ঘরে যে ভাষায় কথা বলা হয়, সেই ভাষায় শিক্ষা পাওয়া শিশুদের বুঝে পড়ার ক্ষমতা অন্যদের চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি। ওয়ার্ল্ড ইনইকুয়ালিটি ডেটাবেইজ অন এডুকেশনের এই তথ্য তুলে ধরে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা- ইউনেসকো বলছে, প্রথম ভাষা বা মাতৃভাষায় শিক্ষা দিলে শিশুদের সামাজিক যোগাযোগের দক্ষতা যে বাড়ে তারও প্রমাণ মিলেছে।
এজন্য শিশুদের শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে মাতৃভাষাকে ভিত্তি ধরে তাঁর সঙ্গে দাপ্তরিক ভাষার সমন্বয় করে ‘বহুভাষিক শিক্ষা’র ওপর জোর দিয়েছে ইউনেসকো। বিশেষ করে আফ্রিকান দেশগুলোতে এই পদ্ধতির বিকাশে সহায়তা দিতে আন্তর্জাতিক মহলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
‘বর্ন টু লার্ন’ নামে ইউনেসকোর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়, সর্বোচ্চ ভাষাগত বৈচিত্র্য থাকলেও আফ্রিকা মহাদেশের প্রতি পাঁচ শিশুর মাত্র একজন মাতৃভাষায় শিক্ষা পায়। এভাবে চলতে থাকলে তা খুবই ক্ষতিকর হবে। কারণ, এই মহাদেশে এর মধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষার পরিস্থিতি আশাপ্রদ নয়। প্রাথমিক শিক্ষা শেষে পাঁচজনের মধ্যে মাত্র একজন পড়া, লেখা ও গণিতের মৌলিক বিষয় আয়ত্ত করতে পারে।
মোজাম্বিকের সাফল্যের কথা তুলে ধরে ইউনেসকো বলছে, দেশটি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ২৫ শতাংশ স্কুলে দুই ভাষায় সমন্বিত শিক্ষা দিচ্ছে। প্রাথমিকের পড়াশোনা ও গণিত শেখায় এসব স্কুলপড়ুয়া শিশুদের সক্ষমতা প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি। এই সাফল্য পুরো মহাদেশে ছড়াতে আন্তর্জাতিক মহলকে অবশ্যই বাড়তি বিনিয়োগ ও অর্থায়ন করতে হবে।
বহুভাষায় শিক্ষা নিয়ে জাতিসংঘের সংস্থাটি বলছে, সংখ্যালঘু ও আদিবাসীদের ভাষাকে সমান গুরুত্ব দিলে বহু ভাষায় শিক্ষা প্রসারিত হবে। এর ফলে শিক্ষা ও সৃজনশীলতাকে কেন্দ্র করে মানসম্মত শিক্ষাপদ্ধতি গড়ে ওঠবে। মাতৃভাষাকে বাদ দিয়ে নয়, বরং তাকে সঙ্গে নিয়ে শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের দিকে জোর দিতে বলছে ইউনেসকো। বহুভাষিক শিক্ষার মধ্য দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যে নতুন মাত্রার যোগাযোগ গড়ে উঠতে পারে বলেও মনে করে সংস্থাটি।
মাতৃভাষা দিবস সামনে রেখে ইউনেসকো বিশ্বকে আদিবাসী ভাষা সংরক্ষণের গুরুত্বের কথাও মনে করিয়ে দিচ্ছে। বিশ্বজুড়ে উচ্চারিত ৬ হাজার ৭০০টিরও বেশি ভাষার মধ্যে অন্তত ৪০ শতাংশ দীর্ঘমেয়াদে বিলুপ্তির হুমকিতে রয়েছে কেবল কথা বলার মানুষের অভাবে।
ইউনেসকোর নেতৃত্বে ২০২২-২০৩২ আদিবাসী ভাষা দশকে দশ বছরের কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে, যা আদিবাসী ভাষাগুলোর সুরক্ষা এবং সংরক্ষণ, পুনরুজ্জীবন এবং উদ্যাপনের জরুরি প্রয়োজনের প্রতি বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে কাজ করবে।
২১ ফেব্রুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর উদযাপনের স্বীকৃতি পায় ১৯৯৯ সালে। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদদের সর্বোচ্চ ত্যাগের প্রতি বিশ্ব সম্প্রদায়ের আনুষ্ঠানিক সম্মান প্রদর্শন হিসেবেই এই স্বীকৃতি।
ঘরে যে ভাষায় কথা বলা হয়, সেই ভাষায় শিক্ষা পাওয়া শিশুদের বুঝে পড়ার ক্ষমতা অন্যদের চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি। ওয়ার্ল্ড ইনইকুয়ালিটি ডেটাবেইজ অন এডুকেশনের এই তথ্য তুলে ধরে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা- ইউনেসকো বলছে, প্রথম ভাষা বা মাতৃভাষায় শিক্ষা দিলে শিশুদের সামাজিক যোগাযোগের দক্ষতা যে বাড়ে তারও প্রমাণ মিলেছে।
এজন্য শিশুদের শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে মাতৃভাষাকে ভিত্তি ধরে তাঁর সঙ্গে দাপ্তরিক ভাষার সমন্বয় করে ‘বহুভাষিক শিক্ষা’র ওপর জোর দিয়েছে ইউনেসকো। বিশেষ করে আফ্রিকান দেশগুলোতে এই পদ্ধতির বিকাশে সহায়তা দিতে আন্তর্জাতিক মহলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
‘বর্ন টু লার্ন’ নামে ইউনেসকোর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়, সর্বোচ্চ ভাষাগত বৈচিত্র্য থাকলেও আফ্রিকা মহাদেশের প্রতি পাঁচ শিশুর মাত্র একজন মাতৃভাষায় শিক্ষা পায়। এভাবে চলতে থাকলে তা খুবই ক্ষতিকর হবে। কারণ, এই মহাদেশে এর মধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষার পরিস্থিতি আশাপ্রদ নয়। প্রাথমিক শিক্ষা শেষে পাঁচজনের মধ্যে মাত্র একজন পড়া, লেখা ও গণিতের মৌলিক বিষয় আয়ত্ত করতে পারে।
মোজাম্বিকের সাফল্যের কথা তুলে ধরে ইউনেসকো বলছে, দেশটি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ২৫ শতাংশ স্কুলে দুই ভাষায় সমন্বিত শিক্ষা দিচ্ছে। প্রাথমিকের পড়াশোনা ও গণিত শেখায় এসব স্কুলপড়ুয়া শিশুদের সক্ষমতা প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি। এই সাফল্য পুরো মহাদেশে ছড়াতে আন্তর্জাতিক মহলকে অবশ্যই বাড়তি বিনিয়োগ ও অর্থায়ন করতে হবে।
বহুভাষায় শিক্ষা নিয়ে জাতিসংঘের সংস্থাটি বলছে, সংখ্যালঘু ও আদিবাসীদের ভাষাকে সমান গুরুত্ব দিলে বহু ভাষায় শিক্ষা প্রসারিত হবে। এর ফলে শিক্ষা ও সৃজনশীলতাকে কেন্দ্র করে মানসম্মত শিক্ষাপদ্ধতি গড়ে ওঠবে। মাতৃভাষাকে বাদ দিয়ে নয়, বরং তাকে সঙ্গে নিয়ে শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের দিকে জোর দিতে বলছে ইউনেসকো। বহুভাষিক শিক্ষার মধ্য দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যে নতুন মাত্রার যোগাযোগ গড়ে উঠতে পারে বলেও মনে করে সংস্থাটি।
মাতৃভাষা দিবস সামনে রেখে ইউনেসকো বিশ্বকে আদিবাসী ভাষা সংরক্ষণের গুরুত্বের কথাও মনে করিয়ে দিচ্ছে। বিশ্বজুড়ে উচ্চারিত ৬ হাজার ৭০০টিরও বেশি ভাষার মধ্যে অন্তত ৪০ শতাংশ দীর্ঘমেয়াদে বিলুপ্তির হুমকিতে রয়েছে কেবল কথা বলার মানুষের অভাবে।
ইউনেসকোর নেতৃত্বে ২০২২-২০৩২ আদিবাসী ভাষা দশকে দশ বছরের কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে, যা আদিবাসী ভাষাগুলোর সুরক্ষা এবং সংরক্ষণ, পুনরুজ্জীবন এবং উদ্যাপনের জরুরি প্রয়োজনের প্রতি বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে কাজ করবে।
২১ ফেব্রুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর উদযাপনের স্বীকৃতি পায় ১৯৯৯ সালে। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদদের সর্বোচ্চ ত্যাগের প্রতি বিশ্ব সম্প্রদায়ের আনুষ্ঠানিক সম্মান প্রদর্শন হিসেবেই এই স্বীকৃতি।
সব জল্পনা-কল্পনা উড়িয়ে দিয়ে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে জড়ালই যুক্তরাষ্ট্র। আজ রোববার, মধ্যপ্রাচ্যের স্থানীয় সময় ভোরে ইরানের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্র— ফোরদো, নাতানজ ও ইস্পাহানে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই স্থাপনাগুলোতে গত শুক্রবার ইসরায়েলও হামলা চালিয়েছিল।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রকে কেন ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে জড়ানো হলো, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে তার কৈফিয়ত চেয়েছেন ডেমোক্র্যাট সিনেটর চাক শুমার। কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া তিনি কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার স্পষ্ট জবাব জানতে চেয়েছেন ওই ডেমোক্র্যাট নেতা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগেই ইরানের ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা থেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নিয়েছে ইরান। স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকেরা। পাহাড়ের ভেতরে গড়ে ওঠা এই গোপন ও কড়া নিরাপত্তাবেষ্টিত পরমাণু জ্বালানি সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের একাধিক প্রবেশপথে মাটি জমে থাকতে দেখা
৪ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে ইরানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলার ঘোষণা দেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি বিশ্বজুড়ে অচল হয়ে পড়ে। স্থানীয় সময় শনিবার রাত ৮টার দিকে এই বিভ্রাট শুরু হয়, যা চলে অনেকক্ষণ। তবে এখন আবার স্বাভাবিকভাবে চলছে প্ল্যাটফর্মটি।
৪ ঘণ্টা আগে