Ajker Patrika

নিউজিল্যান্ডে নামে ‘রাজা’ হওয়া নিষিদ্ধ

অনলাইন ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ১ হাজারের বেশি শিশুর নাম রাখা হয়েছে ‘কিং’, যার বাংলা অর্থ দাঁড়ায়—রাজা। তবে নিউজিল্যান্ডে এই নামটি রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। দেশটির নিবন্ধন জেনারেলের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ‘কিং’ নামটি আবারও সর্বোচ্চ সংখ্যকবার বাতিল করা হয়েছে। ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১৪ বছর ধরে এই নামটি নিষিদ্ধ নামের তালিকায় শীর্ষে ছিল। ২০২৩ সালে সেটিকে ছাড়িয়ে প্রথম স্থানে উঠে আসে ‘প্রিন্স’ নামটি।

নিউজিল্যান্ডের আইন অনুযায়ী—উপযুক্ত ব্যাখ্যা না থাকলে কোনো নাম অশোভন, অস্বাভাবিক দীর্ঘ, সংখ্যা বা প্রতীকযুক্ত, কিংবা কোনো সরকারি পদবি বা উপাধির মতো হলে তা অনুমোদিত হয় না। এই নিয়মের অধীনে ডিউক, ম্যাজেস্ট্রি ও অ্যাম্পেরর-এর মতো রাজকীয় উপাধিসমূহও নিষিদ্ধ।

২০২৩ সালে নিউজিল্যান্ডে প্রায় ৬০ হাজার জন্ম নিবন্ধন হলেও ৩৮টি নাম প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়ক বিভাগের প্রধান উপদেষ্টা জন ক্রফোর্ড-স্মিথ এক চিঠিতে এসব তথ্য জানান। তিনি লিখেছেন, নাম শুধুই একটি পরিচয় নয়, এটি একটি উপহার—সুতরাং তা বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে যত্নবান হওয়া উচিত।

নিউজিল্যান্ড ব্রিটিশ কমনওয়েলথের সদস্য এবং চার্লস তৃতীয়কে তাদের রাজা হিসেবে স্বীকৃতি দেয় তবে এটা জানা যায়নি যে, ‘কিং’ নামটি রাখা অভিভাবকেরা রাজাকে সম্মান জানাতে এমনটি চেয়েছিলেন কি না। সন্তানের নাম ‘কিং’ ১১ জন অভিভাবককেই ভিন্ন নাম ভাবতে বলা হয়েছে।

যেসব নাম প্রত্যাখ্যাত হয়েছে, তার বেশির ভাগই রাজকীয় অর্থবোধক। ‘প্রিন্স’ নামের ১০টি আবেদন বাতিল হয়েছে, ‘প্রিন্সেস’ নামের ৪টি আবেদনও অনুমোদন পায়নি। এ ছাড়া ‘কিংগি, কিংজ, প্রিনজ ও রয়্যারটি নামগুলোও বাদ পড়েছে—সম্ভবত উচ্চারণের ভিত্তিতে।

‘স্যাটিভা’ ও ‘ইন্ডিকা’ নাম দুটি মূলত গাঁজার দুটি প্রজাতির নাম। তাই সেগুলোও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর এক সময়ের জনপ্রিয় নাম ‘ফ্যানি’ও এখন অনুমোদন পাচ্ছে না।

নিউজিল্যান্ডই একমাত্র দেশ নয়, যেখানে এমন আইন রয়েছে। ফ্রান্সে ২০১৫ সালে একজন বিচারক একটি শিশুর নাম ‘ন্যুতেল্লা’ রাখতে দেননি। কারণ এই নামে ভবিষ্যতে অপমানিত হওয়া সম্ভাবনা আছে। সুইডেনেও ‘সুপারম্যান’ এবং ‘ম্যাটালিকা’-এর মতো নাম প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।

তবে যুক্তরাষ্ট্রে নামকরণে তুলনামূলকভাবে শিথিলতা থাকলেও সেখানেও কিছু নাম নিয়ে আইনি লড়াই হয়েছে। ২০০৮ সালে ইলিনয়ে একজন বাসচালক তাঁর নাম আইনগতভাবে ‘ইন গড উই ট্রাস্ট’ রাখতে সক্ষম হন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত