যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত শীর্ষ বিলিয়নিয়ার জয় চৌধুরী। ২০১৮ সালে ৩৪০ কোটি ডলার থেকে ২০২১ সালে তার সম্পদ বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ২০০ কোটি ডলারে। ফোর্বস জানিয়েছে, ২০২২ সালে স্টক মার্কেটের বিপর্যয়ের কারণে তাঁর মোট সম্পদ ৮৩০ কোটি ডলারে নেমে গিয়েছিল।
ফোর্বস এ রকম বেশ কয়েকজন মার্কিন ধনকুবেরের তালিকা প্রকাশ করেছে, যাঁরা ভারতীয় বংশোদ্ভূত। এখানে দেওয়া হলো শীর্ষ ১০ ধনকুবেরের পরিচিতি।
১. জয় চৌধুরী (মোট সম্পদ ১১৩০ কোটি ডলার)
জেডস্ক্যালারের সিইও জয় চৌধুরী হিমাচল প্রদেশের ছোট শহর পানোহতে জন্ম গ্রহণ করেন। যুক্তরাষ্ট্রে তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের মধ্যে শীর্ষ ধনকুবের। হিমালয়ের প্রত্যন্ত শহর থেকে ওয়াল স্ট্রিটে তাঁর উত্থান একটি প্রেরণামূলক গল্প। চৌধুরী সান ফ্রান্সিসকো বে এরিয়ার সাইবার সিকিউরিটি শিল্পের অন্যতম সফল ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যবসায়ী।
আইবিএমের মতো কোম্পানিতে বিক্রয় এবং বিপণনের ভূমিকায় সংক্ষিপ্ত কর্মজীবনের পর তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার সান জোসেতে সাইবার ঝুঁকির সম্মুখীন ব্যবসাগুলোর জন্য একটি ভার্চুয়াল নিরাপত্তা চেকপয়েন্ট জেডস্ক্যালার প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি সিনসিনাটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক। তাঁর দাবি, তাঁর সাফল্যের পেছনে অর্থের প্রতি মোহ খুব একটা কাজ করেনি।
২. বিনোদ খোসলা (মোট সম্পদ ৬৭০ কোটি ডলার)
বিনোদ খোসলার মোট সম্পদ ২০২০ সালে ২৩০ কোটি ডলার থেকে বেড়ে ২০২২ সালে হয়েছে ৫৩০ কোটি ডলার। ফোর্বস অনুসারে, সান মাইক্রোসিস্টেমের সাবেক এই সহপ্রতিষ্ঠাতা বর্তমানে দ্বিতীয় শীর্ষ ভারতীয় আমেরিকান ধনকুবের। নয়াদিল্লির মাউন্ট সেন্ট মেরি স্কুল থেকে স্নাতক হওয়ার পর কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্ট্যানফোর্ড গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব বিজনেসে ভর্তির আগে তিনি আইআইটি দিল্লিতে পড়াশোনা করেছেন।
৩. রাকেশ গাংওয়াল (মোট সম্পদ ৫৩০ কোটি ডলার)
রাকেশ গাংওয়ালের জন্ম কলকাতায়। এখন তিনি ফ্লোরিডার মিয়ামিতে বাস করেন। গাংওয়ালের মোট সম্পত্তি ৪০০ কোটি ডলারেরও বেশি। ভারতের বৃহত্তম কম খরচের এয়ারলাইন ইন্ডিগোর সহপ্রতিষ্ঠাতা। মহামারির কারণে বিমান শিল্পে লোকসান দেখা দিলে গাংওয়ালের সম্পদের পরিমাণেও তার প্রভাব পড়েছিল।
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে আইআইএম লক্ষ্ণৌয়ের এই প্রাক্তন ছাত্র পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়ার্টন স্কুলে এমবিএ পড়েছেন। ১৯৮৪ সালে ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের জন্য কৌশলগত পরিকল্পনার কাজ করার পর ইউএস এয়ারওয়েজ গ্রুপের চেয়ারম্যান হন তিনি। অভ্যন্তরীণ বাজার শেয়ারের ওপর ভিত্তি করে, ইন্ডিগো এখন ভারতের বৃহত্তম কম খরচের এয়ারলাইনস।
৪. রমেশ টি ওয়াধওয়ানি (মোট সম্পদ ৫১০ কোটি ডলার)
১৯৪৭ সালের দেশভাগের সময় রমেশ টি ওয়াধওয়ানির পরিবার পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে আসে। আজ ওয়াধওয়ানি আমেরিকার সবচেয়ে ধনী গুজরাটি। সিম্ফনি টেকনোলজি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও ওয়াধওয়ানি একজন স্বনির্মিত উদ্যোক্তা। ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ওয়াধওয়ানি ফোর্বসের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত তৃতীয় শীর্ষ ধনকুবের। তাঁর মোট সম্পদ ২০২০ সালে ৩.৪ বিলিয়ন থেকে ৫.১ বিলিয়ন হয়েছে। ২০২০ সালে ৩৪০ কোটি ডলার থেকে ২০২২ সালে তাঁর সম্পদ বেড়ে দাঁড়ায় ৫১০ কোটি ডলারে।
ওয়াধওয়ানি একজন জনহিতৈষী হিসেবে পরিচিত। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে আইআইটি বম্বের এই প্রাক্তন ছাত্র কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি ভারতের মতো দেশে আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য জাতীয় উদ্যোক্তা নেটওয়ার্কসহ বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নিয়ে ওয়াধওয়ানি ফাউন্ডেশন স্থাপন করেছেন।
৫. জয়শ্রী উল্লাল (মোট সম্পদ ৩৪০ কোটি ডলার)
জয়শ্রী উল্লাল ফোর্বস বিলিয়নিয়ার ক্লাবে ভারতীয় বংশোদ্ভূত একমাত্র নারী। কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং কোম্পানি আরিস্তা নেটওয়ার্কের প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। জয়শ্রীর বাবা সুদারঞ্জন বেদান্থম একজন পদার্থবিজ্ঞানী।
জয়শ্রী তাঁর জীবনের প্রথম দিকে পাঁচ বছর লন্ডনে কাটিয়েছেন এবং পরে ভারতে স্থানান্তরিত হন। নয়াদিল্লির কভেন্ট অব জেসাস অ্যান্ড ম্যারি স্কুলে পড়াশোনা করেছেন তিনি। ১৬ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে সান ফ্রান্সিসকো স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে বৈদ্যুতিক প্রকৌশল ডিগ্রি অর্জন করেন। সিসকো সিস্টেমস ক্রেসেন্ডো কমিউনিকেশনসকে অধিগ্রহণ করার পর জয়শ্রীকে ডেটা সেন্টার অ্যান্ড সুইচিংয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে উন্নীত করে।
৬. অনিল ভুসরি (মোট সম্পদ ৩১০ কোটি ডলার)
ওয়ার্কডে ইনকরপোরশনের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও অনিল ভুসরি ভারতীয় বংশোদ্ভূত একজন শীর্ষ ধনকুবের। তিনি ব্রাউন ইউনিভার্সিটি থেকে বৈদ্যুতিক প্রকৌশলে বিজ্ঞানের স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর স্ট্যানফোর্ড গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব বিজনেস থেকে এমবিএ করেছেন। স্ট্যানফোর্ড থেকে এমবিএ করার পর মরগান স্ট্যানলিতে করপোরেট ফিন্যান্স অ্যানালিস্ট হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি।
অনিল ভুসরি ইন্টেলের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য। এ ছাড়া তিনি গ্রেলকের অংশীদার হিসেবে ফেসবুক, এয়ারবিএনবির মতো সুপরিচিত ব্র্যান্ডে বিনিয়োগ করেছে। ২০১৮ সালে ১৮৫ কোটি ডলার থেকে ২০২০ সালে সম্পদ বেড়ে দাঁড়ায় ২৩০ কোটি ডলার। তিনি বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকোতে অবস্থান করছেন।
৭. নিরাজ শাহ (মোট সম্পদ ২৮০ কোটি ডলার)
ভারতীয় অভিবাসী মা-বাবার সন্তান শাহ। তিনি ১৯৯৫ সালে কর্নেল ইউনিভার্সিটি থেকে প্রকৌশলে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন এবং বর্তমানে মার্কিন ই-কমার্স কোম্পানি ওয়েলফেয়ারের সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০২ সালে তিনি সহপ্রতিষ্ঠিত গৃহস্থালি জিনিসপত্র অনলাইনে লেনদেন করা প্রতিষ্ঠানটির সহপ্রতিষ্ঠাতা নিরাজ শাহ। তাঁর দাদা ভারতে স্টিল ম্যানুফ্যাকচারিং ব্যবসা করতেন। বোস্টনে বাস করেন নিরাজ শাহ।
জিল শাহকে বিয়ে করেছেন নিরাজ। তাঁদের দুটি সন্তান আছে। নিরাজ শাহ ২০১৭ সালে জিলের সঙ্গে শাহ ফ্যামিলি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। এই ফাউন্ডেশন শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবাবিষয়ক কার্যক্রম পরিচালনা করে। (ফোর্বসের ২০২৩ সালের তথ্য অনুযায়ী)
৮. কবিতার্ক রাম শ্রীরাম (মোট সম্পদ ২৭০ কোটি ডলার)
ভারতের চেন্নাইতে জন্মগ্রহণকারী কবিতার্ক রাম শ্রীরাম ক্যালিফোর্নিয়ায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অন্যতম। তাঁর মোট সম্পদের মূল্য ২৩০ কোটি ডলার। গুগলের মূল বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তিনি একজন। কবিতার্ক চেন্নাইয়ের লয়োলা কলেজ থেকে গণিতে ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
গুগলে আড়াই লাখ ডলার বিনিয়োগের আগে তিনি আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা, সিইও এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি জেফ বেজোসের সঙ্গে কাজ করেছেন। ২০০০ সালে প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের জন্য একটি ভেঞ্চার ফাইনান্সিং কোম্পানি হিসেবে শেরপালো প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।
৯. ব্রায়ান শেঠ (মোট সম্পদ ২৩০ কোটি ডলার)
টেক্সাসভিত্তিক প্রাইভেট ইকুইটি ফার্ম ভিস্তা ইকুইটি পার্টনারের প্রেসিডেন্ট এবং সাবেক সিইও ব্রায়ান এন শেঠ। তাঁর বাবা ছিলেন ভারত থেকে আসা একজন অভিবাসী এবং মা ছিলেন আইরিশ-ক্যাথলিক। মা একজন বিমা বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করতেন।
ফোর্বসের ২০১৯ সালের ৪০০ ধনী আমেরিকানদের তালিকায় তিনি সর্বকনিষ্ঠ ভারতীয় আমেরিকান ধনকুবের। তিনি একজন সংরক্ষণবাদী এবং পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়ার্টন স্কুলের স্নাতক। শেঠ পরিবেশ ও প্রাণী রক্ষায় নিবেদিত দল গ্লোবাল ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশনের সহসভাপতি। নিজের ব্যবসা শুরু করার আগে শেঠ বেইন ক্যাপিটাল, ডয়েচে মরগান গ্রেনফেল এবং গোল্ডম্যান শ্যাক্সের বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
১০. ভরত দেসাই (১৬০ কোটি ডলার)
ভরত দেসাই কেনিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ভারতের আহমেদাবাদে বেড়ে ওঠেন। তিনি আইআইটি বোম্বে থেকে বৈদ্যুতিক প্রকৌশল ডিগ্রি অর্জন করেন এবং মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিফেন এম রস স্কুল অব বিজনেস থেকে ফাইনান্সে এমবিএ সম্পন্ন করেন। তিনি সিনটেলের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং ২০১৮ সালে ১০তম ধনী ভারতীয় আমেরিকান ধনকুবের হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
দেসাই দুই হাজার ডলার দিয়ে সিন্টেল শুরু করেন এবং শুরুতে তার মিশিগানের অ্যাপার্টমেন্ট থেকেই কাজ চালান। তিনি এখন ফ্লোরিডায় অবস্থান করছেন। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি জন এফ কেনেডি স্কুল অব গভর্নমেন্টসহ বেশ কয়েকটি সংস্থার বোর্ডের পদে আছেন তিনি।
সূত্র: ফোর্বস, এপ্রিল ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত শীর্ষ বিলিয়নিয়ার জয় চৌধুরী। ২০১৮ সালে ৩৪০ কোটি ডলার থেকে ২০২১ সালে তার সম্পদ বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ২০০ কোটি ডলারে। ফোর্বস জানিয়েছে, ২০২২ সালে স্টক মার্কেটের বিপর্যয়ের কারণে তাঁর মোট সম্পদ ৮৩০ কোটি ডলারে নেমে গিয়েছিল।
ফোর্বস এ রকম বেশ কয়েকজন মার্কিন ধনকুবেরের তালিকা প্রকাশ করেছে, যাঁরা ভারতীয় বংশোদ্ভূত। এখানে দেওয়া হলো শীর্ষ ১০ ধনকুবেরের পরিচিতি।
১. জয় চৌধুরী (মোট সম্পদ ১১৩০ কোটি ডলার)
জেডস্ক্যালারের সিইও জয় চৌধুরী হিমাচল প্রদেশের ছোট শহর পানোহতে জন্ম গ্রহণ করেন। যুক্তরাষ্ট্রে তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের মধ্যে শীর্ষ ধনকুবের। হিমালয়ের প্রত্যন্ত শহর থেকে ওয়াল স্ট্রিটে তাঁর উত্থান একটি প্রেরণামূলক গল্প। চৌধুরী সান ফ্রান্সিসকো বে এরিয়ার সাইবার সিকিউরিটি শিল্পের অন্যতম সফল ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যবসায়ী।
আইবিএমের মতো কোম্পানিতে বিক্রয় এবং বিপণনের ভূমিকায় সংক্ষিপ্ত কর্মজীবনের পর তিনি ক্যালিফোর্নিয়ার সান জোসেতে সাইবার ঝুঁকির সম্মুখীন ব্যবসাগুলোর জন্য একটি ভার্চুয়াল নিরাপত্তা চেকপয়েন্ট জেডস্ক্যালার প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি সিনসিনাটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক। তাঁর দাবি, তাঁর সাফল্যের পেছনে অর্থের প্রতি মোহ খুব একটা কাজ করেনি।
২. বিনোদ খোসলা (মোট সম্পদ ৬৭০ কোটি ডলার)
বিনোদ খোসলার মোট সম্পদ ২০২০ সালে ২৩০ কোটি ডলার থেকে বেড়ে ২০২২ সালে হয়েছে ৫৩০ কোটি ডলার। ফোর্বস অনুসারে, সান মাইক্রোসিস্টেমের সাবেক এই সহপ্রতিষ্ঠাতা বর্তমানে দ্বিতীয় শীর্ষ ভারতীয় আমেরিকান ধনকুবের। নয়াদিল্লির মাউন্ট সেন্ট মেরি স্কুল থেকে স্নাতক হওয়ার পর কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্ট্যানফোর্ড গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব বিজনেসে ভর্তির আগে তিনি আইআইটি দিল্লিতে পড়াশোনা করেছেন।
৩. রাকেশ গাংওয়াল (মোট সম্পদ ৫৩০ কোটি ডলার)
রাকেশ গাংওয়ালের জন্ম কলকাতায়। এখন তিনি ফ্লোরিডার মিয়ামিতে বাস করেন। গাংওয়ালের মোট সম্পত্তি ৪০০ কোটি ডলারেরও বেশি। ভারতের বৃহত্তম কম খরচের এয়ারলাইন ইন্ডিগোর সহপ্রতিষ্ঠাতা। মহামারির কারণে বিমান শিল্পে লোকসান দেখা দিলে গাংওয়ালের সম্পদের পরিমাণেও তার প্রভাব পড়েছিল।
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে আইআইএম লক্ষ্ণৌয়ের এই প্রাক্তন ছাত্র পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়ার্টন স্কুলে এমবিএ পড়েছেন। ১৯৮৪ সালে ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের জন্য কৌশলগত পরিকল্পনার কাজ করার পর ইউএস এয়ারওয়েজ গ্রুপের চেয়ারম্যান হন তিনি। অভ্যন্তরীণ বাজার শেয়ারের ওপর ভিত্তি করে, ইন্ডিগো এখন ভারতের বৃহত্তম কম খরচের এয়ারলাইনস।
৪. রমেশ টি ওয়াধওয়ানি (মোট সম্পদ ৫১০ কোটি ডলার)
১৯৪৭ সালের দেশভাগের সময় রমেশ টি ওয়াধওয়ানির পরিবার পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে আসে। আজ ওয়াধওয়ানি আমেরিকার সবচেয়ে ধনী গুজরাটি। সিম্ফনি টেকনোলজি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও ওয়াধওয়ানি একজন স্বনির্মিত উদ্যোক্তা। ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ওয়াধওয়ানি ফোর্বসের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় বংশোদ্ভূত তৃতীয় শীর্ষ ধনকুবের। তাঁর মোট সম্পদ ২০২০ সালে ৩.৪ বিলিয়ন থেকে ৫.১ বিলিয়ন হয়েছে। ২০২০ সালে ৩৪০ কোটি ডলার থেকে ২০২২ সালে তাঁর সম্পদ বেড়ে দাঁড়ায় ৫১০ কোটি ডলারে।
ওয়াধওয়ানি একজন জনহিতৈষী হিসেবে পরিচিত। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে আইআইটি বম্বের এই প্রাক্তন ছাত্র কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি ভারতের মতো দেশে আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য জাতীয় উদ্যোক্তা নেটওয়ার্কসহ বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নিয়ে ওয়াধওয়ানি ফাউন্ডেশন স্থাপন করেছেন।
৫. জয়শ্রী উল্লাল (মোট সম্পদ ৩৪০ কোটি ডলার)
