গ্যাবনে সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল ঘোষণার কয়েক মিনিটের মাথায় ঘটে সামরিক অভ্যুত্থান। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট আলী বঙ্গোকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় সেই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে। এই অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছেন আলী বঙ্গোর গোত্রের সদস্য ও তাঁর দূর সম্পর্কীয় ভাই জেনারেল ব্রিস ক্লোথায়ার ওলিগুই এনগুয়েমা।
এনগুয়েমা গ্যাবনের সবচেয়ে শক্তিশালী বাহিনী গ্যাবনিজ রিপাবলিকান গার্ডের কমান্ডার। অভ্যুত্থানের প্রথম দিকে এনগুয়েমা নিজে সামনে থেকে নেতৃত্ব না দিলেও অভ্যুত্থানের পর সেনাবাহিনীর শীর্ষ জেনারেলরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে এনগুয়েমাকেই বেছে নেন।
এনগুয়েমা দেশটির প্রেসিডেন্ট আলী বঙ্গোর এলাকার। তাঁর বাবা ছিলেন গ্যাবনের সামরিক বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভর্তি হন সেনাবাহিনীতে। প্রশিক্ষণ নেন মরক্কোর রয়্যাল মিলিটারি একাডেমি অব মেকনেসে। সামরিক বাহিনীতে প্রবেশের পর তিনি আলী বঙ্গোর বাবা এবং গ্যাবনের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ওমর বঙ্গোর সামরিক সহযোগী ছিলেন।
বাবার মৃত্যুর পর ২০০৯ সালে আলী বঙ্গো প্রেসিডেন্ট হন এবং এনগুয়েমাকে কূটনৈতিক দায়িত্ব দিয়ে মরক্কো এবং সেনেগালে পাঠানো হয়। সেই দায়িত্ব শেষ করে এসে রিপাবলিকান গার্ডের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব নেন। এই বাহিনীই গ্যাবনের প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত।
এনগুয়েমা নিজেকে কেবল সামরিক নেতা হিসেবেই দেখতে চাননি, বিভিন্ন ব্যবসায় রয়েছে তাঁর বিপুল বিনিয়োগ। অনুমান করা হয়, তিনি কয়েক মিলিয়ন ডলার সম্পত্তির মালিক। অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সংগঠন অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্টের (ওসিসিআরপি) এক প্রতিবেদনে ২০২০ সালে বলা হয়, এনগুয়েমা যুক্তরাষ্ট্রের রিয়েল এস্টেট খাতে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করেছেন এবং এসব অর্থ তিনি দিয়েছেন নগদ টাকায়। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ড, হ্যাটসভিল ও সিলভার স্প্রিংয়ে এনগুয়েমার নিজের তিনটি বাড়ি রয়েছে। বাড়ি তিনটি কিনতে তাঁকে ব্যয় করতে হয়েছে অন্তত ১০ লাখ ডলার।
এদিকে, অভ্যুত্থানের পর এনগুয়েমাকেই দেশের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট করা হতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে। তাঁর নিজেরও রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন হওয়ার আকাঙ্ক্ষা রয়েছে।
অভ্যুত্থানের পর ফরাসি সংবাদমাধ্যম লা মন্ডেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এনগুয়েমা বলেন, ‘জন-অসন্তোষের বাইরেও রাষ্ট্রপ্রধানের অসুস্থতা একটি বড় কারণ (আলী বঙ্গো ২০১৮ সালের অক্টোবরে স্ট্রোক করেন, তার পর থেকেই তিনি শারীরিকভাবে দুর্বল)। সবাই এটা নিয়ে কথা বলে, কিন্তু কেউ দায়িত্ব নেয় না। তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচন করার অধিকার তাঁর ছিল না। এর মধ্য দিয়ে সংবিধান লঙ্ঘিত হয়েছে, নির্বাচনের পদ্ধতিও সুষ্ঠু ছিল না। তাই সেনাবাহিনী পালাবদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দায়িত্ব পালনের জন্য।’
তিনি আরও বলেছেন, বঙ্গো চাইলে অবসরে যেতে পারেন এবং অন্যান্য সাধারণ গ্যাবনিজর মতো তিনি সব অধিকারই ভোগ করবেন। এ সময় এনগুয়েমা জানান, শীর্ষ জেনারেলরা মিলে ঠিক করবেন কে বঙ্গোর উত্তরাধিকারী হবেন। তবে এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও থেকে দেখা গেছে, গ্যাবনের সাধারণ সৈন্যরা এনগুয়েমাকে ঘিরে নাচছে এবং তাঁকে গ্যাবনের পরবর্তী ‘স্ট্রংম্যান’ বলে অভিহিত করছে।
তথ্যসূত্র: আল-জাজিরা
গ্যাবনে সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল ঘোষণার কয়েক মিনিটের মাথায় ঘটে সামরিক অভ্যুত্থান। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট আলী বঙ্গোকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় সেই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে। এই অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছেন আলী বঙ্গোর গোত্রের সদস্য ও তাঁর দূর সম্পর্কীয় ভাই জেনারেল ব্রিস ক্লোথায়ার ওলিগুই এনগুয়েমা।
এনগুয়েমা গ্যাবনের সবচেয়ে শক্তিশালী বাহিনী গ্যাবনিজ রিপাবলিকান গার্ডের কমান্ডার। অভ্যুত্থানের প্রথম দিকে এনগুয়েমা নিজে সামনে থেকে নেতৃত্ব না দিলেও অভ্যুত্থানের পর সেনাবাহিনীর শীর্ষ জেনারেলরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে এনগুয়েমাকেই বেছে নেন।
এনগুয়েমা দেশটির প্রেসিডেন্ট আলী বঙ্গোর এলাকার। তাঁর বাবা ছিলেন গ্যাবনের সামরিক বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভর্তি হন সেনাবাহিনীতে। প্রশিক্ষণ নেন মরক্কোর রয়্যাল মিলিটারি একাডেমি অব মেকনেসে। সামরিক বাহিনীতে প্রবেশের পর তিনি আলী বঙ্গোর বাবা এবং গ্যাবনের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ওমর বঙ্গোর সামরিক সহযোগী ছিলেন।
বাবার মৃত্যুর পর ২০০৯ সালে আলী বঙ্গো প্রেসিডেন্ট হন এবং এনগুয়েমাকে কূটনৈতিক দায়িত্ব দিয়ে মরক্কো এবং সেনেগালে পাঠানো হয়। সেই দায়িত্ব শেষ করে এসে রিপাবলিকান গার্ডের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব নেন। এই বাহিনীই গ্যাবনের প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত।
এনগুয়েমা নিজেকে কেবল সামরিক নেতা হিসেবেই দেখতে চাননি, বিভিন্ন ব্যবসায় রয়েছে তাঁর বিপুল বিনিয়োগ। অনুমান করা হয়, তিনি কয়েক মিলিয়ন ডলার সম্পত্তির মালিক। অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সংগঠন অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্টের (ওসিসিআরপি) এক প্রতিবেদনে ২০২০ সালে বলা হয়, এনগুয়েমা যুক্তরাষ্ট্রের রিয়েল এস্টেট খাতে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করেছেন এবং এসব অর্থ তিনি দিয়েছেন নগদ টাকায়। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ড, হ্যাটসভিল ও সিলভার স্প্রিংয়ে এনগুয়েমার নিজের তিনটি বাড়ি রয়েছে। বাড়ি তিনটি কিনতে তাঁকে ব্যয় করতে হয়েছে অন্তত ১০ লাখ ডলার।
এদিকে, অভ্যুত্থানের পর এনগুয়েমাকেই দেশের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট করা হতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে। তাঁর নিজেরও রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন হওয়ার আকাঙ্ক্ষা রয়েছে।
অভ্যুত্থানের পর ফরাসি সংবাদমাধ্যম লা মন্ডেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এনগুয়েমা বলেন, ‘জন-অসন্তোষের বাইরেও রাষ্ট্রপ্রধানের অসুস্থতা একটি বড় কারণ (আলী বঙ্গো ২০১৮ সালের অক্টোবরে স্ট্রোক করেন, তার পর থেকেই তিনি শারীরিকভাবে দুর্বল)। সবাই এটা নিয়ে কথা বলে, কিন্তু কেউ দায়িত্ব নেয় না। তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচন করার অধিকার তাঁর ছিল না। এর মধ্য দিয়ে সংবিধান লঙ্ঘিত হয়েছে, নির্বাচনের পদ্ধতিও সুষ্ঠু ছিল না। তাই সেনাবাহিনী পালাবদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দায়িত্ব পালনের জন্য।’
তিনি আরও বলেছেন, বঙ্গো চাইলে অবসরে যেতে পারেন এবং অন্যান্য সাধারণ গ্যাবনিজর মতো তিনি সব অধিকারই ভোগ করবেন। এ সময় এনগুয়েমা জানান, শীর্ষ জেনারেলরা মিলে ঠিক করবেন কে বঙ্গোর উত্তরাধিকারী হবেন। তবে এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও থেকে দেখা গেছে, গ্যাবনের সাধারণ সৈন্যরা এনগুয়েমাকে ঘিরে নাচছে এবং তাঁকে গ্যাবনের পরবর্তী ‘স্ট্রংম্যান’ বলে অভিহিত করছে।
তথ্যসূত্র: আল-জাজিরা
ভিয়েতনামের কৃষক নুয়েন থি হুয়ং। চিন্তায় ঠিকমতো ঘুমোতে পারছেন না। হাতছাড়া হতে যাচ্ছে তাঁর রুজি-রোজগারের একমাত্র উপায়। তাও আবার তাঁর নিজ দেশে ট্রাম্প পরিবারের সমর্থনে নির্মিত হতে যাওয়া একটি গলফ ক্লাবের জন্য। বিনিময়ে মিলবে মাত্র ৩২০০ মার্কিন ডলার এবং কয়েক মাসের জন্য চাল।
২৩ মিনিট আগেপারমাণবিক হামলায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের অনেকে ছিলেন অল্পবয়সী নারী, যাঁরা বোমা হামলার সময় গর্ভবতী বা সন্তান ধারণের উপযুক্ত বয়সে ছিলেন। কিন্তু তাঁদের শরীর থেকে সন্তানের শরীরে তেজস্ক্রিয়তা প্রবেশ করতে পারে, এই ভয়ে একপ্রকার ধ্বংসই হয়ে গেছে তাঁদের জীবন। চিকিৎসক, পরিচিতজন, বন্ধুবান্ধব এমনকি পরিবারের...
১ ঘণ্টা আগেস্ত্রীকে নিয়ে গ্রামের দিকে যাচ্ছিলেন স্বামী। পথিমধ্যে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান স্ত্রী। দিশেহারা স্বামী আশপাশে মানুষের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন, কিন্তু ভারী বৃষ্টি ও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে কেউ এগিয়ে আসেনি।
১ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর জনবল গত ৬ বছরে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। বর্তমানে দেশটির সেনাসদস্য প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার, যা ২০১৮ সালের তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ কম। আর এই লোকবল কমার কারণ, দেশটিতে জন্মহার হ্রাস পাওয়ায় জনসংখ্যার হ্রাস। খবর বিবিসির।
১ ঘণ্টা আগে