
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন আকস্মিকভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি হবে তাঁর শেষ কর্মদিবস। এমনকি আসন্ন নির্বাচনে তিনি অংশ নেবেন না বলেও জানিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টিকে নতুন নেতা খুঁজতে হবে।
আগামী রোববার লেবার পার্টিতে নতুন নেতা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যিনি নির্বাচিত হবেন, তিনি আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগে পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। আগামী ১৪ অক্টোবর নিউজিল্যান্ডে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বর্তমানে চারজন নেতার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাঁরা হলেন ক্রিস হিপকিন্স, কিরি অ্যালান, মাইকেল উড ও নানিয়া মাহুতা। এদের মধ্যে একজন প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন।
ক্রিস হিপকিন্স
ক্রিস হিপকিন্স ২০০৮ সালে প্রথম লেবার পার্টি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০২০ সালে বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি দেখা দিলে তাঁকে ওই বছরের নভেম্বরে কোভিড-১৯ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ক্রিস হিপকিন্সের নেতৃত্বে নিউজিল্যান্ড করোনা মোকাবিলায় ২০২১ সালের প্রথমার্ধ পর্যন্ত বেশ সাফল্য দেখিয়েছিল। পরে অবশ্য কঠোর লকডাউন দেওয়ার কারণে তিনি সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন।
এরপর গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে তাঁকে পুলিশ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ ছাড়া তিনি শিক্ষামন্ত্রী, জনসেবামন্ত্রী এবং সংসদনেতা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। মন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি দুজন শিক্ষামন্ত্রীর জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ছিলেন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী হেলেন ক্লার্কের কার্যালয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন।
কিরি অ্যালান
নিউজিল্যান্ডের বিচারমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন কিরি অ্যালান। ৩৯ বছর বয়সী এই নেতা প্রধানমন্ত্রী হলে তিনি হবেন নিউজিল্যান্ডের প্রথম মাওরি বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রী এবং একই সঙ্গে সমকামী প্রধানমন্ত্রী।
একসময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ও সামলেছেন কিরি অ্যালান। ২০২১ সালে তাঁর শরীরে সার্ভিকাল ক্যানসারের তৃতীয় ধাপ ধরা পড়েছিল এবং ওই একই দিনে নিউজিল্যান্ডের উপকূলে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল।
২০১৭ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন কিরি অ্যালান। তার আগে তিনি কৃষিশিল্পে একজন ব্যবস্থাপক হিসেবে চাকরি করতেন। সে সময় তিনি নিউজিল্যান্ডে নতুন জাতের কিউই ফলের উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রেখেছিলেন।
মাইকেল উড
মাইকেল উডের বয়স ৪২। তিনি ২০১৬ সালে উপনির্বাচনের সময় ভূমিধস বিজয়ের মাধ্যমে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। জেসিন্ডা আরডার্ন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে মাইকেল উডকে ২০২০ সালে পরিবহন ও কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তামন্ত্রী নিযুক্ত করেছিলেন। ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে মন্ত্রিসভা রদবদল করা হলে তাঁকে অভিবাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সংসদ সদস্য হওয়ার আগে মাইকেল উড অকল্যান্ডের সিটি কাউন্সিলে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি নিউজিল্যান্ডের ফাইন্যান্স সেক্টর ইউনিয়নেও কাজ করেছেন।
নানিয়া মাহুতা
২০২০ সালের নির্বাচনের পর নিউজিল্যান্ডের প্রথম নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছিলেন নানিয়া মাহুতা। তিনি দীর্ঘ ১৬ বছর দেশটির সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ৫২ বছর বয়সী নানিয়া মাহুতা যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যবর্তী প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা পালন করেছেন।
নানিয়া মাহুতা নিউজিল্যান্ডের প্রখ্যাত রাজনীতিক স্যার রবার্ট মাহুতার মেয়ে। জেসিন্ডা আরডার্নের পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর নানিয়া মাহুতার নাম বেশ জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে।

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন আকস্মিকভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি হবে তাঁর শেষ কর্মদিবস। এমনকি আসন্ন নির্বাচনে তিনি অংশ নেবেন না বলেও জানিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টিকে নতুন নেতা খুঁজতে হবে।
আগামী রোববার লেবার পার্টিতে নতুন নেতা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যিনি নির্বাচিত হবেন, তিনি আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগে পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। আগামী ১৪ অক্টোবর নিউজিল্যান্ডে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বর্তমানে চারজন নেতার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাঁরা হলেন ক্রিস হিপকিন্স, কিরি অ্যালান, মাইকেল উড ও নানিয়া মাহুতা। এদের মধ্যে একজন প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন।
ক্রিস হিপকিন্স
ক্রিস হিপকিন্স ২০০৮ সালে প্রথম লেবার পার্টি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০২০ সালে বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি দেখা দিলে তাঁকে ওই বছরের নভেম্বরে কোভিড-১৯ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ক্রিস হিপকিন্সের নেতৃত্বে নিউজিল্যান্ড করোনা মোকাবিলায় ২০২১ সালের প্রথমার্ধ পর্যন্ত বেশ সাফল্য দেখিয়েছিল। পরে অবশ্য কঠোর লকডাউন দেওয়ার কারণে তিনি সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন।
এরপর গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে তাঁকে পুলিশ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ ছাড়া তিনি শিক্ষামন্ত্রী, জনসেবামন্ত্রী এবং সংসদনেতা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। মন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি দুজন শিক্ষামন্ত্রীর জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ছিলেন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী হেলেন ক্লার্কের কার্যালয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন।
কিরি অ্যালান
নিউজিল্যান্ডের বিচারমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন কিরি অ্যালান। ৩৯ বছর বয়সী এই নেতা প্রধানমন্ত্রী হলে তিনি হবেন নিউজিল্যান্ডের প্রথম মাওরি বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রী এবং একই সঙ্গে সমকামী প্রধানমন্ত্রী।
একসময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ও সামলেছেন কিরি অ্যালান। ২০২১ সালে তাঁর শরীরে সার্ভিকাল ক্যানসারের তৃতীয় ধাপ ধরা পড়েছিল এবং ওই একই দিনে নিউজিল্যান্ডের উপকূলে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল।
