প্রতি বছর অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১ কোটিরও বেশি ফলখেকো বাদুড় আফ্রিকার বিভিন্ন স্থান থেকে উড়ে এসে জাম্বিয়ার কাসাঙ্কা ন্যাশনাল পার্কে জড়ো হয়। বাৎসরিক এই ঘটনাটিকে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম স্তন্যপায়ী প্রাণীর অভিবাসন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এই পার্কটি বিস্তীর্ণ মিয়োম্বো বনভূমির অংশ।
জানুয়ারিতে বাদুড়গুলো পার্ক ছেড়ে আশপাশের বিস্তৃত শুকনো মিয়োম্বো বনে ছড়িয়ে পড়ে। এই বনে তারা সারা বছর ফলের প্রাচুর্য পায়। তানজানিয়ার উত্তর দিক থেকে শুরু করে পশ্চিমে অ্যাঙ্গোলা ও দক্ষিণ মোজাম্বিক পর্যন্ত বিস্তৃত ১৯ লাখ বর্গকিলোমিটারজুড়ে বিস্তৃত মিয়োম্বো বনভূমি মেক্সিকোর সমান আয়তনের।
বুধবার সিএনএন জানিয়েছে, মিয়োম্বো বন ৩০ কোটিরও বেশি মানুষের জীবিকা নির্বাহের প্রধান উৎস এবং এটি আফ্রিকার হাতির বৃহত্তম আবাসস্থলগুলোর একটি। ১৯৮০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে মিয়োম্বো বনভূমির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ হারিয়ে গেছে। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, এই বন আগের ধারণার চেয়েও দ্বিগুণ কার্বন শোষণ করতে পারে। এই অতিরিক্ত কার্বনের পরিমাণ ৩৭০ কোটি টন, যা ২০২৩ সালে চীনের মোট কার্বন নির্গমনের চেয়েও বেশি। নতুন এই তথ্য বনটির সংরক্ষণের গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন-এর অধ্যাপক ম্যাথিয়াস ডিজনি বলেন, আগের গবেষণাগুলো গাছের কাণ্ডের ব্যাসের ভিত্তিতে কার্বন সংরক্ষণের হিসেব করেছিল, যা বাস্তবসম্মত নয়। নতুন গবেষণায় ‘লিডার’ (এলআইডিএআর) প্রযুক্তির মাধ্যমে মিয়োম্বোর কার্বন ধারণক্ষমতা মাপা হয়েছে। এটি অত্যন্ত উন্নত প্রযুক্তি, যেখানে লেজার রশ্মি ব্যবহার করে বনভূমির থ্রিডি মানচিত্র তৈরি করা হয়।
মোজাম্বিকের ৫০০ বর্গকিলোমিটার বনাঞ্চলে ‘লিডার’ প্রযুক্তির মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্য থেকে দেখা যায়—আগের গবেষণাগুলোর তুলনায় মিয়োম্বো অনেক বেশি কার্বন সংরক্ষণ করতে পারে। এই আবিষ্কার এই বন সংরক্ষণের আর্থিক মূল্যও দ্বিগুণ করেছে।
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ১১টি দক্ষিণ আফ্রিকান দেশ, সংরক্ষণ সংস্থা এবং বৈশ্বিক পণ্যবাজার সংস্থা ‘ট্রাফিগুরা’ যৌথভাবে ‘মিয়োম্বো রিস্টোরেশন অ্যালায়েন্স’ গঠন করেছে। মিয়োম্বো বনকে পুনরুদ্ধার করাই এই উদ্যোগের লক্ষ্য। ‘ট্রাফিগুরা’ এই উদ্যোগে ৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করছে, যা বন পুনরুদ্ধার প্রকল্পগুলোর জন্য ব্যবহার করা হবে।
২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে আজারবাইজানে অনুষ্ঠিত কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনে এই জোটের প্রথম পাইলট প্রকল্প ঘোষণা করা হয়। এটি মোজাম্বিকের গোরোনগোসা জেলায় টেকসই কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে বনকে রক্ষা ও কার্বন নির্গমন হ্রাসে সহায়তা করবে।
তবে এই বন সংরক্ষণের গুরুত্ব শুধু কার্বন শোষণের জন্য নয়। অধ্যাপক ডিজনি বলেন, ‘বন শুধুই কার্বনের আধার নয়, এটি জীববৈচিত্র্য, খাদ্য, চিকিৎসা, বাসস্থান, এমনকি মানুষের সুস্থতার জন্যও অপরিহার্য।’
আফ্রিকান ওয়াইল্ডলাইফ ফাউন্ডেশনের গ্লোবাল লিডারশিপ ডিরেক্টর অ্যাডউইন টামবারা বলেন, ‘মিয়োম্বো বনভূমি আফ্রিকার মানুষের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কিন্তু এটি যথাযথ গুরুত্ব পায়নি।’ তিনি জানান, এই বন তাঁর শৈশবে খাদ্য, ওষুধ এবং নির্মাণ সামগ্রীর উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
টামবারা বলেন, ‘আফ্রিকানদের নেতৃত্বেই এই সংরক্ষণ কার্যক্রম চালানো জরুরি।’
প্রতি বছর অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১ কোটিরও বেশি ফলখেকো বাদুড় আফ্রিকার বিভিন্ন স্থান থেকে উড়ে এসে জাম্বিয়ার কাসাঙ্কা ন্যাশনাল পার্কে জড়ো হয়। বাৎসরিক এই ঘটনাটিকে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম স্তন্যপায়ী প্রাণীর অভিবাসন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এই পার্কটি বিস্তীর্ণ মিয়োম্বো বনভূমির অংশ।
জানুয়ারিতে বাদুড়গুলো পার্ক ছেড়ে আশপাশের বিস্তৃত শুকনো মিয়োম্বো বনে ছড়িয়ে পড়ে। এই বনে তারা সারা বছর ফলের প্রাচুর্য পায়। তানজানিয়ার উত্তর দিক থেকে শুরু করে পশ্চিমে অ্যাঙ্গোলা ও দক্ষিণ মোজাম্বিক পর্যন্ত বিস্তৃত ১৯ লাখ বর্গকিলোমিটারজুড়ে বিস্তৃত মিয়োম্বো বনভূমি মেক্সিকোর সমান আয়তনের।
বুধবার সিএনএন জানিয়েছে, মিয়োম্বো বন ৩০ কোটিরও বেশি মানুষের জীবিকা নির্বাহের প্রধান উৎস এবং এটি আফ্রিকার হাতির বৃহত্তম আবাসস্থলগুলোর একটি। ১৯৮০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে মিয়োম্বো বনভূমির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ হারিয়ে গেছে। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, এই বন আগের ধারণার চেয়েও দ্বিগুণ কার্বন শোষণ করতে পারে। এই অতিরিক্ত কার্বনের পরিমাণ ৩৭০ কোটি টন, যা ২০২৩ সালে চীনের মোট কার্বন নির্গমনের চেয়েও বেশি। নতুন এই তথ্য বনটির সংরক্ষণের গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন-এর অধ্যাপক ম্যাথিয়াস ডিজনি বলেন, আগের গবেষণাগুলো গাছের কাণ্ডের ব্যাসের ভিত্তিতে কার্বন সংরক্ষণের হিসেব করেছিল, যা বাস্তবসম্মত নয়। নতুন গবেষণায় ‘লিডার’ (এলআইডিএআর) প্রযুক্তির মাধ্যমে মিয়োম্বোর কার্বন ধারণক্ষমতা মাপা হয়েছে। এটি অত্যন্ত উন্নত প্রযুক্তি, যেখানে লেজার রশ্মি ব্যবহার করে বনভূমির থ্রিডি মানচিত্র তৈরি করা হয়।
মোজাম্বিকের ৫০০ বর্গকিলোমিটার বনাঞ্চলে ‘লিডার’ প্রযুক্তির মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্য থেকে দেখা যায়—আগের গবেষণাগুলোর তুলনায় মিয়োম্বো অনেক বেশি কার্বন সংরক্ষণ করতে পারে। এই আবিষ্কার এই বন সংরক্ষণের আর্থিক মূল্যও দ্বিগুণ করেছে।
২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ১১টি দক্ষিণ আফ্রিকান দেশ, সংরক্ষণ সংস্থা এবং বৈশ্বিক পণ্যবাজার সংস্থা ‘ট্রাফিগুরা’ যৌথভাবে ‘মিয়োম্বো রিস্টোরেশন অ্যালায়েন্স’ গঠন করেছে। মিয়োম্বো বনকে পুনরুদ্ধার করাই এই উদ্যোগের লক্ষ্য। ‘ট্রাফিগুরা’ এই উদ্যোগে ৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করছে, যা বন পুনরুদ্ধার প্রকল্পগুলোর জন্য ব্যবহার করা হবে।
২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে আজারবাইজানে অনুষ্ঠিত কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনে এই জোটের প্রথম পাইলট প্রকল্প ঘোষণা করা হয়। এটি মোজাম্বিকের গোরোনগোসা জেলায় টেকসই কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে বনকে রক্ষা ও কার্বন নির্গমন হ্রাসে সহায়তা করবে।
তবে এই বন সংরক্ষণের গুরুত্ব শুধু কার্বন শোষণের জন্য নয়। অধ্যাপক ডিজনি বলেন, ‘বন শুধুই কার্বনের আধার নয়, এটি জীববৈচিত্র্য, খাদ্য, চিকিৎসা, বাসস্থান, এমনকি মানুষের সুস্থতার জন্যও অপরিহার্য।’
আফ্রিকান ওয়াইল্ডলাইফ ফাউন্ডেশনের গ্লোবাল লিডারশিপ ডিরেক্টর অ্যাডউইন টামবারা বলেন, ‘মিয়োম্বো বনভূমি আফ্রিকার মানুষের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কিন্তু এটি যথাযথ গুরুত্ব পায়নি।’ তিনি জানান, এই বন তাঁর শৈশবে খাদ্য, ওষুধ এবং নির্মাণ সামগ্রীর উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
টামবারা বলেন, ‘আফ্রিকানদের নেতৃত্বেই এই সংরক্ষণ কার্যক্রম চালানো জরুরি।’
পারস্য উপসাগরের উপকূলে ইরানের বুশেহর শহরে অবস্থিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যদি কোনো হামলার শিকার হয়, তবে তার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ। শুধু ইরান নয়, পুরো উপসাগরীয় অঞ্চল পড়বে বিপদের মুখে।
৪ ঘণ্টা আগেবি-২ বিমানের সঙ্গে ছিল চারটি বোয়িং কেসি-৪৬ পেগাসাস ফুয়েল ট্যাংকার। এর মধ্যে দুটি ইতিমধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরের আকাশে বি-২ বোমারুতে জ্বালানি সরবরাহ করেছে। বাকি দুটি প্রায় ৭৫ কিলোমিটার পেছনে অবস্থান করছে।
৪ ঘণ্টা আগেসামরিক শক্তিতে বরাবরই নিজেকে অপরাজেয় হিসেবে জাহির করা ইসরায়েলকে সত্যিই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে ইরান। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলকে ইতিমধ্যেই ব্যতিব্যস্ত করার পর গতকাল শনিবার দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করে সফল ড্রোন হামলা চালায় ইরান। ইরানের দুটি ড্রোন ইসরায়েলের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে...
৪ ঘণ্টা আগেইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাত নবম দিনে গড়িয়েছে। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরায়েলের পক্ষে সরাসরি ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে লোহিতসাগরে মার্কিন জাহাজগুলোতে হামলা চালানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। হুতি বিদ্রোহীদের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে
৫ ঘণ্টা আগে