লোহিতসাগরে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিদের আক্রমণাত্মক কার্যকলাপে রাশ টানতে ইরানের সঙ্গে কথা বলেছে চীন। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কথিত, হুতিদের সবচেয়ে বড় মদদদাতা ইরান। আর তাই গোষ্ঠীটির লাগাম টেনে ধরতে ইরানকে চাপ দিয়েছে বেইজিং। ইরানের চারটি সূত্র ও একজন কূটনীতিকের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বিষয়টি জানিয়েছে।
বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক জলপথ লোহিতসাগর। কিন্তু গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরুর কয়েক দিন পর এই জলপথে ইসরায়েলগামী বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে হামলার ঘোষণা দেয় ইয়েমেনে বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতি। এমনকি তারা বেশ কয়েকটি জাহাজে হামলাও চালায়।
এরপর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি পশ্চিমা ও আরব দেশ এই জলপথে সক্রিয় নৌ-টহল শুরু করে এবং ইয়েমেনের মাটিতে হুতিদের একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে কয়েক দফা হামলাও চালায়। কিন্তু তাতেই হুতিদের আক্রমণ পুরোপুরি ঠেকানো যায়নি। গোষ্ঠীটি আরও তীব্রভাবে এই জলপথের পশ্চিমা বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে হামলার ঘোষণা দিয়েছে।
বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইরানি সূত্রগুলো জানিয়েছে, চীনের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা তাদের সমপর্যায়ের ইরানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে হুতিদের লাগাম টেনে ধরার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ইরান লাগাম টেনে ধরতে ব্যর্থ হলে চীনের সঙ্গে ইরানের বাণিজ্যও হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে বেইজিং।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, লোহিতসাগরে হুতি আক্রমণ ও ইরানের সঙ্গে চীনের বাণিজ্যের বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি বেইজিং ও তেহরানে বেশ কয়েক দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইরানের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ‘মূলত চীন (ইরানকে) বলেছে, “আমাদের স্বার্থ যদি কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে তা তেহরানের সঙ্গে আমাদের ব্যবসায়ও প্রভাব ফেলবে। তাই হুতিদের সংযম দেখাতে বলুন”।’
তবে হুতিদের লাগাম টানতে না পারলে ইরান-চীন বাণিজ্য কীভাবে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, সে বিষয়ে চীনারা কোনো মন্তব্য করেনি। ইরানি সূত্রও এ বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি। তবে ইরানের সঙ্গে চীনের বাণিজ্যের বড় একটি অংশই হলো অপরিশোধিত তেল কেনাবেচা।
বিগত কয়েক দশক ধরেই ইরানের অপরিশোধিত তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা চীন। দেশটির তেল পরিশোধনাগারগুলো গত বছর ইরানের অপরিশোধিত তেলের মোট ৯০ শতাংশই একা কিনেছে। তবে চীনের মোট জ্বালানি তেলের চাহিদার এটি মাত্র ১০ শতাংশ।
ইরানি সূত্রগুলো জানিয়েছে, বেইজিং স্পষ্ট করে বলেছে, চীনের সঙ্গে যুক্ত কোনো জাহাজে আঘাত করা হলে বা চীনের স্বার্থ কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে বেইজিং তেহরানের প্রতি খুবই হতাশ হবে। ইরানের এক কূটনীতিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, চীন ইরানের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু গাজা, লেবানন, সিরিয়া, ইরাকের বিভিন্ন গোষ্ঠী এবং ইয়েমেনের হুতিদের ওপর ইরানের নিয়ন্ত্রণ আঞ্চলিক জোট ও বিভিন্ন বিষয়ে তেহরানের ভূমিকাকে ওজনদার করে তুলেছে।
লোহিতসাগরে হুতি হামলা নিয়ে তেহরান-বেইজিং আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রয়টার্সকে বলেছে, ‘চীন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর আন্তরিক বন্ধু। এই অঞ্চলের আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা এগিয়ে নিতে এবং অভিন্ন উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে তাদের কৌশলগত স্বাধীনতা জোরদার করতে এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা সমস্যা সমাধানে একত্র করতে ও সহযোগিতার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।’ তবে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
লোহিতসাগরে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিদের আক্রমণাত্মক কার্যকলাপে রাশ টানতে ইরানের সঙ্গে কথা বলেছে চীন। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে কথিত, হুতিদের সবচেয়ে বড় মদদদাতা ইরান। আর তাই গোষ্ঠীটির লাগাম টেনে ধরতে ইরানকে চাপ দিয়েছে বেইজিং। ইরানের চারটি সূত্র ও একজন কূটনীতিকের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বিষয়টি জানিয়েছে।
বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক জলপথ লোহিতসাগর। কিন্তু গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরুর কয়েক দিন পর এই জলপথে ইসরায়েলগামী বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে হামলার ঘোষণা দেয় ইয়েমেনে বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতি। এমনকি তারা বেশ কয়েকটি জাহাজে হামলাও চালায়।
