Ajker Patrika

মিয়ানমারে বিরল মৃত্তিকা খনিজের নিয়ন্ত্রণ বিদ্রোহীদের হাতে, বেড়েছে দাম

মিয়ানমারের কাচিনের পাংওয়া এলাকায় একটি বিরল মৃত্তিকা খনিজের খনি। ছবি: সংগৃহীত
মিয়ানমারের কাচিনের পাংওয়া এলাকায় একটি বিরল মৃত্তিকা খনিজের খনি। ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারের বিরোধী জাতীয় ঐক্যের সরকার (এনইউজি) বলেছে, চীন তাদের সীমান্তবর্তী বর্মিজ রাজ্যগুলোর বিদ্রোহীদের যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য চাপ দিলেও ‘বিপ্লবের গতিপথ’ বদলাবে না। জাতীয় ঐক্যের সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন মার অং এই কথা বলেছেন। এদিকে, চীনের সীমান্ত সংলগ্ন মিয়ানমারে কাচিন রাজ্যে তীব্র লড়াইয়ের কারণে সেখানকার খনিজ পদার্থের খনিগুলোর উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। যার ফলে, বেড়েছে খনিজের দাম।

মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ডেমোক্রেটিক ভয়েস অব বার্মার (ডিভিবি) প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোর বিদ্রোহীদের জান্তাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই বন্ধ করার জন্য চাপ দিচ্ছে। আর এ কারণে জান্তা সরকারের বিরোধী জাতীয় ঐক্যের সরকারের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক বেশ খানিকটা ‘ভেঙে পড়েছে’।

জাতীয় ঐক্যের সরকারের সঙ্গে চীনের সম্পর্কে আঁচ লেগেছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন মার অং বলেন, ‘আমরা সীমান্তে স্থিতিশীলতা ও শান্তির আকাঙ্ক্ষার গুরুত্ব বুঝি। যা হোক, এটি এমন কিছু নয়, যা দ্রুত সমাধান করা সম্ভব।’ জিন মার অং কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ), কারেনি ন্যাশনাল প্রগ্রেসিভ পার্টি (কেএনপিপি) এবং চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (সিএনএফ) এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে গত মঙ্গলবার এ কথা বলেন।

মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি (এমএনডিএএ), তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ) এবং আরাকান আর্মি (এএ)—তিন বিদ্রোহী বাহিনী মিলে গত বছরে গঠন করে ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স। এই ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স এবং কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মি (কেআইএ) মিলে চীন-মিয়ানমার সীমান্তের অধিকাংশ এলাকাই জান্তা সরকারের কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে। এরপর, গত মাসে চীন মিয়ানমারের সঙ্গে সব ধরনের সীমান্ত যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।

এদিকে, চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, কাচিন স্পেশাল রিজিয়ন ১-এ গত সেপ্টেম্বর মাসে কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মি (কেআইএ) আক্রমণ চালানোর পর থেকে স্থানীয় সরবরাহকারীরা বিরল মৃত্তিকা খনিজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। মিয়ানমারের বেশির ভাগ বিরল খনিজ এই অঞ্চলে অবস্থিত। কাচিন সীমান্ত রক্ষীবাহিনী (বিজিএফ) মিয়ানমারের জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে এসব খনি নিয়ন্ত্রণ করে।

চীনের সাধারণ শুল্ক প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, লড়াইয়ের কারণে মিয়ানমারের বিরল মৃত্তিকা খনিজের খনিগুলো বন্ধ আছে অনেক দিন ধরেই। গত মাস থেকে কাচিন রাজ্যের সঙ্গে চীনের স্থল বন্দরগুলোও বন্ধ। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে মিয়ানমার থেকে চীনে ৩১ হাজার টনের বেশি ভারী বিরল মৃত্তিকা খনিজ রপ্তানি হয়েছে। যার মূল্য ৬৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সাল থেকে মিয়ানমার থেকে চীনে বিরল মৃত্তিকা খনিজ রপ্তানি প্রতি বছরই বেড়েছে, এমনকি ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পরও। বৈশ্বিক বিরল মৃত্তিকা খনিজ সরবরাহের ৫০ শতাংশের বেশি মিয়ানমারের। গত বছর মিয়ানমারের বিরল মৃত্তিকা খনিজ শিল্পের মূল্য ছিল প্রায় ১৪০ কোটি মার্কিন ডলার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত