগানিস্
০৭ অক্টোবর ২০২১
দেশের সবচেয়ে বড় বন্দুক হামলার একদিন পর সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) কড়া বন্দুক আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। শনিবার সিডনির বিখ্যাত বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের একটি হানুক্কাহ অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন।
৩৫ মিনিট আগে
জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার প্রায় আট মাস পর চার্জশিট দিয়েছে ভারতের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। চার্জশিটে পাঁচ সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবাসহ (এলইটি) দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) নামের দুই সশস্ত্র সংগঠনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে
২ ঘণ্টা আগে
প্রায় ৬০ বছর আগের ঘটনা, তখন স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। চীনকে টেক্কা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা মিলে নামে এক গোপন অভিযানে। কিন্তু অভিযানে নেমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে হারিয়ে যায় নজরদারির কাজে ব্যবহৃত পারমাণবিক শক্তিচালিত একটি যন্ত্র, যেটি আজও হিমালয় পর্বতের বরফের নিচে
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার প্রায় আট মাস পর চার্জশিট দিয়েছে ভারতের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। চার্জশিটে পাঁচ সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবাসহ (এলইটি) দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) নামের দুই সশস্ত্র সংগঠনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
গত ২২ এপ্রিল পেহেলগাম হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাঁদের বেশির ভাগ ছিলেন পর্যটক।
এনআইএর ১ হাজার ৫৯৭ পৃষ্ঠার চার্জশিটে হামলার পেছনে পাকিস্তানের ষড়যন্ত্র, অভিযুক্তদের ভূমিকা এবং মামলার পক্ষে থাকা প্রমাণের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পেহেলগাম হামলার পরিকল্পনা, সহায়তা ও বাস্তবায়নে এলইটি-টিআরএফ সরাসরি জড়িত ছিল। হামলার মূল হ্যান্ডলার হিসেবে এলইটির শীর্ষ কমান্ডার সাজিদ জাটের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
চার্জশিটে তিনজনের নাম রয়েছে, যাঁদের পাকিস্তানের সন্ত্রাসী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন সুলেমান শাহ, হাবিব তাহির ওরফে জিবরান ও হামজা আফগানির। চলতি বছরের জুলাইয়ে শ্রীনগরের কাছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে তাঁরা নিহত হন।
এলইটি ও টিআরএফের পাশাপাশি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ২০২৩-এর (বিএনএস) অস্ত্র আইন (১৯৫৯) ও বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের (১৯৬৭) বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এনআইএ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ‘ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার’ ধারাও যুক্ত করেছে।
এ ছাড়া আরও দুজন এই মামলায় চার্জশিটভুক্ত হয়েছেন। পারভেজ আহমদ ও বশির আহমদকে গত ২২ জুন এনআইএ গ্রেপ্তার করেছিল। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা তিন সন্ত্রাসীকে আশ্রয় দিয়েছিলেন।
পারভেজ আহমদ ও বশির আহমদ জিজ্ঞাসাবাদে পেহেলগাম হামলায় জড়িত তিন সন্ত্রাসীর পরিচয় প্রকাশ করেন এবং নিশ্চিত করেন যে, তাঁরা পাকিস্তানের নাগরিক এবং লস্কর-ই-তাইয়েবার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
কে এই সাজিদ জাট
সাজিদ জাট একাধিক ছদ্মনামে পরিচিত। তাঁর পরিচিত নামগুলোর মধ্যে রয়েছে সাইফুল্লাহ, নুমি, নুমান, ল্যাংড়া, আলি সাজিদ, উসমান হাবিব ও শানি। ২০২২ সালের অক্টোবরে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের (ইউএপিএ) আওতায় তাঁকে ‘ব্যক্তিগত সন্ত্রাসী’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
প্রসঙ্গত, ইন্ডিভিজুয়াল টেররিস্ট (Individual Terrorist) বলতে এমন একজন ব্যক্তিকে বোঝানো হয়, যিনি কোনো বড় সংগঠনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত না থেকেও একা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা ও পরিচালনা করেন। তাঁরা লোন উলফ নামেও পরিচিত। কোনো সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত না থাকায় সহজে তাঁদের খুঁজে পাওয়া যায় না।
ভারতীয় তদন্ত সংস্থাগুলোর ধারণা, সাজিদ জাট পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে অবস্থিত লস্করের সদর দপ্তর থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তিনি শুধু টিআরএফের অপারেশনাল প্রধানই নয়, কাশ্মীর উপত্যকায় সন্ত্রাসী নিয়োগ, অর্থায়ন ও অনুপ্রবেশের দায়িত্বেও রয়েছেন।
সাজিদ জাটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে—২০২৩ সালের ধাংরি গণহত্যা (যেখানে তিনি ছিলেন মূল ষড়যন্ত্রকারী), ২০২৪ সালের মে মাসে পুঞ্চে বিমানবাহিনীর কনভয়ে হামলা এবং ২০২৪ সালের জুনে রিয়াসি বাস হামলা।
এ ছাড়া হাইব্রিড সন্ত্রাসীদের লজিস্টিক ও অপারেশনাল সহায়তা দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ভারতীয় তদন্ত সংস্থাগুলোর মতে, কাশ্মীরে সক্রিয় সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের সবচেয়ে ভয়ংকর মুখ হলেন এই সাজিদ জাট।

জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার প্রায় আট মাস পর চার্জশিট দিয়েছে ভারতের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। চার্জশিটে পাঁচ সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবাসহ (এলইটি) দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) নামের দুই সশস্ত্র সংগঠনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
গত ২২ এপ্রিল পেহেলগাম হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাঁদের বেশির ভাগ ছিলেন পর্যটক।
এনআইএর ১ হাজার ৫৯৭ পৃষ্ঠার চার্জশিটে হামলার পেছনে পাকিস্তানের ষড়যন্ত্র, অভিযুক্তদের ভূমিকা এবং মামলার পক্ষে থাকা প্রমাণের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পেহেলগাম হামলার পরিকল্পনা, সহায়তা ও বাস্তবায়নে এলইটি-টিআরএফ সরাসরি জড়িত ছিল। হামলার মূল হ্যান্ডলার হিসেবে এলইটির শীর্ষ কমান্ডার সাজিদ জাটের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
চার্জশিটে তিনজনের নাম রয়েছে, যাঁদের পাকিস্তানের সন্ত্রাসী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন সুলেমান শাহ, হাবিব তাহির ওরফে জিবরান ও হামজা আফগানির। চলতি বছরের জুলাইয়ে শ্রীনগরের কাছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে তাঁরা নিহত হন।
এলইটি ও টিআরএফের পাশাপাশি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ২০২৩-এর (বিএনএস) অস্ত্র আইন (১৯৫৯) ও বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের (১৯৬৭) বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এনআইএ অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ‘ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার’ ধারাও যুক্ত করেছে।
এ ছাড়া আরও দুজন এই মামলায় চার্জশিটভুক্ত হয়েছেন। পারভেজ আহমদ ও বশির আহমদকে গত ২২ জুন এনআইএ গ্রেপ্তার করেছিল। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা তিন সন্ত্রাসীকে আশ্রয় দিয়েছিলেন।
পারভেজ আহমদ ও বশির আহমদ জিজ্ঞাসাবাদে পেহেলগাম হামলায় জড়িত তিন সন্ত্রাসীর পরিচয় প্রকাশ করেন এবং নিশ্চিত করেন যে, তাঁরা পাকিস্তানের নাগরিক এবং লস্কর-ই-তাইয়েবার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
কে এই সাজিদ জাট
সাজিদ জাট একাধিক ছদ্মনামে পরিচিত। তাঁর পরিচিত নামগুলোর মধ্যে রয়েছে সাইফুল্লাহ, নুমি, নুমান, ল্যাংড়া, আলি সাজিদ, উসমান হাবিব ও শানি। ২০২২ সালের অক্টোবরে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের (ইউএপিএ) আওতায় তাঁকে ‘ব্যক্তিগত সন্ত্রাসী’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
প্রসঙ্গত, ইন্ডিভিজুয়াল টেররিস্ট (Individual Terrorist) বলতে এমন একজন ব্যক্তিকে বোঝানো হয়, যিনি কোনো বড় সংগঠনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত না থেকেও একা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা ও পরিচালনা করেন। তাঁরা লোন উলফ নামেও পরিচিত। কোনো সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত না থাকায় সহজে তাঁদের খুঁজে পাওয়া যায় না।
ভারতীয় তদন্ত সংস্থাগুলোর ধারণা, সাজিদ জাট পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে অবস্থিত লস্করের সদর দপ্তর থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তিনি শুধু টিআরএফের অপারেশনাল প্রধানই নয়, কাশ্মীর উপত্যকায় সন্ত্রাসী নিয়োগ, অর্থায়ন ও অনুপ্রবেশের দায়িত্বেও রয়েছেন।
সাজিদ জাটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে—২০২৩ সালের ধাংরি গণহত্যা (যেখানে তিনি ছিলেন মূল ষড়যন্ত্রকারী), ২০২৪ সালের মে মাসে পুঞ্চে বিমানবাহিনীর কনভয়ে হামলা এবং ২০২৪ সালের জুনে রিয়াসি বাস হামলা।
এ ছাড়া হাইব্রিড সন্ত্রাসীদের লজিস্টিক ও অপারেশনাল সহায়তা দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ভারতীয় তদন্ত সংস্থাগুলোর মতে, কাশ্মীরে সক্রিয় সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের সবচেয়ে ভয়ংকর মুখ হলেন এই সাজিদ জাট।

আফগানিস্তানে মার্কিন সমর্থিত সরকারের পতনের জন্য কারা দায়ী তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। এ ক্ষেত্রে মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ করে আসছে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই বাগ্যুদ্ধের মধ্যেও, উভয় দেশই তালেবানদের ক্ষমতা দখলের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিণতি উপেক্ষা করছে, আর তা হলো আফগানিস্
০৭ অক্টোবর ২০২১
দেশের সবচেয়ে বড় বন্দুক হামলার একদিন পর সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) কড়া বন্দুক আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। শনিবার সিডনির বিখ্যাত বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের একটি হানুক্কাহ অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন।
৩৫ মিনিট আগে
হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের শীর্ষ মুখ ও প্রভাবশালী মিডিয়া উদ্যোক্তা জিমি লাইকে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএল) আওতায় বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছেন দেশটির আদালত। ৭৮ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ নাগরিক ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে কারাবন্দী রয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
প্রায় ৬০ বছর আগের ঘটনা, তখন স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। চীনকে টেক্কা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা মিলে নামে এক গোপন অভিযানে। কিন্তু অভিযানে নেমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে হারিয়ে যায় নজরদারির কাজে ব্যবহৃত পারমাণবিক শক্তিচালিত একটি যন্ত্র, যেটি আজও হিমালয় পর্বতের বরফের নিচে
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রায় ৬০ বছর আগের ঘটনা, তখন স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। চীনকে টেক্কা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা মিলে নামে এক গোপন অভিযানে। কিন্তু অভিযানে নেমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে হারিয়ে যায় নজরদারির কাজে ব্যবহৃত পারমাণবিক শক্তিচালিত একটি যন্ত্র, যেটি আজও হিমালয় পর্বতের বরফের নিচে চাপা পড়ে আছে। ধারণা করা হচ্ছে, ভারতের নন্দা দেবী পর্বতের কাছে হারিয়ে যাওয়া ওই পারমাণবিক শক্তিচালিত যন্ত্রটি গঙ্গা নদীর জন্য নানান ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
ঘটনার সূত্রপাত ১৯৬৫ সালে, চীনের সদ্য গড়ে ওঠা পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগ থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ ও ভারতের ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি) যৌথভাবে এক গোপন অভিযানে নামে। লক্ষ্য ছিল—ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বত নন্দা দেবীর চূড়ায় একটি পারমাণবিক শক্তিচালিত নজরদারিযন্ত্র বসানো।
ওই যন্ত্রে ব্যবহার করা হয়েছিল একটি রেডিওআইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটর (আরটিজি)। এটি কয়েক কেজি প্লুটোনিয়াম দিয়ে চালিত হতো। এর মাধ্যমে স্থাপিত সেন্সরগুলো দিয়ে সীমান্তের ওপারে চীনের ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক পরীক্ষার তথ্য সংগ্রহ করার কথা ছিল। কিন্তু ভয়াবহ তুষারঝড়ের কবলে পড়ে অভিযানে অংশ নেওয়া দল যন্ত্রটি পাহাড়ে রেখে পিছু হটতে বাধ্য হয়। পরের মৌসুমে ফিরে গেলে দেখা যায়—আরটিজি ও এর প্লুটোনিয়াম-কোর আর সেখানে নেই। ধারণা করা হয়, তুষারধসের কারণে সেটি ভেসে গেছে অথবা গভীর হিমবাহের নিচে চাপা পড়েছে।
আরটিজি কী
আরটিজি বা রেডিওআইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটর হলো এমন একটি যন্ত্র, যা তেজস্ক্রিয় পদার্থের তাপ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। ওই পদার্থ ধীরে ধীরে ক্ষয় হওয়ার সময় তাপ তৈরি হয় আর সেই তাপ বিদ্যুতে রূপান্তরিত হয়।
এই প্রক্রিয়ায় কোনো চলমান যন্ত্রাংশ থাকে না। তাই আরটিজি দীর্ঘদিন কাজ করতে পারে। সাধারণত মহাকাশ অভিযান বা এমন দুর্গম এলাকায় এগুলো ব্যবহার করা হয়।
আরটিজি কোনো পারমাণবিক বোমা নয় এবং এটি বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে না। তবে যন্ত্রটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা তেজস্ক্রিয় পদার্থের বিকিরণজনিত ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
হারানো যন্ত্রটি এখন কোথায়
পরবর্তী কয়েক দশকে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র একাধিকবার ওই যন্ত্রের সন্ধানে অভিযান চালালেও সফল হয়নি। দুই দেশের কেউই নিশ্চিত করে বলেনি, যন্ত্রটির পরিণতি কী হয়েছে।
কিছু কর্মকর্তা ও লেখকের মতে, ভারতীয় কোনো দল নীরবে যন্ত্রটি উদ্ধার করে থাকতে পারে। আবার অনেকের ধারণা, এটি এখনো নন্দা দেবী এলাকার অস্থির বরফ ও পাথরের স্তরের নিচে আটকে আছে।
১৯৭৮ সালে ভারতের পরমাণু শক্তি কমিশনের এক জরিপে স্থানীয় নদীগুলোতে কোনো প্লুটোনিয়াম দূষণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে জরিপটি যন্ত্রটির অবস্থানও নির্দিষ্ট করতে পারেনি। ফলে বিষয়টি আজও অমীমাংসিত রয়ে গেছে।
গঙ্গায় তেজস্ক্রিয় বিকিরণের ঝুঁকি
নন্দা দেবীর হিমবাহ থেকে উৎপন্ন রিষিগঙ্গা ও ধৌলিগঙ্গা নদী মিলিত হয়ে অলকানন্দায় প্রবাহিত হয়। পরে অলকানন্দা ও ভাগীরথী একত্রে গঙ্গা নদীর জন্ম দেয়। এই নদীই নিচের দিকে কয়েক শ কোটি মানুষের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি রেডিওআইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটরটি অক্ষত অবস্থায় বরফের গভীরে চাপা পড়ে থাকে, তাহলে তাৎক্ষণিক ঝুঁকি তুলনামূলক কম। কিন্তু সময়ের সঙ্গে এর আবরণ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তেজস্ক্রিয় পদার্থ গলে বরফের পানির সঙ্গে মিশে নদীতে প্রবেশ করতে পারে।
এই সম্ভাবনাকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন—সম্ভাবনা কম, কিন্তু প্রভাব ভয়াবহ। উত্তরাখন্ডে প্রতিবছর বন্যা, তুষারধসের ঘটনা ঘটলে এই আশঙ্কা নতুন করে সামনে আসে।
নতুন করে উদ্বেগ কেন
হিমালয়ে হিমবাহ গলার গতি বেড়ে যাওয়া, ২০২১ সালের চামোলি বন্যার মতো দুর্যোগের পুনরাবৃত্তি এবং পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল এলাকায় পুরোনো সামরিক ও পারমাণবিক কর্মকাণ্ড নিয়ে বাড়তি নজরদারির প্রেক্ষাপটে নন্দা দেবীর এই হারানো যন্ত্রটি আবার আলোচনায় এসেছে।
এখন পর্যন্ত কোনো তেজস্ক্রিয় বিকিরণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে বিজ্ঞানীদের সতর্কবার্তা—তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও হিমবাহ সরে যাওয়ার ফলে ভবিষ্যতে আরটিজির অবশিষ্টাংশ উন্মুক্ত বা নড়াচড়া করতে পারে।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে ও নিউইয়র্ক টাইমস

প্রায় ৬০ বছর আগের ঘটনা, তখন স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। চীনকে টেক্কা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের গোয়েন্দা সংস্থা মিলে নামে এক গোপন অভিযানে। কিন্তু অভিযানে নেমে বৈরী আবহাওয়ার কারণে হারিয়ে যায় নজরদারির কাজে ব্যবহৃত পারমাণবিক শক্তিচালিত একটি যন্ত্র, যেটি আজও হিমালয় পর্বতের বরফের নিচে চাপা পড়ে আছে। ধারণা করা হচ্ছে, ভারতের নন্দা দেবী পর্বতের কাছে হারিয়ে যাওয়া ওই পারমাণবিক শক্তিচালিত যন্ত্রটি গঙ্গা নদীর জন্য নানান ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
ঘটনার সূত্রপাত ১৯৬৫ সালে, চীনের সদ্য গড়ে ওঠা পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগ থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ ও ভারতের ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি) যৌথভাবে এক গোপন অভিযানে নামে। লক্ষ্য ছিল—ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বত নন্দা দেবীর চূড়ায় একটি পারমাণবিক শক্তিচালিত নজরদারিযন্ত্র বসানো।
ওই যন্ত্রে ব্যবহার করা হয়েছিল একটি রেডিওআইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটর (আরটিজি)। এটি কয়েক কেজি প্লুটোনিয়াম দিয়ে চালিত হতো। এর মাধ্যমে স্থাপিত সেন্সরগুলো দিয়ে সীমান্তের ওপারে চীনের ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক পরীক্ষার তথ্য সংগ্রহ করার কথা ছিল। কিন্তু ভয়াবহ তুষারঝড়ের কবলে পড়ে অভিযানে অংশ নেওয়া দল যন্ত্রটি পাহাড়ে রেখে পিছু হটতে বাধ্য হয়। পরের মৌসুমে ফিরে গেলে দেখা যায়—আরটিজি ও এর প্লুটোনিয়াম-কোর আর সেখানে নেই। ধারণা করা হয়, তুষারধসের কারণে সেটি ভেসে গেছে অথবা গভীর হিমবাহের নিচে চাপা পড়েছে।
আরটিজি কী
আরটিজি বা রেডিওআইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটর হলো এমন একটি যন্ত্র, যা তেজস্ক্রিয় পদার্থের তাপ ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। ওই পদার্থ ধীরে ধীরে ক্ষয় হওয়ার সময় তাপ তৈরি হয় আর সেই তাপ বিদ্যুতে রূপান্তরিত হয়।
এই প্রক্রিয়ায় কোনো চলমান যন্ত্রাংশ থাকে না। তাই আরটিজি দীর্ঘদিন কাজ করতে পারে। সাধারণত মহাকাশ অভিযান বা এমন দুর্গম এলাকায় এগুলো ব্যবহার করা হয়।
আরটিজি কোনো পারমাণবিক বোমা নয় এবং এটি বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে না। তবে যন্ত্রটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা তেজস্ক্রিয় পদার্থের বিকিরণজনিত ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
হারানো যন্ত্রটি এখন কোথায়
পরবর্তী কয়েক দশকে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র একাধিকবার ওই যন্ত্রের সন্ধানে অভিযান চালালেও সফল হয়নি। দুই দেশের কেউই নিশ্চিত করে বলেনি, যন্ত্রটির পরিণতি কী হয়েছে।
কিছু কর্মকর্তা ও লেখকের মতে, ভারতীয় কোনো দল নীরবে যন্ত্রটি উদ্ধার করে থাকতে পারে। আবার অনেকের ধারণা, এটি এখনো নন্দা দেবী এলাকার অস্থির বরফ ও পাথরের স্তরের নিচে আটকে আছে।
১৯৭৮ সালে ভারতের পরমাণু শক্তি কমিশনের এক জরিপে স্থানীয় নদীগুলোতে কোনো প্লুটোনিয়াম দূষণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে জরিপটি যন্ত্রটির অবস্থানও নির্দিষ্ট করতে পারেনি। ফলে বিষয়টি আজও অমীমাংসিত রয়ে গেছে।
গঙ্গায় তেজস্ক্রিয় বিকিরণের ঝুঁকি
নন্দা দেবীর হিমবাহ থেকে উৎপন্ন রিষিগঙ্গা ও ধৌলিগঙ্গা নদী মিলিত হয়ে অলকানন্দায় প্রবাহিত হয়। পরে অলকানন্দা ও ভাগীরথী একত্রে গঙ্গা নদীর জন্ম দেয়। এই নদীই নিচের দিকে কয়েক শ কোটি মানুষের জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি রেডিওআইসোটোপ থার্মোইলেকট্রিক জেনারেটরটি অক্ষত অবস্থায় বরফের গভীরে চাপা পড়ে থাকে, তাহলে তাৎক্ষণিক ঝুঁকি তুলনামূলক কম। কিন্তু সময়ের সঙ্গে এর আবরণ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তেজস্ক্রিয় পদার্থ গলে বরফের পানির সঙ্গে মিশে নদীতে প্রবেশ করতে পারে।
এই সম্ভাবনাকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন—সম্ভাবনা কম, কিন্তু প্রভাব ভয়াবহ। উত্তরাখন্ডে প্রতিবছর বন্যা, তুষারধসের ঘটনা ঘটলে এই আশঙ্কা নতুন করে সামনে আসে।
নতুন করে উদ্বেগ কেন
হিমালয়ে হিমবাহ গলার গতি বেড়ে যাওয়া, ২০২১ সালের চামোলি বন্যার মতো দুর্যোগের পুনরাবৃত্তি এবং পরিবেশগতভাবে সংবেদনশীল এলাকায় পুরোনো সামরিক ও পারমাণবিক কর্মকাণ্ড নিয়ে বাড়তি নজরদারির প্রেক্ষাপটে নন্দা দেবীর এই হারানো যন্ত্রটি আবার আলোচনায় এসেছে।
এখন পর্যন্ত কোনো তেজস্ক্রিয় বিকিরণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে বিজ্ঞানীদের সতর্কবার্তা—তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও হিমবাহ সরে যাওয়ার ফলে ভবিষ্যতে আরটিজির অবশিষ্টাংশ উন্মুক্ত বা নড়াচড়া করতে পারে।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে ও নিউইয়র্ক টাইমস

আফগানিস্তানে মার্কিন সমর্থিত সরকারের পতনের জন্য কারা দায়ী তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। এ ক্ষেত্রে মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ করে আসছে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই বাগ্যুদ্ধের মধ্যেও, উভয় দেশই তালেবানদের ক্ষমতা দখলের প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ একটি পরিণতি উপেক্ষা করছে, আর তা হলো আফগানিস্
০৭ অক্টোবর ২০২১
দেশের সবচেয়ে বড় বন্দুক হামলার একদিন পর সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) কড়া বন্দুক আইন প্রণয়নের ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। শনিবার সিডনির বিখ্যাত বন্ডাই বিচে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের একটি হানুক্কাহ অনুষ্ঠানে দুই বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন।
৩৫ মিনিট আগে
হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনের শীর্ষ মুখ ও প্রভাবশালী মিডিয়া উদ্যোক্তা জিমি লাইকে বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা আইনের (এনএসএল) আওতায় বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছেন দেশটির আদালত। ৭৮ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ নাগরিক ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে কারাবন্দী রয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে
জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার প্রায় আট মাস পর চার্জশিট দিয়েছে ভারতের ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। চার্জশিটে পাঁচ সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও পাকিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবাসহ (এলইটি) দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) নামের দুই সশস্ত্র সংগঠনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে
২ ঘণ্টা আগে