
দেশে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রমরমা চলছে। এখন মফস্বল শহরগুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছে এসব বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক। ভারতের হরিয়ানা ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা কেন রিসার্চের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির বাজার ২০২৭ সালের মধ্যে ১৮০ কোটি ডলারে পৌঁছাবে। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় ২১ হাজার ৭৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।
এর পেছনে প্রধান চালিকাশক্তি হবে ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্যসেবা ব্যয় এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতি। এ ছাড়া গ্রাম পর্যায়েও মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির কারণে এখন প্রাথমিক রোগ শনাক্তকরণের চাহিদা বেড়েছে।
ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির বাজারে নেতৃত্ব দিচ্ছে মূলত বেসরকারি ল্যাবগুলো। তবে বিশেষ পরীক্ষা এবং গ্রামীণ এলাকায় সম্প্রসারণের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। সামনে এই সম্প্রসারণ অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকবে সমন্বয় ও স্বীকৃতি প্রদানের প্রক্রিয়া। এ ছাড়া টেলিপ্যাথলজি, সরকারি–বেসরকারি অংশীদারত্ব (পিপিপি) এবং ডিজিটালাইজেশন গড়ে দেবে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের ভবিষ্যৎ।
গবেষণা প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ডায়াগনস্টিকের ল্যান্ডস্কেপ (রোগ নির্ণয়ের চিত্র) একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ‘বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিজ মার্কেট আউটলুক টু ২০২৮—স্বাস্থ্যসেবা ব্যয় বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতি দ্বারা চালিত’ শীর্ষক গবেষণায় এই খাতের গতিশীল বাজারের মূল প্রবণতাগুলো অন্বেষণ করা হয়েছে। পাশাপাশি গবেষণাটি ল্যাবরেটরি অপারেটর, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অন্তর্দৃষ্টি দেয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ল্যাবএইড এবং পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লিমিটেড বর্তমানে এ খাতে শীর্ষস্থানীয়। এই দুই প্রতিষ্ঠান সারা দেশে দৈনিক ১০ হাজারের বেশি পরীক্ষা করে। যেখানে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে হাসপাতালের সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৭০৯ টি। এর মধ্যে রয়েছে বেসরকারি, সরকারি এবং অলাভজনক (পাবলিক) সংস্থাগুলোর মালিকানাধীন বা পরিচালিত হাসপাতাল।
তবে বাংলাদেশের বাজারে অসংগঠিত পরিষেবাগুলোর আধিপত্য রয়েছে। ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মধ্যে স্বাধীন কেন্দ্রগুলো মোট কেন্দ্রের প্রায় ৪৭ শতাংশ এবং ২০২৩ সালে এগুলো ৮ কোটির বেশি ডায়াগনস্টিক পরীক্ষা পরিচালনা করেছে।
বাংলাদেশে এই খাতে ব্যবসায়িক মডেলেও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন এবং ডিজিটাল চ্যানেলের মাধ্যমে রিপোর্ট সরবরাহ করার মাধ্যমে দূরত্ব, সময় এবং খরচ কমেছে। এই রূপান্তরটি সামগ্রিক দক্ষতাও বাড়িয়েছে। যার ফলে সবকিছু ঠিক রেখেও রিপোর্ট সরবরাহের সময় ৪৫ থেকে ৫৫ শতাংশ কমে গেছে।
আয়ের ক্ষেত্রে স্বাধীন ল্যাবগুলোর হিস্যা মোটের ওপর প্রায় ৬০ শতাংশ বলে ধারণা করা হয়। বিশেষ করে বিশেষায়িত পরীক্ষার ক্ষেত্রে প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর কারণে বেসরকারি হাসপাতাল একটি বিশাল আয়ের হিস্যা পাচ্ছে।
এদিকে বর্তমানে ৭০–৮০ শতাংশ বিশেষায়িত পরীক্ষা বাংলাদেশ থেকে অন্যান্য দেশে আউটসোর্স করা হয়। অর্থাৎ এসব পরীক্ষা বাইরে থেকে করিয়ে আনা হয়। তবে বেসরকারি হাসপাতালগুলো তাদের পরিষেবা প্রসারিত করতে সক্রিয়ভাবে বিনিয়োগ করছে। বিশেষায়িত চিকিৎসা ও পরীক্ষার বিকল্প খোঁজার প্রবণতা ভবিষ্যতে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণে কাজে আসবে।
গবেষকেরা অনুমান করছেন, ক্রমবর্ধমান ডায়াবেটিক রোগী এবং অসংক্রামক রোগ বেড়ে যাওয়ার কারণে ২০২৩–২৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির বাজার ৬ দশমিক ৯ শতাংশ হারে বাড়বে। এ ছাড়া স্টেন্টের জন্য স্থানীয় উৎপাদন পরিকল্পনা এবং কার্ডিয়াক ডিভাইসের স্থানীয়করণের সম্ভাবনা, আমদানির ওপর নির্ভরতা কমাবে। যেখানে বাংলাদেশে ৬৮ শতাংশ মৃত্যুর জন্য দায়ী অসংক্রামক রোগ। আর রোগীর ৬৪ শতাংশই এ ধরনের রোগে আক্রান্ত। এই পরিস্থিতির পরিবর্তনের জন্য রোগী ও চিকিৎসকের মধ্যে নিয়মিত ও গভীর যোগাযোগের প্রয়োজন রয়েছে।
গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, বেশ কয়েকটি মূল চালিকাশক্তি বাংলাদেশে একটি সমৃদ্ধ ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির বাজারের পথ তৈরি করছে:
ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্যসেবা ব্যয়
মানুষের অব্যাহতভাবে ডিসপোজেবল বা ব্যয়যোগ্য আয় বৃদ্ধি এবং প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে ক্রমবর্ধমান সচেতনতা বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবায় ব্যয় বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিগুলোর দেওয়া ডায়াগনস্টিক পরিষেবাগুলোর চাহিদা বৃদ্ধি এই আয় ও সচেতনতা বৃদ্ধির একটি প্রমাণ বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে।
প্রারম্ভিক রোগ শনাক্তকরণে গুরুত্ব
কার্যকর চিকিৎসা এবং রোগীর দ্রুত স্বাস্থ্যগত উন্নতির জন্য প্রাথমিক পর্যায়েই রোগ নির্ণয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ক্লিনিক্যাল ল্যাবগুলো সঠিক এবং সময়মতো ডায়াগনস্টিক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রাথমিক শনাক্তকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে দক্ষতা বৃদ্ধি
স্বয়ংক্রিয় বিশ্লেষক, আণবিক ডায়াগনস্টিক এবং পয়েন্ট–অব–কেয়ার টেস্টিং–এর মতো উন্নত প্রযুক্তি গ্রহণ বাংলাদেশে ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি খাতে বিপ্লব ঘটাচ্ছে। এই প্রযুক্তিগুলো নির্ভুলতা, দক্ষতা এবং ডায়াগনস্টিক পরীক্ষার সময়ে বেশ পরিবর্তন এনেছে।
বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির বাজার পরীক্ষাগারের ধরন, পরিষেবার ধরন এবং ভৌগোলিক অবস্থানের ভিত্তিতে কয়েকটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করেছেন গবেষকেরা। এই বিভাগগুলোর ভিত্তিতে ল্যাবরেটরিগুলো তাদের অফারগুলোকে আরও উপযোগী করতে এবং একটি বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছাতে সহায়তা করে:
হাসপাতাল–ভিত্তিক ল্যাবগুলোই শীর্ষে
হাসপাতাল–ভিত্তিক ল্যাবগুলো রোগীদের কাছাকাছি থাকার কারণে এবং জটিল ডায়াগনস্টিক পরীক্ষাগুলো করার সক্ষমতার কারণে তারাই এই খাতে নেতৃত্ব দিচ্ছে। সামনেও এই চিত্র বজায় থাকতে পারে।
বিশেষায়িত পরীক্ষার চাহিদা বাড়ছে
বাংলাদেশে জেনেটিক টেস্টিং এবং ইমিউনোসেসের মতো বিশেষায়িত পরীক্ষার চাহিদা বাড়ছে। এই নির্দিষ্ট চাহিদাগুলো পূরণ করার জন্য বিশেষায়িত পরীক্ষাগারগুলোর জন্য সুযোগ তৈরি হচ্ছে।
গ্রামীণ সম্প্রসারণের সম্ভাবনা
গ্রামীণ অঞ্চলে ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির বাজার সম্প্রসারণ সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তিতে উন্নতি ঘটাবে। এ লক্ষ্যে সরকারি উদ্যোগের কারণে এই সম্প্রসারণ সামনে উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে।
বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির বাজারে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান, উদীয়মান আঞ্চলিক চেইন এবং বাজারে নতুন প্রবেশকারীদের একটা মিশ্রণ রয়েছে। গবেষকেরা ধারণা করছেন, আগামীতে প্রতিষ্ঠিত সংস্থাগুলো তাদের নাগাল এবং পরিষেবার অফারগুলো প্রসারিত করতে ছোট ল্যাবগুলো অধিগ্রহণ করতে পারে।
তবে এখানে গুণমান এবং স্বীকৃতির ওপর নজর দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। বাংলাদেশের ক্লিনিক্যাল ল্যাবগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর দ্বারা স্বীকৃতি পাওয়া ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। এতে আদর্শ মান মেনে চলা নিশ্চিত হবে এবং রোগীর আত্মবিশ্বাস বাড়বে।
এ ছাড়া কৌশলগত অংশীদারত্ব ব্যবসা সম্প্রসারণে বড় চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে। ক্লিনিক্যাল ল্যাব এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারত্বের ফলে উভয় পক্ষে লাভবান হতে পারে। এতে ল্যাবরেটরিগুলো আরও বৃহৎ সংখ্যক রোগীর কাছে পৌঁছাতে পারবে। কারণ তখন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীরা (হাসপাতাল–ক্লিনিক) তাদের রোগীদের নিজেরাই ডায়াগনস্টিক পরিষেবা দিতে পারবে।
বাংলাদেশের ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির বাজার দারুণ অগ্রগতির দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। টেলিপ্যাথোলজি পরিষেবায় বিভিন্ন স্থানে বিশেষজ্ঞদের কাছে স্লাইডের ডিজিটাল চিত্র পাঠানোর মাধ্যমে দূরবর্তী স্থান থেকে রোগ নির্ণয়ের সুযোগ রয়েছে। এটি প্রত্যন্ত অঞ্চলের রোগীদের বিশেষ ডায়াগনস্টিক দক্ষতার সেবা পাওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে।
এ ছাড়া পাবলিক–প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) ওপর গুরুত্ব দেওয়া হলে বাংলাদেশে বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় উচ্চ–মানের ডায়াগনস্টিক পরিষেবাগুলোতে মানুষের সেবা পাওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
সর্বোপরি, ডিজিটালাইজেশন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির চিত্রকে ব্যাপকভাবে বদলে দিচ্ছে। ইলেকট্রনিক মেডিকেল রেকর্ড (ইএমআর) এবং ল্যাবরেটরি ইনফরমেশন সিস্টেম (এলআইএস) ডেটা ম্যানেজমেন্টকে উন্নত করে, দক্ষতা উন্নয়ন করে এবং ল্যাবরেটরি ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের মধ্যে যোগাযোগ সহজতর করে।

দেশে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রমরমা চলছে। এখন মফস্বল শহরগুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছে এসব বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক। ভারতের হরিয়ানা ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা কেন রিসার্চের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির বাজার ২০২৭ সালের মধ্যে ১৮০ কোটি ডলারে পৌঁছাবে। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় ২১ হাজার ৭৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।
এর পেছনে প্রধান চালিকাশক্তি হবে ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্যসেবা ব্যয় এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতি। এ ছাড়া গ্রাম পর্যায়েও মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির কারণে এখন প্রাথমিক রোগ শনাক্তকরণের চাহিদা বেড়েছে।
ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির বাজারে নেতৃত্ব দিচ্ছে মূলত বেসরকারি ল্যাবগুলো। তবে বিশেষ পরীক্ষা এবং গ্রামীণ এলাকায় সম্প্রসারণের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। সামনে এই সম্প্রসারণ অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকবে সমন্বয় ও স্বীকৃতি প্রদানের প্রক্রিয়া। এ ছাড়া টেলিপ্যাথলজি, সরকারি–বেসরকারি অংশীদারত্ব (পিপিপি) এবং ডিজিটালাইজেশন গড়ে দেবে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের ভবিষ্যৎ।
গবেষণা প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ডায়াগনস্টিকের ল্যান্ডস্কেপ (রোগ নির্ণয়ের চিত্র) একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ‘বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিজ মার্কেট আউটলুক টু ২০২৮—স্বাস্থ্যসেবা ব্যয় বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতি দ্বারা চালিত’ শীর্ষক গবেষণায় এই খাতের গতিশীল বাজারের মূল প্রবণতাগুলো অন্বেষণ করা হয়েছে। পাশাপাশি গবেষণাটি ল্যাবরেটরি অপারেটর, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অন্তর্দৃষ্টি দেয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ল্যাবএইড এবং পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লিমিটেড বর্তমানে এ খাতে শীর্ষস্থানীয়। এই দুই প্রতিষ্ঠান সারা দেশে দৈনিক ১০ হাজারের বেশি পরীক্ষা করে। যেখানে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে হাসপাতালের সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৭০৯ টি। এর মধ্যে রয়েছে বেসরকারি, সরকারি এবং অলাভজনক (পাবলিক) সংস্থাগুলোর মালিকানাধীন বা পরিচালিত হাসপাতাল।
তবে বাংলাদেশের বাজারে অসংগঠিত পরিষেবাগুলোর আধিপত্য রয়েছে। ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মধ্যে স্বাধীন কেন্দ্রগুলো মোট কেন্দ্রের প্রায় ৪৭ শতাংশ এবং ২০২৩ সালে এগুলো ৮ কোটির বেশি ডায়াগনস্টিক পরীক্ষা পরিচালনা করেছে।
বাংলাদেশে এই খাতে ব্যবসায়িক মডেলেও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। নমুনা সংগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন এবং ডিজিটাল চ্যানেলের মাধ্যমে রিপোর্ট সরবরাহ করার মাধ্যমে দূরত্ব, সময় এবং খরচ কমেছে। এই রূপান্তরটি সামগ্রিক দক্ষতাও বাড়িয়েছে। যার ফলে সবকিছু ঠিক রেখেও রিপোর্ট সরবরাহের সময় ৪৫ থেকে ৫৫ শতাংশ কমে গেছে।
আয়ের ক্ষেত্রে স্বাধীন ল্যাবগুলোর হিস্যা মোটের ওপর প্রায় ৬০ শতাংশ বলে ধারণা করা হয়। বিশেষ করে বিশেষায়িত পরীক্ষার ক্ষেত্রে প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর কারণে বেসরকারি হাসপাতাল একটি বিশাল আয়ের হিস্যা পাচ্ছে।
এদিকে বর্তমানে ৭০–৮০ শতাংশ বিশেষায়িত পরীক্ষা বাংলাদেশ থেকে অন্যান্য দেশে আউটসোর্স করা হয়। অর্থাৎ এসব পরীক্ষা বাইরে থেকে করিয়ে আনা হয়। তবে বেসরকারি হাসপাতালগুলো তাদের পরিষেবা প্রসারিত করতে সক্রিয়ভাবে বিনিয়োগ করছে। বিশেষায়িত চিকিৎসা ও পরীক্ষার বিকল্প খোঁজার প্রবণতা ভবিষ্যতে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণে কাজে আসবে।
গবেষকেরা অনুমান করছেন, ক্রমবর্ধমান ডায়াবেটিক রোগী এবং অসংক্রামক রোগ বেড়ে যাওয়ার কারণে ২০২৩–২৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির বাজার ৬ দশমিক ৯ শতাংশ হারে বাড়বে। এ ছাড়া স্টেন্টের জন্য স্থানীয় উৎপাদন পরিকল্পনা এবং কার্ডিয়াক ডিভাইসের স্থানীয়করণের সম্ভাবনা, আমদানির ওপর নির্ভরতা কমাবে। যেখানে বাংলাদেশে ৬৮ শতাংশ মৃত্যুর জন্য দায়ী অসংক্রামক রোগ। আর রোগীর ৬৪ শতাংশই এ ধরনের রোগে আক্রান্ত। এই পরিস্থিতির পরিবর্তনের জন্য রোগী ও চিকিৎসকের মধ্যে নিয়মিত ও গভীর যোগাযোগের প্রয়োজন রয়েছে।
গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, বেশ কয়েকটি মূল চালিকাশক্তি বাংলাদেশে একটি সমৃদ্ধ ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির বাজারের পথ তৈরি করছে:
ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্যসেবা ব্যয়
মানুষের অব্যাহতভাবে ডিসপোজেবল বা ব্যয়যোগ্য আয় বৃদ্ধি এবং প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে ক্রমবর্ধমান সচেতনতা বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবায় ব্যয় বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিগুলোর দেওয়া ডায়াগনস্টিক পরিষেবাগুলোর চাহিদা বৃদ্ধি এই আয় ও সচেতনতা বৃদ্ধির একটি প্রমাণ বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে।
প্রারম্ভিক রোগ শনাক্তকরণে গুরুত্ব
কার্যকর চিকিৎসা এবং রোগীর দ্রুত স্বাস্থ্যগত উন্নতির জন্য প্রাথমিক পর্যায়েই রোগ নির্ণয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ক্লিনিক্যাল ল্যাবগুলো সঠিক এবং সময়মতো ডায়াগনস্টিক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রাথমিক শনাক্তকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে দক্ষতা বৃদ্ধি
স্বয়ংক্রিয় বিশ্লেষক, আণবিক ডায়াগনস্টিক এবং পয়েন্ট–অব–কেয়ার টেস্টিং–এর মতো উন্নত প্রযুক্তি গ্রহণ বাংলাদেশে ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি খাতে বিপ্লব ঘটাচ্ছে। এই প্রযুক্তিগুলো নির্ভুলতা, দক্ষতা এবং ডায়াগনস্টিক পরীক্ষার সময়ে বেশ পরিবর্তন এনেছে।
বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির বাজার পরীক্ষাগারের ধরন, পরিষেবার ধরন এবং ভৌগোলিক অবস্থানের ভিত্তিতে কয়েকটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করেছেন গবেষকেরা। এই বিভাগগুলোর ভিত্তিতে ল্যাবরেটরিগুলো তাদের অফারগুলোকে আরও উপযোগী করতে এবং একটি বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছাতে সহায়তা করে:
হাসপাতাল–ভিত্তিক ল্যাবগুলোই শীর্ষে
হাসপাতাল–ভিত্তিক ল্যাবগুলো রোগীদের কাছাকাছি থাকার কারণে এবং জটিল ডায়াগনস্টিক পরীক্ষাগুলো করার সক্ষমতার কারণে তারাই এই খাতে নেতৃত্ব দিচ্ছে। সামনেও এই চিত্র বজায় থাকতে পারে।
বিশেষায়িত পরীক্ষার চাহিদা বাড়ছে
বাংলাদেশে জেনেটিক টেস্টিং এবং ইমিউনোসেসের মতো বিশেষায়িত পরীক্ষার চাহিদা বাড়ছে। এই নির্দিষ্ট চাহিদাগুলো পূরণ করার জন্য বিশেষায়িত পরীক্ষাগারগুলোর জন্য সুযোগ তৈরি হচ্ছে।
গ্রামীণ সম্প্রসারণের সম্ভাবনা
গ্রামীণ অঞ্চলে ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির বাজার সম্প্রসারণ সুবিধাবঞ্চিত অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তিতে উন্নতি ঘটাবে। এ লক্ষ্যে সরকারি উদ্যোগের কারণে এই সম্প্রসারণ সামনে উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে।
বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির বাজারে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান, উদীয়মান আঞ্চলিক চেইন এবং বাজারে নতুন প্রবেশকারীদের একটা মিশ্রণ রয়েছে। গবেষকেরা ধারণা করছেন, আগামীতে প্রতিষ্ঠিত সংস্থাগুলো তাদের নাগাল এবং পরিষেবার অফারগুলো প্রসারিত করতে ছোট ল্যাবগুলো অধিগ্রহণ করতে পারে।
তবে এখানে গুণমান এবং স্বীকৃতির ওপর নজর দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। বাংলাদেশের ক্লিনিক্যাল ল্যাবগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর দ্বারা স্বীকৃতি পাওয়া ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। এতে আদর্শ মান মেনে চলা নিশ্চিত হবে এবং রোগীর আত্মবিশ্বাস বাড়বে।
এ ছাড়া কৌশলগত অংশীদারত্ব ব্যবসা সম্প্রসারণে বড় চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে। ক্লিনিক্যাল ল্যাব এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারত্বের ফলে উভয় পক্ষে লাভবান হতে পারে। এতে ল্যাবরেটরিগুলো আরও বৃহৎ সংখ্যক রোগীর কাছে পৌঁছাতে পারবে। কারণ তখন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীরা (হাসপাতাল–ক্লিনিক) তাদের রোগীদের নিজেরাই ডায়াগনস্টিক পরিষেবা দিতে পারবে।
বাংলাদেশের ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির বাজার দারুণ অগ্রগতির দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। টেলিপ্যাথোলজি পরিষেবায় বিভিন্ন স্থানে বিশেষজ্ঞদের কাছে স্লাইডের ডিজিটাল চিত্র পাঠানোর মাধ্যমে দূরবর্তী স্থান থেকে রোগ নির্ণয়ের সুযোগ রয়েছে। এটি প্রত্যন্ত অঞ্চলের রোগীদের বিশেষ ডায়াগনস্টিক দক্ষতার সেবা পাওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে।
এ ছাড়া পাবলিক–প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) ওপর গুরুত্ব দেওয়া হলে বাংলাদেশে বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় উচ্চ–মানের ডায়াগনস্টিক পরিষেবাগুলোতে মানুষের সেবা পাওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
সর্বোপরি, ডিজিটালাইজেশন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির চিত্রকে ব্যাপকভাবে বদলে দিচ্ছে। ইলেকট্রনিক মেডিকেল রেকর্ড (ইএমআর) এবং ল্যাবরেটরি ইনফরমেশন সিস্টেম (এলআইএস) ডেটা ম্যানেজমেন্টকে উন্নত করে, দক্ষতা উন্নয়ন করে এবং ল্যাবরেটরি ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের মধ্যে যোগাযোগ সহজতর করে।

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৬২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ রোববার (২ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ দিন আগে
রাশিয়ায় টিকটকে চলতি বছরের শুরুতে ভাইরাল হয় এক ধরনের ওজন কমানোর ওষুধ। ‘মলিকিউল’ নামে একটি পিল। তরুণদের ফিডে ভেসে উঠতে থাকে নানা ক্যাপশন—‘মলিকিউল খাও, খাবার ভুলে যাও, ওজন কমাও’, কিংবা ‘বড়সড় পোশাক পরে ক্লাসের পেছনের বেঞ্চে বসতে চাও?’
১ দিন আগে
সময়স্বল্পতার কারণে অনেকে সকালের নাশতা খাওয়া বাদ দিয়ে দেন। সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যাওয়া, নির্দিষ্ট সময়ে অফিস কিংবা স্কুল-কলেজে পৌঁছানোর তাড়া ইত্যাদি কারণে নাশতা আর খাওয়া হয়ে ওঠে না। ক্ষুধা না থাকা, ব্যস্ত সময়সূচি কিংবা ওজন কমানোর কথা ভেবেও অনেক সময় সকালে নাশতা খাওয়া থেকে বিরত থাকেন অনেকে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগের ২৪ ঘণ্টায়ও ডেঙ্গুতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১ হাজার ১৪৭ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৪২৯, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৬৬, বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩২, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৮, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৯, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৫, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭০, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৯ ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) নয়জন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৮৮ জন মারা গেছে। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭২ হাজার ৮২২ জন।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে দুজন পুরুষ ও তিনজন নারী। তাদের মধ্যে ১৪ বছরের কিশোরী আছে। অন্যদের বয়স যথাক্রমে ৩৫, ২৫, ৩৫, ৫৮ বছর।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৪২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৬৯ হাজার ৪৫২ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগের ২৪ ঘণ্টায়ও ডেঙ্গুতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১ হাজার ১৪৭ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৪২৯, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৬৬, বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩২, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৮, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৯, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৫, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭০, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৯ ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) নয়জন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৮৮ জন মারা গেছে। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭২ হাজার ৮২২ জন।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে দুজন পুরুষ ও তিনজন নারী। তাদের মধ্যে ১৪ বছরের কিশোরী আছে। অন্যদের বয়স যথাক্রমে ৩৫, ২৫, ৩৫, ৫৮ বছর।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৪২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৬৯ হাজার ৪৫২ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

দেশে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রমরমা চলছে। এখন মফস্বল শহরগুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছে এসব বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক। ভারতের হরিয়ানা ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা কেন রিসার্চের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির বাজার ২০২৭ সালের মধ্যে ১৮০ কোটি ডলারে পৌঁছাবে। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়
১৫ মে ২০২৪
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৬২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ রোববার (২ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ দিন আগে
রাশিয়ায় টিকটকে চলতি বছরের শুরুতে ভাইরাল হয় এক ধরনের ওজন কমানোর ওষুধ। ‘মলিকিউল’ নামে একটি পিল। তরুণদের ফিডে ভেসে উঠতে থাকে নানা ক্যাপশন—‘মলিকিউল খাও, খাবার ভুলে যাও, ওজন কমাও’, কিংবা ‘বড়সড় পোশাক পরে ক্লাসের পেছনের বেঞ্চে বসতে চাও?’
১ দিন আগে
সময়স্বল্পতার কারণে অনেকে সকালের নাশতা খাওয়া বাদ দিয়ে দেন। সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যাওয়া, নির্দিষ্ট সময়ে অফিস কিংবা স্কুল-কলেজে পৌঁছানোর তাড়া ইত্যাদি কারণে নাশতা আর খাওয়া হয়ে ওঠে না। ক্ষুধা না থাকা, ব্যস্ত সময়সূচি কিংবা ওজন কমানোর কথা ভেবেও অনেক সময় সকালে নাশতা খাওয়া থেকে বিরত থাকেন অনেকে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৬২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ রোববার (২ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১ হাজার ১৬২ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৪৩৬, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭৬, বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৬৩, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১০৮, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৫৪, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮৭, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৮, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩২ ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) আটজন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৮৩ জন মারা গেছে। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭১ হাজার ৬৭৫ জন।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে ১৩ বছরের এক কিশোর আছে। সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। অন্যদের বয়স যথাক্রমে ৫২, ৪২, ২৮ ও ৫০। তাঁদের মধ্যে দুজন নারী আর দুজন পুরুষ রয়েছেন। এই পাঁচজনের মধ্যে ডিএনসিসিতে একজন, ডিএসসিসিতে তিনজন ও রাজশাহীর হাসপাতালে আরও একজন চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৯৫১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৬৮ হাজার ৪১০ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৬২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ রোববার (২ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১ হাজার ১৬২ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৪৩৬, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭৬, বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৬৩, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১০৮, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৫৪, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮৭, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৮, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩২ ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) আটজন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৮৩ জন মারা গেছে। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭১ হাজার ৬৭৫ জন।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে ১৩ বছরের এক কিশোর আছে। সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। অন্যদের বয়স যথাক্রমে ৫২, ৪২, ২৮ ও ৫০। তাঁদের মধ্যে দুজন নারী আর দুজন পুরুষ রয়েছেন। এই পাঁচজনের মধ্যে ডিএনসিসিতে একজন, ডিএসসিসিতে তিনজন ও রাজশাহীর হাসপাতালে আরও একজন চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৯৫১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৬৮ হাজার ৪১০ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

দেশে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রমরমা চলছে। এখন মফস্বল শহরগুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছে এসব বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক। ভারতের হরিয়ানা ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা কেন রিসার্চের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির বাজার ২০২৭ সালের মধ্যে ১৮০ কোটি ডলারে পৌঁছাবে। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়
১৫ মে ২০২৪
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
রাশিয়ায় টিকটকে চলতি বছরের শুরুতে ভাইরাল হয় এক ধরনের ওজন কমানোর ওষুধ। ‘মলিকিউল’ নামে একটি পিল। তরুণদের ফিডে ভেসে উঠতে থাকে নানা ক্যাপশন—‘মলিকিউল খাও, খাবার ভুলে যাও, ওজন কমাও’, কিংবা ‘বড়সড় পোশাক পরে ক্লাসের পেছনের বেঞ্চে বসতে চাও?’
১ দিন আগে
সময়স্বল্পতার কারণে অনেকে সকালের নাশতা খাওয়া বাদ দিয়ে দেন। সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যাওয়া, নির্দিষ্ট সময়ে অফিস কিংবা স্কুল-কলেজে পৌঁছানোর তাড়া ইত্যাদি কারণে নাশতা আর খাওয়া হয়ে ওঠে না। ক্ষুধা না থাকা, ব্যস্ত সময়সূচি কিংবা ওজন কমানোর কথা ভেবেও অনেক সময় সকালে নাশতা খাওয়া থেকে বিরত থাকেন অনেকে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ায় টিকটকে চলতি বছরের শুরুতে ভাইরাল হয় এক ধরনের ওজন কমানোর ওষুধ। ‘মলিকিউল’ নামে একটি পিল। তরুণদের ফিডে ভেসে উঠতে থাকে নানা ক্যাপশন—‘মলিকিউল খাও, খাবার ভুলে যাও, ওজন কমাও’, কিংবা ‘বড়সড় পোশাক পরে ক্লাসের পেছনের বেঞ্চে বসতে চাও?’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, ফ্রিজ ভর্তি নীল বাক্স। বাক্সের গায়ে ঝলমলে হোলোগ্রাম, তাতে লেখা ‘মলিকিউল প্লাস।’ বিভিন্ন অনলাইন স্টোরে অর্ডারের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। কিশোর-কিশোরীরা নিজেদের ‘ওজন কমানোর যাত্রা’ শেয়ার করছে সামাজিক মাধ্যমে।
কিন্তু এর পেছনে আছে ভয়ানক এক ফাঁদ। ২২ বছর বয়সী মারিয়া অনলাইনের এক জনপ্রিয় দোকান থেকে এই পিল কিনেছিলেন। দিনে দুইটা করে খেতেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে তার মুখ শুকিয়ে যায়, খাবারের প্রতি সম্পূর্ণ অনীহা তৈরি হয়। তিনি বলেন, ‘খাওয়ার তো ইচ্ছে হতোই না, পান করতেও চাইতাম না। ভেতরে-ভেতরে অস্থির লাগত, ঠোঁট কামড়াতাম, গাল চিবাতাম।’
এরপর মারিয়া প্রবল উদ্বেগে ভুগতে থাকেন। তাঁর মনে নেতিবাচক চিন্তা ভর করে। তিনি বলেন, ‘এই পিলগুলো আমার মানসিক অবস্থার ওপর ভয়ানক প্রভাব ফেলেছিল।’ সেন্ট পিটার্সবার্গে বসবাসকারী মারিয়া জানান, এমন ভয়াবহ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্য তিনি প্রস্তুত ছিলেন না।

