সুয়েজ খালে আটকে পড়া জাহাজটি আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সরাতে পারেনি উদ্ধারকারী দল। বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বের দীর্ঘ এই জলপথে জাহাজ চলাচল সমস্যা আরও বাড়তে পারে। গতকাল বুধবার থেকে শুরু হওয়া তীব্র জ্যামের কারণে পণ্য পরিবহন বিঘ্নিত হওয়ায় এরই মধ্যে অস্থির হয়ে উঠেছে জ্বালানি তেল ও পণ্যবাজার।
এমন এক সময় সুয়েজ খাল দিয়ে পণ্য পরিবহনে জট লাগল, যখন বিশ্বে জ্বালানি তেলের বাজার অস্থির। সৌদি আরব অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উৎপাদন কমানোয় মাসের শুরুতে ব্যারেলপ্রতি দাম ওঠে ৭০ ডলার। এই সপ্তাহে ইউরোপে করোনার টিকা প্রদান শুরু ও করোনা পরিস্থিতি বাজে আকার ধারণ করলে এ দাম কমে ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলারের কাছাকাছি আসে। কিন্তু গতকাল বুধবার থেকে তেল সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম ব্যারেলপ্রতি ৫ শতাংশ বেড়ে গেছে। আটকা পড়েছে জ্বালানি তেল, গ্যাস ও কন্টেইনারবাহী ৮০টি জাহাজ। ফলে এর প্রভাব পড়েছে অন্য পণ্যের বাজারেও।
সুয়েজ খাল কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে শিপিং এজেন্ট ইঞ্চকেপ বলেছে, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত জাহাজ সরানোর কাজ স্থগিত করা হয়েছিল। ড্রেজারের মাধ্যমে খনন করে আটকে পড়া জাহাজকে সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ সম্পর্কিত এনডিটিভির খবরে বলা হয়, জাহাজটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৪০০ মিটার। ওজন দুই লাখ টন। আকারের কারণেই উদ্ধারকাজ বিঘ্নিত হচ্ছে। একটি বিশাল হলুদ এক্সকাভেটর দিয়ে খনন কাজ করা হচ্ছে, যা জাহাজটির আকারের তুলনায় খুবই ছোট।
উদ্ধারকারী দলের প্রধান নিক স্লোয়ানের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানায়, পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, আগামী রোববার অথবা সোমবারের আগে জাহাজটি সরানো সম্ভব নাও হতে পারে। তখন জোয়ারের সৃষ্টি হবে।
বৈশ্বিক বাণিজ্যের প্রায় ১২ শতাংশ মিসরের সুয়েজ খালকেন্দ্রিক। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তথ্যমতে, ১৮৬৯ সালে চালু হওয়া সুয়েজ খাল মিসরের অর্থনীতির অন্যতম শক্তি। প্রতি বছর সারা বিশ্বে চলাচলকারী পণ্যবাহী জাহাজের ৩০ শতাংশ চলাচল করে ভূমধ্যসাগর ও লোহিত সাগরকে সংযুক্ত করা এ খাল দিয়ে। ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যে পণ্য পরিবহনের জন্য এর বাইরে যে বিকল্প পথ রয়েছে, তাতে এক সপ্তাহ বেশি সময় লাগে। ফলে সুয়েজ খালই বাণিজ্য পথ হিসেবে বেশি স্বীকৃত। গত বছর খালটি দিয়ে মোট ১১৭ কোটি টন পণ্য পরিবহন হয়েছে। এই খাল দিয়ে দিনে গড়ে প্রায় ৫২টি পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল করে। কিন্তু এখন এই পথ থমকে দাঁড়িয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই পণ্যবাজারে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়েছে।
দেড় শ বছরেরও বেশি সময় আগে যে বাণিজ্যপথের সূচনা হয়েছিল, তার চাহিদা দিন দিন বেড়েছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পণ্যবাহী জাহাজের আকার। শুধু গত এক দশকেই জাহাজগুলোর আকার দ্বিগুণ হয়েছে। ফলে সুয়েজ খাল নতুন করে খননের প্রয়োজন পড়ছে। সে কাজটি করছেও সুয়েজ খাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তা যে যথেষ্ট নয়, তা এভার গিভেন নামের বৃহদাকার জাহাজের আটকে পড়াতেই প্রমাণ, যার দৈর্ঘ্য এম্পায়ার স্টেট ভবনের উচ্চতার কাছাকাছি, আর প্রস্থ ১৯৩ ফুটের বেশি। শুধু সুয়েজ খাল নয়, বৈশ্বিক বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এই একই ঝুঁকিতে রয়েছে পানামা খাল, হরমুজ প্রণালি ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মালাক্কা প্রণালির মতো নৌপথগুলোও।
সুয়েজ খালে আটকে পড়া জাহাজটি আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সরাতে পারেনি উদ্ধারকারী দল। বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বের দীর্ঘ এই জলপথে জাহাজ চলাচল সমস্যা আরও বাড়তে পারে। গতকাল বুধবার থেকে শুরু হওয়া তীব্র জ্যামের কারণে পণ্য পরিবহন বিঘ্নিত হওয়ায় এরই মধ্যে অস্থির হয়ে উঠেছে জ্বালানি তেল ও পণ্যবাজার।
এমন এক সময় সুয়েজ খাল দিয়ে পণ্য পরিবহনে জট লাগল, যখন বিশ্বে জ্বালানি তেলের বাজার অস্থির। সৌদি আরব অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উৎপাদন কমানোয় মাসের শুরুতে ব্যারেলপ্রতি দাম ওঠে ৭০ ডলার। এই সপ্তাহে ইউরোপে করোনার টিকা প্রদান শুরু ও করোনা পরিস্থিতি বাজে আকার ধারণ করলে এ দাম কমে ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলারের কাছাকাছি আসে। কিন্তু গতকাল বুধবার থেকে তেল সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম ব্যারেলপ্রতি ৫ শতাংশ বেড়ে গেছে। আটকা পড়েছে জ্বালানি তেল, গ্যাস ও কন্টেইনারবাহী ৮০টি জাহাজ। ফলে এর প্রভাব পড়েছে অন্য পণ্যের বাজারেও।
সুয়েজ খাল কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে শিপিং এজেন্ট ইঞ্চকেপ বলেছে, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত জাহাজ সরানোর কাজ স্থগিত করা হয়েছিল। ড্রেজারের মাধ্যমে খনন করে আটকে পড়া জাহাজকে সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ সম্পর্কিত এনডিটিভির খবরে বলা হয়, জাহাজটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৪০০ মিটার। ওজন দুই লাখ টন। আকারের কারণেই উদ্ধারকাজ বিঘ্নিত হচ্ছে। একটি বিশাল হলুদ এক্সকাভেটর দিয়ে খনন কাজ করা হচ্ছে, যা জাহাজটির আকারের তুলনায় খুবই ছোট।
উদ্ধারকারী দলের প্রধান নিক স্লোয়ানের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানায়, পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, আগামী রোববার অথবা সোমবারের আগে জাহাজটি সরানো সম্ভব নাও হতে পারে। তখন জোয়ারের সৃষ্টি হবে।
বৈশ্বিক বাণিজ্যের প্রায় ১২ শতাংশ মিসরের সুয়েজ খালকেন্দ্রিক। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের তথ্যমতে, ১৮৬৯ সালে চালু হওয়া সুয়েজ খাল মিসরের অর্থনীতির অন্যতম শক্তি। প্রতি বছর সারা বিশ্বে চলাচলকারী পণ্যবাহী জাহাজের ৩০ শতাংশ চলাচল করে ভূমধ্যসাগর ও লোহিত সাগরকে সংযুক্ত করা এ খাল দিয়ে। ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যে পণ্য পরিবহনের জন্য এর বাইরে যে বিকল্প পথ রয়েছে, তাতে এক সপ্তাহ বেশি সময় লাগে। ফলে সুয়েজ খালই বাণিজ্য পথ হিসেবে বেশি স্বীকৃত। গত বছর খালটি দিয়ে মোট ১১৭ কোটি টন পণ্য পরিবহন হয়েছে। এই খাল দিয়ে দিনে গড়ে প্রায় ৫২টি পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল করে। কিন্তু এখন এই পথ থমকে দাঁড়িয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই পণ্যবাজারে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়েছে।
দেড় শ বছরেরও বেশি সময় আগে যে বাণিজ্যপথের সূচনা হয়েছিল, তার চাহিদা দিন দিন বেড়েছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পণ্যবাহী জাহাজের আকার। শুধু গত এক দশকেই জাহাজগুলোর আকার দ্বিগুণ হয়েছে। ফলে সুয়েজ খাল নতুন করে খননের প্রয়োজন পড়ছে। সে কাজটি করছেও সুয়েজ খাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তা যে যথেষ্ট নয়, তা এভার গিভেন নামের বৃহদাকার জাহাজের আটকে পড়াতেই প্রমাণ, যার দৈর্ঘ্য এম্পায়ার স্টেট ভবনের উচ্চতার কাছাকাছি, আর প্রস্থ ১৯৩ ফুটের বেশি। শুধু সুয়েজ খাল নয়, বৈশ্বিক বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এই একই ঝুঁকিতে রয়েছে পানামা খাল, হরমুজ প্রণালি ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মালাক্কা প্রণালির মতো নৌপথগুলোও।
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ১০০ দিন হলো। সম্প্রতি তিনি বেশ জমকালোভাবেই তাঁর ১০০তম দিন পূর্তি উদ্যাপন করেছেন। অনুষ্ঠানে তিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁর ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে কোনো কিছুই তাঁকে ‘থামাতে পারবে না।’
৩০ মিনিট আগেএকজন স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠাতা সম্প্রতি ভারতে একটি পাসপোর্ট অফিসে গিয়েছিলেন। সেখানে থ্রি–কোয়ার্টার পরার কারণে এক যুবককে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি বলে একটি ভিডিও তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। এরপরই এ নিয়ে আলোচনা–সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেগত ১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে খেমকাকে মূলত ‘লো–প্রোফাইল’ বা কম গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত দপ্তরগুলোতেই পদায়ন করা হয়েছে। কর্মজীবনে তিনি চারবার শুধু রাজ্য সরকারের আর্কাইভস দপ্তরেই কাজ করেছে। চারবারের তিনবারই বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে।
১ ঘণ্টা আগেজম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত এবং পাকিস্তান পাল্টাপাল্টি কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। দুই দেশের বাণিজ্য বন্ধ। কূটনীতিকদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। সিন্দু পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত, অপর দিকে সিমলা চুক্তি স্থগিত করেছে পাকিস্তান।
৩ ঘণ্টা আগে