অনলাইন ডেস্ক
শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করতে কঙ্গো ও রুয়ান্ডার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক চাপ বাড়ছে। মার্কিন পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী দুই মাসের মধ্যে চুক্তিটি হোয়াইট হাউসে স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা রয়েছে। শুধু শান্তিচুক্তিই নয়, এর সঙ্গে যুক্ত হবে পৃথক খনিজসম্পদ বিষয়ক চুক্তিও, যার ফলে কঙ্গো ও রুয়ান্ডায় যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলোর বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে চায় ট্রাম্প প্রশাসন।
ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য—আফ্রিকার খনিজসমৃদ্ধ এই অঞ্চলটিতে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং এটিকে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের জন্য আরও স্থিতিশীল ও আকর্ষণীয় করে তোলা। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আফ্রিকা বিষয়ক উপদেষ্টা মাসাদ বুলোস বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘যেদিন আমরা শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করব, সেদিনই কঙ্গোর সঙ্গে খনিজসম্পদ চুক্তিও সই হবে। একই সঙ্গে রুয়ান্ডার সঙ্গেও হবে আরেকটি চুক্তি, যদিও কঙ্গোর তুলনায় কিছুটা ছোট পরিসরে হবে সেটি।’
এই শান্তিচুক্তির উদ্যোগ এমন এক সময়ে এসেছে, যখন এম ২৩ বিদ্রোহীরা কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে ব্যাপক সামরিক অভিযান চালাচ্ছে। অগ্রগতিও করছে অনেক। এটি এক দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের সাম্প্রতিক রূপ। বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি রুয়ান্ডা-সমর্থিত বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে রুয়ান্ডা বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে।
ওয়াশিংটনে গত সপ্তাহে শুরু হওয়া শান্তি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আজ শুক্রবার কঙ্গো ও রুয়ান্ডার নিজ নিজ শান্তিচুক্তির খসড়া জমা দেওয়ার কথা। এরপর আগামী মে মাসের মাঝামাঝি ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এই দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের সঙ্গে বসে চূড়ান্ত চুক্তি নিয়ে আলোচনা করবেন।
তবে শান্তিচুক্তির আগে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শর্ত হলো—দুই দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও খনিজ সম্পদে আলাদা বিনিয়োগ চুক্তি। এই চুক্তিগুলোর আওতায় যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা কোম্পানিগুলো কঙ্গো ও রুয়ান্ডার খনি খাত, খনিজ পরিশোধন, অবকাঠামো নির্মাণ এবং খনিজ রপ্তানি ব্যবস্থায় বিপুল বিনিয়োগ করবে।
বুলোস বলেন, ‘কঙ্গোর সঙ্গে চুক্তির পরিসর অনেক বড়, কারণ দেশটি আয়তনে ও খনিজসম্পদে অনেক সমৃদ্ধ। তবে রুয়ান্ডারও খনিজ পরিশোধন ও ব্যবসায়িক পরিসরে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে।’
তবে বিনিয়োগ আর শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের আগে আরও একটি বড় শর্ত রয়েছে—তা হলো নিরাপত্তা ইস্যু। যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্টভাবে বলেছে, রুয়ান্ডাকে কঙ্গোর ভূখণ্ড থেকে তার সৈন্য প্রত্যাহার করতে হবে এবং এম ২৩ বিদ্রোহীদের সহায়তা বন্ধ করতে হবে। একইভাবে কঙ্গোকেও রুয়ান্ডার বিরুদ্ধে সক্রিয় বিভিন্ন মিলিশিয়া গোষ্ঠী, বিশেষ করে ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস ফর দ্য লিবারেশন অব রুয়ান্ডার মতো গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
এই পুরো প্রক্রিয়াটি যাতে সুষ্ঠুভাবে এগোয়, তা নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, ফ্রান্স এবং আফ্রিকান ইউনিয়নের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি হিসেবে একটি তদারকি কমিটি করেছে। এই কমিটি উভয় দেশের শান্তি আলোচনার অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করবে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শান্তিচুক্তি ও বিনিয়োগ চুক্তিগুলো বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে নেবে।
শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করতে কঙ্গো ও রুয়ান্ডার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক চাপ বাড়ছে। মার্কিন পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী দুই মাসের মধ্যে চুক্তিটি হোয়াইট হাউসে স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা রয়েছে। শুধু শান্তিচুক্তিই নয়, এর সঙ্গে যুক্ত হবে পৃথক খনিজসম্পদ বিষয়ক চুক্তিও, যার ফলে কঙ্গো ও রুয়ান্ডায় যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলোর বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে চায় ট্রাম্প প্রশাসন।
ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য—আফ্রিকার খনিজসমৃদ্ধ এই অঞ্চলটিতে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং এটিকে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের জন্য আরও স্থিতিশীল ও আকর্ষণীয় করে তোলা। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আফ্রিকা বিষয়ক উপদেষ্টা মাসাদ বুলোস বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘যেদিন আমরা শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করব, সেদিনই কঙ্গোর সঙ্গে খনিজসম্পদ চুক্তিও সই হবে। একই সঙ্গে রুয়ান্ডার সঙ্গেও হবে আরেকটি চুক্তি, যদিও কঙ্গোর তুলনায় কিছুটা ছোট পরিসরে হবে সেটি।’
এই শান্তিচুক্তির উদ্যোগ এমন এক সময়ে এসেছে, যখন এম ২৩ বিদ্রোহীরা কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে ব্যাপক সামরিক অভিযান চালাচ্ছে। অগ্রগতিও করছে অনেক। এটি এক দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের সাম্প্রতিক রূপ। বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি রুয়ান্ডা-সমর্থিত বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে রুয়ান্ডা বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে।
ওয়াশিংটনে গত সপ্তাহে শুরু হওয়া শান্তি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আজ শুক্রবার কঙ্গো ও রুয়ান্ডার নিজ নিজ শান্তিচুক্তির খসড়া জমা দেওয়ার কথা। এরপর আগামী মে মাসের মাঝামাঝি ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এই দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের সঙ্গে বসে চূড়ান্ত চুক্তি নিয়ে আলোচনা করবেন।
তবে শান্তিচুক্তির আগে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শর্ত হলো—দুই দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও খনিজ সম্পদে আলাদা বিনিয়োগ চুক্তি। এই চুক্তিগুলোর আওতায় যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা কোম্পানিগুলো কঙ্গো ও রুয়ান্ডার খনি খাত, খনিজ পরিশোধন, অবকাঠামো নির্মাণ এবং খনিজ রপ্তানি ব্যবস্থায় বিপুল বিনিয়োগ করবে।
বুলোস বলেন, ‘কঙ্গোর সঙ্গে চুক্তির পরিসর অনেক বড়, কারণ দেশটি আয়তনে ও খনিজসম্পদে অনেক সমৃদ্ধ। তবে রুয়ান্ডারও খনিজ পরিশোধন ও ব্যবসায়িক পরিসরে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে।’
তবে বিনিয়োগ আর শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের আগে আরও একটি বড় শর্ত রয়েছে—তা হলো নিরাপত্তা ইস্যু। যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্টভাবে বলেছে, রুয়ান্ডাকে কঙ্গোর ভূখণ্ড থেকে তার সৈন্য প্রত্যাহার করতে হবে এবং এম ২৩ বিদ্রোহীদের সহায়তা বন্ধ করতে হবে। একইভাবে কঙ্গোকেও রুয়ান্ডার বিরুদ্ধে সক্রিয় বিভিন্ন মিলিশিয়া গোষ্ঠী, বিশেষ করে ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস ফর দ্য লিবারেশন অব রুয়ান্ডার মতো গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
এই পুরো প্রক্রিয়াটি যাতে সুষ্ঠুভাবে এগোয়, তা নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, ফ্রান্স এবং আফ্রিকান ইউনিয়নের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি হিসেবে একটি তদারকি কমিটি করেছে। এই কমিটি উভয় দেশের শান্তি আলোচনার অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করবে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শান্তিচুক্তি ও বিনিয়োগ চুক্তিগুলো বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে নেবে।
ইসরায়েলের চ্যানেল-১২ জানিয়েছে, ইসরায়েল ‘অপারেশন নার্নিয়া’ (Operation Narnia) নামে একটি অভিযানের আওতায় নয়জন ইরানি পরমাণুবিজ্ঞানীকে ‘একযোগে’ হত্যা করেছে। এর পরপরই দশম ইরানি পরমাণুবিজ্ঞানীকেও হত্যা করেছে তারা। ইসরায়েলি মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, এই অভিযান ছিল অত্যন্ত গোপনীয়। ধারণা করা হচ্ছে, এতে ‘গোপন...
২৯ মিনিট আগেকুদস ফোর্স হচ্ছে আইআরজিসির একটি বিশেষ শাখা, যাদের প্রধান দায়িত্ব হলো ইরানের বাইরে বিভিন্ন সশস্ত্র ও মিত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা এবং সমন্বয় রক্ষা। এর মধ্যে রয়েছে লেবাননের হিজবুল্লাহ ও ফিলিস্তিনের হামাস।
১ ঘণ্টা আগেএলেইনা ৩১ বছর আগে লেখা সেই চিঠির জবাব পেয়েছেন পিয়া ব্রোডম্যান নামের একজনের কাছ থেকে। তিনি লিখেছেন, ‘আমার নাম পিয়া। আমি জার্মানিতে থাকি। আজ আমি নরওয়ের ভেগা অঞ্চলের ছোট্ট দ্বীপ লিসশেলেয়ায় তোমার বোতলবন্দী চিঠিটি খুঁজে পেয়েছি।’
৩ ঘণ্টা আগেতুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মধ্যপ্রাচ্যে একটি ‘নতুন সাইকস-পিকট তন্ত্র’ প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ইস্তাম্বুলে ওআইসির সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে এরদোয়ান বলেছেন, ‘রক্ত দিয়ে নতুন সীমান্ত টেনে আমাদের অঞ্চলে একটি নতুন সাইকস-পিকট ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার অনুমতি আমরা দেব না।’
৩ ঘণ্টা আগে