যুদ্ধ, সংঘাত ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে গত বছর বিশ্বব্যাপী ৫ কোটি ৯০ লাখ মানুষ নিজ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে বলে পর্যবেক্ষকেরা বলেছেন। গত এক বছরে নিজ দেশের অভ্যন্তরে বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষের সংখ্যাও রেকর্ড গড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তাঁরা। বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
জেনেভাভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ইন্টারনাল ডিসপ্লেসমেন্ট মনিটরিং সেন্টার (আইডিএমসি) এবং নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিল (এনআরসি) আজ বৃহস্পতিবার এক যৌথ প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ৩ কোটি ৮০ লাখ মানুষ নিজ দেশে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বাস্তুচ্যুত হয়েছে ইউক্রেনে। যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে ব্যাপক সংখ্যক মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে, এটা প্রত্যাশিতই ছিল।
সংস্থা দুটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষের এই সংখ্যা ২০২০ সালের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। গত বছর যুদ্ধ ও সংঘাতের কারণে ১ কোটি ৪৪ লাখ মানুষ নতুন করে বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যা ২০২০ সালের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি এবং ২০১২ সালের দ্বিগুণ।
ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। ফলে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা এ বছর আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটিতে ৪০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং ৬০ লাখেরও বেশি মানুষ শরণার্থী হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে।
আইডিএমসির পরিচালক আলেকজান্দ্রা বিলাক সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘২০২২ অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে আসছে। আগের বছর রেকর্ড সংখ্যক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এ বছর সেই রেকর্ডও ভেঙে যাবে।’
এদিকে এনআরসির প্রধান জ্যান এগল্যান্ড বলেছেন, ‘এত বেশি মানুষ এর আগে বাস্তুচ্যুত হয়নি। সারা বিশ্ব ভেঙে পড়েছে। আমরা যা ধারণা করেছিলাম, পরিস্থিতি তার চেয়ে অনেক বেশি খারাপ।’
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্বন্দ্ব-সংঘাতে জর্জরিত ইথিওপিয়াতে গত বছর ৫০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। কোনো একটি একক দেশে এটিই সর্বোচ্চ বাস্তুচ্যুতির সংখ্যা। দুর্ভিক্ষ, খরা ও তালেবানের প্রত্যাবর্তনের কারণে গত বছর আফগানিস্তানেও রেকর্ড সংখ্যক মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। এ ছাড়া গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রেও অভূতপূর্ব বাস্তুচ্যুতির ঘটনা ঘটেছে। গত বছর সেনা অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারেও রেকর্ড সংখ্যক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। বিপরীতে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার দেশগুলো যেমন সিরিয়া, লিবিয়া ও ইরাকে বাস্তুচ্যুতি কিছুটা কমেছে। তবে এই অঞ্চলে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা সামগ্রিকভাবে বেশি।
গত ১১ বছর ধরে গৃহযুদ্ধ চলা সিরিয়ায় গত বছর বাস্তুচ্যুতি রেকর্ড করা হয়েছে ৬৭ লাখ। এ ছাড়া কঙ্গোতে ৫৩ লাখ, কলম্বিয়ায় ৫২ লাখ এবং আফগানিস্তান ও ইয়েমেনে ৪৩ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
যুদ্ধ সংঘাতের বাইরে প্রকৃতির দুর্যোগের কারণে গত বছর পৃথিবীব্যাপী বাস্তুচ্যুত হয়েছে ২ কোটি ৩৭ লাখ মানুষ।
যুদ্ধ, সংঘাত ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে গত বছর বিশ্বব্যাপী ৫ কোটি ৯০ লাখ মানুষ নিজ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে বলে পর্যবেক্ষকেরা বলেছেন। গত এক বছরে নিজ দেশের অভ্যন্তরে বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষের সংখ্যাও রেকর্ড গড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তাঁরা। বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
জেনেভাভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ইন্টারনাল ডিসপ্লেসমেন্ট মনিটরিং সেন্টার (আইডিএমসি) এবং নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিল (এনআরসি) আজ বৃহস্পতিবার এক যৌথ প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ৩ কোটি ৮০ লাখ মানুষ নিজ দেশে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বাস্তুচ্যুত হয়েছে ইউক্রেনে। যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে ব্যাপক সংখ্যক মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে, এটা প্রত্যাশিতই ছিল।
