Ajker Patrika

দাবি মানলে ইউক্রেনে হামলা বন্ধ হবে, এরদোয়ানকে পুতিন 

দাবি মানলে ইউক্রেনে হামলা বন্ধ হবে, এরদোয়ানকে পুতিন 

ইউক্রেন দাবি মানলে হামলা বন্ধ হবে বলে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আজ রোববার এই দুই নেতার মধ্যে ফোনালাপ হয়। সেখানেই পুতিন এরদোয়ানকে এমনটি বলেন। ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে এই ফোনালাপের তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। 

প্রতিবেশী ইউক্রেনকে অসামরিকায়ন ও নাৎসিমুক্ত করার লক্ষ্যে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে দেশটিতে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ সৈন্যরা। 

রাশিয়ান নেতা এরদোয়ানকে জানান, আক্রমণ পরিকল্পনা অনুযায়ী এবং সময়সূচি অনুযায়ী চলছে। পুতিন সম্প্রতি একাধিকবার এমন মন্তব্য করেছেন। 

একটি বিবৃতিতে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়, পুতিন আশা করছেন ইউক্রেনের আলোচকেরা আরও আলোচনায় আরও গঠনমূলক পন্থা অবলম্বন করবেন। 

এদিকে এরদোয়ানের অফিসের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্কের নেতা ফোনালাপে পুতিনকে যুদ্ধ বিরতি দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নিখোঁজের দুই দিন পর বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা উদ্ধার

পুরান ঢাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন হত্যায় দুই শুটারসহ ৫ জন গ্রেপ্তার

আজকের নামাজের সময়সূচি: ১২ নভেম্বর ২০২৫

বিহারে বিজেপি-নীতীশ জোট এগিয়ে, বলছে বুথফেরত জরিপ

ট্রাফিক সার্জেন্টকে গালিগালাজ: কর কর্মকর্তা ফাতেমার বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে লঘুদণ্ড

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিশ্বের উচ্চতম হোটেল ‘সিয়েল দুবাই মেরিনা’, কক্ষ ভাড়া কত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বিশ্বের উচ্চতম হোটেল ‘সিয়েল দুবাই মেরিনা’, কক্ষ ভাড়া কত

আরব আমিরাতের দুবাইয়ে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু হোটেল সিয়েল দুবাই মেরিনা। আগামী ১৫ নভেম্বর ৩৭৭ মিটার উচ্চতার এই হোটেলটির উদ্বোধন হবে। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

উদ্বোধনের পর এটিই হবে বিশ্বের সর্বোচ্চ হোটেল, যা নতুন রেকর্ড তৈরি করবে। হোটেলটির নির্মাণকাজ পরিচালনা করেছে দ্য ফার্স্ট গ্রুপ এবং এটি পরিচালনা করবে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল গ্রুপের ভিগনেট কালেকশন। ৮২ তলা বিশিষ্ট এই টাওয়ারটি আরব আমিরাতেরই শেখ জায়েদ রোডের জেভোরা হোটেলকে ছাড়িয়ে যাবে। হোটেলটি দুবাইয়ের আতিথেয়তা কেন্দ্রগুলোর তালিকায় নতুন সংযোজন এবং শহরের বড় পর্যটন বিনিয়োগকে আরও দৃঢ়ভাবে প্রতিফলিত করছে।

হোটেলটিতে মোট ১ হাজার ৪টি রুম ও সুইট রয়েছে। প্রতিটি তলা থেকে দুবাইয়ের দৃষ্টিনন্দন পাম জুমেইরা এবং মেরিনার মনোরম দৃশ্য দেখা যাবে। প্রতি রুমের ন্যূনতম ভাড়া রাত প্রতি ১ হাজার ৩১০ দিরহাম বা সাড়ে ৪৫ হাজার টাকা। আর প্রিমিয়াম স্যুইটগুলো প্রায় ২ হাজার ৪০০ দিরহাম মূল্যে ভাড়া পাওয়া যাবে।

পুরস্কারপ্রাপ্ত স্থাপত্য সংস্থা এনওআরআর ৮২ তলা এই ভবনের নকশা করেছে। এই কাচের টাওয়ারটি এমনভাবে তৈরি যেখানে চারপাশ থেকেই আলো ভবনের ভেতরে প্রবেশ করবে। অতিথিরা ওপরের রুফটপ অবজারভেশন ডেকে বসে ৩৬০ ডিগ্রির দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন। এখান থেকে দেখা যাবে দুবাইয়ের বিখ্যাত স্থানগুলো, যেমন বুর্জ আল–আরব এবং আইন দুবাই।

হোটেলটি আরও নতুন দুটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়বে। একটি হলো—বিশ্বের সর্বোচ্চ উচ্চতায় অবস্থিতি ইনফিনিটি পুল এবং সর্বোচ্চ ক্লাব। ৭৬ তলা উচ্চতায় অবস্থিত ট্যাটু স্কাই পুল অ্যাড্রেস বিচ রিসোর্টের ২৯৪ মিটারের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে। আর ৮১ তলায় অবস্থিত ট্যাটু স্কাই লাউঞ্জ হবে বিশ্বের সর্বোচ্চ উচ্চতায় অবস্থিত ক্লাব।

হোটেলের মূল আকর্ষণ হলো ট্যাটু দুবাই, যা পুরস্কারপ্রাপ্ত এশীয় খাবারের রেস্তোরাঁ, যা টাওয়ারের তিনটি ওপরের তলা নিয়ে গঠিত। হোটেলের অন্যান্য আন্তর্জাতিক রেস্তোরাঁর মধ্যে রয়েছে—রাইজেন কফি অ্যান্ড আর্টিসানাল বেকারি, এখানে সারা দিন সেবা দেওয়া হয়। ওয়েস্ট–১৩ রেস্তোরাঁয় ভূমধ্যসাগরের অঞ্চলের খাবার পাওয়া যায়। ইস্ট–১৪ রেস্তোরাঁয় থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম এবং ভারতের স্বাদের বুফে খাবার পাওয়া যাবে। এখানে রামেন, সুশি এবং কারি স্টেশনও আছে।

হোটেলটি এরই মধ্যে বুকিং শুরু করে দিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নিখোঁজের দুই দিন পর বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা উদ্ধার

পুরান ঢাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন হত্যায় দুই শুটারসহ ৫ জন গ্রেপ্তার

আজকের নামাজের সময়সূচি: ১২ নভেম্বর ২০২৫

বিহারে বিজেপি-নীতীশ জোট এগিয়ে, বলছে বুথফেরত জরিপ

ট্রাফিক সার্জেন্টকে গালিগালাজ: কর কর্মকর্তা ফাতেমার বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে লঘুদণ্ড

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জাপোরিঝিয়ায় রুশ আক্রমণে পিছু হটছে ইউক্রেনীয়রা, রণক্ষেত্রে বড় অগ্রগতি মস্কোর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৫, ১২: ০১
ইউক্রেনের সেনাপ্রধান স্বীকার করেছেন, জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে রুশ বাহিনী বেশ খানিকা অগ্রগতি লাভ করেছে। ছবি: আল–জাজিরা
ইউক্রেনের সেনাপ্রধান স্বীকার করেছেন, জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে রুশ বাহিনী বেশ খানিকা অগ্রগতি লাভ করেছে। ছবি: আল–জাজিরা

ইউক্রেন যুদ্ধে রণক্ষেত্র দীর্ঘদিন ধরে প্রায় জমাট অবস্থায় ছিল। কোনো পক্ষই খুব বেশি অগ্রগতি অর্জন করতে পারছিল না। তবে আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, রুশ বাহিনী অচলাবস্থা ভেঙে ইউক্রেনকে পিছু হটতে বাধ্য করতে পারছে কিছু কিছু অঞ্চলে। কিছুদিন আগে রুশ সেনারা কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল পোকরভস্কে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে কোণঠাসা করে ফেলে। আর এখন আরেক গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল জাপোরিঝিয়ায় রুশ আক্রমণের মুখে পিছু হটছে ইউক্রেনীয় সেনারা।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের শীর্ষ সেনাপ্রধান স্বীকার করেছেন, দক্ষিণাঞ্চলের জাপোরিঝিয়া এলাকায় সেনাবাহিনীর অবস্থা ‘আশঙ্কাজনকভাবে খারাপ হয়েছে।’ তীব্র যুদ্ধের পর ইউক্রেনীয় বাহিনী ওই অঞ্চলের পাঁচটি গ্রাম থেকে সরে এসেছে।

দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে এই পশ্চাৎপসারণের খবর এমন এক সময়ে এল, যখন রাশিয়া দাবি করেছে তাদের সেনারা পূর্বাঞ্চলের পোকরভস্ক ও কুপিয়ানস্ক শহরের ভেতরে আরও কিছুটা অগ্রসর হয়েছে।

রুশ সামরিক ব্লগারদের প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, রুশ সেনারা মোটরসাইকেল ও ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িতে করে শহরে প্রবেশ করছে। কেউ কেউ সামরিক যানবাহনের ওপর বসে আছে। রুশ গণমাধ্যম পোকরভস্ককে বলছে ‘দোনেৎস্কের প্রবেশদ্বার’ এবং এ কারণেই এটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থান।

ইউক্রেনের সেনাপ্রধান ওলেক্সান্দর সিরস্কি মঙ্গলবার বলেন, ‘লোকবল ও অস্ত্রশস্ত্রে সংখ্যাগত শ্রেষ্ঠতা কাজে লাগিয়ে শত্রুপক্ষ তীব্র লড়াইয়ের মধ্যে তিনটি বসতি দখল করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ওলেক্সান্দ্রিভকা ও হুলিয়াপোলের দিকের পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে খারাপ হয়েছে।’

ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী জানায়, রুশ বাহিনীর ভয়াবহ গোলাবর্ষণে ‘প্রায় সব আশ্রয়কেন্দ্র ও প্রতিরক্ষা কাঠামো ধ্বংস হয়ে যাওয়ার’ পর পাঁচটি গ্রাম থেকে সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়। ইউক্রেনীয় অবস্থানগুলোর ওপর প্রায় ২ হাজার গোলা নিক্ষেপ করা হয়। জাপোরিঝিয়ার হুলিয়াপোল শহরের উত্তর-পূর্বে তিনটি গ্রাম নিয়ে এখনো তীব্র লড়াই চলছে রুশ ও ইউক্রেনীয় বাহিনীর মধ্যে।

সিরস্কি জানান, রুশ বাহিনী ঘন কুয়াশার সুযোগ নিয়ে ইউক্রেনীয় অবস্থানের মাঝখান দিয়ে ঢুকে পড়েছে। তবে তিনি দাবি করেন, রুশ সেনাদেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের মাটির প্রতিটি মিটার রাশিয়ার শত শত সৈন্যের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে।’

মঙ্গলবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দক্ষিণের খেরসন অঞ্চলের রুশ দখলমুক্ত এলাকায় সফর করেন। সেখানে তিনি বলেন, পোকরভস্ক ও জাপোরিঝিয়ার পরিস্থিতি ‘কঠিন, আংশিকভাবে এমন আবহাওয়ার কারণে যা শত্রুর হামলার পক্ষে কাজ করছে।’ তিনি আরও জানান, কুপিয়ানস্কে যুদ্ধক্ষেত্রের অবস্থা ‘কিছুটা ভালো’ এবং সেখানে ইউক্রেনীয় বাহিনী ‘কিছু সাফল্য অর্জন করেছে।’

রাশিয়া এক বছরেরও বেশি সময় ধরে পোকরভস্ক ঘিরে ফেলার চেষ্টা করছে, দুই দিক থেকে অগ্রসর হয়ে শহরটিকে বিচ্ছিন্ন করার কৌশল নিচ্ছে। সিরস্কি মার্কিন গণমাধ্যমকে বলেন, পোকরভস্ক দখলে রাশিয়া সেখানে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার সৈন্য মোতায়েন করেছে।

সম্প্রতি পোকরভস্ক ঘিরে যুদ্ধ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে পরস্পরবিরোধী দাবি শোনা যাচ্ছে। রাশিয়া কয়েক দিন ধরে দাবি করছে তারা শহরটিকে ঘিরে ফেলেছে, কিন্তু কিয়েভ বলছে এখনো শহরটির সঙ্গে মিরনোহ্রাদ পর্যন্ত সরবরাহ লাইন খোলা আছে। রাশিয়া আরও জানায়, তারা ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ এলাকার কুপিয়ানস্ক শহরের পূর্বাংশ পুরোপুরি দখল করেছে।

হান্টার ছদ্ম নামের এক রুশ কমান্ডার বলেন, তাঁর বাহিনী কুপিয়ানস্কের পূর্ব প্রান্তের একটি তেল ডিপো নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় তিনি জানান, কুপিয়ানস্কের দক্ষিণে একাধিক রেলস্টেশনও এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে।

সামরিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর সারিতে এখন মারাত্মক জনবল সংকট দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে রাশিয়ার ড্রোন-শক্তির আধিপত্যের কারণে ফ্রন্টলাইনের নানা স্থানে ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষা দুর্বল হয়ে পড়েছে। এর ফলে তিন বছর ছয় মাসের বেশি সময়ের এই যুদ্ধে রুশ বাহিনী একাধিক জায়গায় অগ্রগতি অর্জন করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নিখোঁজের দুই দিন পর বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা উদ্ধার

পুরান ঢাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন হত্যায় দুই শুটারসহ ৫ জন গ্রেপ্তার

আজকের নামাজের সময়সূচি: ১২ নভেম্বর ২০২৫

বিহারে বিজেপি-নীতীশ জোট এগিয়ে, বলছে বুথফেরত জরিপ

ট্রাফিক সার্জেন্টকে গালিগালাজ: কর কর্মকর্তা ফাতেমার বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে লঘুদণ্ড

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এরদোয়ানের প্রতিদ্বন্দ্বীর ২৪০০ বছর কারাদণ্ড চাইল রাষ্ট্রপক্ষ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৫, ১১: ১৭
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের প্রতিদ্বন্দ্বী একরেম ইমামোগলুর ২৪০০ বছরের বেশি কারাদণ্ডের আবেদন করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিরা। ছবি: সংগৃহীত
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের প্রতিদ্বন্দ্বী একরেম ইমামোগলুর ২৪০০ বছরের বেশি কারাদণ্ডের আবেদন করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিরা। ছবি: সংগৃহীত

তুরস্কের রাষ্ট্রীয় কৌঁসুলিরা ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুর ২ হাজার বছরের বেশি কারাদণ্ডাদেশের আবেদন জানিয়েছেন। তিনি দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের প্রতিদ্বন্দ্বী। গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত আদালতের নথি থেকে এই তথ্য জানা গেছে। খবর লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আইয়ের।

প্রায় ৪ হাজার পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) এই মেয়রের বিরুদ্ধে অপরাধী চক্র পরিচালনা, ঘুষ, অর্থ আত্মসাৎ, মানি লন্ডারিং, চাঁদাবাজি ও দরপত্র জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ আনা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, এই অভিযোগের ফলে জনপ্রিয় বিরোধীদলীয় এই নেতার সর্বোচ্চ ২ হাজার ৪৩০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ইমামোগলু ‘এক অক্টোপাসের মতো’ তুরস্কজুড়ে বিস্তৃত একটি অপরাধচক্রকে নিয়ন্ত্রণ করতেন।

গত ১৯ মার্চ ইমামোগুলোকে গ্রেপ্তার করা হয়। তুরস্কের সবচেয়ে বড় বিরোধী দল সিএইচপি অভিযোগ করেছে, প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ও তাঁর দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একেপি) ২০২৪ সালের স্থানীয় নির্বাচনে পরাজয়ের পর তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে। ইমামোগলু ছিলেন এরদোয়ানের সম্ভাব্য প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী, যিনি পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

তাঁকে গ্রেপ্তারের পর থেকে আরও কয়েকজন সিএইচপি মেয়র, কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদকেও আটক করা হয়েছে। এই গ্রেপ্তারগুলোকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে নিন্দা জানিয়েছেন অনেকেই। বিরোধীদলীয় নেতা ও কর্মীরা নিয়মিত প্রতিবাদ ও সমাবেশ করছেন, যাঁদের মধ্যে অনেকেই সিএইচপির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নন।

জবাবে কর্তৃপক্ষ প্রায় ২ হাজার মানুষকে আটক করেছে, যদিও পরে তাদের বেশির ভাগকেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। গত মাসে আঙ্কারার একটি আদালত সিএইচপি নেতা ওজগুর ওজেলের বিরুদ্ধে করা একটি আলাদা দুর্নীতি মামলা খারিজ করে দেয়। আদালত জানায়, মামলার কোনো ভিত্তি নেই।

ওই মামলায় অভিযোগ ছিল, ২০২৩ সালের নভেম্বরে সিএইচপির প্রাথমিক নির্বাচনে ভোট কেনাবেচা হয়েছিল। কিন্তু আঙ্কারার ৪২তম দেওয়ানি আদালতের বিচারক মামলাটিকে ‘অপ্রাসঙ্গিক’ বলে খারিজ করে দেন। মঙ্গলবার ওজেল আবারও নিশ্চিত করেছেন, আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সিএইচপির প্রার্থী হবেন একরেম ইমামোগলু। তিনি পার্লামেন্ট ভাষণে বলেন, ‘একজন মানুষ কি একসঙ্গে নির্বাচনী জালিয়াত, জাল আদেশধারী, চোর, সন্ত্রাসী ও গুপ্তচর হতে পারেন?’

ওজেল বলেন, ‘একজন নির্দোষ মানুষকে এই অভিযোগগুলোর যেকোনো একটির জন্য অভিযুক্ত করাও বড় অন্যায়। কিন্তু যখন সব অভিযোগ এক ব্যক্তির ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়, সেটাই আসল অপরাধ… তার একমাত্র অপরাধ হচ্ছে এই দেশের প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হওয়া।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নিখোঁজের দুই দিন পর বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা উদ্ধার

পুরান ঢাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন হত্যায় দুই শুটারসহ ৫ জন গ্রেপ্তার

আজকের নামাজের সময়সূচি: ১২ নভেম্বর ২০২৫

বিহারে বিজেপি-নীতীশ জোট এগিয়ে, বলছে বুথফেরত জরিপ

ট্রাফিক সার্জেন্টকে গালিগালাজ: কর কর্মকর্তা ফাতেমার বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে লঘুদণ্ড

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গাজার একাংশে বাড়িঘর তৈরির পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের, থাকবে কেবল ‘হামাসবিরোধীরা’

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২৫, ০৯: ৫৭
গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরও এখন ভাঙাচোরা। তবু এরই মধ্যে এমন জোড়াতালি দিয়ে তৈরি অস্থায়ী ঘরেই চলছে বসবাস। ছবি: এএফপি
গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরও এখন ভাঙাচোরা। তবু এরই মধ্যে এমন জোড়াতালি দিয়ে তৈরি অস্থায়ী ঘরেই চলছে বসবাস। ছবি: এএফপি

গাজায় ফিলিস্তিনিদের জন্য বাড়িঘর তৈরির পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব বাড়িঘর নির্মিত হবে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুসারে যে হলুদ রেখায় পিছিয়ে গেছে তার বাইরের উন্মুক্ত এলাকায়। তবে এসব বাড়িঘরে ‘স্ক্রিনিং’, তথা বাছাই করা ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দেওয়া হবে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য আটলান্টিক সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে। গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের দখল করা এলাকায় তথাকথিত ‘হলুদ রেখা’র পেছনে হাজারো ‘স্ক্রিনিং করা বা বাছাইকৃত’ ফিলিস্তিনির জন্য ঘরবাড়ি তৈরির পরিকল্পনা বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।

এই পরিকল্পনায় যুক্ত থাকা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলি কর্মকর্তারা এসব বসতিকে বলেছেন ‘Alternate Safe Communities বা বিকল্প নিরাপদ সম্প্রদায়।’ এখানে প্রবেশের আগে ফিলিস্তিনিদের ‘হামাসবিরোধী’ মনোভাব প্রমাণের পরীক্ষা দিতে হবে।

প্রস্তাবটি উঠে আসে যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল প্যাট্রিক ফ্র্যাঙ্কের এক ই-মেইলে। তিনি গাজায় যুদ্ধবিরতির তত্ত্বাবধানে থাকা বেসামরিক-সামরিক সমন্বয় কেন্দ্রের প্রধান। এসব কেন্দ্রে নিয়মিত ইসরায়েলি সেনাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের খবর পাওয়া যায়।

ফ্র্যাঙ্ক তাঁর ই-মেইলে লিখেছেন, প্রতিটি বসতিতে একটি চিকিৎসাকেন্দ্র, একটি স্কুল, একটি প্রশাসনিক ভবন এবং প্রায় ২৫ হাজার মানুষের অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা থাকতে হবে। তবে দ্য আটলান্টিক জানিয়েছে, এই পরিকল্পনা প্রায় প্রতিদিনই বদলাচ্ছে, বসতিগুলোর নির্ধারিত জনসংখ্যাও ক্রমে পরিবর্তন হচ্ছে। একপর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তাদের দল পরিকল্পনাটি সংশোধন করে প্রতিটি বসতির জনসংখ্যা ২৫ হাজার থেকে কমিয়ে প্রায় ৬ হাজারে নামিয়ে এনেছে।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা ও উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনার প্রকাশ্যে বলেছিলেন, গাজার যেসব এলাকা ইসরায়েলি বাহিনীর দখলে আছে, যুক্তরাষ্ট্র ও তার অংশীদাররা সেই অঞ্চলগুলো পুনর্গঠন করতে পারে। তবে হামাস নিয়ন্ত্রিত কেন্দ্রীয় গাজাকে ধ্বংসস্তূপ হিসেবে রেখে দেওয়া হবে।

গাজা ভাগ করার এই পরিকল্পনায় নানা বিপদ রয়েছে। তবু সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি-প্রচেষ্টার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দুই আরব কূটনীতিক বলেছেন, তাঁরা এই উদ্যোগকে গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, আরব ও ইউরোপীয় দেশগুলো এই পরিকল্পনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের আশঙ্কা, এটি গাজার একাংশকে স্থায়ীভাবে দখল করে রাখার প্রাথমিক ধাপ হতে পারে।

দ্য আটলান্টিক জানায়, বর্তমানে গাজার দুই মিলিয়ন মানুষের কমপক্ষে ২ শতাংশ ওই ‘হলুদ রেখা’র পেছনে বসবাস করে। এই বাধাটি আপাতত অস্থায়ী বলেই ধরা হচ্ছে। ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, একসময় ইসরায়েল গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে, তবে একটি ছোট নিরাপত্তাবেষ্টনী থাকবে। ইসরায়েলি সেনারা সরে গেলে সেখানে একটি আরব শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রবেশ করবে, যারা পরে নিরাপত্তার দায়িত্ব তুলে দেবে ‘সংস্কারকৃত’ ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনায় ইসরায়েলের সেনা প্রত্যাহারের কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা দেওয়া হয়নি।

মূলত এই পরিকল্পনায় কেন্দ্রীয় গাজার ফিলিস্তিনিদের স্বেচ্ছায় ইসরায়েলি বাহিনীর নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে বসবাসে রাজি হতে হবে। এই প্রকল্পের জন্য বিপুল অর্থও প্রয়োজন। ট্রাম্প প্রশাসন গাজার পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি তহবিল ব্যবহারের প্রতিশ্রুতি দেয়নি। ট্রাম্প বলেছেন, এই বিনিয়োগ করবে উপসাগরীয় দেশগুলো।

দ্য আটলান্টিকের তথ্য অনুযায়ী, প্রথম ‘বিকল্প নিরাপদ শহর’ গাজার দক্ষিণে রাফাহ অঞ্চলে গড়ে তোলার পরিকল্পনা আছে। এটি মিসর সীমান্তের কাছে। তবে এই পরিকল্পনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রশ্নগুলোর একটি হলো, এই বসতি নির্মাণের জন্য যে জমি ব্যবহৃত হবে, তা আসলে কার মালিকানায়? গাজা উপত্যকায় একটি আনুষ্ঠানিক ভূমি রেজিস্ট্রি বা নিবন্ধন ব্যবস্থা রয়েছে। এটি হামাস পরিচালনা করলেও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাঠামো অনুযায়ীই চলে আসছিল।

ইসরায়েল গাজার অধিকাংশ অঞ্চল ধ্বংস করে ফেলেছে। জাতিসংঘের হিসাবে গাজার পুনর্গঠনে লাগবে প্রায় ৭০ বিলিয়ন ডলার। পশ্চিম তীরে, যা ১৯৬৭ সাল থেকে ইসরায়েলের দখলে, সেখানে সরকার ও ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে উচ্ছেদ করে বিপুল জমি দখল করেছে।

দ্য আটলান্টিক জানিয়েছে, ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেত এই নতুন বসতিতে প্রবেশকারীদের যাচাই করবে। শুধু ব্যক্তির হামাস-সম্পৃক্ততা নয়, তার পরিবারের সম্পর্কও খতিয়ে দেখা হবে। তবে ২০০৭ সাল থেকে গাজা শাসন করছে হামাস। ফিলিস্তিনি আইনসভা নির্বাচনে জয়ের পর তারা ধর্মনিরপেক্ষ দল ফাতাহর সঙ্গে সংঘাতে জড়ায়। বর্তমানে ফাতাহ পশ্চিম তীরে সীমিত নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে।

দ্য আটলান্টিক আরও জানায়, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রকৌশল ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান টেট্রা টেক সল্যুশনস ইতিমধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কাছ থেকে একটি চুক্তি পেয়েছে। তাদের কাজ হবে প্রথম ‘বিকল্প নিরাপদ সম্প্রদায়’-এর স্থান পরিষ্কার করা, অর্থাৎ সেখানে থাকা ধ্বংসাবশেষ ও অবিস্ফোরিত অস্ত্র সরানো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নিখোঁজের দুই দিন পর বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা উদ্ধার

পুরান ঢাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন হত্যায় দুই শুটারসহ ৫ জন গ্রেপ্তার

আজকের নামাজের সময়সূচি: ১২ নভেম্বর ২০২৫

বিহারে বিজেপি-নীতীশ জোট এগিয়ে, বলছে বুথফেরত জরিপ

ট্রাফিক সার্জেন্টকে গালিগালাজ: কর কর্মকর্তা ফাতেমার বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে লঘুদণ্ড

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত