চিকিৎসকের পরামর্শ

মানসিক চাপ এমন এক আবেগ, যার সঙ্গে আমাদের পরিচয় হওয়া খুব স্বাভাবিক। দৈনন্দিন টানাপোড়েন এটি তৈরি হওয়ার অন্যতম কারণ। আমাদের শরীর ও মনের ওপর এর প্রভাব মারাত্মক। ফলে একে সামাল দিয়ে চলতে হয়। জীবনে আঘাত আসে, চ্যালেঞ্জ আসে। এ জন্য মানসিক চাপ তৈরি হওয়া স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। কিন্তু এটি ক্রনিক হলে বিপদ।

পাকস্থলীর ক্যানসার বিশ্বব্যাপী সব ধরনের কানসারের মধ্যে পঞ্চম এবং এই রোগসংক্রান্ত মৃত্যুর তৃতীয় প্রধান কারণ। উন্নয়নশীল দেশগুলোর তুলনায় উন্নত দেশে পাকস্থলীর কানসারের সংক্রমণ বেশি।

আজকাল এইডস নির্ণয় করা যায় এবং এর চিকিৎসা হয়। এইচআইভি নিয়েও সুস্থ জীবনযাপন সম্ভব। বিশ্বব্যাপী এইডসে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা এত আধুনিক যে এই রোগ নিয়েও দীর্ঘদিন বেঁচে থাকা সম্ভব।

শীত আরামদায়ক হলেও নানা ধরনের সমস্যা তৈরি করে এই আবহাওয়া। এ সময় বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস সক্রিয় হয়ে ওঠে। শুধু শীতকালে ঠান্ডা লেগেই কানে সংক্রমণ হয় না। সারা বছরই কানে সংক্রমণ হতে পারে। তবে কেন এটি হয় এবং কীভাবে তা রোধ করা সম্ভব তা আগে থেকে জেনে রাখা ভালো।

সুষম খাদ্য চোখের সাধারণ সুস্থতা ও বিভিন্ন ধরনের সমস্যার ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে সুষম খাদ্যের পাশাপাশি অ্যান্টি-অক্সিজেনসমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খেলে তা চোখ ভালো রাখতে বিশেষ উপকার করবে।

সাইনোসাইটিস একটি সাধারণ রোগ। বিভিন্ন জীবাণুর কারণে এ রোগ হয়। এই রোগে আক্রান্ত হলে রোগীরা মাথাব্যথা ও অন্যান্য উপসর্গের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি অবসাদে ভুগে থাকে। একই সঙ্গে তাদের মুখমণ্ডলে ব্যথা থাকে, নাক বন্ধ থাকে, রোগীরা অতি ক্লান্তিতে ভোগে। এ ছাড়া কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

বয়ঃসন্ধিকাল জীবনের অত্যন্ত স্পর্শকাতর সময়। এ সময় কিশোর-কিশোরীরা নানান শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের মুখোমুখি হয়। মেয়েদের বিভিন্ন পরিবর্তনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হচ্ছে ঋতুচক্র বা মাসিক শুরু হওয়া। হরমোনের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে প্রতি মাসে একবার মাসিক হওয়া অত্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাপার।

সারা বিশ্বে প্রতি আজজন নারীর মধ্যে একজনের স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। বাংলাদেশে নারীরা যেসব ক্যানসারে আক্রান্ত হন এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে স্তন ক্যানসার। নারী ক্যানসার রোগীদের ১৯ শতাংশ স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত। আন্তর্জাতিক সংস্থা আইএআরসির হিসাবে, বাংলাদেশে প্রতিবছর ১৩ হাজারের বেশি নারী নত

নভেম্বর ফুসফুস ক্যানসার সচেতনতার মাস। বিশ্ব পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, ক্যানসারে যত মানুষ মারা যায় এর চার ভাগের এক ভাগ মারা যায় ফুসফুসের ক্যানসারে। বাংলাদেশে ২১ লাখ মানুষ এই ক্যানসারে আক্রান্ত। তাদের মধ্যে ১৩ লাখ পুরুষ। ফুসফুস ক্যানসারের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ কারণের মধ্যে আছে ধূমপান, তামাক ও জর্দা খাওয়া।

থাইরয়েড হরমোন হচ্ছে আমাদের গলার সামনে অবস্থিত থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত একধরনের হরমোন। এটি পুরো শরীরে কাজ করে।

ডায়াবেটিস এক জটিল বিপাকীয় ব্যাধি। পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তিদের প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এতে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়। মূলত ইনসুলিন নামক একটি হরমোনের অভাব কিংবা নিষ্ক্রিয়তার কারণে এমনটি হয়ে থাকে। দীর্ঘস্থায়ী এই রোগের ঝুঁকি সম্পর্কে জানা খুবই জরুরি। জটিল এ রোগ নিয়ে বিস্তারিত লিখেছ

সবাই আগে জানত, ডায়াবেটিস বয়স্ক মানুষের হয়। কিন্তু বর্তমানে আমরা জানি, শিশু থেকে বয়োবৃদ্ধ—সবারই এটি হতে পারে। এমনকি যাদের বংশে কারও এই রোগ নেই, এমন নতুন গর্ভবতী তরুণীদেরও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে দেখা যাচ্ছে। গর্ভাবস্থায় শরীরের অতিরিক্ত চাহিদা অনুযায়ী অতিরিক্ত ইনসুলিন—যে উপাদান রক্তে শর্করার হার নিয়ন্

বর্তমানে ওভারি বা ডিম্বাশয়ে সিস্ট নারীদের সাধারণ সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। সাধারণভাবে ওভারিতে তরল বা আধা কঠিন পদার্থপূর্ণ থলেকে সিস্ট বলা হয়। ওভারিয়ান সিস্টের বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে। সাধারণত বয়ঃসন্ধিকাল থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যে ওভারিয়ান সিস্ট হয়ে থাকে। ওভারিতে যে ছোট ছোট ফলিকল থাকে, সেগুলো পূর্ণাঙ্গ ন

বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগের মধ্যে হাতের একজিমা অন্যতম। আমাদের দেশে নারীদের, বিশেষ করে গৃহবধূদের হাত প্রায়ই এতে আক্রান্ত হয়। যাঁরা খুব পানি ব্যবহার করেন, অনবরত সাবান বা সোডাজাতীয় জিনিসের সংস্পর্শে আসেন সাধারণত তাঁদের এ রোগ বেশি হয়।

শরীরের কিছু পরীক্ষা করালে বোঝা যাবে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আছে কি না এবং এর কেমন প্রভাব পড়ছে শরীরে। সৌভাগ্যবশত একটি সহজ রক্ত পরীক্ষা করে জানা যায় ডায়াবেটিস আছে কি না।

একসময় স্বাস্থ্যবিজ্ঞানীরা ডিম খেতে নিষেধ করতেন। সেটা চলেছে দীর্ঘদিন। ডিম খাওয়া যে খারাপ কিছু নয়, এটা নিয়ে আরেক দল নানান বিতর্ক করেছে কয়েক দশক ধরে। শেষ পর্যন্ত ডিম খাওয়ার প্রতি আর এখন বাধা দেওয়া হয় না।

বর্তমান সময়ের একটি গুরুতর রোগ হলো ডায়াবেটিস। এটি নিয়ন্ত্রণ করা না হলে কালক্রমে দেখা দেয় নানান জটিলতা। এই রোগের ক্ষেত্রে ভারত পৃথিবীতে দ্বিতীয় স্থানে আর শীর্ষে রয়েছে চীন। বাংলাদেশ অষ্টম স্থানে থাকলেও সপ্তমে ওঠার পর্যায়ে আছে।