আকারে বড় হচ্ছে মানুষের মস্তিষ্ক। ফলে মস্তিষ্কের স্মৃতি বা তথ্য সংরক্ষণ ক্ষমতাও বাড়ছে। এমনটাই অনুমান করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার ডেভিস হেলথ সেন্টারের বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলছেন, ১৯৩০ এর দশকে জন্ম নেওয়া মানুষের মস্তিষ্কের তুলনায় ১৯৭০ এর দশকে জন্ম নেওয়া মানুষদের মস্তিষ্কের আয়তন ৬ দশমিক ৬ গুণ এবং খুলির ভেতরে তা ১৫ শতাংশ বেশি জায়গাজুড়ে বিস্তৃত।
গবেষকদের পূর্বানুমান, মস্তিষ্কের এই আয়তন বৃদ্ধির ফলে মানুষের স্মৃতি সংরক্ষণ সক্ষমতাও বাড়বে। যার ফলে সার্বিকভাবে বয়স সংক্রান্ত ডিমেনশিয়ার যে ঝুঁকি তা অনেকটাই কমে আসবে। স্নায়ুবিজ্ঞান সংক্রান্ত জার্নাল জেএএমএ নিউরোলজিতে এ বিষয়ে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
এই গবেষণার বিষয়ে গবেষণার মূল লেখক ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার নিউরোলজির অধ্যাপক ও ডেভিস আলঝেইমার ডিজিজ রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক চার্লস দে কার্লি বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি যে দশকে জন্মগ্রহণ করেন তা তাঁর মস্তিষ্কের আকার ও দীর্ঘ মেয়াদে মস্তিষ্কের সম্ভাব্য স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে।’
এই স্নায়ুবিজ্ঞানী আরও বলেন, ‘ব্যক্তির বংশগতি তাঁর মস্তিষ্কের আকার নির্ধারণে একটি প্রধান ভূমিকা পালন করে। তবে আমাদের অনুসন্ধান মূলত মস্তিষ্কের আকার বৃদ্ধির বাহ্যিক প্রভাবগুলো—যেমন স্বাস্থ্য, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাগত কারণগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছে।’
গবেষণায় বিজ্ঞানীরা যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রেমিংহ্যাম হার্ট স্টাডি সেন্টারের রোগীদের মস্তিষ্কের ম্যাগনেটিক রিজোন্যান্স ইমেজিং বা এমআরআই রেকর্ড নিয়ে গবেষণা করেছেন। ১৯৪৮ সালে ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের ফ্রেমিংহ্যামে স্থানীয়দের কার্ডিওভাসকুলার ও অন্যান্য রোগের বিষয়ে গবেষণা করার জন্য এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলা হয়।
সেখান থেকে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষকেরা ৫ হাজার ২০৯ জন রোগীর তথ্য ব্যবহার করেন। যাদের বয়স ছিল ৩০ থেকে ৬২ বছরের মধ্যে। ফ্রেমিংহ্যাম হার্ট স্টাডি সেন্টার টানা ৭৫ বছর ধরে এই ক্ষেত্রে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে গবেষণায় তৃতীয় প্রজন্মের রোগীদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
এই গবেষণায় যাদের এমআরআই ব্যবহার করা হয়েছে, তাঁরা সবাই ১৯৩০ এর দশক থেকে ১৯৭০ এর দশকের মধ্যে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং ১৯৯৯ সাল থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে তাদের এমআরআইগুলো করা হয়েছিল। ফ্রেমিংহ্যাম হার্ট স্টাডি সেন্টারের ৫ হাজার ২০৯ জন রোগীর মধ্যে ৩ হাজার ২২৬ জনের এমআরআই ডেটা ব্যবহার করেছেন গবেষকেরা। তাদের মধ্যে ৫৩ শতাংশ নারী ও ৪৭ শতাংশ পুরুষ।
বিজ্ঞানীরা ১৯৩০ ও ১৯৭০ এর দশকে জন্ম নেওয়া ব্যক্তিদের এমআরআইয়ের তুলনামূলক পর্যালোচনা করেন। সেখান থেকে তাঁরা দেখতে পান যে, এই সময়ের মধ্যে ধীরে হলেও ধারাবাহিকভাবে মানুষের মস্তিষ্কের কাঠামো বদলেছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, ১৯৩০-এর দশকে জন্মগ্রহণকারীদের মস্তিষ্কের গড় আয়তন ছিল ১২৩৪ মিলিলিটার, কিন্তু ১৯৭০-এর দশকে জন্মগ্রহণকারীদের মস্তিষ্কের আয়তন ছিল ১৩২১ মিলিলিটার বা প্রায় ৬ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি।
আয়তন তো বটেই মস্তিষ্কের পৃষ্ঠতলের আয়তনও বেড়েছে দশকে দশকে। ১৯৭০ এর দশকে জন্ম নেওয়াদের মস্তিষ্ক খুলির ভেতরে ২১০৪ বর্গ সেন্টিমিটার জায়গা দখল করে ছিল। বিপরীতে ১৯৩০ এর দশকে জন্ম নেওয়াদের ক্ষেত্রে এটি ছিল ২০৫৬ বর্গ সেন্টিমিটার। অর্থাৎ ১৫ শতাংশ বেড়েছে ৪ দশকে।
গবেষকেরা আরও দেখেছেন, মস্তিষ্কের বিভিন্ন উপাদান—হোয়াইট ম্যাটার, গ্রে ম্যাটার, হিপ্পোক্যাম্পাসের (যা মানুষের স্মৃতি ও শিখনের জন্য কাজ করে) আকারও বেড়েছে। অর্থাৎ ১৯৩০ এর দশকের তুলনায় ১৯৭০ এর দশকের মানুষের মস্তিষ্কে এসব উপাদান বেশি পরিমাণে ছিল।
এদিকে, মানুষের মস্তিষ্কের আকার-আয়তন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একটি ইতিবাচক দিকও দেখা দিয়েছে। বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন, মস্তিষ্কের আয়তন বৃদ্ধির ফলে মানুষের ডিমেনশিয়া ও আলঝেইমারের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার কমে যাবে।
এ বিষয়ে দে কার্লি বলেন, ‘আমাদের গবেষণায় পর্যবেক্ষণ করা মস্তিষ্কের বড় কাঠামো উন্নত মস্তিষ্কের বিকাশ ও মস্তিষ্কের উন্নত স্বাস্থ্যকে প্রতিফলিত করে। একটি বড় মস্তিষ্ক আরও বেশি স্মৃতি/তথ্য সংরক্ষণের প্রতিনিধিত্ব করে এবং বয়স সম্পর্কিত মস্তিষ্কের রোগগুলো কমিয়ে মানুষের আয়ুষ্কাল বাড়াতে পারে।’
তথ্যসূত্র: সায়েন্স ডেইলি
আকারে বড় হচ্ছে মানুষের মস্তিষ্ক। ফলে মস্তিষ্কের স্মৃতি বা তথ্য সংরক্ষণ ক্ষমতাও বাড়ছে। এমনটাই অনুমান করছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার ডেভিস হেলথ সেন্টারের বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলছেন, ১৯৩০ এর দশকে জন্ম নেওয়া মানুষের মস্তিষ্কের তুলনায় ১৯৭০ এর দশকে জন্ম নেওয়া মানুষদের মস্তিষ্কের আয়তন ৬ দশমিক ৬ গুণ এবং খুলির ভেতরে তা ১৫ শতাংশ বেশি জায়গাজুড়ে বিস্তৃত।
গবেষকদের পূর্বানুমান, মস্তিষ্কের এই আয়তন বৃদ্ধির ফলে মানুষের স্মৃতি সংরক্ষণ সক্ষমতাও বাড়বে। যার ফলে সার্বিকভাবে বয়স সংক্রান্ত ডিমেনশিয়ার যে ঝুঁকি তা অনেকটাই কমে আসবে। স্নায়ুবিজ্ঞান সংক্রান্ত জার্নাল জেএএমএ নিউরোলজিতে এ বিষয়ে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।
এই গবেষণার বিষয়ে গবেষণার মূল লেখক ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার নিউরোলজির অধ্যাপক ও ডেভিস আলঝেইমার ডিজিজ রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক চার্লস দে কার্লি বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি যে দশকে জন্মগ্রহণ করেন তা তাঁর মস্তিষ্কের আকার ও দীর্ঘ মেয়াদে মস্তিষ্কের সম্ভাব্য স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে।’
এই স্নায়ুবিজ্ঞানী আরও বলেন, ‘ব্যক্তির বংশগতি তাঁর মস্তিষ্কের আকার নির্ধারণে একটি প্রধান ভূমিকা পালন করে। তবে আমাদের অনুসন্ধান মূলত মস্তিষ্কের আকার বৃদ্ধির বাহ্যিক প্রভাবগুলো—যেমন স্বাস্থ্য, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাগত কারণগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছে।’
গবেষণায় বিজ্ঞানীরা যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রেমিংহ্যাম হার্ট স্টাডি সেন্টারের রোগীদের মস্তিষ্কের ম্যাগনেটিক রিজোন্যান্স ইমেজিং বা এমআরআই রেকর্ড নিয়ে গবেষণা করেছেন। ১৯৪৮ সালে ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের ফ্রেমিংহ্যামে স্থানীয়দের কার্ডিওভাসকুলার ও অন্যান্য রোগের বিষয়ে গবেষণা করার জন্য এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলা হয়।
সেখান থেকে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষকেরা ৫ হাজার ২০৯ জন রোগীর তথ্য ব্যবহার করেন। যাদের বয়স ছিল ৩০ থেকে ৬২ বছরের মধ্যে। ফ্রেমিংহ্যাম হার্ট স্টাডি সেন্টার টানা ৭৫ বছর ধরে এই ক্ষেত্রে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে গবেষণায় তৃতীয় প্রজন্মের রোগীদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
এই গবেষণায় যাদের এমআরআই ব্যবহার করা হয়েছে, তাঁরা সবাই ১৯৩০ এর দশক থেকে ১৯৭০ এর দশকের মধ্যে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং ১৯৯৯ সাল থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে তাদের এমআরআইগুলো করা হয়েছিল। ফ্রেমিংহ্যাম হার্ট স্টাডি সেন্টারের ৫ হাজার ২০৯ জন রোগীর মধ্যে ৩ হাজার ২২৬ জনের এমআরআই ডেটা ব্যবহার করেছেন গবেষকেরা। তাদের মধ্যে ৫৩ শতাংশ নারী ও ৪৭ শতাংশ পুরুষ।
বিজ্ঞানীরা ১৯৩০ ও ১৯৭০ এর দশকে জন্ম নেওয়া ব্যক্তিদের এমআরআইয়ের তুলনামূলক পর্যালোচনা করেন। সেখান থেকে তাঁরা দেখতে পান যে, এই সময়ের মধ্যে ধীরে হলেও ধারাবাহিকভাবে মানুষের মস্তিষ্কের কাঠামো বদলেছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, ১৯৩০-এর দশকে জন্মগ্রহণকারীদের মস্তিষ্কের গড় আয়তন ছিল ১২৩৪ মিলিলিটার, কিন্তু ১৯৭০-এর দশকে জন্মগ্রহণকারীদের মস্তিষ্কের আয়তন ছিল ১৩২১ মিলিলিটার বা প্রায় ৬ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি।
আয়তন তো বটেই মস্তিষ্কের পৃষ্ঠতলের আয়তনও বেড়েছে দশকে দশকে। ১৯৭০ এর দশকে জন্ম নেওয়াদের মস্তিষ্ক খুলির ভেতরে ২১০৪ বর্গ সেন্টিমিটার জায়গা দখল করে ছিল। বিপরীতে ১৯৩০ এর দশকে জন্ম নেওয়াদের ক্ষেত্রে এটি ছিল ২০৫৬ বর্গ সেন্টিমিটার। অর্থাৎ ১৫ শতাংশ বেড়েছে ৪ দশকে।
গবেষকেরা আরও দেখেছেন, মস্তিষ্কের বিভিন্ন উপাদান—হোয়াইট ম্যাটার, গ্রে ম্যাটার, হিপ্পোক্যাম্পাসের (যা মানুষের স্মৃতি ও শিখনের জন্য কাজ করে) আকারও বেড়েছে। অর্থাৎ ১৯৩০ এর দশকের তুলনায় ১৯৭০ এর দশকের মানুষের মস্তিষ্কে এসব উপাদান বেশি পরিমাণে ছিল।
এদিকে, মানুষের মস্তিষ্কের আকার-আয়তন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একটি ইতিবাচক দিকও দেখা দিয়েছে। বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন, মস্তিষ্কের আয়তন বৃদ্ধির ফলে মানুষের ডিমেনশিয়া ও আলঝেইমারের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার কমে যাবে।
এ বিষয়ে দে কার্লি বলেন, ‘আমাদের গবেষণায় পর্যবেক্ষণ করা মস্তিষ্কের বড় কাঠামো উন্নত মস্তিষ্কের বিকাশ ও মস্তিষ্কের উন্নত স্বাস্থ্যকে প্রতিফলিত করে। একটি বড় মস্তিষ্ক আরও বেশি স্মৃতি/তথ্য সংরক্ষণের প্রতিনিধিত্ব করে এবং বয়স সম্পর্কিত মস্তিষ্কের রোগগুলো কমিয়ে মানুষের আয়ুষ্কাল বাড়াতে পারে।’
তথ্যসূত্র: সায়েন্স ডেইলি
গৃহস্থালির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্লাস্টিক পণ্যে রয়েছে ‘থ্যালেটস’ (Phthalates) নামক রাসায়নিক পদার্থ। আর এই থ্যালেটস কোনো নির্বিরোধী রাসায়নিক উপাদান নয়। এর কারণে মৃত্যুর ঘটনা অনেক বেশি। থ্যালেটসের সংস্পর্শে আসার কারণে ২০১৮ সালে বিশ্বব্যাপী ৩ লাখ ৫৬ হাজারেরও বেশি মানুষের হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবর
৫ ঘণ্টা আগেপুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের সিটি স্ক্যান মেশিনের ফিল্মসংকট দেখা দিয়েছে। এতে সিটি স্ক্যান করার প্রয়োজন এমন রোগী ও তাঁদের স্বজনদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে যাঁদের জরুরি ভিত্তিতে সিটি স্ক্যান করা প্রয়োজন, তাঁরা পড়ছেন সবচেয়ে বেশি...
১৮ ঘণ্টা আগেআশার কথা হলো, পরিবর্তন আসছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক যুগান্তকারী পরীক্ষায় দেখা গেছে, তীব্রভাবে চিনাবাদামের অ্যালার্জিতে আক্রান্ত দুই-তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্ককে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে প্রতিদিন অল্প পরিমাণে চিনাবাদাম খাইয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় আনা সম্ভব হয়েছে।
১ দিন আগেঅতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার বা ‘আল্ট্রা প্রসেসড ফুড’ (ইউপিএফ) বেশি খাওয়ার কারণে শুধু স্থূলতা, হতাশা, ডায়াবেটিস কিংবা হৃদরোগই নয়, বাড়ছে অকালমৃত্যুর ঝুঁকিও। নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এই ধরনের খাবার খাওয়ার কারণে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার মানুষের অকালমৃত্যু ঘটছে।
১ দিন আগে