অন্য টিকটক ব্যবহারকারীরাও জানান, পিল খাওয়ার পর তাদের চোখের মণি বড় হয়ে যায়, হাত কাঁপে, ঘুম আসে না। কমপক্ষে তিনজন স্কুলশিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এপ্রিলে সাইবেরিয়ার চিতা শহরের এক স্কুলছাত্রীকে ‘মলিকিউল’-এর অতিরিক্ত সেবনের পর হাসপাতালে নেওয়া হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সে দ্রুত ওজন কমিয়ে গ্রীষ্মের আগে ছিপছিপে হতে চেয়েছিল।
আরেক স্কুলছাত্রীর মা জানান, তাঁর মেয়েকে আইসিইউতে নিতে হয়েছিল, কারণ সে একসঙ্গে অনেকগুলো পিল খেয়েছিল। মে মাসে সেন্ট পিটার্সবার্গের ১৩ বছর বয়সী এক ছেলেকে হাসপাতালে নিতে হয়, কারণ সে হ্যালুসিনেশন ও আতঙ্কে ভুগছিল। স্কুলে ওজন নিয়ে উপহাস করার হতো তাকে। এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সে এক বন্ধুর মাধ্যমে এই পিল কিনেছিল।
মলিকিউল পিলের মোড়কে সাধারণত লেখা থাকে ‘প্রাকৃতিক উপাদান’, যেমন—ড্যান্ডেলিয়ন রুট ও মৌরি বীজের নির্যাস দিয়ে তৈরি। কিন্তু এ বছরের শুরুতে রুশ দৈনিক ইজভেস্তিয়ার সাংবাদিকেরা অনলাইনে কেনা পিল পরীক্ষার জন্য জমা দেন। তাতে পাওয়া যায় ‘সিবিউট্রামিন’ নামের একটি পদার্থ।
এই সিবিউট্রামিন প্রথমে ১৯৮০-এর দশকে অবসাদনাশক ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়, পরে ক্ষুধা দমনকারী হিসেবে প্রচলিত হয়। কিন্তু গবেষণায় দেখা যায়, এটি হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়, অথচ ওজন কমায় সামান্যই। ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এটি নিষিদ্ধ করা হয়। যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীনসহ অনেক দেশেই এখন অবৈধ।

রাশিয়ায় এটি এখনো ওজন কমানোর ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়, তবে কেবল প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য এবং চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনে। প্রেসক্রিপশন ছাড়া সিবিউট্রামিন কেনাবেচা অপরাধ। কিন্তু তাতে এই ড্রাগের বিক্রি খুব একটা থামছে না। ব্যক্তিগত বিক্রেতা ও ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইনে এটি বিক্রি করছে—অনেক সময় বৈধ ওষুধের চেয়েও বেশি মাত্রায় এবং কোনো প্রেসক্রিপশন ছাড়াই।
এই অবৈধ পিলের দাম প্রায় ৮ থেকে ৯ ডলার, যা ২০ দিনের জন্য যথেষ্ট। অথচ রাশিয়ার বাজারে পরিচিত ওজন কমানোর ইনজেকশন যেমন ‘Ozempic’-এর দাম প্রতি মাসে ৪০ থেকে ১৬০ পাউন্ড (৫০ থেকে ২১০ ডলার)। সেন্ট পিটার্সবার্গের অন্তঃস্রাববিশেষজ্ঞ জেনিয়া সোলোভিয়েভা বলেন, ‘নিজে নিজে এই ওষুধ খাওয়া ভয়ানক বিপজ্জনক’, কারণ এসব তথাকথিত ‘ডায়েটারি সাপ্লিমেন্ট’-এ কত পরিমাণ সক্রিয় উপাদান আছে তা কেউ জানে না।
‘মলিকিউল’ বিক্রির দায়ে রাশিয়ায় নিয়মিত লোকজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সরকার অবৈধ বিক্রি বন্ধে হিমশিম খাচ্ছে। এপ্রিলে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত সেফ ইন্টারনেট লিগ বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানায়। এরপর কয়েকটি বড় অনলাইন মার্কেটপ্লেস মলিকিউল তাদের কার্ট থেকে সরিয়ে দেয়। কিন্তু অচিরেই এটি ফিরে আসে নতুন নামে—‘অ্যাটম।’ প্যাকেজিং প্রায় হুবহু আগের মতো।
সম্প্রতি রাশিয়ায় একটি আইন পাস হয়েছে, যাতে আদালতের আদেশ ছাড়াই ‘অবৈধ ফুড সাপ্লিমেন্ট বা খাদ্য পরিপূরক বিক্রি করা ওয়েবসাইট’ বন্ধ করা যায়। কিন্তু বিক্রেতারা এখন এসব পণ্যকে ‘স্পোর্টস নিউট্রিশন’ হিসেবে দেখিয়ে বিক্রি করছে।
টিকটকে এখনো এমন বিক্রেতা, যারা ‘মলিকিউল’ বিক্রি করছে। তবে নাম ভিন্ন—কখনো তা ‘মিউসলি’, ‘বিস্কুট’ বা ‘লাইটবাল্ব।’ কিছু বিক্রেতা তো আবার গোপনীয়তার ধারই ধারছেন না। কয়েক সপ্তাহ আগে বিবিসি এক জনপ্রিয় রুশ অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ‘মলিকিউল’-এর তালিকা খুঁজে পায়। জানতে চাইলে সংস্থাটি জানায়, তারা দ্রুত সিবিউট্রামিনযুক্ত সব পণ্য সরিয়ে ফেলেছে। তবে তারা স্বীকার করেছে, যেসব তালিকায় স্পষ্টভাবে ‘সিবিউট্রামিন’ লেখা নেই, সেগুলো শনাক্ত করা কঠিন।
যদি কেউ কোনোভাবে ‘মলিকিউল’ কিনতে সক্ষম হয়, তবুও বোঝা মুশকিল আসলে কী পাওয়া যাচ্ছে—আর এই পিল কোথায় তৈরি হচ্ছে, তা-ও অনিশ্চিত। বিবিসি কিছু বিক্রেতার কাছে এমন সনদপত্র পেয়েছে, যাতে লেখা আছে চীনের গুয়াংজু ও হেনান প্রদেশের কারখানায় উৎপাদিত। আবার কেউ কেউ দাবি করে, পণ্যটি জার্মানি থেকে আনা।
কিছু প্যাকেটে লেখা থাকে, এটি জার্মানির রেমাগেন শহরে তৈরি। কিন্তু বিবিসি খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, ওই ঠিকানায় এমন কোনো কোম্পানি নেই। আর কাজাখস্তানের কয়েকজন বিক্রেতা যারা রাশিয়ায় ‘মলিকিউল’ পাঠায়, তারা বিবিসিকে জানিয়েছে, তারা পণ্যটি বন্ধুদের কাছ থেকে বা রাজধানী আস্তানার কিছু গুদাম থেকে সংগ্রহ করে থাকে, কিন্তু মূল সরবরাহকারীর নাম জানে না।
এদিকে, অনলাইনে ইটিং ডিসঅর্ডার বা খাওয়ার ব্যাধি সংক্রান্ত অনেক কমিউনিটি এখন ‘মলিকিউল’ নামের ওষুধটি প্রচারের জায়গা হয়ে উঠেছে। ব্যবহারকারীরা হ্যাশট্যাগ আর নানা গোপন শব্দ ব্যবহার করে প্ল্যাটফর্মগুলোর নজরদারি এড়িয়ে যাচ্ছে। সোলোভিয়েভা বলেন, যেসব তরুণ-তরুণী আগে থেকেই ইটিং ডিসঅর্ডারে ভুগছে, তাদের জন্য মলিকিউল অত্যন্ত ক্ষতিকর। যারা পুনরায় অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকিতে আছে, তাদের হাতে সহজলভ্য এই ক্ষুধা দমনকারী ওষুধ ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনতে পারে।

রুশ সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার আন্না এনিনা নিজেও অতীতে অননুমোদিত ওজন কমানোর ওষুধ ব্যবহার করেছেন। তবে তিনি প্রকাশ্যে তাঁর অনুসারীদের সতর্ক করে বলেন, ‘আমি নিজে ইটিং ডিসঅর্ডারে ভুগেছি…এর পরিণতি ভয়াবহ হবে। তোমরা এর জন্য দশগুণ অনুতপ্ত হবে।’
মারিয়া সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছেন। অতিরিক্ত মলিকিউল খাওয়ার পর তিনি মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শিকার হন এবং হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। এখন তিনি বিভিন্ন ওজন কমানোর ফোরামে তরুণী ও মেয়েদের এই বড়ি না খেতে পরামর্শ দেন। এমনকি এক কিশোরীর বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদেরও সতর্ক করেছেন।
তবু মলিকিউল অনলাইনে এখনো জনপ্রিয়। আর মারিয়ার টিকটক ফিডে যখনই নতুন কোনো ভিডিও ভেসে ওঠে, তখন সেটি তাঁকে মনে করিয়ে দেয়—সেই পিলগুলোর কথা, যেগুলো তাঁকে অসুস্থ করে দিয়েছিল।

রাশিয়ায় টিকটকে চলতি বছরের শুরুতে ভাইরাল হয় এক ধরনের ওজন কমানোর ওষুধ। ‘মলিকিউল’ নামে একটি পিল। তরুণদের ফিডে ভেসে উঠতে থাকে নানা ক্যাপশন—‘মলিকিউল খাও, খাবার ভুলে যাও, ওজন কমাও’, কিংবা ‘বড়সড় পোশাক পরে ক্লাসের পেছনের বেঞ্চে বসতে চাও?’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, ফ্রিজ ভর্তি নীল বাক্স। বাক্সের গায়ে ঝলমলে হোলোগ্রাম, তাতে লেখা ‘মলিকিউল প্লাস।’ বিভিন্ন অনলাইন স্টোরে অর্ডারের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। কিশোর-কিশোরীরা নিজেদের ‘ওজন কমানোর যাত্রা’ শেয়ার করছে সামাজিক মাধ্যমে।
কিন্তু এর পেছনে আছে ভয়ানক এক ফাঁদ। ২২ বছর বয়সী মারিয়া অনলাইনের এক জনপ্রিয় দোকান থেকে এই পিল কিনেছিলেন। দিনে দুইটা করে খেতেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে তার মুখ শুকিয়ে যায়, খাবারের প্রতি সম্পূর্ণ অনীহা তৈরি হয়। তিনি বলেন, ‘খাওয়ার তো ইচ্ছে হতোই না, পান করতেও চাইতাম না। ভেতরে-ভেতরে অস্থির লাগত, ঠোঁট কামড়াতাম, গাল চিবাতাম।’
এরপর মারিয়া প্রবল উদ্বেগে ভুগতে থাকেন। তাঁর মনে নেতিবাচক চিন্তা ভর করে। তিনি বলেন, ‘এই পিলগুলো আমার মানসিক অবস্থার ওপর ভয়ানক প্রভাব ফেলেছিল।’ সেন্ট পিটার্সবার্গে বসবাসকারী মারিয়া জানান, এমন ভয়াবহ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্য তিনি প্রস্তুত ছিলেন না।

অন্য টিকটক ব্যবহারকারীরাও জানান, পিল খাওয়ার পর তাদের চোখের মণি বড় হয়ে যায়, হাত কাঁপে, ঘুম আসে না। কমপক্ষে তিনজন স্কুলশিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এপ্রিলে সাইবেরিয়ার চিতা শহরের এক স্কুলছাত্রীকে ‘মলিকিউল’-এর অতিরিক্ত সেবনের পর হাসপাতালে নেওয়া হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সে দ্রুত ওজন কমিয়ে গ্রীষ্মের আগে ছিপছিপে হতে চেয়েছিল।
আরেক স্কুলছাত্রীর মা জানান, তাঁর মেয়েকে আইসিইউতে নিতে হয়েছিল, কারণ সে একসঙ্গে অনেকগুলো পিল খেয়েছিল। মে মাসে সেন্ট পিটার্সবার্গের ১৩ বছর বয়সী এক ছেলেকে হাসপাতালে নিতে হয়, কারণ সে হ্যালুসিনেশন ও আতঙ্কে ভুগছিল। স্কুলে ওজন নিয়ে উপহাস করার হতো তাকে। এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সে এক বন্ধুর মাধ্যমে এই পিল কিনেছিল।
মলিকিউল পিলের মোড়কে সাধারণত লেখা থাকে ‘প্রাকৃতিক উপাদান’, যেমন—ড্যান্ডেলিয়ন রুট ও মৌরি বীজের নির্যাস দিয়ে তৈরি। কিন্তু এ বছরের শুরুতে রুশ দৈনিক ইজভেস্তিয়ার সাংবাদিকেরা অনলাইনে কেনা পিল পরীক্ষার জন্য জমা দেন। তাতে পাওয়া যায় ‘সিবিউট্রামিন’ নামের একটি পদার্থ।
এই সিবিউট্রামিন প্রথমে ১৯৮০-এর দশকে অবসাদনাশক ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়, পরে ক্ষুধা দমনকারী হিসেবে প্রচলিত হয়। কিন্তু গবেষণায় দেখা যায়, এটি হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়, অথচ ওজন কমায় সামান্যই। ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এটি নিষিদ্ধ করা হয়। যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীনসহ অনেক দেশেই এখন অবৈধ।

রাশিয়ায় এটি এখনো ওজন কমানোর ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়, তবে কেবল প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য এবং চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনে। প্রেসক্রিপশন ছাড়া সিবিউট্রামিন কেনাবেচা অপরাধ। কিন্তু তাতে এই ড্রাগের বিক্রি খুব একটা থামছে না। ব্যক্তিগত বিক্রেতা ও ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইনে এটি বিক্রি করছে—অনেক সময় বৈধ ওষুধের চেয়েও বেশি মাত্রায় এবং কোনো প্রেসক্রিপশন ছাড়াই।
এই অবৈধ পিলের দাম প্রায় ৮ থেকে ৯ ডলার, যা ২০ দিনের জন্য যথেষ্ট। অথচ রাশিয়ার বাজারে পরিচিত ওজন কমানোর ইনজেকশন যেমন ‘Ozempic’-এর দাম প্রতি মাসে ৪০ থেকে ১৬০ পাউন্ড (৫০ থেকে ২১০ ডলার)। সেন্ট পিটার্সবার্গের অন্তঃস্রাববিশেষজ্ঞ জেনিয়া সোলোভিয়েভা বলেন, ‘নিজে নিজে এই ওষুধ খাওয়া ভয়ানক বিপজ্জনক’, কারণ এসব তথাকথিত ‘ডায়েটারি সাপ্লিমেন্ট’-এ কত পরিমাণ সক্রিয় উপাদান আছে তা কেউ জানে না।
‘মলিকিউল’ বিক্রির দায়ে রাশিয়ায় নিয়মিত লোকজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সরকার অবৈধ বিক্রি বন্ধে হিমশিম খাচ্ছে। এপ্রিলে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত সেফ ইন্টারনেট লিগ বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানায়। এরপর কয়েকটি বড় অনলাইন মার্কেটপ্লেস মলিকিউল তাদের কার্ট থেকে সরিয়ে দেয়। কিন্তু অচিরেই এটি ফিরে আসে নতুন নামে—‘অ্যাটম।’ প্যাকেজিং প্রায় হুবহু আগের মতো।
সম্প্রতি রাশিয়ায় একটি আইন পাস হয়েছে, যাতে আদালতের আদেশ ছাড়াই ‘অবৈধ ফুড সাপ্লিমেন্ট বা খাদ্য পরিপূরক বিক্রি করা ওয়েবসাইট’ বন্ধ করা যায়। কিন্তু বিক্রেতারা এখন এসব পণ্যকে ‘স্পোর্টস নিউট্রিশন’ হিসেবে দেখিয়ে বিক্রি করছে।
টিকটকে এখনো এমন বিক্রেতা, যারা ‘মলিকিউল’ বিক্রি করছে। তবে নাম ভিন্ন—কখনো তা ‘মিউসলি’, ‘বিস্কুট’ বা ‘লাইটবাল্ব।’ কিছু বিক্রেতা তো আবার গোপনীয়তার ধারই ধারছেন না। কয়েক সপ্তাহ আগে বিবিসি এক জনপ্রিয় রুশ অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ‘মলিকিউল’-এর তালিকা খুঁজে পায়। জানতে চাইলে সংস্থাটি জানায়, তারা দ্রুত সিবিউট্রামিনযুক্ত সব পণ্য সরিয়ে ফেলেছে। তবে তারা স্বীকার করেছে, যেসব তালিকায় স্পষ্টভাবে ‘সিবিউট্রামিন’ লেখা নেই, সেগুলো শনাক্ত করা কঠিন।
যদি কেউ কোনোভাবে ‘মলিকিউল’ কিনতে সক্ষম হয়, তবুও বোঝা মুশকিল আসলে কী পাওয়া যাচ্ছে—আর এই পিল কোথায় তৈরি হচ্ছে, তা-ও অনিশ্চিত। বিবিসি কিছু বিক্রেতার কাছে এমন সনদপত্র পেয়েছে, যাতে লেখা আছে চীনের গুয়াংজু ও হেনান প্রদেশের কারখানায় উৎপাদিত। আবার কেউ কেউ দাবি করে, পণ্যটি জার্মানি থেকে আনা।
কিছু প্যাকেটে লেখা থাকে, এটি জার্মানির রেমাগেন শহরে তৈরি। কিন্তু বিবিসি খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, ওই ঠিকানায় এমন কোনো কোম্পানি নেই। আর কাজাখস্তানের কয়েকজন বিক্রেতা যারা রাশিয়ায় ‘মলিকিউল’ পাঠায়, তারা বিবিসিকে জানিয়েছে, তারা পণ্যটি বন্ধুদের কাছ থেকে বা রাজধানী আস্তানার কিছু গুদাম থেকে সংগ্রহ করে থাকে, কিন্তু মূল সরবরাহকারীর নাম জানে না।
এদিকে, অনলাইনে ইটিং ডিসঅর্ডার বা খাওয়ার ব্যাধি সংক্রান্ত অনেক কমিউনিটি এখন ‘মলিকিউল’ নামের ওষুধটি প্রচারের জায়গা হয়ে উঠেছে। ব্যবহারকারীরা হ্যাশট্যাগ আর নানা গোপন শব্দ ব্যবহার করে প্ল্যাটফর্মগুলোর নজরদারি এড়িয়ে যাচ্ছে। সোলোভিয়েভা বলেন, যেসব তরুণ-তরুণী আগে থেকেই ইটিং ডিসঅর্ডারে ভুগছে, তাদের জন্য মলিকিউল অত্যন্ত ক্ষতিকর। যারা পুনরায় অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকিতে আছে, তাদের হাতে সহজলভ্য এই ক্ষুধা দমনকারী ওষুধ ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনতে পারে।