সংস্থা দুটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষের এই সংখ্যা ২০২০ সালের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। গত বছর যুদ্ধ ও সংঘাতের কারণে ১ কোটি ৪৪ লাখ মানুষ নতুন করে বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যা ২০২০ সালের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি এবং ২০১২ সালের দ্বিগুণ।
ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। ফলে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা এ বছর আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশটিতে ৪০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং ৬০ লাখেরও বেশি মানুষ শরণার্থী হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে।
আইডিএমসির পরিচালক আলেকজান্দ্রা বিলাক সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘২০২২ অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে আসছে। আগের বছর রেকর্ড সংখ্যক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এ বছর সেই রেকর্ডও ভেঙে যাবে।’
এদিকে এনআরসির প্রধান জ্যান এগল্যান্ড বলেছেন, ‘এত বেশি মানুষ এর আগে বাস্তুচ্যুত হয়নি। সারা বিশ্ব ভেঙে পড়েছে। আমরা যা ধারণা করেছিলাম, পরিস্থিতি তার চেয়ে অনেক বেশি খারাপ।’
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্বন্দ্ব-সংঘাতে জর্জরিত ইথিওপিয়াতে গত বছর ৫০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। কোনো একটি একক দেশে এটিই সর্বোচ্চ বাস্তুচ্যুতির সংখ্যা। দুর্ভিক্ষ, খরা ও তালেবানের প্রত্যাবর্তনের কারণে গত বছর আফগানিস্তানেও রেকর্ড সংখ্যক মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। এ ছাড়া গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রেও অভূতপূর্ব বাস্তুচ্যুতির ঘটনা ঘটেছে। গত বছর সেনা অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারেও রেকর্ড সংখ্যক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। বিপরীতে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার দেশগুলো যেমন সিরিয়া, লিবিয়া ও ইরাকে বাস্তুচ্যুতি কিছুটা কমেছে। তবে এই অঞ্চলে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা সামগ্রিকভাবে বেশি।
গত ১১ বছর ধরে গৃহযুদ্ধ চলা সিরিয়ায় গত বছর বাস্তুচ্যুতি রেকর্ড করা হয়েছে ৬৭ লাখ। এ ছাড়া কঙ্গোতে ৫৩ লাখ, কলম্বিয়ায় ৫২ লাখ এবং আফগানিস্তান ও ইয়েমেনে ৪৩ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
যুদ্ধ সংঘাতের বাইরে প্রকৃতির দুর্যোগের কারণে গত বছর পৃথিবীব্যাপী বাস্তুচ্যুত হয়েছে ২ কোটি ৩৭ লাখ মানুষ।
সব জল্পনা-কল্পনা উড়িয়ে দিয়ে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে জড়ালই যুক্তরাষ্ট্র। আজ রোববার মধ্যপ্রাচ্যের স্থানীয় সময় ভোরে ইরানের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্র— ফোরদো, নাতানজ ও ইস্পাহানে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই স্থাপনাগুলোতে গত শুক্রবার ইসরায়েলও হামলা চালিয়েছিল।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রকে কেন ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে জড়ানো হলো, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে তার কৈফিয়ত চেয়েছেন ডেমোক্র্যাট সিনেটর চাক শুমার। কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া তিনি কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার স্পষ্ট জবাব জানতে চেয়েছেন ওই ডেমোক্র্যাট নেতা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগেই ইরানের ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা থেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নিয়েছে ইরান। স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকেরা। পাহাড়ের ভেতরে গড়ে ওঠা এই গোপন ও কড়া নিরাপত্তাবেষ্টিত পরমাণু জ্বালানি সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের একাধিক প্রবেশপথে মাটি জমে থাকতে দেখা
৪ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে ইরানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলার ঘোষণা দেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি বিশ্বজুড়ে অচল হয়ে পড়ে। স্থানীয় সময় শনিবার রাত ৮টার দিকে এই বিভ্রাট শুরু হয়, যা চলে অনেকক্ষণ। তবে এখন আবার স্বাভাবিকভাবে চলছে প্ল্যাটফর্মটি।
৫ ঘণ্টা আগে