Ajker Patrika

এমএইচ৩৭০: মালয়েশিয়ার উড়োজাহাজটি ইচ্ছা করে ডুবিয়ে দেওয়া হয়, ব্রিটিশ পাইলটের দাবি 

আপডেট : ১৫ মার্চ ২০২৪, ১৫: ১৮
এমএইচ৩৭০: মালয়েশিয়ার উড়োজাহাজটি ইচ্ছা করে ডুবিয়ে দেওয়া হয়, ব্রিটিশ পাইলটের দাবি 

প্রায় ১০ বছর আগে হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যায় মালয়েশিয়া এয়ারলাইনসের ফ্লাইট এমএইচ৩৭০। ২৩৯ যাত্রীসহ বোয়িং ৭৭৭ হারিয়ে যাওয়ার রহস্য আজও উদ্‌ঘাটন করা সম্ভব হয়নি। তবে উড়োজাহাজটি হারানোর নেপথ্যের ঘটনা নিয়ে নতুন এক তত্ত্বের কথা বলছেন ব্রিটিশ বোয়িং ৭৭৭-এর পাইলট সিমন হার্ডি। তিনি বলছেন, ফ্লাইটের আগের নথিপত্র ইচ্ছাকৃত এক ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করছে। 

উড়োজাহাজটির শেষ মুহূর্তের কিছু প্রস্তুতি দেখে হার্ডি ধারণা করছেন, ক্যাপ্টেন জাহারি আহমেদ শাহ উড়োজাহাজটি দুর্ঘটনার কবলে ফেলার পরিকল্পনা করছিলেন। ফ্লাইটের আগে উড়োজাহাজটিতে বাড়তি জ্বালানি ও অক্সিজেন নেওয়াসহ বেশ কয়েকটি পরিবর্তন করা হয়েছিল বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। 

২০১৫ সালে উড়োজাহাজটির উদ্ধার অভিযানের সময় অস্ট্রেলিয়ার ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরোর সঙ্গে কাজ করেছিলেন হার্ডি। তিনি সংবাদমাধ্যম দ্য সানকে বলেন, ‘অদ্ভুত বিষয় হলো, উড্ডয়নের আগমুহূর্তে ক্রু অক্সিজেন বাড়িয়ে নেওয়া হয়, যা শুধু ককপিটেই সরবরাহ করা হয়, কেবিন ক্রুদের নয়।’ 

বিমান বিশেষজ্ঞ ফ্লাইট পরিকল্পনায় ‘অস্বাভাবিক’ সংযোজন সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং এতে যথাযথ প্রোটোকল মেনে চলা হয়েছিল কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। 

হার্ডি বলেন, ভারত মহাসাগরে ফ্রান্সের একটি আগ্নেয় দ্বীপ রিইউনিয়নে খুঁজে পাওয়া উড়োজাহাজের ফ্ল্যাপেরন থেকে মনে হচ্ছে ফ্লাইটের শেষ পর্যন্ত কোনো পাইলট সক্রিয় ছিলেন। যেহেতু উড়োজাহাজের ফ্ল্যাপ অকেজো হয়ে পড়েছিল আর এতে তরল জ্বালানি ছিল, এর মানে হলো কেউ না কেউ লিভার নিয়ন্ত্রণ করছিল। বিমান সম্পর্কে ভালো করে না জানলে এটি সম্ভব নয়। সবকিছুই একটি ঘটনাকে নির্দেশ করছে। 

পাইলটের সূক্ষ্ম পরিকল্পনার দিকেই ইঙ্গিত করছেন হার্ডি। তাঁর মতে, পাইলট সমুদ্রপৃষ্ঠে কোনো ধরনের জ্বালানি ছড়িয়ে পড়াকে এড়িয়ে গেছেন। এ কারণে উড়োজাহাজটির শেষ গন্তব্য খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।

হার্ডির আরও একটি অনুমান হলো, পাইলট ইচ্ছা করেই কেবিনের বায়ুচাপ কমিয়ে দিয়েছিলেন। এতে ইউটার্ন নেওয়ার ও বিমান বিধ্বস্ত করার আগে যাত্রীরা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে উড়োজাহাজটির অবস্থান খুঁজে পেয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর অনুমান, আনুষ্ঠানিকভাবে খোঁজ চালানো হচ্ছে যেসব এলাকায়, এর বাইরে ভারতীয় মহাসাগরের দক্ষিণে গিলভিংক ফ্র্যাকচার জোনে পানির নিচে একটি খাদে রয়েছে উড়োজাহাজটি।  

হারিয়ে যাওয়া উড়োজাহাজ নিয়ে নতুন করে তত্ত্ব সামনে আসায় গত ৩ মার্চ মালয়েশিয়ার সরকার এর খোঁজ আবার শুরু করার ঘোষণা দেয়। ২০১৪ সালে নিখোঁজ হওয়া এই উড়োজাহাজ খুঁজে পেতে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ওশান ইনফিনিটি ‘কোনো সন্ধান নেই, কোনো ফি নেই’ ব্যবস্থার প্রস্তাব দিয়েছে। 

প্রসঙ্গত, বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজটি ২০১৪ সালের ৮ মার্চ কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাওয়ার পথে ২৩৯ যাত্রীসহ নিখোঁজ হয়ে যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

অপারেশন সিন্দুর ঘিরে আলোচিত কে এই কর্নেল সোফিয়া কুরেশি

পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে ‘প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের’ নির্দেশ

কাশ্মীরে বিধ্বস্ত বিমানের অংশবিশেষ ফরাসি কোম্পানির তৈরি, হতে পারে রাফাল

সীমান্তে সাদা পতাকা উড়িয়ে আত্মসমর্পণের ইঙ্গিত দিয়েছে ভারত: পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী

পাকিস্তানে হামলায় ‘লোইটারিং মিউনিশনস’ ব্যবহারের দাবি ভারতের, এটি কীভাবে কাজ করে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত