ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপের লড়াইয়ে চূড়ান্তভাবে বিদায় ঘণ্টা বাজল জইর বলসোনারোর। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত বিজয়ের হাসি হাসলেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। এখন তিনিই হতে চলেছেন লাতিন আমেরিকার সবচেয়ে বড় দেশ ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লুলা দা সিলভা ৫০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। এটি বলসোনারোকে পরাজিত করার জন্য যথেষ্ট।
লুলা এ ফিরে আসাকে ‘অত্যাশ্চর্য প্রত্যাবর্তন’ বলে অভিহিত করেছে বিশ্বের গণমাধ্যমগুলো। কারণ ব্রাজিলের এই সাবেক প্রেসিডেন্ট ২০১৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশই নিতে পারেননি। কারণ তখন তিনি কারাগারে ছিলেন এবং নির্বাচন করার ব্যাপারে তাঁর ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। লুলা সেই সময়ে ব্রাজিলের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি পেট্রোব্রাস ও একটি নির্মাণ সংস্থার মধ্যে চুক্তি করার বিষয়ে ঘুষ নেওয়ার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। ব্রাজিলের এই বর্ষীয়ান রাজনীতিক ৫৮০ দিন জেলে কাটানোর পর রাজনীতির ময়দানে ফিরতে পেরেছিলেন।
নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর লুলা তাঁর বিজয়ী ভাষণে বলেন, ‘তারা আমাকে জীবন্ত কবর দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু পারেনি। আমি এখন এখানে।’ লুলা দা সিলভা এর আগে ২০০৩ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
এদিকে পরাজিত বলসোনারোর সমর্থকেরা ব্রাজিলের গণমাধ্যম ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ‘পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ’ তুলেছে। বিবিসি বলেছে, জইর বলসোনারো হেরে গেলেও তাঁর ঘনিষ্ঠ আইন প্রণেতারা কংগ্রেসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছেন। ফলে লুলা আইনসভায় তাঁর নীতির কঠোর বিরোধিতার মুখোমুখি হবেন।
লুলা দা সিলভা তাঁর বিজয়ী ভাষণে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন এবং বলেছেন, যারা তাঁকে ভোট দিয়েছে শুধু তাদের শাসক নয় বরং তিনি ব্রাজিলের সবার শাসক হতে চান। লুলা বলেছেন, ‘এই দেশে শান্তি ও ঐক্য দরকার। এ দেশের মানুষ আর যুদ্ধ করতে চায় না।’
জইর বলসোনারো এখনো পরাজয় স্বীকার করেননি। তবে তিনি দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোট শুরুর একদিন আগে বলেছিলেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই, যিনি বেশি ভোট পাবেন তিনিই প্রেসিডেন্ট হবেন। এটাকেই গণতন্ত্র বলে।’ এখন ভোটে পরাজিত হওয়ার পরে বলসোনারো কী বলেন, তা জানার অপেক্ষায় রয়েছেন ব্রাজিলের জনগণ।
এদিকে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, প্রায় ৯৯ শতাংশ ভোট গণনা সম্পন্ন হয়েছে। এখন পর্যন্ত লুলা দা সিলভা ৫০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে জইর বলসোনারো ৪৯ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।
এর আগে গত ২ অক্টোবর প্রথম দফার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই ভোটে লুলা ৪৮ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। অন্যদিকে বলসোনারো পেয়েছিলেন ৪৩ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট। নিয়ম অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশের কম ভোট পেলে, নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়ায়। সেই নিয়ম মেনে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হলো।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ব্রাজিলের দায়িত্ব নেবেন লুলা দা সিলভা।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপের লড়াইয়ে চূড়ান্তভাবে বিদায় ঘণ্টা বাজল জইর বলসোনারোর। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত বিজয়ের হাসি হাসলেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। এখন তিনিই হতে চলেছেন লাতিন আমেরিকার সবচেয়ে বড় দেশ ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লুলা দা সিলভা ৫০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। এটি বলসোনারোকে পরাজিত করার জন্য যথেষ্ট।
লুলা এ ফিরে আসাকে ‘অত্যাশ্চর্য প্রত্যাবর্তন’ বলে অভিহিত করেছে বিশ্বের গণমাধ্যমগুলো। কারণ ব্রাজিলের এই সাবেক প্রেসিডেন্ট ২০১৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশই নিতে পারেননি। কারণ তখন তিনি কারাগারে ছিলেন এবং নির্বাচন করার ব্যাপারে তাঁর ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। লুলা সেই সময়ে ব্রাজিলের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি পেট্রোব্রাস ও একটি নির্মাণ সংস্থার মধ্যে চুক্তি করার বিষয়ে ঘুষ নেওয়ার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। ব্রাজিলের এই বর্ষীয়ান রাজনীতিক ৫৮০ দিন জেলে কাটানোর পর রাজনীতির ময়দানে ফিরতে পেরেছিলেন।
নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর লুলা তাঁর বিজয়ী ভাষণে বলেন, ‘তারা আমাকে জীবন্ত কবর দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু পারেনি। আমি এখন এখানে।’ লুলা দা সিলভা এর আগে ২০০৩ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
এদিকে পরাজিত বলসোনারোর সমর্থকেরা ব্রাজিলের গণমাধ্যম ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ‘পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ’ তুলেছে। বিবিসি বলেছে, জইর বলসোনারো হেরে গেলেও তাঁর ঘনিষ্ঠ আইন প্রণেতারা কংগ্রেসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছেন। ফলে লুলা আইনসভায় তাঁর নীতির কঠোর বিরোধিতার মুখোমুখি হবেন।
লুলা দা সিলভা তাঁর বিজয়ী ভাষণে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন এবং বলেছেন, যারা তাঁকে ভোট দিয়েছে শুধু তাদের শাসক নয় বরং তিনি ব্রাজিলের সবার শাসক হতে চান। লুলা বলেছেন, ‘এই দেশে শান্তি ও ঐক্য দরকার। এ দেশের মানুষ আর যুদ্ধ করতে চায় না।’
জইর বলসোনারো এখনো পরাজয় স্বীকার করেননি। তবে তিনি দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোট শুরুর একদিন আগে বলেছিলেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই, যিনি বেশি ভোট পাবেন তিনিই প্রেসিডেন্ট হবেন। এটাকেই গণতন্ত্র বলে।’ এখন ভোটে পরাজিত হওয়ার পরে বলসোনারো কী বলেন, তা জানার অপেক্ষায় রয়েছেন ব্রাজিলের জনগণ।
এদিকে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, প্রায় ৯৯ শতাংশ ভোট গণনা সম্পন্ন হয়েছে। এখন পর্যন্ত লুলা দা সিলভা ৫০ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে জইর বলসোনারো ৪৯ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।
এর আগে গত ২ অক্টোবর প্রথম দফার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই ভোটে লুলা ৪৮ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। অন্যদিকে বলসোনারো পেয়েছিলেন ৪৩ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট। নিয়ম অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশের কম ভোট পেলে, নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়ায়। সেই নিয়ম মেনে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হলো।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ব্রাজিলের দায়িত্ব নেবেন লুলা দা সিলভা।
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির জানিয়েছেন, বেলুচিস্তানের রেকো ডিক খনি থেকে দেশের ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধি নির্ভর করছে। তিনি বিশ্বাস করেন, চীন যদি পাশে থাকে, তাহলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সোনা ও তামার খনিকে ঘিরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক চেহারা পাল্টে যেতে পারে।
১ ঘণ্টা আগেগত সপ্তাহেই কেনিয়ার আদালতের এক ম্যাজিস্ট্রেট আশা প্রকাশ করেছেন, ব্রিটিশ সম্পদশালী ব্যবসায়ী হ্যারি রয় ভিভার্সের আত্মা এবার হয়তো শান্তি পাবে। কিন্তু মৃত্যুর ১২ বছর পরও তাঁর মরদেহ কোথায় শায়িত হবে, সে প্রশ্ন এখনো অনির্ধারিতই রয়ে গেছে।
৪ ঘণ্টা আগেউপহারটি যখন দেওয়া হয়, তখন আফসারের দোকান বন্ধ ছিল। গত শুক্রবার তিনি দোকানে পৌঁছে উপহারটি খোলেন এবং দেখেন যে স্পিকারগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি ভারী।
৪ ঘণ্টা আগেতানজানিয়ার উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত নর্থ মারা সোনার খনি একদিকে যেমন দেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করছে, অন্যদিকে স্থানীয় মানুষের জন্য নিয়ে এসেছে ভয়াবহ দুর্দশা, নির্যাতন আর মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম হু হু করে বাড়ায় এ খনিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দমন-পীড়ন, পুলিশি সহিংসতা ও অপহরণের মতো ঘটনা বাড়ছে।
৫ ঘণ্টা আগে