রুশ সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার আন্না এনিনা নিজেও অতীতে অননুমোদিত ওজন কমানোর ওষুধ ব্যবহার করেছেন। তবে তিনি প্রকাশ্যে তাঁর অনুসারীদের সতর্ক করে বলেন, ‘আমি নিজে ইটিং ডিসঅর্ডারে ভুগেছি…এর পরিণতি ভয়াবহ হবে। তোমরা এর জন্য দশগুণ অনুতপ্ত হবে।’
মারিয়া সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছেন। অতিরিক্ত মলিকিউল খাওয়ার পর তিনি মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শিকার হন এবং হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। এখন তিনি বিভিন্ন ওজন কমানোর ফোরামে তরুণী ও মেয়েদের এই বড়ি না খেতে পরামর্শ দেন। এমনকি এক কিশোরীর বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদেরও সতর্ক করেছেন।
তবু মলিকিউল অনলাইনে এখনো জনপ্রিয়। আর মারিয়ার টিকটক ফিডে যখনই নতুন কোনো ভিডিও ভেসে ওঠে, তখন সেটি তাঁকে মনে করিয়ে দেয়—সেই পিলগুলোর কথা, যেগুলো তাঁকে অসুস্থ করে দিয়েছিল।

দেশে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রমরমা চলছে। এখন মফস্বল শহরগুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছে এসব বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক। ভারতের হরিয়ানা ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা কেন রিসার্চের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির বাজার ২০২৭ সালের মধ্যে ১৮০ কোটি ডলারে পৌঁছাবে। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়
১৫ মে ২০২৪
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৬২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ রোববার (২ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ দিন আগে
সময়স্বল্পতার কারণে অনেকে সকালের নাশতা খাওয়া বাদ দিয়ে দেন। সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যাওয়া, নির্দিষ্ট সময়ে অফিস কিংবা স্কুল-কলেজে পৌঁছানোর তাড়া ইত্যাদি কারণে নাশতা আর খাওয়া হয়ে ওঠে না। ক্ষুধা না থাকা, ব্যস্ত সময়সূচি কিংবা ওজন কমানোর কথা ভেবেও অনেক সময় সকালে নাশতা খাওয়া থেকে বিরত থাকেন অনেকে।
৩ দিন আগেফিচার ডেস্ক

সময়স্বল্পতার কারণে অনেকে সকালের নাশতা খাওয়া বাদ দিয়ে দেন। সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যাওয়া, নির্দিষ্ট সময়ে অফিস কিংবা স্কুল-কলেজে পৌঁছানোর তাড়া ইত্যাদি কারণে নাশতা আর খাওয়া হয়ে ওঠে না। ক্ষুধা না থাকা, ব্যস্ত সময়সূচি কিংবা ওজন কমানোর কথা ভেবেও অনেক সময় সকালে নাশতা খাওয়া থেকে বিরত থাকেন অনেকে। কিন্তু যে কারণেই হোক না কেন, এর ফলে পুষ্টির ঘাটতি, পেটের আলসার এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়তে পারে।
পুষ্টিবিদ ইতি খন্দকার পরামর্শ দিয়েছেন, ‘নাশতা অবশ্যই সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে শেষ করতে হবে। নাশতায় ওটস, ডিম ও সবজি দিয়ে খিচুড়ি করে খেতে পারেন কিংবা লাল আটার মাঝারি আকারের দুটি রুটি, এক বাটি কম মসলাযুক্ত সেদ্ধ সবজি এবং একটি ডিম রাখতে পারেন। ১০-১৫ মিনিট পর পুদিনাপাতা, লেবুর রস ও টক দই মেশানো এক বাটি খোসাসহ শসার সালাদ খাবেন।
নাশতা না করার স্বাস্থ্যঝুঁকিগুলো
ক্লান্তি: সকালে খাওয়া নাশতা মস্তিষ্ক এবং শরীরের সঠিক ক্রিয়াকলাপের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও শক্তি সরবরাহ করে। তাই নাশতা বাদ দিলে বিপাকপ্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। ফলে ক্লান্তি, অমনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি দুর্বল হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
স্থূলতা: অনেকের ধারণা, সকালে নাশতা না খাওয়া ওজন কমাতে সাহায্য করে। অথচ তা একেবারেই সঠিক নয়। নাশতা বাদ দিলে প্রায়ই ক্ষুধা বেড়ে যায়। ফলে দুপুর বা রাতে বেশি খাওয়া হয়। এ ছাড়া নাশতা না করার কারণে শরীরের পুষ্টির ঘাটতি পূরণের জন্য অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ করা হতে পারে। তবে বিষয়টি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হয়তো ওজনও বাড়বে। ইতি খন্দকার পরামর্শ দেন, ট্রান্সফ্যাট, ফার্স্ট ফুড, কোল্ড ড্রিংকস, চিনি, মিষ্টিজাতীয় খাবার ইত্যাদি খাওয়া বাদ দিতে হবে। পাশাপাশি দৈনিক পরিমাণমতো পানি পান করতে হবে।
দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি: সকালে খাওয়া নাশতা বিপাকপ্রক্রিয়া শুরু করতে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। তবে এটি বাদ দিলে অস্থায়ীভাবে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়, যা ভারসাম্য পুনরুদ্ধারের জন্য শরীর হরমোন মুক্ত করতে প্ররোচিত করে। রক্তে শর্করার মাত্রার এই ওঠানামা ইনসুলিন প্রতিরোধক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, যা টাইপ-২ ডায়াবেটিসের প্রধান ঝুঁকির কারণ। এ ছাড়া সকালের নাশতা বাদ দেওয়া, না খেয়ে থাকার সময়কাল দীর্ঘায়িত করে। এতে প্রদাহ সৃষ্টিকারী উপাদান সাইটোকাইনস অতিরিক্ত নিঃসরণ হতে পারে। ফলে দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
পাকস্থলী ও ডিওডেনাল আলসার:
খাবার বাদ দেওয়া হলে পাকস্থলী অ্যাসিড তৈরি করার কাজ চালিয়ে যায়। কিন্তু তা প্রশমিত করার জন্য কোনো খাদ্য থাকে না। এতে পাকস্থলীর আস্তরণের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। ফলে দীর্ঘ মেয়াদে পাকস্থলী এবং ডিওডেনাল আলসার হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সকালের নাশতা বাদ দেওয়া ইসোফেগাস (খাদ্যনালি), পাকস্থলী, কোলন, যকৃৎ, পিত্তনালিসহ গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধির সঙ্গেও যুক্ত।
পিত্তথলিতে পাথর: খাবার খাওয়ার ফলে পিত্তথলি হজমের জন্য অন্ত্রে পিত্ত নিঃসরণ করে। দীর্ঘ সময়ের জন্য খাবার বাদ দিলে পিত্তথলির নিয়মিত সংকোচন বাধাগ্রস্ত হয়। এর ফলে পিত্ত জমাট বাঁধে। আর এই জমাট বাঁধার কারণে কোলেস্টেরল ও পিত্ত লবণ স্ফটিকের আকার ধারণ করে, যা পিত্তথলিতে পাথর তৈরি করে। এ ছাড়া খাবার বাদ দেওয়ায় কারণে অন্ত্রের কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে এবং মলের মাধ্যমে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল অপসারণকে ধীর করে দেয়। এ ছাড়া পিত্তথলিতে পাথর গঠনের ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি অবদান রাখে।
সকালবেলার নাশতায় অবশ্যই চার ধরনের খাবারের উপস্থিতি থাকা জরুরি। এগুলো হলো, প্রোটিনের মধ্যে ডিম, দুধ, চর্বিহীন মাংস ও শিম। জটিল কার্বোহাইড্রেটের মধ্যে ওটস, লাল চাল, বাকহুইট, লাল আটার রুটি, মিষ্টিআলু এবং ভুট্টা। স্বাস্থ্যকর চর্বির মধ্যে বাদাম, অ্যাভোকাডো ও জলপাই তেল এবং ফল ও সবজি।

সময়স্বল্পতার কারণে অনেকে সকালের নাশতা খাওয়া বাদ দিয়ে দেন। সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যাওয়া, নির্দিষ্ট সময়ে অফিস কিংবা স্কুল-কলেজে পৌঁছানোর তাড়া ইত্যাদি কারণে নাশতা আর খাওয়া হয়ে ওঠে না। ক্ষুধা না থাকা, ব্যস্ত সময়সূচি কিংবা ওজন কমানোর কথা ভেবেও অনেক সময় সকালে নাশতা খাওয়া থেকে বিরত থাকেন অনেকে। কিন্তু যে কারণেই হোক না কেন, এর ফলে পুষ্টির ঘাটতি, পেটের আলসার এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়তে পারে।
পুষ্টিবিদ ইতি খন্দকার পরামর্শ দিয়েছেন, ‘নাশতা অবশ্যই সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে শেষ করতে হবে। নাশতায় ওটস, ডিম ও সবজি দিয়ে খিচুড়ি করে খেতে পারেন কিংবা লাল আটার মাঝারি আকারের দুটি রুটি, এক বাটি কম মসলাযুক্ত সেদ্ধ সবজি এবং একটি ডিম রাখতে পারেন। ১০-১৫ মিনিট পর পুদিনাপাতা, লেবুর রস ও টক দই মেশানো এক বাটি খোসাসহ শসার সালাদ খাবেন।
নাশতা না করার স্বাস্থ্যঝুঁকিগুলো
ক্লান্তি: সকালে খাওয়া নাশতা মস্তিষ্ক এবং শরীরের সঠিক ক্রিয়াকলাপের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও শক্তি সরবরাহ করে। তাই নাশতা বাদ দিলে বিপাকপ্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। ফলে ক্লান্তি, অমনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি দুর্বল হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
স্থূলতা: অনেকের ধারণা, সকালে নাশতা না খাওয়া ওজন কমাতে সাহায্য করে। অথচ তা একেবারেই সঠিক নয়। নাশতা বাদ দিলে প্রায়ই ক্ষুধা বেড়ে যায়। ফলে দুপুর বা রাতে বেশি খাওয়া হয়। এ ছাড়া নাশতা না করার কারণে শরীরের পুষ্টির ঘাটতি পূরণের জন্য অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ করা হতে পারে। তবে বিষয়টি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হয়তো ওজনও বাড়বে। ইতি খন্দকার পরামর্শ দেন, ট্রান্সফ্যাট, ফার্স্ট ফুড, কোল্ড ড্রিংকস, চিনি, মিষ্টিজাতীয় খাবার ইত্যাদি খাওয়া বাদ দিতে হবে। পাশাপাশি দৈনিক পরিমাণমতো পানি পান করতে হবে।
দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি: সকালে খাওয়া নাশতা বিপাকপ্রক্রিয়া শুরু করতে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। তবে এটি বাদ দিলে অস্থায়ীভাবে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়, যা ভারসাম্য পুনরুদ্ধারের জন্য শরীর হরমোন মুক্ত করতে প্ররোচিত করে। রক্তে শর্করার মাত্রার এই ওঠানামা ইনসুলিন প্রতিরোধক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, যা টাইপ-২ ডায়াবেটিসের প্রধান ঝুঁকির কারণ। এ ছাড়া সকালের নাশতা বাদ দেওয়া, না খেয়ে থাকার সময়কাল দীর্ঘায়িত করে। এতে প্রদাহ সৃষ্টিকারী উপাদান সাইটোকাইনস অতিরিক্ত নিঃসরণ হতে পারে। ফলে দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
পাকস্থলী ও ডিওডেনাল আলসার:
খাবার বাদ দেওয়া হলে পাকস্থলী অ্যাসিড তৈরি করার কাজ চালিয়ে যায়। কিন্তু তা প্রশমিত করার জন্য কোনো খাদ্য থাকে না। এতে পাকস্থলীর আস্তরণের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। ফলে দীর্ঘ মেয়াদে পাকস্থলী এবং ডিওডেনাল আলসার হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সকালের নাশতা বাদ দেওয়া ইসোফেগাস (খাদ্যনালি), পাকস্থলী, কোলন, যকৃৎ, পিত্তনালিসহ গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধির সঙ্গেও যুক্ত।
পিত্তথলিতে পাথর: খাবার খাওয়ার ফলে পিত্তথলি হজমের জন্য অন্ত্রে পিত্ত নিঃসরণ করে। দীর্ঘ সময়ের জন্য খাবার বাদ দিলে পিত্তথলির নিয়মিত সংকোচন বাধাগ্রস্ত হয়। এর ফলে পিত্ত জমাট বাঁধে। আর এই জমাট বাঁধার কারণে কোলেস্টেরল ও পিত্ত লবণ স্ফটিকের আকার ধারণ করে, যা পিত্তথলিতে পাথর তৈরি করে। এ ছাড়া খাবার বাদ দেওয়ায় কারণে অন্ত্রের কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে এবং মলের মাধ্যমে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল অপসারণকে ধীর করে দেয়। এ ছাড়া পিত্তথলিতে পাথর গঠনের ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি অবদান রাখে।
সকালবেলার নাশতায় অবশ্যই চার ধরনের খাবারের উপস্থিতি থাকা জরুরি। এগুলো হলো, প্রোটিনের মধ্যে ডিম, দুধ, চর্বিহীন মাংস ও শিম। জটিল কার্বোহাইড্রেটের মধ্যে ওটস, লাল চাল, বাকহুইট, লাল আটার রুটি, মিষ্টিআলু এবং ভুট্টা। স্বাস্থ্যকর চর্বির মধ্যে বাদাম, অ্যাভোকাডো ও জলপাই তেল এবং ফল ও সবজি।

দেশে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রমরমা চলছে। এখন মফস্বল শহরগুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছে এসব বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক। ভারতের হরিয়ানা ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা কেন রিসার্চের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির বাজার ২০২৭ সালের মধ্যে ১৮০ কোটি ডলারে পৌঁছাবে। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়
১৫ মে ২০২৪
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৬ ঘণ্টা আগে
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৬২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ রোববার (২ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ দিন আগে
রাশিয়ায় টিকটকে চলতি বছরের শুরুতে ভাইরাল হয় এক ধরনের ওজন কমানোর ওষুধ। ‘মলিকিউল’ নামে একটি পিল। তরুণদের ফিডে ভেসে উঠতে থাকে নানা ক্যাপশন—‘মলিকিউল খাও, খাবার ভুলে যাও, ওজন কমাও’, কিংবা ‘বড়সড় পোশাক পরে ক্লাসের পেছনের বেঞ্চে বসতে চাও?’
১ দিন আগে