এরপর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি পশ্চিমা ও আরব দেশ এই জলপথে সক্রিয় নৌ-টহল শুরু করে এবং ইয়েমেনের মাটিতে হুতিদের একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে কয়েক দফা হামলাও চালায়। কিন্তু তাতেই হুতিদের আক্রমণ পুরোপুরি ঠেকানো যায়নি। গোষ্ঠীটি আরও তীব্রভাবে এই জলপথের পশ্চিমা বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে হামলার ঘোষণা দিয়েছে।
বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইরানি সূত্রগুলো জানিয়েছে, চীনের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা তাদের সমপর্যায়ের ইরানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে হুতিদের লাগাম টেনে ধরার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ইরান লাগাম টেনে ধরতে ব্যর্থ হলে চীনের সঙ্গে ইরানের বাণিজ্যও হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে বেইজিং।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, লোহিতসাগরে হুতি আক্রমণ ও ইরানের সঙ্গে চীনের বাণিজ্যের বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি বেইজিং ও তেহরানে বেশ কয়েক দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইরানের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ‘মূলত চীন (ইরানকে) বলেছে, “আমাদের স্বার্থ যদি কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে তা তেহরানের সঙ্গে আমাদের ব্যবসায়ও প্রভাব ফেলবে। তাই হুতিদের সংযম দেখাতে বলুন”।’
তবে হুতিদের লাগাম টানতে না পারলে ইরান-চীন বাণিজ্য কীভাবে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, সে বিষয়ে চীনারা কোনো মন্তব্য করেনি। ইরানি সূত্রও এ বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেনি। তবে ইরানের সঙ্গে চীনের বাণিজ্যের বড় একটি অংশই হলো অপরিশোধিত তেল কেনাবেচা।
বিগত কয়েক দশক ধরেই ইরানের অপরিশোধিত তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা চীন। দেশটির তেল পরিশোধনাগারগুলো গত বছর ইরানের অপরিশোধিত তেলের মোট ৯০ শতাংশই একা কিনেছে। তবে চীনের মোট জ্বালানি তেলের চাহিদার এটি মাত্র ১০ শতাংশ।
ইরানি সূত্রগুলো জানিয়েছে, বেইজিং স্পষ্ট করে বলেছে, চীনের সঙ্গে যুক্ত কোনো জাহাজে আঘাত করা হলে বা চীনের স্বার্থ কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে বেইজিং তেহরানের প্রতি খুবই হতাশ হবে। ইরানের এক কূটনীতিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, চীন ইরানের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু গাজা, লেবানন, সিরিয়া, ইরাকের বিভিন্ন গোষ্ঠী এবং ইয়েমেনের হুতিদের ওপর ইরানের নিয়ন্ত্রণ আঞ্চলিক জোট ও বিভিন্ন বিষয়ে তেহরানের ভূমিকাকে ওজনদার করে তুলেছে।
লোহিতসাগরে হুতি হামলা নিয়ে তেহরান-বেইজিং আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রয়টার্সকে বলেছে, ‘চীন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর আন্তরিক বন্ধু। এই অঞ্চলের আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা এগিয়ে নিতে এবং অভিন্ন উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে তাদের কৌশলগত স্বাধীনতা জোরদার করতে এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা সমস্যা সমাধানে একত্র করতে ও সহযোগিতার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।’ তবে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি থেকে গৃহহীন মানুষদের উচ্ছেদ করতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রতিরক্ষা বিভাগের এক কর্মকর্তার বরাতে জানা গেছে, আজ সোমবার (১১ আগস্ট) রাজধানীতে কয়েক শ ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েনের প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী।
২ ঘণ্টা আগেগত ছয় বছরে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী প্রায় ২০ শতাংশ কমে সদস্য সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৫০ হাজারে। গতকাল রোববার দেশটির ক্ষমতাসীন দলের এক এমপির প্রকাশিত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
২ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর এই ঘোষণার পরপরই ভারতে মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর পণ্য বর্জনের ডাক উঠেছে। ম্যাকডোনাল্ডস, কোকা-কোলা, আমাজন ও অ্যাপলের মতো ব্র্যান্ডগুলো এখন অনলাইন-অফলাইনে (সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম) তীব্র...
২ ঘণ্টা আগেফিলিপিনো কোস্ট গার্ডের মুখপাত্র কমোডর জে তারিয়েলা জানিয়েছেন, তাঁরা বিতর্কিত স্কারবরো শোল এলাকায় জেলেদের সহায়তা দিচ্ছিলেন। এ সময় চীনা কোস্ট গার্ড ঝুঁকিপূর্ণ কৌশল অবলম্বন করে। এর ফলে নিজেদের নৌযানের আঘাতে চীনা যুদ্ধজাহাজটির সামনের ডেকে বড়ধরনের ক্ষতি হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে