কোভিড–১৯ টিকার বুস্টার ডোজ নেওয়ার পর মারা যাওয়া অন্তত দুই ব্যক্তির পরিবারকে মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দিয়েছে সিঙ্গাপুর সরকার। তাঁরা দুজনেই প্রবাসী। এর মধ্যে একজন বাংলাদেশি। অপরজন ফিলিপাইনের নাগরিক। সিঙ্গাপুর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বুস্টার ডোজ নেওয়ার চার দিন পর মারা যাওয়া ওই নারীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে সিঙ্গাপুরের ভ্যাকসিন ইনজুরি ফিন্যান্সিয়াল অ্যাসিস্ট্যান্স প্রোগ্রাম। এই কর্মসূচির আওতায় তাঁর পরিবারকে এককালীন ২ লাখ ২৫ হাজার সিঙ্গাপুরিয়ান ডলার (বা ১৭ এপ্রিলের বিনিময় হার অনুযায়ী ১ লাখ ৬৯ হাজার মার্কিন ডলার) ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। ১৭ এপ্রিলের বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় ১ কোটি ৭৯ লাখ ৭২ হাজার টাকা।
সিঙ্গাপুরে ভ্যাকসিন নেওয়ার পর কারও গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে ওই ব্যক্তি বা তাঁর পরিবারকে এককালীন আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য সরকার ভ্যাকসিন ইনজুরি ফিন্যান্সিয়াল অ্যাসিস্ট্যান্স প্রোগ্রাম চালু করেছে।
ওন্তাল শার্লিন ভারগাস নামের ওই ফিলিপিনো নারী ২০২১ সালের ১৩ ডিসেম্বর মারা যান। তাঁর মৃত্যুর তদন্ত রিপোর্টে দেখা গেছে, মৃত্যুর কারণ ছিল মায়োকার্ডাইটিস বা হৃৎপিণ্ডের প্রদাহ। সন্দেহজনক মৃত্যুর তদন্তকারী কর্মকর্তা গত শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) আদালতে এ তথ্য পেশ করেন। সিঙ্গাপুরে সন্দেহজনক মৃত্যুর তদন্তকারী কর্মকর্তা অ্যাডাম ন্যাখোদা তাঁর প্রতিবেদনে বলেন, কোভিড-১৯ টিকা এই মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গত রোববার এক বিবৃতিতে জানায়, ভারগাসের পরিবার চলতি বছরের জানুয়ারিতে একটি ক্ষতিপূরণের আবেদন করেছিল। যা একটি স্বাধীন ক্লিনিক্যাল প্যানেলকে দিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। প্যানেল মূল্যায়নে দেখা গেছে, ওই নারীর মৃত্যু সম্ভবত কোভিড-১৯–এর টিকা দেওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। ফিলিপাইনে তাঁর পরিবারকে ২ লাখ ২৫ হাজার সিঙ্গাপুরিয়ান ডলার (১ লাখ ৬৯ হাজার মার্কিন ডলার) এককালীন আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
৪৩ বছর বয়সী ওই নারী ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে কোভিড-১৯–এর ফাইজার-বায়োএনটেক টিকা নিয়েছিলেন। এর পরদিন সকালেই তিনি অসুস্থ বোধ করেন এবং সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। ১২ ডিসেম্বর থেকে তিনি কোনো ওষুধেই সাড়া দিচ্ছিলেন না। উপযুক্ত চিকিৎসার পরও তাঁর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকে। ১৩ ডিসেম্বর তিনি মারা যান।
ওই নারীর কখনো হৃদ্রোগ বা বংশগত হৃদ্রোগের সমস্যা ছিল না। এমনকি করোনার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পরও তাঁর কিছু হয়নি। কিন্তু বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরপরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। মাত্র তিন দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা যান।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত অপর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোভিড-১৯ টিকা নিয়ে মারা যাওয়া এক বাংলাদেশি যুবকের (২৮) পরিবারকে সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশি ওই যুবকের মৃত্যুর বিষয়ে সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চিকিৎসা পদ্ধতির ভুলের কারণে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। তিনি টিকা নেওয়ার ২১ দিন পর কর্মস্থলে মারা যান। তিনি কোভিড-১৯ এর মডার্না-স্পাইকভেক্স টিকা নিয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুর কারণও ছিল মায়োকার্ডাইটিস বা হৃৎপিণ্ডের প্রদাহ।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ২৮ বছর বয়সী ওই বাংলাদেশি যুবক ২০২১ সালের ১৮ জুলাই টিকার প্রথম ডোজ নেন। আর একই বছরের ৯ জুলাই তিনি তাঁর কর্মস্থলে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান। দ্রুতই তাঁর মৃত্যু হয়।
মন্ত্রণালয়ের অধীন ভ্যাকসিন ইনজুরি ফিন্যান্সিয়াল অ্যাসিস্ট্যান্স প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে তাঁর পরিবারকেও এককালীন ২ লাখ ২৫ হাজার সিঙ্গাপুরিয়ান ডলার দেওয়া হবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত জাতীয় টিকাদান কর্মসূচির আওতায় ১ কোটি ৭০ লাখ ডোজের বেশি কোভিড টিকা দেওয়া হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য বিজ্ঞান কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, কোভিড টিকার কারণে মায়োকার্ডাইটিসে সমস্যা খুবই বিরল ঘটনা—বুস্টারে প্রতি ১ লাখ ডোজের বিপরীতে দশমিক ১ (দশমিক ০০০১ শতাংশ), আর প্রথম টিকার ক্ষেত্রে দশমিক ০০১১ শতাংশ।
কোভিড–১৯ টিকার বুস্টার ডোজ নেওয়ার পর মারা যাওয়া অন্তত দুই ব্যক্তির পরিবারকে মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দিয়েছে সিঙ্গাপুর সরকার। তাঁরা দুজনেই প্রবাসী। এর মধ্যে একজন বাংলাদেশি। অপরজন ফিলিপাইনের নাগরিক। সিঙ্গাপুর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে হংকংভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
সোমবার (১৭ এপ্রিল) প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বুস্টার ডোজ নেওয়ার চার দিন পর মারা যাওয়া ওই নারীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে সিঙ্গাপুরের ভ্যাকসিন ইনজুরি ফিন্যান্সিয়াল অ্যাসিস্ট্যান্স প্রোগ্রাম। এই কর্মসূচির আওতায় তাঁর পরিবারকে এককালীন ২ লাখ ২৫ হাজার সিঙ্গাপুরিয়ান ডলার (বা ১৭ এপ্রিলের বিনিময় হার অনুযায়ী ১ লাখ ৬৯ হাজার মার্কিন ডলার) ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। ১৭ এপ্রিলের বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় ১ কোটি ৭৯ লাখ ৭২ হাজার টাকা।
সিঙ্গাপুরে ভ্যাকসিন নেওয়ার পর কারও গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে ওই ব্যক্তি বা তাঁর পরিবারকে এককালীন আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য সরকার ভ্যাকসিন ইনজুরি ফিন্যান্সিয়াল অ্যাসিস্ট্যান্স প্রোগ্রাম চালু করেছে।
ওন্তাল শার্লিন ভারগাস নামের ওই ফিলিপিনো নারী ২০২১ সালের ১৩ ডিসেম্বর মারা যান। তাঁর মৃত্যুর তদন্ত রিপোর্টে দেখা গেছে, মৃত্যুর কারণ ছিল মায়োকার্ডাইটিস বা হৃৎপিণ্ডের প্রদাহ। সন্দেহজনক মৃত্যুর তদন্তকারী কর্মকর্তা গত শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) আদালতে এ তথ্য পেশ করেন। সিঙ্গাপুরে সন্দেহজনক মৃত্যুর তদন্তকারী কর্মকর্তা অ্যাডাম ন্যাখোদা তাঁর প্রতিবেদনে বলেন, কোভিড-১৯ টিকা এই মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গত রোববার এক বিবৃতিতে জানায়, ভারগাসের পরিবার চলতি বছরের জানুয়ারিতে একটি ক্ষতিপূরণের আবেদন করেছিল। যা একটি স্বাধীন ক্লিনিক্যাল প্যানেলকে দিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। প্যানেল মূল্যায়নে দেখা গেছে, ওই নারীর মৃত্যু সম্ভবত কোভিড-১৯–এর টিকা দেওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। ফিলিপাইনে তাঁর পরিবারকে ২ লাখ ২৫ হাজার সিঙ্গাপুরিয়ান ডলার (১ লাখ ৬৯ হাজার মার্কিন ডলার) এককালীন আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
৪৩ বছর বয়সী ওই নারী ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরে কোভিড-১৯–এর ফাইজার-বায়োএনটেক টিকা নিয়েছিলেন। এর পরদিন সকালেই তিনি অসুস্থ বোধ করেন এবং সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। ১২ ডিসেম্বর থেকে তিনি কোনো ওষুধেই সাড়া দিচ্ছিলেন না। উপযুক্ত চিকিৎসার পরও তাঁর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটতে থাকে। ১৩ ডিসেম্বর তিনি মারা যান।
ওই নারীর কখনো হৃদ্রোগ বা বংশগত হৃদ্রোগের সমস্যা ছিল না। এমনকি করোনার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পরও তাঁর কিছু হয়নি। কিন্তু বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরপরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। মাত্র তিন দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা যান।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত অপর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোভিড-১৯ টিকা নিয়ে মারা যাওয়া এক বাংলাদেশি যুবকের (২৮) পরিবারকে সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশি ওই যুবকের মৃত্যুর বিষয়ে সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চিকিৎসা পদ্ধতির ভুলের কারণে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। তিনি টিকা নেওয়ার ২১ দিন পর কর্মস্থলে মারা যান। তিনি কোভিড-১৯ এর মডার্না-স্পাইকভেক্স টিকা নিয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুর কারণও ছিল মায়োকার্ডাইটিস বা হৃৎপিণ্ডের প্রদাহ।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ২৮ বছর বয়সী ওই বাংলাদেশি যুবক ২০২১ সালের ১৮ জুলাই টিকার প্রথম ডোজ নেন। আর একই বছরের ৯ জুলাই তিনি তাঁর কর্মস্থলে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান। দ্রুতই তাঁর মৃত্যু হয়।
মন্ত্রণালয়ের অধীন ভ্যাকসিন ইনজুরি ফিন্যান্সিয়াল অ্যাসিস্ট্যান্স প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে তাঁর পরিবারকেও এককালীন ২ লাখ ২৫ হাজার সিঙ্গাপুরিয়ান ডলার দেওয়া হবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত জাতীয় টিকাদান কর্মসূচির আওতায় ১ কোটি ৭০ লাখ ডোজের বেশি কোভিড টিকা দেওয়া হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য বিজ্ঞান কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, কোভিড টিকার কারণে মায়োকার্ডাইটিসে সমস্যা খুবই বিরল ঘটনা—বুস্টারে প্রতি ১ লাখ ডোজের বিপরীতে দশমিক ১ (দশমিক ০০০১ শতাংশ), আর প্রথম টিকার ক্ষেত্রে দশমিক ০০১১ শতাংশ।
ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে। এই পদক্ষেপ শুধু মধ্যপ্রাচ্যের শক্তির ভারসাম্যকেই নাড়িয়ে দেয়নি, বরং এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্ব রাজনীতিতেও। মস্কো থেকে এর প্রতিক্রিয়া এসেছে দ্রুত ও তীব্রভাবে।
১ ঘণ্টা আগেমিছিলে অংশ নেন শতাধিক দলীয় কর্মী, সমর্থক, ছাত্র, যুব ও শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধি। ‘আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদ নিপাত যাক’, ‘ইরানে বোমাবাজি চলবে না’ ইত্যাদি স্লোগানে মুখর হয় গোটা এলাকা। এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ‘সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস’ করে দেওয়া হয়েছে। তবে এই দাবি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে ইরানি গণমাধ্যম ও স্থানীয় কর্মকর্তারা।
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর সামরিক হামলার প্রতিক্রিয়ায় হরমুজ প্রণালি বন্ধের প্রস্তাব পাস করেছে ইরানের পার্লামেন্ট। এই প্রস্তাবের ফলে বৈশ্বিক জ্বালানি সরবরাহে বড় ধরনের সংকট তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
৪ ঘণ্টা আগে