প্রায় ১০ বছর আগে হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যায় মালয়েশিয়া এয়ারলাইনসের ফ্লাইট এমএইচ৩৭০। ২৩৯ যাত্রীসহ বোয়িং ৭৭৭ হারিয়ে যাওয়ার রহস্য আজও উদ্ঘাটন করা সম্ভব হয়নি। তবে উড়োজাহাজটি হারানোর নেপথ্যের ঘটনা নিয়ে নতুন এক তত্ত্বের কথা বলছেন ব্রিটিশ বোয়িং ৭৭৭-এর পাইলট সিমন হার্ডি। তিনি বলছেন, ফ্লাইটের আগের নথিপত্র ইচ্ছাকৃত এক ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করছে।
উড়োজাহাজটির শেষ মুহূর্তের কিছু প্রস্তুতি দেখে হার্ডি ধারণা করছেন, ক্যাপ্টেন জাহারি আহমেদ শাহ উড়োজাহাজটি দুর্ঘটনার কবলে ফেলার পরিকল্পনা করছিলেন। ফ্লাইটের আগে উড়োজাহাজটিতে বাড়তি জ্বালানি ও অক্সিজেন নেওয়াসহ বেশ কয়েকটি পরিবর্তন করা হয়েছিল বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
২০১৫ সালে উড়োজাহাজটির উদ্ধার অভিযানের সময় অস্ট্রেলিয়ার ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরোর সঙ্গে কাজ করেছিলেন হার্ডি। তিনি সংবাদমাধ্যম দ্য সানকে বলেন, ‘অদ্ভুত বিষয় হলো, উড্ডয়নের আগমুহূর্তে ক্রু অক্সিজেন বাড়িয়ে নেওয়া হয়, যা শুধু ককপিটেই সরবরাহ করা হয়, কেবিন ক্রুদের নয়।’
বিমান বিশেষজ্ঞ ফ্লাইট পরিকল্পনায় ‘অস্বাভাবিক’ সংযোজন সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং এতে যথাযথ প্রোটোকল মেনে চলা হয়েছিল কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
হার্ডি বলেন, ভারত মহাসাগরে ফ্রান্সের একটি আগ্নেয় দ্বীপ রিইউনিয়নে খুঁজে পাওয়া উড়োজাহাজের ফ্ল্যাপেরন থেকে মনে হচ্ছে ফ্লাইটের শেষ পর্যন্ত কোনো পাইলট সক্রিয় ছিলেন। যেহেতু উড়োজাহাজের ফ্ল্যাপ অকেজো হয়ে পড়েছিল আর এতে তরল জ্বালানি ছিল, এর মানে হলো কেউ না কেউ লিভার নিয়ন্ত্রণ করছিল। বিমান সম্পর্কে ভালো করে না জানলে এটি সম্ভব নয়। সবকিছুই একটি ঘটনাকে নির্দেশ করছে।
পাইলটের সূক্ষ্ম পরিকল্পনার দিকেই ইঙ্গিত করছেন হার্ডি। তাঁর মতে, পাইলট সমুদ্রপৃষ্ঠে কোনো ধরনের জ্বালানি ছড়িয়ে পড়াকে এড়িয়ে গেছেন। এ কারণে উড়োজাহাজটির শেষ গন্তব্য খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
হার্ডির আরও একটি অনুমান হলো, পাইলট ইচ্ছা করেই কেবিনের বায়ুচাপ কমিয়ে দিয়েছিলেন। এতে ইউটার্ন নেওয়ার ও বিমান বিধ্বস্ত করার আগে যাত্রীরা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে উড়োজাহাজটির অবস্থান খুঁজে পেয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর অনুমান, আনুষ্ঠানিকভাবে খোঁজ চালানো হচ্ছে যেসব এলাকায়, এর বাইরে ভারতীয় মহাসাগরের দক্ষিণে গিলভিংক ফ্র্যাকচার জোনে পানির নিচে একটি খাদে রয়েছে উড়োজাহাজটি।
হারিয়ে যাওয়া উড়োজাহাজ নিয়ে নতুন করে তত্ত্ব সামনে আসায় গত ৩ মার্চ মালয়েশিয়ার সরকার এর খোঁজ আবার শুরু করার ঘোষণা দেয়। ২০১৪ সালে নিখোঁজ হওয়া এই উড়োজাহাজ খুঁজে পেতে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ওশান ইনফিনিটি ‘কোনো সন্ধান নেই, কোনো ফি নেই’ ব্যবস্থার প্রস্তাব দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজটি ২০১৪ সালের ৮ মার্চ কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাওয়ার পথে ২৩৯ যাত্রীসহ নিখোঁজ হয়ে যায়।
প্রায় ১০ বছর আগে হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যায় মালয়েশিয়া এয়ারলাইনসের ফ্লাইট এমএইচ৩৭০। ২৩৯ যাত্রীসহ বোয়িং ৭৭৭ হারিয়ে যাওয়ার রহস্য আজও উদ্ঘাটন করা সম্ভব হয়নি। তবে উড়োজাহাজটি হারানোর নেপথ্যের ঘটনা নিয়ে নতুন এক তত্ত্বের কথা বলছেন ব্রিটিশ বোয়িং ৭৭৭-এর পাইলট সিমন হার্ডি। তিনি বলছেন, ফ্লাইটের আগের নথিপত্র ইচ্ছাকৃত এক ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করছে।
উড়োজাহাজটির শেষ মুহূর্তের কিছু প্রস্তুতি দেখে হার্ডি ধারণা করছেন, ক্যাপ্টেন জাহারি আহমেদ শাহ উড়োজাহাজটি দুর্ঘটনার কবলে ফেলার পরিকল্পনা করছিলেন। ফ্লাইটের আগে উড়োজাহাজটিতে বাড়তি জ্বালানি ও অক্সিজেন নেওয়াসহ বেশ কয়েকটি পরিবর্তন করা হয়েছিল বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
২০১৫ সালে উড়োজাহাজটির উদ্ধার অভিযানের সময় অস্ট্রেলিয়ার ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরোর সঙ্গে কাজ করেছিলেন হার্ডি। তিনি সংবাদমাধ্যম দ্য সানকে বলেন, ‘অদ্ভুত বিষয় হলো, উড্ডয়নের আগমুহূর্তে ক্রু অক্সিজেন বাড়িয়ে নেওয়া হয়, যা শুধু ককপিটেই সরবরাহ করা হয়, কেবিন ক্রুদের নয়।’
বিমান বিশেষজ্ঞ ফ্লাইট পরিকল্পনায় ‘অস্বাভাবিক’ সংযোজন সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং এতে যথাযথ প্রোটোকল মেনে চলা হয়েছিল কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
হার্ডি বলেন, ভারত মহাসাগরে ফ্রান্সের একটি আগ্নেয় দ্বীপ রিইউনিয়নে খুঁজে পাওয়া উড়োজাহাজের ফ্ল্যাপেরন থেকে মনে হচ্ছে ফ্লাইটের শেষ পর্যন্ত কোনো পাইলট সক্রিয় ছিলেন। যেহেতু উড়োজাহাজের ফ্ল্যাপ অকেজো হয়ে পড়েছিল আর এতে তরল জ্বালানি ছিল, এর মানে হলো কেউ না কেউ লিভার নিয়ন্ত্রণ করছিল। বিমান সম্পর্কে ভালো করে না জানলে এটি সম্ভব নয়। সবকিছুই একটি ঘটনাকে নির্দেশ করছে।
পাইলটের সূক্ষ্ম পরিকল্পনার দিকেই ইঙ্গিত করছেন হার্ডি। তাঁর মতে, পাইলট সমুদ্রপৃষ্ঠে কোনো ধরনের জ্বালানি ছড়িয়ে পড়াকে এড়িয়ে গেছেন। এ কারণে উড়োজাহাজটির শেষ গন্তব্য খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
হার্ডির আরও একটি অনুমান হলো, পাইলট ইচ্ছা করেই কেবিনের বায়ুচাপ কমিয়ে দিয়েছিলেন। এতে ইউটার্ন নেওয়ার ও বিমান বিধ্বস্ত করার আগে যাত্রীরা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে উড়োজাহাজটির অবস্থান খুঁজে পেয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর অনুমান, আনুষ্ঠানিকভাবে খোঁজ চালানো হচ্ছে যেসব এলাকায়, এর বাইরে ভারতীয় মহাসাগরের দক্ষিণে গিলভিংক ফ্র্যাকচার জোনে পানির নিচে একটি খাদে রয়েছে উড়োজাহাজটি।
হারিয়ে যাওয়া উড়োজাহাজ নিয়ে নতুন করে তত্ত্ব সামনে আসায় গত ৩ মার্চ মালয়েশিয়ার সরকার এর খোঁজ আবার শুরু করার ঘোষণা দেয়। ২০১৪ সালে নিখোঁজ হওয়া এই উড়োজাহাজ খুঁজে পেতে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ওশান ইনফিনিটি ‘কোনো সন্ধান নেই, কোনো ফি নেই’ ব্যবস্থার প্রস্তাব দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজটি ২০১৪ সালের ৮ মার্চ কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাওয়ার পথে ২৩৯ যাত্রীসহ নিখোঁজ হয়ে যায়।
বিয়ের আগে অনেকেই জীবনের সঙ্গীকে খুঁজে পান। কিন্তু নিউইয়র্কের মিশের ফক্স খুঁজে পেলেন জীবনের সঙ্গীর পাশাপাশি এক অমূল্য হিরাও। ৩১ বছর বয়সী ফক্স দুই বছর আগে সিদ্ধান্ত নেন, নিজের বিয়ের আংটির জন্য হিরা তিনি নিজেই খুঁজে বের করবেন। আর এর জন্য তিনি পৃথিবীর যে কোনো জায়গায় যেতে প্রস্তুত ছিলেন।
৪ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির ৭৬ বছর বয়সী থংবুয়ে ওংবানডু (ডাকনাম ‘বু’) একদিন হঠাৎ একদিন পরিবারকে জানালেন, তিনি নিউইয়র্কে এক পুরোনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যাবেন। বৃদ্ধের মুখে এই কথা শুনে তাঁর স্ত্রী লিন্ডা কিছুটা অবাকই হলেন—কারণ, বহু বছর আগে নিউইয়র্ক ছেড়ে আসা বু সেখানে কাউকেই চিনতেন না।
৬ ঘণ্টা আগেকাশ্মীরের কিসতওয়ার জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম চশোতি আজ পরিণত হয়েছে এক ভয়াবহ মৃত্যুকূপে। দুপুরের পর হঠাৎ করেই ঘটে যায় প্রবল ক্লাউডবার্স্ট। মুহূর্তের মধ্যেই পাহাড়ি ঝরনাগুলো দানবীয় রূপে নেমে আসে গ্রাম ও তার আশপাশে। জল, কাদা, পাথর মিশে তৈরি হয় এক অপ্রতিরোধ্য ধ্বংস স্রোত।
৬ ঘণ্টা আগেএ বৈঠক ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, অতীতের মতো পুতিনের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাবাপন্ন ট্রাম্প নাকি সম্প্রতি কঠোর অবস্থান নেওয়া ট্রাম্প বৈঠকে উপস্থিত হবেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, ২০১৮ সালে হেলসিঙ্কিতে পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকটি বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল।
৭ ঘণ্টা আগে