লোহিত সাগরে পণ্যবাহী কয়েকটি মার্কিন জাহাজের ওপর ইরানের মদতপুষ্ট হুতিদের হামলার জের ধরে এই সাগরের পথ এড়িয়ে অন্য পথে পণ্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় অধিকাংশ বাণিজ্যিক জাহাজ সংস্থা। এর ফলে জাহাজগুলোর চলাচলের সময় অন্তত এক সপ্তাহ বেড়ে যায়। অতিরিক্ত ৩ হাজার ৫০০ নটিক্যাল মাইল যেতে হচ্ছে জাহাজগুলোকে। এর ফলে জাহাজ চলাচলের খরচও অনেকটা বেড়ে যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে আন্তর্জাতিক বাজারে জিনিসপত্রের দাম ভয়ংকরভাবে বেড়ে যাবে। চীনের সাংহাই থেকে নেদারল্যান্ডসের বন্দর নগরী রটারডাম পর্যন্ত যদি দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ অব গুড হোপ হয়ে যেতে হয়, তাহলে জাহাজের তেলের খরচ এক মিলিয়ন ডলার বেশি পড়ে। পণ্য পরিবহন সংস্থাগুলো স্বাভাবিকভাবে সেই ক্ষতি নিজেদের কাঁধে রাখবে না। তারা পণ্যের ওপর সেই দাম ধার্য করবে। এতে জিনিসের দাম এরই মধ্যে বাড়তে শুরু করেছে। খবর ডয়চে ভেলের।
এই পথে যাত্রা করা জাহাজগুলোর বিমার মূল্যও অনেক গুণ বেড়ে গেছে। কোপেনহেগেনের একটি সংস্থার বাজার বিশেষজ্ঞের বক্তব্য, জাহাজের এই অন্য পথ নেওয়া আন্তর্জাতিক বাজারে ইতিমধ্যেই প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে।
সমস্যা হচ্ছে অন্যদিকেও। ইউরোপের বন্দরগুলোতে নির্দিষ্ট কাজের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ লোক আছে। ধরা যাক, একটি বন্দর সপ্তাহে ৫০ হাজার কনটেইনার নামাতে অভ্যস্ত। সেখানে আচমকাই দেখা গেল, এক সপ্তাহে কনটেইনার আসছে না, পরের সপ্তাহে দ্বিগুণ কনটেইনার আসছে। তখন কাজের ভারসাম্য নষ্ট হয়। জাহাজগুলো সুয়েজখাল এড়িয়ে চলায় বর্তমানে ঠিক সে ঘটনাই ঘটছে। বন্দরগুলোতে ভয়াবহ চাপ বেড়ে গেছে, যা সামাল দেওয়া মুশকিল হয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ইরানের মদতপুষ্ট হুতি বিদ্রোহীরা ৩ ডিসেম্বর ইয়েমেনের কাছে লোহিত সাগরে কয়েকটি মার্কিন জাহাজের ওপর আক্রমণ চালায়। জাহাজগুলো পণ্যবাহী ছিল।
করোনার সময় একবার কিছুদিনের জন্য সুয়েজখাল বন্ধ রাখতে হয়েছিল। সে সময় গোটা বিশ্বে দ্রব্যমূল্য আচমকাই অনেকটা বেড়ে গিয়েছিল। আবার তেমনই পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
যদিও গত সোমবার মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন জানিয়েছেন, লোহিত সাগরের জন্য একটি নতুন প্রতিরক্ষা বাহিনী তৈরি করা হচ্ছে। পণ্যবাহী জাহাজগুলোকে হুতি আক্রমণকারীদের হাত থেকে রক্ষা করবে তারা। তবে জাহাজ সংস্থাগুলো জানায়, ওই পথ সম্পূর্ণ নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত তারা সুয়েজের পথ এড়িয়ে চলবে।
সুয়েজ খাল দিয়ে বিশ্বের ১২ শতাংশ বাণিজ্য সঞ্চালিত হয়। সেই ব্যস্ত পথ এখন কার্যত খালি।
এশিয়া থেকে ইউরোপের পথে লোহিত সাগর হলো সবচেয়ে সহজ পথ। লোহিত সাগর থেকে ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে সুয়েজ খাল ধরে যায় এই পথ। এই পথ এড়াতে হলে আফ্রিকায় ঢুকতে হবে। আফ্রিকার সেই ঘুরপথেই আপাতত চলাচল করছে অধিকাংশ পণ্যবাহী জাহাজ। কেপ অব গুড হোপ হয়ে তারা এশিয়ার পথ ধরছে।
লোহিত সাগরে পণ্যবাহী কয়েকটি মার্কিন জাহাজের ওপর ইরানের মদতপুষ্ট হুতিদের হামলার জের ধরে এই সাগরের পথ এড়িয়ে অন্য পথে পণ্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় অধিকাংশ বাণিজ্যিক জাহাজ সংস্থা। এর ফলে জাহাজগুলোর চলাচলের সময় অন্তত এক সপ্তাহ বেড়ে যায়। অতিরিক্ত ৩ হাজার ৫০০ নটিক্যাল মাইল যেতে হচ্ছে জাহাজগুলোকে। এর ফলে জাহাজ চলাচলের খরচও অনেকটা বেড়ে যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে আন্তর্জাতিক বাজারে জিনিসপত্রের দাম ভয়ংকরভাবে বেড়ে যাবে। চীনের সাংহাই থেকে নেদারল্যান্ডসের বন্দর নগরী রটারডাম পর্যন্ত যদি দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ অব গুড হোপ হয়ে যেতে হয়, তাহলে জাহাজের তেলের খরচ এক মিলিয়ন ডলার বেশি পড়ে। পণ্য পরিবহন সংস্থাগুলো স্বাভাবিকভাবে সেই ক্ষতি নিজেদের কাঁধে রাখবে না। তারা পণ্যের ওপর সেই দাম ধার্য করবে। এতে জিনিসের দাম এরই মধ্যে বাড়তে শুরু করেছে। খবর ডয়চে ভেলের।
এই পথে যাত্রা করা জাহাজগুলোর বিমার মূল্যও অনেক গুণ বেড়ে গেছে। কোপেনহেগেনের একটি সংস্থার বাজার বিশেষজ্ঞের বক্তব্য, জাহাজের এই অন্য পথ নেওয়া আন্তর্জাতিক বাজারে ইতিমধ্যেই প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে।
সমস্যা হচ্ছে অন্যদিকেও। ইউরোপের বন্দরগুলোতে নির্দিষ্ট কাজের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ লোক আছে। ধরা যাক, একটি বন্দর সপ্তাহে ৫০ হাজার কনটেইনার নামাতে অভ্যস্ত। সেখানে আচমকাই দেখা গেল, এক সপ্তাহে কনটেইনার আসছে না, পরের সপ্তাহে দ্বিগুণ কনটেইনার আসছে। তখন কাজের ভারসাম্য নষ্ট হয়। জাহাজগুলো সুয়েজখাল এড়িয়ে চলায় বর্তমানে ঠিক সে ঘটনাই ঘটছে। বন্দরগুলোতে ভয়াবহ চাপ বেড়ে গেছে, যা সামাল দেওয়া মুশকিল হয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ইরানের মদতপুষ্ট হুতি বিদ্রোহীরা ৩ ডিসেম্বর ইয়েমেনের কাছে লোহিত সাগরে কয়েকটি মার্কিন জাহাজের ওপর আক্রমণ চালায়। জাহাজগুলো পণ্যবাহী ছিল।
করোনার সময় একবার কিছুদিনের জন্য সুয়েজখাল বন্ধ রাখতে হয়েছিল। সে সময় গোটা বিশ্বে দ্রব্যমূল্য আচমকাই অনেকটা বেড়ে গিয়েছিল। আবার তেমনই পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
যদিও গত সোমবার মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন জানিয়েছেন, লোহিত সাগরের জন্য একটি নতুন প্রতিরক্ষা বাহিনী তৈরি করা হচ্ছে। পণ্যবাহী জাহাজগুলোকে হুতি আক্রমণকারীদের হাত থেকে রক্ষা করবে তারা। তবে জাহাজ সংস্থাগুলো জানায়, ওই পথ সম্পূর্ণ নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত তারা সুয়েজের পথ এড়িয়ে চলবে।
সুয়েজ খাল দিয়ে বিশ্বের ১২ শতাংশ বাণিজ্য সঞ্চালিত হয়। সেই ব্যস্ত পথ এখন কার্যত খালি।
এশিয়া থেকে ইউরোপের পথে লোহিত সাগর হলো সবচেয়ে সহজ পথ। লোহিত সাগর থেকে ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে সুয়েজ খাল ধরে যায় এই পথ। এই পথ এড়াতে হলে আফ্রিকায় ঢুকতে হবে। আফ্রিকার সেই ঘুরপথেই আপাতত চলাচল করছে অধিকাংশ পণ্যবাহী জাহাজ। কেপ অব গুড হোপ হয়ে তারা এশিয়ার পথ ধরছে।
ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে। এই পদক্ষেপ শুধু মধ্যপ্রাচ্যের শক্তির ভারসাম্যকেই নাড়িয়ে দেয়নি, বরং এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্ব রাজনীতিতেও। মস্কো থেকে এর প্রতিক্রিয়া এসেছে দ্রুত ও তীব্রভাবে।
১ ঘণ্টা আগেমিছিলে অংশ নেন শতাধিক দলীয় কর্মী, সমর্থক, ছাত্র, যুব ও শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধি। ‘আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদ নিপাত যাক’, ‘ইরানে বোমাবাজি চলবে না’ ইত্যাদি স্লোগানে মুখর হয় গোটা এলাকা। এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ‘সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস’ করে দেওয়া হয়েছে। তবে এই দাবি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে ইরানি গণমাধ্যম ও স্থানীয় কর্মকর্তারা।
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর সামরিক হামলার প্রতিক্রিয়ায় হরমুজ প্রণালি বন্ধের প্রস্তাব পাস করেছে ইরানের পার্লামেন্ট। এই প্রস্তাবের ফলে বৈশ্বিক জ্বালানি সরবরাহে বড় ধরনের সংকট তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
৪ ঘণ্টা আগে