Ajker Patrika

ম্যাকডোনাল্ডস, বার্গার কিংয়ের খাবারে মিলল স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর প্লাস্টিক

আপডেট : ০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪: ৩৫
ম্যাকডোনাল্ডস, বার্গার কিংয়ের খাবারে মিলল স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর প্লাস্টিক

যুক্তরাষ্ট্রের সুপারমার্কেটের খাবার ও ফাস্ট ফুডের মধ্যে ক্ষতিকর প্লাস্টিকের ব্যাপক উপস্থিতি খুঁজে পেয়েছে অলাভজনক ভোক্তা সংস্থা কনজিউমার রিপোর্টস। গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থাটি বলেছে, সম্প্রতি সুপারমার্কেটের খাবার ও ফাস্ট ফুডের ৮৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ৮৪টিতেই ফ্যাথালেটস নামক প্লাস্টিকাইজার পাওয়া গেছে, যা প্লাস্টিককে আরও টেকসই করতে ব্যবহৃত রাসায়নিক। এই রাসায়নিক ক্যানসার, জন্মগত ত্রুটিসহ বেশ কিছু স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি বাড়ায়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে। কনজিউমার রিপোর্টস গত প্রায় ২৫ বছর ধরে খাদ্য এবং খাদ্য প্যাকেজিংয়ে বিসফেনল ও ফ্যাথালেটসের উপস্থিতি পরীক্ষা করে আসছে। নতুন পরীক্ষায় তারা দেখাতে চেয়েছে যে, আমেরিকানরা খাবারের সঙ্গে প্রকৃতপক্ষে কতটা রাসায়নিক দ্রব্য গ্রহণ করে। এর উত্তরে কনজিউমার রিপোর্টস বলেছে—অনেকটাই।

কনজিউমার রিপোর্টস বলছে, ম্যাকডোনাল্ডস ও বার্গার কিংয়ের বেশ কয়েকটি খাবারে বিস্তৃত মাত্রায় ফ্যাথালেটসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ম্যাকডোনাল্ডসের চিকেন নাগেটসের চেয়ে ওয়েন্ডির ক্রিস্পি চিকেন নাগেটসের প্রতি ন্যানোগ্রামে ফ্যাথালেটস চার গুণ বেশি। পোলার রাস্পবেরি লাইম সেল্টজারই ছিল একমাত্র পরীক্ষিত পণ্য, যাতে কোনো ফ্যাথালেটস পাওয়া যায়নি।

কনজিউমার রিপোর্টসের পণ্য নিরাপত্তা পরীক্ষা তত্ত্বাবধানকারী জেমস রজার্স বলেন, খাবারে প্লাস্টিকের এই ব্যাপক উপস্থিতিই এ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ দেয়। উৎপাদন প্রক্রিয়ার সময়ই খাবার এসব প্লাস্টিকের সংস্পর্শে আসে বলে প্রয়োজনীয় সুরক্ষাব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

পণ্য পরীক্ষার স্বাধীন এই সংস্থা আরও বলেছে, তাদের গবেষণায় ৭৯ শতাংশ খাদ্য নমুনায় প্লাস্টিকে থাকা আরও কয়েকটি রাসায়নিক যেমন বিসফেনল এ (বিপিএ) ও অন্যান্য বিসফেনল পাওয়া গেছে। ২০০৯ সালে করা অনুরূপ পরীক্ষার চেয়ে এবার খাবারে রাসায়নিকের উপস্থিতির মাত্রা বেশি।

খাবারে প্লাস্টিকাইজারগুলোর উপস্থিতিতে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির মাত্রাকে ‘অত্যধিক’ বলেছে ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।

কনজিউমার রিপোর্টস বলেছে, তারা খাবারে যে পরিমাণে ফ্যাথালেটস পেয়েছে, তার কোনোটিই যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় নিয়ন্ত্রকদের দ্বারা নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করেনি। তারা এটাও বলেছে, খাবারে ফ্যাথালেটসের এমন কোনো পরিমাণ সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা নিশ্চয়তা দিতে পারে না, যা স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ।

ফ্যাথালেটস ও বিসফেনলের উপস্থিতি অ্যাস্ট্রোজেন এবং অন্যান্য হরমোনের উৎপাদন ও নিয়ন্ত্রণ ব্যাহত করতে পারে। খাবারের সঙ্গে এসব প্লাস্টিক গ্রহণ করলে জন্মগত ত্রুটি, ক্যানসার, ডায়াবেটিস, বন্ধ্যত্ব, মস্তিষ্কের বিকাশজনিত রোগ, স্থূলতা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি বাড়ায়।

খাবারে প্লাস্টিকের উপস্থিতি সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য অনুরোধ করা হলেও তাতে সাড়া দেয়নি বার্গার কিং ও ওয়েন্ডিস কর্তৃপক্ষ। ম্যাকডোনাল্ডস বলেছে, খাবার উৎপাদনে তারা প্রয়োজনীয় বিধি অনুসরণ করে থাকে। খাদ্য প্যাকেজিংয়ে রাসায়নিকের উপস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কঠোর নিয়মের প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছে ম্যাকডোনাল্ডস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত