১২ মার্চ। ১৯৮৮ সালের এই দিনে নেপালের কাঠমান্ডুতে ঘটেছিল মর্মান্তিক এক ঘটনা। দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে চলছিল নেপাল–বাংলাদেশের ফুটবল ম্যাচ। ত্রিভুবন চ্যালেঞ্জ শিল্ড ফুটবল টুর্নামেন্টের ম্যাচটিতে অংশ নিয়েছিল নেপালের জনকপুর সিগারেট ফ্যাক্টরি ও বাংলাদেশি ফুটবল ক্লাব বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সংসদ ক্রীড়া চক্র। ম্যাচ দেখতে স্টেডিয়ামে প্রায় ৩০ হাজার দর্শক উপস্থিত ছিলেন।
ম্যাচ চলাকালীন হঠাৎ শুরু হয় শিলাবৃষ্টি, সঙ্গে ব্যাপক ঝোড়ো হাওয়া। স্টেডিয়ামটির পশ্চিম দিকে শুধু একটি ছাউনি ছিল, বাকি স্টেডিয়াম ছাদবিহীন। ফলে শিলাবৃষ্টি শুরু হলে সবাই ওই ছাউনির নিচে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু এত বিপুলসংখ্যক মানুষের স্থানসংকুলান না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্টেডিয়ামের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ মাঠে নামে। ছাউনির নিচে আশ্রয় নিতে যাওয়া দর্শকদের লাঠিচার্জ করে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ।
এমন পরিস্থিতিতে দর্শকেরা আতঙ্কিত হয়ে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করে। স্টেডিয়াম থেকে বের হতে হাজার হাজার মানুষ একসঙ্গে স্টেডিয়ামের গেটের দিকে দৌড়ে যায়। কিন্তু বিনা টিকিটে প্রবেশ ঠেকাতে গেট বন্ধ রাখা হয়েছিল। যে কারণে গেটের সরু গলিতে হুড়োহুড়ি লেগে যায়, পদদলিত হয়ে মৃত্যু হয় ৯৩ জনের। আহত হয় শত শত মানুষ।
মর্মান্তিক এই ঘটনায় নেপাল সরকারের অবস্থান ছিল অমানবিক। হতাহতদের পরিবারকে কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকৃতি জানায় তারা। তাদের যুক্তি ছিল—দর্শকেরা নিজের ইচ্ছায় খেলা দেখতে গেছে। সেখানে যা ঘটেছে তাতে সরকারের কোনো হাত ছিল না। তাই, সরকার কোনো দায় নেবে না।
অবশ্য পরে পদত্যাগ করেন দেশটির তৎকালীন শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রী কেশর বাহাদুর বিস্তা এবং অল নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কমল থাপা।
এ ঘটনার অল্প কিছুদিন পরই ইংল্যান্ডেও একটি ফুটবল ম্যাচে একই ধরনের ঘটনায় প্রাণ হারান ৯৬ জন মানুষ। ১৯৮৯ সালে দেশটির শেফিল্ডে লিভারপুল ও নটিংহাম ফরেস্টের ম্যাচে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে পদদলিত হয়ে মারা যান এত বিপুলসংখ্যক মানুষ।
১৯৯১ সালের ১৩ জানুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকার ফুটবল ইতিহাসে এক ভয়াবহ ঘটনা ঘটে। ওরকনি শহরের ওপেনহাইমার স্টেডিয়ামে পদদলিত হয়ে ৪২ জন প্রাণ হারান।
সেদিন একটি প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল কাইজার চিফস এবং অরল্যান্ডো পাইরেটস। কাইজার চিফসের স্ট্রাইকার ফানি মাদিদা গোল করে দলকে এগিয়ে নেওয়ার পরই সমর্থকদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। পুরো মাঠে ছড়িয়ে পড়ে সংঘাত।
আরও খবর পড়ুন:
১২ মার্চ। ১৯৮৮ সালের এই দিনে নেপালের কাঠমান্ডুতে ঘটেছিল মর্মান্তিক এক ঘটনা। দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে চলছিল নেপাল–বাংলাদেশের ফুটবল ম্যাচ। ত্রিভুবন চ্যালেঞ্জ শিল্ড ফুটবল টুর্নামেন্টের ম্যাচটিতে অংশ নিয়েছিল নেপালের জনকপুর সিগারেট ফ্যাক্টরি ও বাংলাদেশি ফুটবল ক্লাব বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সংসদ ক্রীড়া চক্র। ম্যাচ দেখতে স্টেডিয়ামে প্রায় ৩০ হাজার দর্শক উপস্থিত ছিলেন।
ম্যাচ চলাকালীন হঠাৎ শুরু হয় শিলাবৃষ্টি, সঙ্গে ব্যাপক ঝোড়ো হাওয়া। স্টেডিয়ামটির পশ্চিম দিকে শুধু একটি ছাউনি ছিল, বাকি স্টেডিয়াম ছাদবিহীন। ফলে শিলাবৃষ্টি শুরু হলে সবাই ওই ছাউনির নিচে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু এত বিপুলসংখ্যক মানুষের স্থানসংকুলান না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্টেডিয়ামের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ মাঠে নামে। ছাউনির নিচে আশ্রয় নিতে যাওয়া দর্শকদের লাঠিচার্জ করে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ।
এমন পরিস্থিতিতে দর্শকেরা আতঙ্কিত হয়ে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করে। স্টেডিয়াম থেকে বের হতে হাজার হাজার মানুষ একসঙ্গে স্টেডিয়ামের গেটের দিকে দৌড়ে যায়। কিন্তু বিনা টিকিটে প্রবেশ ঠেকাতে গেট বন্ধ রাখা হয়েছিল। যে কারণে গেটের সরু গলিতে হুড়োহুড়ি লেগে যায়, পদদলিত হয়ে মৃত্যু হয় ৯৩ জনের। আহত হয় শত শত মানুষ।
মর্মান্তিক এই ঘটনায় নেপাল সরকারের অবস্থান ছিল অমানবিক। হতাহতদের পরিবারকে কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকৃতি জানায় তারা। তাদের যুক্তি ছিল—দর্শকেরা নিজের ইচ্ছায় খেলা দেখতে গেছে। সেখানে যা ঘটেছে তাতে সরকারের কোনো হাত ছিল না। তাই, সরকার কোনো দায় নেবে না।
অবশ্য পরে পদত্যাগ করেন দেশটির তৎকালীন শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রী কেশর বাহাদুর বিস্তা এবং অল নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কমল থাপা।
এ ঘটনার অল্প কিছুদিন পরই ইংল্যান্ডেও একটি ফুটবল ম্যাচে একই ধরনের ঘটনায় প্রাণ হারান ৯৬ জন মানুষ। ১৯৮৯ সালে দেশটির শেফিল্ডে লিভারপুল ও নটিংহাম ফরেস্টের ম্যাচে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে পদদলিত হয়ে মারা যান এত বিপুলসংখ্যক মানুষ।
১৯৯১ সালের ১৩ জানুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকার ফুটবল ইতিহাসে এক ভয়াবহ ঘটনা ঘটে। ওরকনি শহরের ওপেনহাইমার স্টেডিয়ামে পদদলিত হয়ে ৪২ জন প্রাণ হারান।
সেদিন একটি প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল কাইজার চিফস এবং অরল্যান্ডো পাইরেটস। কাইজার চিফসের স্ট্রাইকার ফানি মাদিদা গোল করে দলকে এগিয়ে নেওয়ার পরই সমর্থকদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। পুরো মাঠে ছড়িয়ে পড়ে সংঘাত।
আরও খবর পড়ুন:
পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিষ্ক্রিয়তা (বিরোধী দলগুলোর দাবি) নিয়ে কংগ্রেসের একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সেই পোস্ট আবার পাকিস্তানের সাবেক এক মন্ত্রী রিশেয়ার করেছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) কংগ্রেসের তীব্র সমালোচনা করেছ
১ ঘণ্টা আগেসীমান্তে ভারতের একটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। আজ মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীরের লাইন অব কন্ট্রোলের (এলওসি) কাছে গুলি করে সেটিকে ভূপাতিত করা হয় বলে দাবি করছে তারা। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেব্রিটিশ রাজধানী লন্ডনের প্যাডিংটনে একটি বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। আগুন নেভাতে কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের অন্তত ১০০ জন কর্মী। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার কয়েক সপ্তাহ আগেই একই ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল হিথ্রো বিমানবন্দরের কাছের একটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে।
৫ ঘণ্টা আগেপুতিন কি আসলেই শান্তি চান? নাকি কেবলই লোক দেখানো?—রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে সম্প্রতি বারবারই উঠছে এই প্রশ্ন। কারণ, এখন ক্ষণস্থায়ী যুদ্ধবিরতির ঘোষণা যেন ক্রেমলিনের চালাকিতে পরিণত হয়েছে! গতকাল সোমবার পুতিন আবারও তিন দিনের যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়ার পর এ নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা।
৫ ঘণ্টা আগে