ডা. অদিতি সরকার
কখনো কখনো তীব্র মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, আলো ও শব্দে অসহ্য যন্ত্রণা; এসবের কারণে কাজের জায়গা তো বটেই, ব্যক্তিগত জীবনও প্রভাবিত হতে পারে। এসবই মাইগ্রেন নামের এক নীরব শত্রুর কাজ। অনেকে মাসের পর মাস, এমনকি বছরের পর বছর মাইগ্রেনকে সাধারণ মাথাব্যথা ভেবে অবহেলা করেন। অথচ সময়মতো চিকিৎসা নিলে এই যন্ত্রণাদায়ক অভিজ্ঞতা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
মাইগ্রেন কী: এটি স্নায়বিক রোগ। এতে মাথার এক পাশে মাঝারি থেকে তীব্র ব্যথা হয়। ব্যথার পাশাপাশি দেখা দিতে পারে দৃষ্টিবিভ্রাট, বমি বমি ভাব, শব্দ ও আলোতে অতিসংবেদনশীলতা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যথার আগে চোখের সামনে ঝলকানি, ঝাপসা দেখা বা শরীরের এক পাশে দুর্বলতার মতো লক্ষণও হতে পারে।
কেন হয় মাইগ্রেন: এর পেছনে পারিবারিক ইতিহাস, মানসিক চাপ, অনিয়মিত ঘুম, হরমোনের পরিবর্তন, নির্দিষ্ট খাবার (যেমন চকলেট, পনির, কফি), অতিরিক্ত স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকা এবং আবহাওয়া পরিবর্তনের ভূমিকা রয়েছে। কেউ কেউ মাসিকের সময় বা অতিরিক্ত ক্লান্তির পরও মাইগ্রেনের শিকার হন।
কী করবেন: প্রথমে মনে রাখুন, মাইগ্রেনকে হালকা মাথাব্যথা ভেবে অবহেলা করবেন না। যখন বুঝবেন ব্যথা ঘন ঘন হচ্ছে বা জীবনযাত্রায় বিঘ্ন ঘটাচ্ছে, তখন অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তার আগে নিজে থেকেই কিছু অভ্যাস গড়ে তুলুন। যেমন
স্ক্রিন টাইম কমানো
ব্যথার শুরুতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দ্রুত কার্যকর ওষুধ গ্রহণ করা।
চিকিৎসা সম্পর্কে যা জানা জরুরি
মাইগ্রেন ব্যবস্থাপনায় মূলত দুই ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হয়—
তাৎক্ষণিক ব্যথা কমানো: ট্রিপটানস জাতীয় ওষুধ, ব্যথানাশক বা বমিপ্রতিরোধী ওষুধ ব্যবহার।
প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা: যদি মাসে চারবার কিংবা তার বেশি মাইগ্রেন হয়, তবে প্রতিদিন খাওয়ার জন্য বিটা-ব্লকার, অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্ট বা নতুন ধরনের সিজিআরপি ইনহিবিটর ইনজেকশনের মতো প্রতিরোধী ওষুধ শুরু করা হয়।
নিজের ব্যথার ধরন, সময়, সম্ভাব্য কারণগুলো লিখে রাখতে পারেন। এতে চিকিৎসক আপনাকে উপযুক্ত পরিকল্পনা দিতে পারবেন।
জীবনের নিয়ন্ত্রণ আপনার হাতেই। যদি মাইগ্রেনের উপসর্গ পান, দেরি না করে আজই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
কখনো কখনো তীব্র মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, আলো ও শব্দে অসহ্য যন্ত্রণা; এসবের কারণে কাজের জায়গা তো বটেই, ব্যক্তিগত জীবনও প্রভাবিত হতে পারে। এসবই মাইগ্রেন নামের এক নীরব শত্রুর কাজ। অনেকে মাসের পর মাস, এমনকি বছরের পর বছর মাইগ্রেনকে সাধারণ মাথাব্যথা ভেবে অবহেলা করেন। অথচ সময়মতো চিকিৎসা নিলে এই যন্ত্রণাদায়ক অভিজ্ঞতা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
মাইগ্রেন কী: এটি স্নায়বিক রোগ। এতে মাথার এক পাশে মাঝারি থেকে তীব্র ব্যথা হয়। ব্যথার পাশাপাশি দেখা দিতে পারে দৃষ্টিবিভ্রাট, বমি বমি ভাব, শব্দ ও আলোতে অতিসংবেদনশীলতা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যথার আগে চোখের সামনে ঝলকানি, ঝাপসা দেখা বা শরীরের এক পাশে দুর্বলতার মতো লক্ষণও হতে পারে।
কেন হয় মাইগ্রেন: এর পেছনে পারিবারিক ইতিহাস, মানসিক চাপ, অনিয়মিত ঘুম, হরমোনের পরিবর্তন, নির্দিষ্ট খাবার (যেমন চকলেট, পনির, কফি), অতিরিক্ত স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকা এবং আবহাওয়া পরিবর্তনের ভূমিকা রয়েছে। কেউ কেউ মাসিকের সময় বা অতিরিক্ত ক্লান্তির পরও মাইগ্রেনের শিকার হন।
কী করবেন: প্রথমে মনে রাখুন, মাইগ্রেনকে হালকা মাথাব্যথা ভেবে অবহেলা করবেন না। যখন বুঝবেন ব্যথা ঘন ঘন হচ্ছে বা জীবনযাত্রায় বিঘ্ন ঘটাচ্ছে, তখন অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তার আগে নিজে থেকেই কিছু অভ্যাস গড়ে তুলুন। যেমন
স্ক্রিন টাইম কমানো
ব্যথার শুরুতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দ্রুত কার্যকর ওষুধ গ্রহণ করা।
চিকিৎসা সম্পর্কে যা জানা জরুরি
মাইগ্রেন ব্যবস্থাপনায় মূলত দুই ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হয়—
তাৎক্ষণিক ব্যথা কমানো: ট্রিপটানস জাতীয় ওষুধ, ব্যথানাশক বা বমিপ্রতিরোধী ওষুধ ব্যবহার।
প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা: যদি মাসে চারবার কিংবা তার বেশি মাইগ্রেন হয়, তবে প্রতিদিন খাওয়ার জন্য বিটা-ব্লকার, অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্ট বা নতুন ধরনের সিজিআরপি ইনহিবিটর ইনজেকশনের মতো প্রতিরোধী ওষুধ শুরু করা হয়।
নিজের ব্যথার ধরন, সময়, সম্ভাব্য কারণগুলো লিখে রাখতে পারেন। এতে চিকিৎসক আপনাকে উপযুক্ত পরিকল্পনা দিতে পারবেন।
জীবনের নিয়ন্ত্রণ আপনার হাতেই। যদি মাইগ্রেনের উপসর্গ পান, দেরি না করে আজই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
গর্ভধারণের আগে দক্ষিণ এশিয়ার বিবাহিত নারীদের মধ্যে অপুষ্টির সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। এই পরিস্থিতির আশানুরূপ উন্নতি হয়নি। এ-সংক্রান্ত একটি বিশ্লেষণে আরও দেখা গেছে, এই অঞ্চলে নারীদের স্বাভাবিকের চেয়ে কম ওজন থাকাটা বড় সমস্যা ছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ওজন একটি সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত
৬ ঘণ্টা আগেডায়াবেটিস ও ওজন কমানোর চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত ওষুধ ওজেম্পিক ও ওয়েগোভির মূল উপাদান সেমাগ্লুটাইড। তবে এই ওষুধটির ভিন্ন ব্যবহারও আবিষ্কার করেছেন একদল আন্তর্জাতিক গবেষক। তাঁরা বলেছে, যারা লিভার তথা যকৃতের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত তাদের চিকিৎসার জন্যও এই ওষুধটি বেশ কার্যকর হতে পারে।
৮ ঘণ্টা আগে‘ডিজিটাল অন্তরঙ্গতা বাস্তব জীবনের প্রতি আগ্রহ নষ্ট করে। তাই শিশুরা যখন গেম খেলে অথবা জীবনসঙ্গীরা যখন গেমে মগ্ন হয়, তারা প্রকৃত ঘনিষ্ঠতার প্রতি আগ্রহ হারায়। শিশুরা পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা, গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা ও সংযুক্তির প্রয়োজন মেটানোর আগ্রহ হারিয়ে ফেলে; যা তাদের ও মা-বাবার মধ্যকার...
১৪ ঘণ্টা আগেআঁচিল ভাইরাসজনিত একটি সাধারণ চর্মরোগ। এর সঙ্গে সবাই কমবেশি পরিচিত। আঁচিল এমনিতে কোনো সমস্যা করে না। তবে খোঁটাখুঁটি করলে রক্ত বের হতে পারে এবং জীবাণুতে সংক্রমিত এবং ব্যথা হতে পারে। এটা অনেক ক্ষেত্রে ছোঁয়াচে।
১৫ ঘণ্টা আগে