২০১৭ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন কিরি অ্যালান। তার আগে তিনি কৃষিশিল্পে একজন ব্যবস্থাপক হিসেবে চাকরি করতেন। সে সময় তিনি নিউজিল্যান্ডে নতুন জাতের কিউই ফলের উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রেখেছিলেন।
মাইকেল উড
মাইকেল উডের বয়স ৪২। তিনি ২০১৬ সালে উপনির্বাচনের সময় ভূমিধস বিজয়ের মাধ্যমে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। জেসিন্ডা আরডার্ন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে মাইকেল উডকে ২০২০ সালে পরিবহন ও কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তামন্ত্রী নিযুক্ত করেছিলেন। ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে মন্ত্রিসভা রদবদল করা হলে তাঁকে অভিবাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সংসদ সদস্য হওয়ার আগে মাইকেল উড অকল্যান্ডের সিটি কাউন্সিলে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি নিউজিল্যান্ডের ফাইন্যান্স সেক্টর ইউনিয়নেও কাজ করেছেন।
নানিয়া মাহুতা
২০২০ সালের নির্বাচনের পর নিউজিল্যান্ডের প্রথম নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছিলেন নানিয়া মাহুতা। তিনি দীর্ঘ ১৬ বছর দেশটির সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ৫২ বছর বয়সী নানিয়া মাহুতা যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যবর্তী প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা পালন করেছেন।
নানিয়া মাহুতা নিউজিল্যান্ডের প্রখ্যাত রাজনীতিক স্যার রবার্ট মাহুতার মেয়ে। জেসিন্ডা আরডার্নের পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর নানিয়া মাহুতার নাম বেশ জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে।

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন আকস্মিকভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি হবে তাঁর শেষ কর্মদিবস। এমনকি আসন্ন নির্বাচনে তিনি অংশ নেবেন না বলেও জানিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টিকে নতুন নেতা খুঁজতে হবে।
আগামী রোববার লেবার পার্টিতে নতুন নেতা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যিনি নির্বাচিত হবেন, তিনি আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগে পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। আগামী ১৪ অক্টোবর নিউজিল্যান্ডে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বর্তমানে চারজন নেতার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাঁরা হলেন ক্রিস হিপকিন্স, কিরি অ্যালান, মাইকেল উড ও নানিয়া মাহুতা। এদের মধ্যে একজন প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন।
ক্রিস হিপকিন্স
ক্রিস হিপকিন্স ২০০৮ সালে প্রথম লেবার পার্টি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০২০ সালে বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি দেখা দিলে তাঁকে ওই বছরের নভেম্বরে কোভিড-১৯ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ক্রিস হিপকিন্সের নেতৃত্বে নিউজিল্যান্ড করোনা মোকাবিলায় ২০২১ সালের প্রথমার্ধ পর্যন্ত বেশ সাফল্য দেখিয়েছিল। পরে অবশ্য কঠোর লকডাউন দেওয়ার কারণে তিনি সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন।
এরপর গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে তাঁকে পুলিশ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ ছাড়া তিনি শিক্ষামন্ত্রী, জনসেবামন্ত্রী এবং সংসদনেতা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। মন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি দুজন শিক্ষামন্ত্রীর জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ছিলেন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী হেলেন ক্লার্কের কার্যালয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন।
কিরি অ্যালান
নিউজিল্যান্ডের বিচারমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন কিরি অ্যালান। ৩৯ বছর বয়সী এই নেতা প্রধানমন্ত্রী হলে তিনি হবেন নিউজিল্যান্ডের প্রথম মাওরি বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রী এবং একই সঙ্গে সমকামী প্রধানমন্ত্রী।
একসময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ও সামলেছেন কিরি অ্যালান। ২০২১ সালে তাঁর শরীরে সার্ভিকাল ক্যানসারের তৃতীয় ধাপ ধরা পড়েছিল এবং ওই একই দিনে নিউজিল্যান্ডের উপকূলে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল।
২০১৭ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন কিরি অ্যালান। তার আগে তিনি কৃষিশিল্পে একজন ব্যবস্থাপক হিসেবে চাকরি করতেন। সে সময় তিনি নিউজিল্যান্ডে নতুন জাতের কিউই ফলের উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রেখেছিলেন।
মাইকেল উড
মাইকেল উডের বয়স ৪২। তিনি ২০১৬ সালে উপনির্বাচনের সময় ভূমিধস বিজয়ের মাধ্যমে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। জেসিন্ডা আরডার্ন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে মাইকেল উডকে ২০২০ সালে পরিবহন ও কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তামন্ত্রী নিযুক্ত করেছিলেন। ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে মন্ত্রিসভা রদবদল করা হলে তাঁকে অভিবাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সংসদ সদস্য হওয়ার আগে মাইকেল উড অকল্যান্ডের সিটি কাউন্সিলে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি নিউজিল্যান্ডের ফাইন্যান্স সেক্টর ইউনিয়নেও কাজ করেছেন।
নানিয়া মাহুতা
২০২০ সালের নির্বাচনের পর নিউজিল্যান্ডের প্রথম নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছিলেন নানিয়া মাহুতা। তিনি দীর্ঘ ১৬ বছর দেশটির সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ৫২ বছর বয়সী নানিয়া মাহুতা যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যবর্তী প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা পালন করেছেন।
নানিয়া মাহুতা নিউজিল্যান্ডের প্রখ্যাত রাজনীতিক স্যার রবার্ট মাহুতার মেয়ে। জেসিন্ডা আরডার্নের পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর নানিয়া মাহুতার নাম বেশ জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে।

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন আকস্মিকভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি হবে তাঁর শেষ কর্মদিবস। এমনকি আসন্ন নির্বাচনে তিনি অংশ নেবেন না বলেও জানিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টিকে নতুন নেতা খুঁজতে হবে।
আগামী রোববার লেবার পার্টিতে নতুন নেতা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যিনি নির্বাচিত হবেন, তিনি আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগে পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। আগামী ১৪ অক্টোবর নিউজিল্যান্ডে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বর্তমানে চারজন নেতার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাঁরা হলেন ক্রিস হিপকিন্স, কিরি অ্যালান, মাইকেল উড ও নানিয়া মাহুতা। এদের মধ্যে একজন প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন।
ক্রিস হিপকিন্স
ক্রিস হিপকিন্স ২০০৮ সালে প্রথম লেবার পার্টি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০২০ সালে বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি দেখা দিলে তাঁকে ওই বছরের নভেম্বরে কোভিড-১৯ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ক্রিস হিপকিন্সের নেতৃত্বে নিউজিল্যান্ড করোনা মোকাবিলায় ২০২১ সালের প্রথমার্ধ পর্যন্ত বেশ সাফল্য দেখিয়েছিল। পরে অবশ্য কঠোর লকডাউন দেওয়ার কারণে তিনি সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন।
এরপর গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে তাঁকে পুলিশ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ ছাড়া তিনি শিক্ষামন্ত্রী, জনসেবামন্ত্রী এবং সংসদনেতা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। মন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি দুজন শিক্ষামন্ত্রীর জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ছিলেন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী হেলেন ক্লার্কের কার্যালয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন।
কিরি অ্যালান
নিউজিল্যান্ডের বিচারমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন কিরি অ্যালান। ৩৯ বছর বয়সী এই নেতা প্রধানমন্ত্রী হলে তিনি হবেন নিউজিল্যান্ডের প্রথম মাওরি বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রী এবং একই সঙ্গে সমকামী প্রধানমন্ত্রী।
একসময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ও সামলেছেন কিরি অ্যালান। ২০২১ সালে তাঁর শরীরে সার্ভিকাল ক্যানসারের তৃতীয় ধাপ ধরা পড়েছিল এবং ওই একই দিনে নিউজিল্যান্ডের উপকূলে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল।
২০১৭ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন কিরি অ্যালান। তার আগে তিনি কৃষিশিল্পে একজন ব্যবস্থাপক হিসেবে চাকরি করতেন। সে সময় তিনি নিউজিল্যান্ডে নতুন জাতের কিউই ফলের উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রেখেছিলেন।
মাইকেল উড
মাইকেল উডের বয়স ৪২। তিনি ২০১৬ সালে উপনির্বাচনের সময় ভূমিধস বিজয়ের মাধ্যমে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। জেসিন্ডা আরডার্ন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে মাইকেল উডকে ২০২০ সালে পরিবহন ও কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তামন্ত্রী নিযুক্ত করেছিলেন। ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে মন্ত্রিসভা রদবদল করা হলে তাঁকে অভিবাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
সংসদ সদস্য হওয়ার আগে মাইকেল উড অকল্যান্ডের সিটি কাউন্সিলে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি নিউজিল্যান্ডের ফাইন্যান্স সেক্টর ইউনিয়নেও কাজ করেছেন।
নানিয়া মাহুতা
২০২০ সালের নির্বাচনের পর নিউজিল্যান্ডের প্রথম নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছিলেন নানিয়া মাহুতা। তিনি দীর্ঘ ১৬ বছর দেশটির সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ৫২ বছর বয়সী নানিয়া মাহুতা যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যবর্তী প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা পালন করেছেন।
নানিয়া মাহুতা নিউজিল্যান্ডের প্রখ্যাত রাজনীতিক স্যার রবার্ট মাহুতার মেয়ে। জেসিন্ডা আরডার্নের পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর নানিয়া মাহুতার নাম বেশ জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে।

অরসিনিকে ফেরত পাঠানোর এক সপ্তাহ পর কংগ্রেসের এই জ্যেষ্ঠ নেতা ভারতের সরকারি মহলের লোকজনে ‘চামড়া আরেকটু মোটা’ করা অর্থাৎ সহনশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ভারতের সরকারি মহলের উচিত ‘আরও সহনশীল মন, প্রশস্ত চিন্তা ও বিশাল হৃদয়’ গড়ে তোলা।
১৯ মিনিট আগে
বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি ও হেড অব নিউজ বা বার্তা বিভাগের প্রধান ডেবোরা টারনেস পদত্যাগ করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক ভাষণ সম্পাদনা করে দর্শকদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগে বিবিসির ‘প্যানোরামা’ অনুষ্ঠান নিয়ে সমালোচনার পর তারা এই সিদ্ধান্ত নেন। ওই বক্তৃতায় ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবন
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রে উড়োজাহাজ চলাচলে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। মার্কিন সরকারে চলমান শাটডাউন বা অচলাবস্থার কারণে দেশটির বিভিন্ন এয়ারলাইনস ৩ হাজার ৩০০ টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করেছে। এক শীর্ষ কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেছেন, এভাবে চলতে থাকলে ‘বিমান চলাচল প্রায় বন্ধের পর্যায়ে নেমে আসতে পারে।’
৩ ঘণ্টা আগে
বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি ও হেড অব নিউজ বা বার্তা বিভাগের প্রধান ডেবোরা টারনেস পদত্যাগ করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক ভাষণ সম্পাদনা করে দর্শকদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগে বিবিসির ‘প্যানোরামা’ অনুষ্ঠান নিয়ে সমালোচনার পর তারা এই সিদ্ধান্ত নেন। খবর বিবিসির।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

হিন্দি ভাষার ইতালীয় গবেষক ফ্রান্সেসকা অরসিনিকে ভিসা শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে দিল্লি থেকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা শশী থারুর। অরসিনিকে ফেরত পাঠানোর এক সপ্তাহ পর কংগ্রেসের এই জ্যেষ্ঠ নেতা ভারতের সরকারি মহলের লোকজনে ‘চামড়া আরেকটু মোটা’ করা অর্থাৎ সহনশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ভারতের সরকারি মহলের উচিত ‘আরও সহনশীল মন, প্রশস্ত চিন্তা ও বিশাল হৃদয়’ গড়ে তোলা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, বিজেপির এমপি স্বপন দাশগুপ্তের এক কলামের প্রতিক্রিয়ায় এই কথা বলেন শশী থারুর। দাশগুপ্ত লিখেছিলেন, রাষ্ট্রের উচিত আইন মেনে চলা নিশ্চিত করা, তবে কোনো অধ্যাপকের গবেষণার মান যাচাই করা তার কাজ নয়। তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের সতর্ক থাকতে হবে যেন এমন ধারণা না তৈরি হয় যে দেশটি বিদেশি গবেষকদের জন্য দরজা বন্ধ করে দিয়েছে।’
স্বপন দাশগুপ্তের লেখা শেয়ার করে থারুর এক্সে লিখেছেন, ‘আমি তাঁর সঙ্গে একমত। তুচ্ছ ভিসা লঙ্ঘনের কারণে বিদেশি গবেষক ও শিক্ষাবিদদের বিমানবন্দরে অবাঞ্ছিত চিহ্ন দেখিয়ে ফেরত পাঠানো আমাদের দেশের, সংস্কৃতির ও আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তির জন্য অনেক বড় ক্ষতি করছে, যা কোনো সমালোচনামূলক একাডেমিক প্রবন্ধের চেয়ে অনেক বেশি।’ তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি ভারতের এখন দরকার মোটা চামড়া, প্রশস্ত মন আর বড় হৃদয়।’
ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজের (এসওএএস) ইমেরিটাস অধ্যাপক অরসিনিকে গত ২১ অক্টোবর দিল্লি বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হয়। হংকং থেকে ভারতে পৌঁছানোর পর তাঁকে দেশে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
সরকারি কর্মকর্তারা জানান, তিনি পর্যটক ভিসায় এসেছিলেন এবং ভিসা শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে মার্চ মাসে তাঁর নাম কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। সংবাদ সংস্থা পিটিআই এক সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, ‘বিশ্বব্যাপী প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী কেউ যদি ভিসা শর্ত ভঙ্গ করেন, তাহলে তাঁকে কালো তালিকাভুক্ত করা যায়।’
সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, বিদেশি নাগরিকদের অবশ্যই ভিসা আবেদন করার সময় যে উদ্দেশ্যে সফরের কথা উল্লেখ করেন, তা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। ইতালির নাগরিক ফ্রান্সেসকা অরসিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। পরে তিনি ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনে যোগ দেন। তিনি হিন্দি ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে বহু গবেষণা করেছেন। তার বিখ্যাত বই ‘The Hindi Public Sphere 1920–1940: Language and Literature in the Age of Nationalism’ ভারতীয় ভাষা ও জাতীয়তাবাদ নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসেবে স্বীকৃত।

হিন্দি ভাষার ইতালীয় গবেষক ফ্রান্সেসকা অরসিনিকে ভিসা শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে দিল্লি থেকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা শশী থারুর। অরসিনিকে ফেরত পাঠানোর এক সপ্তাহ পর কংগ্রেসের এই জ্যেষ্ঠ নেতা ভারতের সরকারি মহলের লোকজনে ‘চামড়া আরেকটু মোটা’ করা অর্থাৎ সহনশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ভারতের সরকারি মহলের উচিত ‘আরও সহনশীল মন, প্রশস্ত চিন্তা ও বিশাল হৃদয়’ গড়ে তোলা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, বিজেপির এমপি স্বপন দাশগুপ্তের এক কলামের প্রতিক্রিয়ায় এই কথা বলেন শশী থারুর। দাশগুপ্ত লিখেছিলেন, রাষ্ট্রের উচিত আইন মেনে চলা নিশ্চিত করা, তবে কোনো অধ্যাপকের গবেষণার মান যাচাই করা তার কাজ নয়। তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের সতর্ক থাকতে হবে যেন এমন ধারণা না তৈরি হয় যে দেশটি বিদেশি গবেষকদের জন্য দরজা বন্ধ করে দিয়েছে।’
স্বপন দাশগুপ্তের লেখা শেয়ার করে থারুর এক্সে লিখেছেন, ‘আমি তাঁর সঙ্গে একমত। তুচ্ছ ভিসা লঙ্ঘনের কারণে বিদেশি গবেষক ও শিক্ষাবিদদের বিমানবন্দরে অবাঞ্ছিত চিহ্ন দেখিয়ে ফেরত পাঠানো আমাদের দেশের, সংস্কৃতির ও আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তির জন্য অনেক বড় ক্ষতি করছে, যা কোনো সমালোচনামূলক একাডেমিক প্রবন্ধের চেয়ে অনেক বেশি।’ তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি ভারতের এখন দরকার মোটা চামড়া, প্রশস্ত মন আর বড় হৃদয়।’
ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজের (এসওএএস) ইমেরিটাস অধ্যাপক অরসিনিকে গত ২১ অক্টোবর দিল্লি বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হয়। হংকং থেকে ভারতে পৌঁছানোর পর তাঁকে দেশে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
সরকারি কর্মকর্তারা জানান, তিনি পর্যটক ভিসায় এসেছিলেন এবং ভিসা শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে মার্চ মাসে তাঁর নাম কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। সংবাদ সংস্থা পিটিআই এক সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, ‘বিশ্বব্যাপী প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী কেউ যদি ভিসা শর্ত ভঙ্গ করেন, তাহলে তাঁকে কালো তালিকাভুক্ত করা যায়।’
সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, বিদেশি নাগরিকদের অবশ্যই ভিসা আবেদন করার সময় যে উদ্দেশ্যে সফরের কথা উল্লেখ করেন, তা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। ইতালির নাগরিক ফ্রান্সেসকা অরসিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। পরে তিনি ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনে যোগ দেন। তিনি হিন্দি ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে বহু গবেষণা করেছেন। তার বিখ্যাত বই ‘The Hindi Public Sphere 1920–1940: Language and Literature in the Age of Nationalism’ ভারতীয় ভাষা ও জাতীয়তাবাদ নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসেবে স্বীকৃত।

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন আকস্মিকভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি হবে তাঁর শেষ কর্মদিবস। এমনকি আসন্ন নির্বাচনে তিনি অংশ নেবেন না বলেও জানিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টিকে নতুন নেতা খুঁজতে হবে।
১৯ জানুয়ারি ২০২৩
বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি ও হেড অব নিউজ বা বার্তা বিভাগের প্রধান ডেবোরা টারনেস পদত্যাগ করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক ভাষণ সম্পাদনা করে দর্শকদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগে বিবিসির ‘প্যানোরামা’ অনুষ্ঠান নিয়ে সমালোচনার পর তারা এই সিদ্ধান্ত নেন। ওই বক্তৃতায় ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবন
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রে উড়োজাহাজ চলাচলে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। মার্কিন সরকারে চলমান শাটডাউন বা অচলাবস্থার কারণে দেশটির বিভিন্ন এয়ারলাইনস ৩ হাজার ৩০০ টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করেছে। এক শীর্ষ কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেছেন, এভাবে চলতে থাকলে ‘বিমান চলাচল প্রায় বন্ধের পর্যায়ে নেমে আসতে পারে।’
৩ ঘণ্টা আগে
বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি ও হেড অব নিউজ বা বার্তা বিভাগের প্রধান ডেবোরা টারনেস পদত্যাগ করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক ভাষণ সম্পাদনা করে দর্শকদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগে বিবিসির ‘প্যানোরামা’ অনুষ্ঠান নিয়ে সমালোচনার পর তারা এই সিদ্ধান্ত নেন। খবর বিবিসির।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি ও হেড অব নিউজ বা বার্তা বিভাগের প্রধান ডেবোরা টারনেস পদত্যাগ করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক ভাষণ সম্পাদনা করে দর্শকদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগে বিবিসির ‘প্যানোরামা’ অনুষ্ঠান নিয়ে সমালোচনার পর তারা এই সিদ্ধান্ত নেন। ওই বক্তৃতায় ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবনে (ক্যাপিটল হিলে) দাঙ্গার আগের ঘটনা নিয়ে তৈরি বিবিসির একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্যচিত্রে দেখানো হয়েছিল।
বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি ও বিবিসি নিউজের প্রধান নির্বাহী ডেবোরা টারনেস হঠাৎই পদত্যাগ করেন। আরেক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের ফাঁস করা অভ্যন্তরীণ নথির বরাতে জানা গেছে, বিবিসির প্যানোরামা অনুষ্ঠানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাষণের দুটি অংশ কেটে একত্র করা হয়। ফলে মনে হয়, ট্রাম্প ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় উৎসাহ দিয়েছিলেন।
ডেভি গত পাঁচ বছর ধরে বিবিসির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিনি নানা বিতর্ক ও পক্ষপাতের অভিযোগের মুখে পড়েছিলেন। বিবিসির ওয়েবসাইটে দেওয়া বিবৃতিতে টিম ডেভি বলেন, ‘সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো বিবিসিও নিখুঁত নয়। আমাদের সব সময় উন্মুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক থাকতে হবে। বর্তমান বিতর্কই আমার পদত্যাগের একমাত্র কারণ নয়, তবে তা সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলেছে। বিবিসি সামগ্রিকভাবে ভালো করছে, কিন্তু কিছু ভুল হয়েছে, যার দায় আমাকে নিতেই হবে।’
গত সপ্তাহে দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ জানায়, গত গ্রীষ্মে বিবিসির সম্পাদনা মানদণ্ড কমিটির পরামর্শক মাইকেল প্রেসকট এক অভ্যন্তরীণ নোটে বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন। নোটটি থেকেই ফাঁস হয় বিতর্কিত সম্পাদনার অভিযোগ। সাবেক সাংবাদিক প্রেসকট দাবি করেন, ‘Trump: A Second Chance?’ নামের বিবিসির একটি প্রামাণ্যচিত্রে ট্রাম্পের দুটি বক্তব্য একত্রে দেখানো হয়। এই বক্তব্য দুটি প্রায় ৫০ মিনিটের ব্যবধানে দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এতে বোঝানো হয়, ট্রাম্প তাঁর সমর্থকদের সঙ্গে ক্যাপিটলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন—‘পুরোদমে লড়াই করো।’
কিন্তু আসল বক্তব্যে ট্রাম্প কেবল বলেন, ‘আমরা আমাদের সাহসী সিনেটর ও কংগ্রেস সদস্যদের উৎসাহ দিতে যাচ্ছি।’ সে সময় ট্রাম্প তখনও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্বাচনী জয়ের বিরোধিতা করছিলেন। প্রেসকট আরও অভিযোগ করেন, বিবিসি ইচ্ছাকৃতভাবে ট্রান্সজেন্ডার অধিকার নিয়ে বিতর্কিত কিছু বিষয় এড়িয়ে গেছে এবং বিবিসি অ্যারাবিক এমন এক সাংবাদিককে প্রচারের সুযোগ দিয়েছে যিনি ইহুদিবিদ্বেষী মন্তব্য করেছিলেন।
বিশ্বজুড়ে ২১ হাজার কর্মী নিয়ে বিবিসি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ পাবলিক সার্ভিস সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান। এটি মূলত যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের প্রদত্ত টিভি লাইসেন্স ফি থেকে পরিচালিত হয়, সঙ্গে কিছু বাণিজ্যিক আয়ও রয়েছে। সংবাদ থেকে শুরু করে বিনোদন—সব ধরনের বিষয়েই তাদের আন্তর্জাতিক প্রভাব রয়েছে।
টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন প্রকাশের পর হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বিবিসিকে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে অসৎ’ বলে সমালোচনা করেন। ট্রাম্পও প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, ‘দুর্নীতিগ্রস্ত সাংবাদিকরা এবার ধরা পড়েছে। তারা নির্বাচনের ফল পাল্টাতে চেয়েছিল, তারা অত্যন্ত অসৎ মানুষ।’
এদিকে, যুক্তরাজ্যের সংস্কৃতি, গণমাধ্যম ও ক্রীড়ামন্ত্রী লিসা ন্যান্ডি বলেন, এই অভিযোগগুলো ‘অত্যন্ত গুরুতর।’ বিবিসির প্যানোরামা প্রোগ্রামের ঘটনাই শুধু নয়, পুরো সংবাদ সংস্থার সম্পাদকীয় মানদণ্ড নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। তিনি বিবিসি টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এখানে একাধিক গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, যার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—বিবিসির প্রতিবেদনে হয়তো একটি পদ্ধতিগত পক্ষপাত আছে।’
ন্যান্ডি আরও বলেন, তিনি লক্ষ্য করেছেন যে—বিবিসির প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ভাষা ও মানদণ্ড অনেক সময় একরকম থাকে না—চাই সেটা ইসরায়েল-গাজা প্রসঙ্গ হোক, ট্রান্সজেন্ডার ইস্যু হোক বা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সম্পর্কিত বিষয়ই হোক।
এর আগেও এ বছর বিবিসি ‘Gaza: How To Survive A Warzone’ নামের একটি প্রামাণ্যচিত্রের ‘গুরুতর ত্রুটি’ স্বীকার করে ক্ষমা চায়। অক্টোবরে প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছ থেকে শাস্তি পায়। কারণ, তাদের আরেকটি প্রোগ্রামকে ‘গুরুতরভাবে বিভ্রান্তিকর’ বলা হয়েছিল। পরে জানা যায়, সেই প্রামাণ্যচিত্রে যে শিশুর কণ্ঠ ব্যবহার করা হয়েছিল, তা ছিল হামাসের সাবেক উপ-কৃষিমন্ত্রীর সন্তানের।

বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি ও হেড অব নিউজ বা বার্তা বিভাগের প্রধান ডেবোরা টারনেস পদত্যাগ করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক ভাষণ সম্পাদনা করে দর্শকদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগে বিবিসির ‘প্যানোরামা’ অনুষ্ঠান নিয়ে সমালোচনার পর তারা এই সিদ্ধান্ত নেন। ওই বক্তৃতায় ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবনে (ক্যাপিটল হিলে) দাঙ্গার আগের ঘটনা নিয়ে তৈরি বিবিসির একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্যচিত্রে দেখানো হয়েছিল।
বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি ও বিবিসি নিউজের প্রধান নির্বাহী ডেবোরা টারনেস হঠাৎই পদত্যাগ করেন। আরেক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের ফাঁস করা অভ্যন্তরীণ নথির বরাতে জানা গেছে, বিবিসির প্যানোরামা অনুষ্ঠানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাষণের দুটি অংশ কেটে একত্র করা হয়। ফলে মনে হয়, ট্রাম্প ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় উৎসাহ দিয়েছিলেন।
ডেভি গত পাঁচ বছর ধরে বিবিসির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিনি নানা বিতর্ক ও পক্ষপাতের অভিযোগের মুখে পড়েছিলেন। বিবিসির ওয়েবসাইটে দেওয়া বিবৃতিতে টিম ডেভি বলেন, ‘সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো বিবিসিও নিখুঁত নয়। আমাদের সব সময় উন্মুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক থাকতে হবে। বর্তমান বিতর্কই আমার পদত্যাগের একমাত্র কারণ নয়, তবে তা সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলেছে। বিবিসি সামগ্রিকভাবে ভালো করছে, কিন্তু কিছু ভুল হয়েছে, যার দায় আমাকে নিতেই হবে।’
গত সপ্তাহে দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ জানায়, গত গ্রীষ্মে বিবিসির সম্পাদনা মানদণ্ড কমিটির পরামর্শক মাইকেল প্রেসকট এক অভ্যন্তরীণ নোটে বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন। নোটটি থেকেই ফাঁস হয় বিতর্কিত সম্পাদনার অভিযোগ। সাবেক সাংবাদিক প্রেসকট দাবি করেন, ‘Trump: A Second Chance?’ নামের বিবিসির একটি প্রামাণ্যচিত্রে ট্রাম্পের দুটি বক্তব্য একত্রে দেখানো হয়। এই বক্তব্য দুটি প্রায় ৫০ মিনিটের ব্যবধানে দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এতে বোঝানো হয়, ট্রাম্প তাঁর সমর্থকদের সঙ্গে ক্যাপিটলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন—‘পুরোদমে লড়াই করো।’
কিন্তু আসল বক্তব্যে ট্রাম্প কেবল বলেন, ‘আমরা আমাদের সাহসী সিনেটর ও কংগ্রেস সদস্যদের উৎসাহ দিতে যাচ্ছি।’ সে সময় ট্রাম্প তখনও প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্বাচনী জয়ের বিরোধিতা করছিলেন। প্রেসকট আরও অভিযোগ করেন, বিবিসি ইচ্ছাকৃতভাবে ট্রান্সজেন্ডার অধিকার নিয়ে বিতর্কিত কিছু বিষয় এড়িয়ে গেছে এবং বিবিসি অ্যারাবিক এমন এক সাংবাদিককে প্রচারের সুযোগ দিয়েছে যিনি ইহুদিবিদ্বেষী মন্তব্য করেছিলেন।
বিশ্বজুড়ে ২১ হাজার কর্মী নিয়ে বিবিসি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ পাবলিক সার্ভিস সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান। এটি মূলত যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের প্রদত্ত টিভি লাইসেন্স ফি থেকে পরিচালিত হয়, সঙ্গে কিছু বাণিজ্যিক আয়ও রয়েছে। সংবাদ থেকে শুরু করে বিনোদন—সব ধরনের বিষয়েই তাদের আন্তর্জাতিক প্রভাব রয়েছে।
টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন প্রকাশের পর হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বিবিসিকে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে অসৎ’ বলে সমালোচনা করেন। ট্রাম্পও প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, ‘দুর্নীতিগ্রস্ত সাংবাদিকরা এবার ধরা পড়েছে। তারা নির্বাচনের ফল পাল্টাতে চেয়েছিল, তারা অত্যন্ত অসৎ মানুষ।’
এদিকে, যুক্তরাজ্যের সংস্কৃতি, গণমাধ্যম ও ক্রীড়ামন্ত্রী লিসা ন্যান্ডি বলেন, এই অভিযোগগুলো ‘অত্যন্ত গুরুতর।’ বিবিসির প্যানোরামা প্রোগ্রামের ঘটনাই শুধু নয়, পুরো সংবাদ সংস্থার সম্পাদকীয় মানদণ্ড নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। তিনি বিবিসি টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এখানে একাধিক গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, যার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো—বিবিসির প্রতিবেদনে হয়তো একটি পদ্ধতিগত পক্ষপাত আছে।’
ন্যান্ডি আরও বলেন, তিনি লক্ষ্য করেছেন যে—বিবিসির প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ভাষা ও মানদণ্ড অনেক সময় একরকম থাকে না—চাই সেটা ইসরায়েল-গাজা প্রসঙ্গ হোক, ট্রান্সজেন্ডার ইস্যু হোক বা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সম্পর্কিত বিষয়ই হোক।
এর আগেও এ বছর বিবিসি ‘Gaza: How To Survive A Warzone’ নামের একটি প্রামাণ্যচিত্রের ‘গুরুতর ত্রুটি’ স্বীকার করে ক্ষমা চায়। অক্টোবরে প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছ থেকে শাস্তি পায়। কারণ, তাদের আরেকটি প্রোগ্রামকে ‘গুরুতরভাবে বিভ্রান্তিকর’ বলা হয়েছিল। পরে জানা যায়, সেই প্রামাণ্যচিত্রে যে শিশুর কণ্ঠ ব্যবহার করা হয়েছিল, তা ছিল হামাসের সাবেক উপ-কৃষিমন্ত্রীর সন্তানের।

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন আকস্মিকভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি হবে তাঁর শেষ কর্মদিবস। এমনকি আসন্ন নির্বাচনে তিনি অংশ নেবেন না বলেও জানিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টিকে নতুন নেতা খুঁজতে হবে।
১৯ জানুয়ারি ২০২৩
অরসিনিকে ফেরত পাঠানোর এক সপ্তাহ পর কংগ্রেসের এই জ্যেষ্ঠ নেতা ভারতের সরকারি মহলের লোকজনে ‘চামড়া আরেকটু মোটা’ করা অর্থাৎ সহনশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ভারতের সরকারি মহলের উচিত ‘আরও সহনশীল মন, প্রশস্ত চিন্তা ও বিশাল হৃদয়’ গড়ে তোলা।
১৯ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রে উড়োজাহাজ চলাচলে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। মার্কিন সরকারে চলমান শাটডাউন বা অচলাবস্থার কারণে দেশটির বিভিন্ন এয়ারলাইনস ৩ হাজার ৩০০ টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করেছে। এক শীর্ষ কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেছেন, এভাবে চলতে থাকলে ‘বিমান চলাচল প্রায় বন্ধের পর্যায়ে নেমে আসতে পারে।’
৩ ঘণ্টা আগে
বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি ও হেড অব নিউজ বা বার্তা বিভাগের প্রধান ডেবোরা টারনেস পদত্যাগ করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক ভাষণ সম্পাদনা করে দর্শকদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগে বিবিসির ‘প্যানোরামা’ অনুষ্ঠান নিয়ে সমালোচনার পর তারা এই সিদ্ধান্ত নেন। খবর বিবিসির।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রে উড়োজাহাজ চলাচলে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। মার্কিন সরকারে চলমান শাটডাউন বা অচলাবস্থার কারণে দেশটির বিভিন্ন এয়ারলাইনস ৩ হাজার ৩০০ টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করেছে। এক শীর্ষ কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেছেন, এভাবে চলতে থাকলে ‘বিমান চলাচল প্রায় বন্ধের পর্যায়ে নেমে আসতে পারে।’
স্থানীয় সময় গতকাল রোববার এসব ফ্লাইট বাতিল করা হয়। আর ঠিক সেই সময়ই তহবিল বিল পাস নিয়ে দীর্ঘ অচলাবস্থার ৪০ তম দিনে এসে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটরা সরকার পুনরায় চালু করতে অস্থায়ী এক চুক্তিতে পৌঁছায়।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহ থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) ক্লান্তি ও অনুপস্থিত কর্মীদের কারণে ফ্লাইট সীমিত করার নির্দেশ দিয়েছিল। অনেক এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার (বিমান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা) অতিরিক্ত কাজের চাপ ও বেতন না পাওয়ায় কাজে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানান।
মোট ১৩ হাজার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারকে ‘অপরিহার্য কর্মী’ হিসেবে গণ্য করা হয়। সরকারের শাটডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে, অর্থাৎ ১ অক্টোবর থেকে তারা বিনা বেতনে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটঅ্যাওয়্যার জানায়, কেবল রোববারই যুক্তরাষ্ট্রে ৩ হাজার ৩০৪টি ফ্লাইট বাতিল হয় এবং ১০ হাজারেরও বেশি ফ্লাইট বিলম্বিত হয়। শনিবার বাতিল হয়েছিল আরও ১ হাজার ৫০০ টির বেশি ফ্লাইট, শুক্রবার প্রায় ১ হাজার ফ্লাইট বাতিল হয়েছিল।
এফএএ-এর ধাপে ধাপে ফ্লাইট কমানোর নির্দেশনা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলীয় মান সময় শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে দেশজুড়ে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট ৪ শতাংশ কমানো হয়। সোমবার থেকে তা ৬ শতাংশ, বৃহস্পতিবারে ৮ শতাংশ, আর শুক্রবারে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা আছে।
রোববার বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহনমন্ত্রী শন ডাফি সতর্ক করেন, থ্যাঙ্কসগিভিং ছুটির আগে বিমান চলাচল একেবারেই স্থবির হয়ে যেতে পারে। তিনি ফক্স নিউজকে বলেন, ‘থ্যাঙ্কসগিভিং ঘনিয়ে এলে সবাই পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে ভ্রমণে বের হবে। তখন বিমান চলাচল প্রায় থেমে যাবে।’ ডাফি আরও বলেন, ‘পরিস্থিতি ভালো হচ্ছে না। যত দিন পর্যন্ত বিমান নিয়ন্ত্রকদের বেতন দেওয়া না হয়, তত দিন এটি আরও খারাপ হবে।’
থ্যাঙ্কসগিভিং যুক্তরাষ্ট্রে বছরের সবচেয়ে ব্যস্ত ভ্রমণ মৌসুমগুলোর একটি। ২০২৪ সালে এই সময় প্রায় ৮ কোটি মানুষ ভ্রমণ করেছিলেন। শুধু ছুটির পরের রোববারেই বিমানবন্দরে প্রায় ৩১ লাখ যাত্রী চলাচল করেছিলেন, যা ছিল রেকর্ড।
এদিকে, মার্কিন সিনেটররা জানিয়েছেন—তারা সরকার পরিচালনায় অর্থায়ন পুনরায় চালু করার বিষয়ে জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে—এমন এক অন্তর্বর্তী চুক্তিতে পৌঁছেছেন। রোববার রাতে সিনেট সেই বিলের প্রাথমিক ভোটাভুটি শুরু হয়। কয়েকজন মধ্যপন্থী ডেমোক্র্যাট জানান, তারা রিপাবলিকানদের সঙ্গে ভোট দিয়ে সরকার পুনরায় চালু করার পক্ষে যাবেন।
তবে এই বিল কার্যকর করতে হলে সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদে তা পাস হতে হবে এবং পরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বাক্ষর লাগবে। তাহলেই সরকার বন্ধের অবসান ঘটবে। তবে প্রশ্ন রয়ে গেছে—সরকার পুনরায় খুললেও বিমান চলাচল দ্রুত স্বাভাবিক হবে কি না।

যুক্তরাষ্ট্রে উড়োজাহাজ চলাচলে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। মার্কিন সরকারে চলমান শাটডাউন বা অচলাবস্থার কারণে দেশটির বিভিন্ন এয়ারলাইনস ৩ হাজার ৩০০ টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করেছে। এক শীর্ষ কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেছেন, এভাবে চলতে থাকলে ‘বিমান চলাচল প্রায় বন্ধের পর্যায়ে নেমে আসতে পারে।’
স্থানীয় সময় গতকাল রোববার এসব ফ্লাইট বাতিল করা হয়। আর ঠিক সেই সময়ই তহবিল বিল পাস নিয়ে দীর্ঘ অচলাবস্থার ৪০ তম দিনে এসে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটরা সরকার পুনরায় চালু করতে অস্থায়ী এক চুক্তিতে পৌঁছায়।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহ থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) ক্লান্তি ও অনুপস্থিত কর্মীদের কারণে ফ্লাইট সীমিত করার নির্দেশ দিয়েছিল। অনেক এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার (বিমান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা) অতিরিক্ত কাজের চাপ ও বেতন না পাওয়ায় কাজে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানান।
মোট ১৩ হাজার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারকে ‘অপরিহার্য কর্মী’ হিসেবে গণ্য করা হয়। সরকারের শাটডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে, অর্থাৎ ১ অক্টোবর থেকে তারা বিনা বেতনে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটঅ্যাওয়্যার জানায়, কেবল রোববারই যুক্তরাষ্ট্রে ৩ হাজার ৩০৪টি ফ্লাইট বাতিল হয় এবং ১০ হাজারেরও বেশি ফ্লাইট বিলম্বিত হয়। শনিবার বাতিল হয়েছিল আরও ১ হাজার ৫০০ টির বেশি ফ্লাইট, শুক্রবার প্রায় ১ হাজার ফ্লাইট বাতিল হয়েছিল।
এফএএ-এর ধাপে ধাপে ফ্লাইট কমানোর নির্দেশনা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলীয় মান সময় শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে দেশজুড়ে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট ৪ শতাংশ কমানো হয়। সোমবার থেকে তা ৬ শতাংশ, বৃহস্পতিবারে ৮ শতাংশ, আর শুক্রবারে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা আছে।
রোববার বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহনমন্ত্রী শন ডাফি সতর্ক করেন, থ্যাঙ্কসগিভিং ছুটির আগে বিমান চলাচল একেবারেই স্থবির হয়ে যেতে পারে। তিনি ফক্স নিউজকে বলেন, ‘থ্যাঙ্কসগিভিং ঘনিয়ে এলে সবাই পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে ভ্রমণে বের হবে। তখন বিমান চলাচল প্রায় থেমে যাবে।’ ডাফি আরও বলেন, ‘পরিস্থিতি ভালো হচ্ছে না। যত দিন পর্যন্ত বিমান নিয়ন্ত্রকদের বেতন দেওয়া না হয়, তত দিন এটি আরও খারাপ হবে।’
থ্যাঙ্কসগিভিং যুক্তরাষ্ট্রে বছরের সবচেয়ে ব্যস্ত ভ্রমণ মৌসুমগুলোর একটি। ২০২৪ সালে এই সময় প্রায় ৮ কোটি মানুষ ভ্রমণ করেছিলেন। শুধু ছুটির পরের রোববারেই বিমানবন্দরে প্রায় ৩১ লাখ যাত্রী চলাচল করেছিলেন, যা ছিল রেকর্ড।
এদিকে, মার্কিন সিনেটররা জানিয়েছেন—তারা সরকার পরিচালনায় অর্থায়ন পুনরায় চালু করার বিষয়ে জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে—এমন এক অন্তর্বর্তী চুক্তিতে পৌঁছেছেন। রোববার রাতে সিনেট সেই বিলের প্রাথমিক ভোটাভুটি শুরু হয়। কয়েকজন মধ্যপন্থী ডেমোক্র্যাট জানান, তারা রিপাবলিকানদের সঙ্গে ভোট দিয়ে সরকার পুনরায় চালু করার পক্ষে যাবেন।
তবে এই বিল কার্যকর করতে হলে সিনেট ও প্রতিনিধি পরিষদে তা পাস হতে হবে এবং পরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বাক্ষর লাগবে। তাহলেই সরকার বন্ধের অবসান ঘটবে। তবে প্রশ্ন রয়ে গেছে—সরকার পুনরায় খুললেও বিমান চলাচল দ্রুত স্বাভাবিক হবে কি না।

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন আকস্মিকভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি হবে তাঁর শেষ কর্মদিবস। এমনকি আসন্ন নির্বাচনে তিনি অংশ নেবেন না বলেও জানিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টিকে নতুন নেতা খুঁজতে হবে।
১৯ জানুয়ারি ২০২৩
অরসিনিকে ফেরত পাঠানোর এক সপ্তাহ পর কংগ্রেসের এই জ্যেষ্ঠ নেতা ভারতের সরকারি মহলের লোকজনে ‘চামড়া আরেকটু মোটা’ করা অর্থাৎ সহনশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ভারতের সরকারি মহলের উচিত ‘আরও সহনশীল মন, প্রশস্ত চিন্তা ও বিশাল হৃদয়’ গড়ে তোলা।
১৯ মিনিট আগে
বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি ও হেড অব নিউজ বা বার্তা বিভাগের প্রধান ডেবোরা টারনেস পদত্যাগ করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক ভাষণ সম্পাদনা করে দর্শকদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগে বিবিসির ‘প্যানোরামা’ অনুষ্ঠান নিয়ে সমালোচনার পর তারা এই সিদ্ধান্ত নেন। ওই বক্তৃতায় ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবন
২ ঘণ্টা আগে
বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি ও হেড অব নিউজ বা বার্তা বিভাগের প্রধান ডেবোরা টারনেস পদত্যাগ করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক ভাষণ সম্পাদনা করে দর্শকদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগে বিবিসির ‘প্যানোরামা’ অনুষ্ঠান নিয়ে সমালোচনার পর তারা এই সিদ্ধান্ত নেন। খবর বিবিসির।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি ও হেড অব নিউজ বা বার্তা বিভাগের প্রধান ডেবোরা টারনেস পদত্যাগ করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক ভাষণ সম্পাদনা করে দর্শকদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগে বিবিসির ‘প্যানোরামা’ অনুষ্ঠান নিয়ে সমালোচনার পর তারা এই সিদ্ধান্ত নেন। খবর বিবিসির।
ডেভি গত পাঁচ বছর ধরে বিবিসির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিনি নানা বিতর্ক ও পক্ষপাতের অভিযোগের মুখে পড়েছিলেন। ব্রিটিশ আরেক সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের ফাঁস করা অভ্যন্তরীণ নথির বরাতে জানা গেছে, বিবিসির প্যানোরামা অনুষ্ঠানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাষণের দুটি অংশ কেটে একত্র করা হয়। ফলে মনে হয়, ট্রাম্প ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় উৎসাহ দিয়েছিলেন।
এই ঘটনার পর ব্রিটিশ রাজনীতিকেরা আশা প্রকাশ করেছেন, ডেভি ও টারনেসের পদত্যাগ বিবিসিতে পরিবর্তনের পথ খুলে দেবে। ট্রাম্প পদত্যাগের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। বিবিসির ইতিহাসে একই দিনে মহাপরিচালক ও বার্তা বিভাগের প্রধানের পদত্যাগের ঘটনা নজিরবিহীন।
রোববার সন্ধ্যায় পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে টিম ডেভি বলেন, ‘সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো বিবিসিও নিখুঁত নয়। আমাদের সব সময় উন্মুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক থাকতে হবে। বর্তমান বিতর্কই আমার পদত্যাগের একমাত্র কারণ নয়, তবে তা সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলেছে। বিবিসি সামগ্রিকভাবে ভালো করছে, কিন্তু কিছু ভুল হয়েছে, যার দায় আমাকে নিতেই হবে।’
ডেবোরা টারনেস রোববার রাতে এক বিবৃতিতে বলেন, প্যানোরামা বিতর্ক এমন অবস্থায় পৌঁছেছে, যা বিবিসির ক্ষতি করছে। তিনি বলেন, ‘জনগণের প্রতিষ্ঠানে নেতাদের পূর্ণ জবাবদিহি থাকতে হয়। তাই আমি সরে দাঁড়াচ্ছি। কিছু ভুল হয়েছে, তবে আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই—বিবিসি নিউজ প্রতিষ্ঠানগতভাবে পক্ষপাতদুষ্ট—এই অভিযোগ সঠিক নয়।’ টারনেস গত তিন বছর ধরে বিবিসির নিউজ ও কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
টেলিগ্রাফের প্রকাশিত নথিতে আরও বলা হয়, বিবিসি আরবির ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধসংক্রান্ত প্রতিবেদনে পক্ষপাতের অভিযোগের বিষয়ে যথেষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এতে ‘পদ্ধতিগত সমস্যা’র কথাও উল্লেখ করা হয়।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেন ‘শতভাগ ভুয়া সংবাদমাধ্যম’ ও ‘প্রচারযন্ত্র।’ সম্প্রতি সম্প্রচারে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ওঠার পর তিনি এমন মন্তব্য করেন।
নথি অনুসারে, অনুষ্ঠানটি দুইটি ভিন্ন অংশ জোড়া লাগিয়ে এমনভাবে দেখিয়েছে, যেন ট্রাম্প সমর্থকদের ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি দাঙ্গার আগে ক্যাপিটলে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন এবং তাঁদের ‘প্রাণপণে লড়তে’ বলছেন। কিন্তু ভাষণের যে অংশে ট্রাম্প সমর্থকদের ‘শান্তিপূর্ণভাবে ও দেশপ্রেমিকের মতো নিজেদের মত প্রকাশের’ আহ্বান জানিয়েছিলেন সেই অংশ বাদ দেওয়া হয়েছিল। ভাষণের এই দুই অংশ মূলত প্রায় ৫০ মিনিটের ব্যবধানে ছিল।

বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি ও হেড অব নিউজ বা বার্তা বিভাগের প্রধান ডেবোরা টারনেস পদত্যাগ করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক ভাষণ সম্পাদনা করে দর্শকদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগে বিবিসির ‘প্যানোরামা’ অনুষ্ঠান নিয়ে সমালোচনার পর তারা এই সিদ্ধান্ত নেন। খবর বিবিসির।
ডেভি গত পাঁচ বছর ধরে বিবিসির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিনি নানা বিতর্ক ও পক্ষপাতের অভিযোগের মুখে পড়েছিলেন। ব্রিটিশ আরেক সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের ফাঁস করা অভ্যন্তরীণ নথির বরাতে জানা গেছে, বিবিসির প্যানোরামা অনুষ্ঠানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাষণের দুটি অংশ কেটে একত্র করা হয়। ফলে মনে হয়, ট্রাম্প ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গায় উৎসাহ দিয়েছিলেন।
এই ঘটনার পর ব্রিটিশ রাজনীতিকেরা আশা প্রকাশ করেছেন, ডেভি ও টারনেসের পদত্যাগ বিবিসিতে পরিবর্তনের পথ খুলে দেবে। ট্রাম্প পদত্যাগের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। বিবিসির ইতিহাসে একই দিনে মহাপরিচালক ও বার্তা বিভাগের প্রধানের পদত্যাগের ঘটনা নজিরবিহীন।
রোববার সন্ধ্যায় পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে টিম ডেভি বলেন, ‘সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো বিবিসিও নিখুঁত নয়। আমাদের সব সময় উন্মুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক থাকতে হবে। বর্তমান বিতর্কই আমার পদত্যাগের একমাত্র কারণ নয়, তবে তা সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলেছে। বিবিসি সামগ্রিকভাবে ভালো করছে, কিন্তু কিছু ভুল হয়েছে, যার দায় আমাকে নিতেই হবে।’
ডেবোরা টারনেস রোববার রাতে এক বিবৃতিতে বলেন, প্যানোরামা বিতর্ক এমন অবস্থায় পৌঁছেছে, যা বিবিসির ক্ষতি করছে। তিনি বলেন, ‘জনগণের প্রতিষ্ঠানে নেতাদের পূর্ণ জবাবদিহি থাকতে হয়। তাই আমি সরে দাঁড়াচ্ছি। কিছু ভুল হয়েছে, তবে আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই—বিবিসি নিউজ প্রতিষ্ঠানগতভাবে পক্ষপাতদুষ্ট—এই অভিযোগ সঠিক নয়।’ টারনেস গত তিন বছর ধরে বিবিসির নিউজ ও কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
টেলিগ্রাফের প্রকাশিত নথিতে আরও বলা হয়, বিবিসি আরবির ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধসংক্রান্ত প্রতিবেদনে পক্ষপাতের অভিযোগের বিষয়ে যথেষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এতে ‘পদ্ধতিগত সমস্যা’র কথাও উল্লেখ করা হয়।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেন ‘শতভাগ ভুয়া সংবাদমাধ্যম’ ও ‘প্রচারযন্ত্র।’ সম্প্রতি সম্প্রচারে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ওঠার পর তিনি এমন মন্তব্য করেন।
নথি অনুসারে, অনুষ্ঠানটি দুইটি ভিন্ন অংশ জোড়া লাগিয়ে এমনভাবে দেখিয়েছে, যেন ট্রাম্প সমর্থকদের ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি দাঙ্গার আগে ক্যাপিটলে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন এবং তাঁদের ‘প্রাণপণে লড়তে’ বলছেন। কিন্তু ভাষণের যে অংশে ট্রাম্প সমর্থকদের ‘শান্তিপূর্ণভাবে ও দেশপ্রেমিকের মতো নিজেদের মত প্রকাশের’ আহ্বান জানিয়েছিলেন সেই অংশ বাদ দেওয়া হয়েছিল। ভাষণের এই দুই অংশ মূলত প্রায় ৫০ মিনিটের ব্যবধানে ছিল।

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন আকস্মিকভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি হবে তাঁর শেষ কর্মদিবস। এমনকি আসন্ন নির্বাচনে তিনি অংশ নেবেন না বলেও জানিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টিকে নতুন নেতা খুঁজতে হবে।
১৯ জানুয়ারি ২০২৩
অরসিনিকে ফেরত পাঠানোর এক সপ্তাহ পর কংগ্রেসের এই জ্যেষ্ঠ নেতা ভারতের সরকারি মহলের লোকজনে ‘চামড়া আরেকটু মোটা’ করা অর্থাৎ সহনশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ভারতের সরকারি মহলের উচিত ‘আরও সহনশীল মন, প্রশস্ত চিন্তা ও বিশাল হৃদয়’ গড়ে তোলা।
১৯ মিনিট আগে
বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি ও হেড অব নিউজ বা বার্তা বিভাগের প্রধান ডেবোরা টারনেস পদত্যাগ করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক ভাষণ সম্পাদনা করে দর্শকদের বিভ্রান্ত করার অভিযোগে বিবিসির ‘প্যানোরামা’ অনুষ্ঠান নিয়ে সমালোচনার পর তারা এই সিদ্ধান্ত নেন। ওই বক্তৃতায় ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারির যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবন
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রে উড়োজাহাজ চলাচলে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। মার্কিন সরকারে চলমান শাটডাউন বা অচলাবস্থার কারণে দেশটির বিভিন্ন এয়ারলাইনস ৩ হাজার ৩০০ টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করেছে। এক শীর্ষ কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেছেন, এভাবে চলতে থাকলে ‘বিমান চলাচল প্রায় বন্ধের পর্যায়ে নেমে আসতে পারে।’
৩ ঘণ্টা আগে