জয়শ্রী উল্লাল ফোর্বস বিলিয়নিয়ার ক্লাবে ভারতীয় বংশোদ্ভূত একমাত্র নারী। কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং কোম্পানি আরিস্তা নেটওয়ার্কের প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। জয়শ্রীর বাবা সুদারঞ্জন বেদান্থম একজন পদার্থবিজ্ঞানী।
জয়শ্রী তাঁর জীবনের প্রথম দিকে পাঁচ বছর লন্ডনে কাটিয়েছেন এবং পরে ভারতে স্থানান্তরিত হন। নয়াদিল্লির কভেন্ট অব জেসাস অ্যান্ড ম্যারি স্কুলে পড়াশোনা করেছেন তিনি। ১৬ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে সান ফ্রান্সিসকো স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে বৈদ্যুতিক প্রকৌশল ডিগ্রি অর্জন করেন। সিসকো সিস্টেমস ক্রেসেন্ডো কমিউনিকেশনসকে অধিগ্রহণ করার পর জয়শ্রীকে ডেটা সেন্টার অ্যান্ড সুইচিংয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে উন্নীত করে।
৬. অনিল ভুসরি (মোট সম্পদ ৩১০ কোটি ডলার)
ওয়ার্কডে ইনকরপোরশনের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও অনিল ভুসরি ভারতীয় বংশোদ্ভূত একজন শীর্ষ ধনকুবের। তিনি ব্রাউন ইউনিভার্সিটি থেকে বৈদ্যুতিক প্রকৌশলে বিজ্ঞানের স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর স্ট্যানফোর্ড গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব বিজনেস থেকে এমবিএ করেছেন। স্ট্যানফোর্ড থেকে এমবিএ করার পর মরগান স্ট্যানলিতে করপোরেট ফিন্যান্স অ্যানালিস্ট হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি।
অনিল ভুসরি ইন্টেলের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য। এ ছাড়া তিনি গ্রেলকের অংশীদার হিসেবে ফেসবুক, এয়ারবিএনবির মতো সুপরিচিত ব্র্যান্ডে বিনিয়োগ করেছে। ২০১৮ সালে ১৮৫ কোটি ডলার থেকে ২০২০ সালে সম্পদ বেড়ে দাঁড়ায় ২৩০ কোটি ডলার। তিনি বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকোতে অবস্থান করছেন।
৭. নিরাজ শাহ (মোট সম্পদ ২৮০ কোটি ডলার)
ভারতীয় অভিবাসী মা-বাবার সন্তান শাহ। তিনি ১৯৯৫ সালে কর্নেল ইউনিভার্সিটি থেকে প্রকৌশলে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন এবং বর্তমানে মার্কিন ই-কমার্স কোম্পানি ওয়েলফেয়ারের সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০২ সালে তিনি সহপ্রতিষ্ঠিত গৃহস্থালি জিনিসপত্র অনলাইনে লেনদেন করা প্রতিষ্ঠানটির সহপ্রতিষ্ঠাতা নিরাজ শাহ। তাঁর দাদা ভারতে স্টিল ম্যানুফ্যাকচারিং ব্যবসা করতেন। বোস্টনে বাস করেন নিরাজ শাহ।
জিল শাহকে বিয়ে করেছেন নিরাজ। তাঁদের দুটি সন্তান আছে। নিরাজ শাহ ২০১৭ সালে জিলের সঙ্গে শাহ ফ্যামিলি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। এই ফাউন্ডেশন শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবাবিষয়ক কার্যক্রম পরিচালনা করে। (ফোর্বসের ২০২৩ সালের তথ্য অনুযায়ী)
৮. কবিতার্ক রাম শ্রীরাম (মোট সম্পদ ২৭০ কোটি ডলার)
ভারতের চেন্নাইতে জন্মগ্রহণকারী কবিতার্ক রাম শ্রীরাম ক্যালিফোর্নিয়ায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অন্যতম। তাঁর মোট সম্পদের মূল্য ২৩০ কোটি ডলার। গুগলের মূল বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তিনি একজন। কবিতার্ক চেন্নাইয়ের লয়োলা কলেজ থেকে গণিতে ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
গুগলে আড়াই লাখ ডলার বিনিয়োগের আগে তিনি আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা, সিইও এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি জেফ বেজোসের সঙ্গে কাজ করেছেন। ২০০০ সালে প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের জন্য একটি ভেঞ্চার ফাইনান্সিং কোম্পানি হিসেবে শেরপালো প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।
৯. ব্রায়ান শেঠ (মোট সম্পদ ২৩০ কোটি ডলার)
টেক্সাসভিত্তিক প্রাইভেট ইকুইটি ফার্ম ভিস্তা ইকুইটি পার্টনারের প্রেসিডেন্ট এবং সাবেক সিইও ব্রায়ান এন শেঠ। তাঁর বাবা ছিলেন ভারত থেকে আসা একজন অভিবাসী এবং মা ছিলেন আইরিশ-ক্যাথলিক। মা একজন বিমা বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করতেন।
ফোর্বসের ২০১৯ সালের ৪০০ ধনী আমেরিকানদের তালিকায় তিনি সর্বকনিষ্ঠ ভারতীয় আমেরিকান ধনকুবের। তিনি একজন সংরক্ষণবাদী এবং পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়ার্টন স্কুলের স্নাতক। শেঠ পরিবেশ ও প্রাণী রক্ষায় নিবেদিত দল গ্লোবাল ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশনের সহসভাপতি। নিজের ব্যবসা শুরু করার আগে শেঠ বেইন ক্যাপিটাল, ডয়েচে মরগান গ্রেনফেল এবং গোল্ডম্যান শ্যাক্সের বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
১০. ভরত দেসাই (১৬০ কোটি ডলার)
ভরত দেসাই কেনিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ভারতের আহমেদাবাদে বেড়ে ওঠেন। তিনি আইআইটি বোম্বে থেকে বৈদ্যুতিক প্রকৌশল ডিগ্রি অর্জন করেন এবং মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিফেন এম রস স্কুল অব বিজনেস থেকে ফাইনান্সে এমবিএ সম্পন্ন করেন। তিনি সিনটেলের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং ২০১৮ সালে ১০তম ধনী ভারতীয় আমেরিকান ধনকুবের হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
দেসাই দুই হাজার ডলার দিয়ে সিন্টেল শুরু করেন এবং শুরুতে তার মিশিগানের অ্যাপার্টমেন্ট থেকেই কাজ চালান। তিনি এখন ফ্লোরিডায় অবস্থান করছেন। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি জন এফ কেনেডি স্কুল অব গভর্নমেন্টসহ বেশ কয়েকটি সংস্থার বোর্ডের পদে আছেন তিনি।
সূত্র: ফোর্বস, এপ্রিল ২০২৪
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে, বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলোতে কোকা-কোলা বর্জনের ঢেউ উঠেছিল। সেই ঢেউয়ের ধাক্কা লেগেছে এবার ইউরোপের দেশ ডেনমার্কেও। দেশটিতে কোকা-কোলা বাজারজাতকারী কোম্পানি কার্লসবার্গ জানিয়েছে, ডেনিশ ভোক্তারা কোকা-কোলা বর্জন করছেন।
২ ঘণ্টা আগেগাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকগুণ বেড়েছে ইহুদি ও ইসলামবিদ্বেষ। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গঠিত দুটি টাস্কফোর্সের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এ তথ্য।
৩ ঘণ্টা আগেপ্রেমিকের ফোনে অন্য নারীর বার্তা দেখার পর তাঁকে গুলি করে হত্যা করেছেন এক মার্কিন তরুণী। ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে। ম্যাডিসন রুকার্ট নামে ২৩ বছরের ওই তরুণী ঘুমের মধ্যেই তাঁর প্রেমিক জোনাথন মিলারকে গুলি করে হত্যা করেন। এই ঘটনায় ম্যাডিসনের ৩৫ বছরের সাজা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার বিবদমান কাশ্মীর সীমান্তের (নিয়ন্ত্রণ রেখা—লাইন অব কন্ট্রোল বা এলওসি) কাছে টহল দিচ্ছিল ভারতীয় রাফাল যুদ্ধবিমান। সেই বিমানগুলো ধাওয়া দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়ার দাবি করেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম পিটিভির এক প্রতিবেদনে এই খবর জানানো হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে