অনলাইন ডেস্ক
বিভিন্ন মাধ্যমে অস্বাস্থ্যকর খাবারের বিজ্ঞাপন দেখে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হচ্ছে শিশু-কিশোররা। এমনকি মাত্র ৫ মিনিটের বিজ্ঞাপন গড়ে অতিরিক্ত ১৩০ ক্যালরি গ্রহণে উৎসাহিত হচ্ছে তারা। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমন উদ্বেগজনক তথ্য।
গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, বিজ্ঞাপনের ধরন বা মাধ্যম যাই হোক না কেন—টেলিভিশন, পডকাস্ট, বিলবোর্ড বা সোশ্যাল মিডিয়া—সব ক্ষেত্রেই শিশুদের খাদ্যাভ্যাসে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
চলতি বছর স্পেনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ইউরোপীয় দেশগুলোর বার্ষিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন ইউরোপিয়ান কংগ্রেস অন ওবেসিটি (ইসিও)। সেখানেই উপস্থাপিত হয়েছে লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষণাপত্রটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এমা বয়ল্যান্ডের নেতৃত্বে ৭ থেকে ১৫ বছর বয়সী ২৪০টি শিশু-কিশোরের ওপর পরিচালিত হয়েছে গবেষণা। এসব শিশু-কিশোর যুক্তরাজ্যের মার্সিসাইড অঞ্চলের বিভিন্ন স্কুলে অধ্যয়নরত।
গবেষণার প্রধান লেখক, যুক্তরাজ্যের লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এমা বয়ল্যান্ড বলেন, ‘আমাদের গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য শিশুদের খাদ্যাভ্যাসে বিভিন্ন ধরনের মাধ্যমে অপুষ্টিকর খাবারের বিজ্ঞাপনের প্রভাব সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ও নতুন তথ্য দিয়েছে। এমনকি অল্প সময়ের জন্য এই ধরনের বিজ্ঞাপন দেখলেও তা অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ ও সম্ভাব্য স্থূলতার দিকে ঠেলে দিতে পারে—বিশেষ করে যারা বিজ্ঞাপনের প্রতি বেশি সংবেদনশীল তাদের জন্য এটি একটি সতর্কবার্তা হতে পারে।’
স্থূলতার কারণগুলো জটিল এবং নানা কিছু দ্বারা প্রভাবিত। যদিও আগের গবেষণাগুলোতে অডিও ভিজ্যুয়াল মাধ্যমে উচ্চ চর্বি, লবণ ও চিনি যুক্ত খাদ্যপণ্যের (এইচএফএসএস) বিজ্ঞাপন দেখার পর শিশুদের তাৎক্ষণিক ও পরবর্তী খাবার গ্রহণের মধ্যে সম্পর্ক পাওয়া গেছে। কিন্তু ব্র্যান্ড-ভিত্তিক (যেখানে পণ্য নয়, শুধু লোগো বা চিহ্ন থাকে) কিংবা শুধু অডিও (যেমন পডকাস্ট বা রেডিও) মাধ্যমে বিজ্ঞাপন শিশুদের খাদ্যাভ্যাসে কী প্রভাব ফেলে—তা নিয়ে আগে খুব একটা তথ্য ছিল না।
এ ছাড়া, বিজ্ঞাপনের প্রভাব ব্যক্তির আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে কতটা ভিন্ন হয় এবং তা স্বাস্থ্যগত ভিন্নতায় কতটা ভূমিকা রাখে—সেটিও এত দিন স্পষ্ট ছিল না।
এই বিষয়টি আরও গভীরভাবে অনুসন্ধান করতে, গবেষকেরা একটি র্যান্ডমাইজড ক্রসওভার সমীক্ষা পরিচালনা করেন। সমীক্ষায় তাঁরা চর্বি, চিনি ও লবণ সমৃদ্ধ খাবারের বিজ্ঞাপন শিশুর তাৎক্ষণিক ও পরবর্তী খাবার গ্রহণের ওপর কতটা প্রভাব ফেলে তা পরিমাপ করেন। এই প্রভাব বিজ্ঞাপনের ধরন (শুধু ব্র্যান্ডের নাম দেখানো বনাম নির্দিষ্ট পণ্য দেখানো), বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যম (অডিও ভিজ্যুয়াল যেমন টিভি, ভিজ্যুয়াল যেমন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট, অডিও যেমন পডকাস্ট, কিংবা স্থিরচিত্র যেমন বিলবোর্ড) অথবা আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী ভিন্ন হয় কি না, সেটিও তাঁরা পর্যবেক্ষণ করেন।
গবেষণায় অংশ নেওয়া ২৪০ শিশু-কিশোরকে দুটি ভিন্ন সময়ে, ৫ মিনিট ধরে চর্বি, চিনি ও লবণ সমৃদ্ধ খাবারের বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। এরপর এ ধরনের খাবারের শুধু ব্র্যান্ডের লোগো এবং নাম দেখানো হয়। অডিও ভিজুয়াল (টিভি), ভিজুয়াল (সোশ্যাল মিডিয়া), অডিও (রেডিও বা পডকাস্ট) বা স্থিরচিত্র (বিলবোর্ড)—চার মাধ্যমেই বিজ্ঞাপন দেখানো হয় শিশু-কিশোরদের।
এরপর তাদের ইচ্ছামতো যেকোনো খাবার গ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়। খাওয়া শেষ হলে তাদের উচ্চতা ও ওজন মেপে শরীরের বিএমআই নির্ধারণ করেন গবেষকেরা। পাশাপাশি, তাদের বসবাসের এলাকার পোস্ট কোড ব্যবহার করে ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডের মাল্টিপল ডেপ্রিভেশন সূচক অনুযায়ী এলাকা-ভিত্তিক আর্থসামাজিক অবস্থান শনাক্ত করা হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, অস্বাস্থ্যকর খাবারের বিজ্ঞাপন দেখার পরে তারা গড়ে অতিরিক্ত ১৩০ ক্যালরি গ্রহণ করেছে—যা দুই টুকরো পাউরুটির সমান। মজার ব্যাপার হলো, বিজ্ঞাপনে পণ্য দেখানো হোক বা শুধু ব্র্যান্ডের লোগো—উভয় ক্ষেত্রেই ক্যালরি গ্রহণে একই প্রভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। অর্থাৎ, খাবারের ছবি ছাড়াও শুধু ব্র্যান্ডের লোগো, রং কিংবা ধ্বনিও শিশুদের মধ্যে অতিরিক্ত খাদ্যগ্রহণের প্রবণতা তৈরি করছে।
গবেষণা থেকে আরও জানা যায়, বিজ্ঞাপনের ধরন—যেমন অডিও ভিজুয়াল (টিভি), ভিজুয়াল (সোশ্যাল মিডিয়া), অডিও (রেডিও বা পডকাস্ট) বা স্থিরচিত্র (বিলবোর্ড)—প্রভাবের মাত্রায় তেমন কোনো পার্থক্য নেই। একইভাবে, শিশুদের আর্থসামাজিক অবস্থানও বিজ্ঞাপনের প্রভাব কম-বেশি করতে পারে না। তবে, শরীরের ওজন সূচক (বিএমআই) যেসব শিশুর বেশি, তারা তুলনামূলক বেশি ক্যালরি গ্রহণ করেছে।
এই গবেষণা এমন এক সময়ে সামনে এসেছে, যখন ইউরোপসহ অনেক দেশ শিশুদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান স্থূলতা নিয়ন্ত্রণে অস্বাস্থ্যকর খাবারের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ বা বিধিবদ্ধ করার পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, গবেষণার এই ফলাফল নীতিনির্ধারকদের জন্য একটি স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে যে—শিশুদের সুরক্ষায় বিজ্ঞাপন নীতিমালা ঢেলে সাজানোর সময় এখনই।
অধ্যাপক বয়ল্যান্ড বলেন, ‘এই গবেষণার ফলাফল দেখায়, উচ্চ চর্বি, লবণ ও চিনি যুক্ত খাবারের বিজ্ঞাপন শিশুদের দৈনিক ক্যালরি গ্রহণ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে দেয় এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা স্থূলতায় রূপ নেয়। বিশেষ করে ব্র্যান্ড-ভিত্তিক বিজ্ঞাপনের প্রভাব নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো বৈশ্বিক নিয়ন্ত্রণনীতি নেই, যা এখন অত্যন্ত জরুরি হয়ে উঠেছে।’
বিভিন্ন মাধ্যমে অস্বাস্থ্যকর খাবারের বিজ্ঞাপন দেখে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হচ্ছে শিশু-কিশোররা। এমনকি মাত্র ৫ মিনিটের বিজ্ঞাপন গড়ে অতিরিক্ত ১৩০ ক্যালরি গ্রহণে উৎসাহিত হচ্ছে তারা। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমন উদ্বেগজনক তথ্য।
গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, বিজ্ঞাপনের ধরন বা মাধ্যম যাই হোক না কেন—টেলিভিশন, পডকাস্ট, বিলবোর্ড বা সোশ্যাল মিডিয়া—সব ক্ষেত্রেই শিশুদের খাদ্যাভ্যাসে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
চলতি বছর স্পেনে অনুষ্ঠিত হয়েছে ইউরোপীয় দেশগুলোর বার্ষিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন ইউরোপিয়ান কংগ্রেস অন ওবেসিটি (ইসিও)। সেখানেই উপস্থাপিত হয়েছে লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষণাপত্রটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এমা বয়ল্যান্ডের নেতৃত্বে ৭ থেকে ১৫ বছর বয়সী ২৪০টি শিশু-কিশোরের ওপর পরিচালিত হয়েছে গবেষণা। এসব শিশু-কিশোর যুক্তরাজ্যের মার্সিসাইড অঞ্চলের বিভিন্ন স্কুলে অধ্যয়নরত।
গবেষণার প্রধান লেখক, যুক্তরাজ্যের লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এমা বয়ল্যান্ড বলেন, ‘আমাদের গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য শিশুদের খাদ্যাভ্যাসে বিভিন্ন ধরনের মাধ্যমে অপুষ্টিকর খাবারের বিজ্ঞাপনের প্রভাব সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ও নতুন তথ্য দিয়েছে। এমনকি অল্প সময়ের জন্য এই ধরনের বিজ্ঞাপন দেখলেও তা অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ ও সম্ভাব্য স্থূলতার দিকে ঠেলে দিতে পারে—বিশেষ করে যারা বিজ্ঞাপনের প্রতি বেশি সংবেদনশীল তাদের জন্য এটি একটি সতর্কবার্তা হতে পারে।’
স্থূলতার কারণগুলো জটিল এবং নানা কিছু দ্বারা প্রভাবিত। যদিও আগের গবেষণাগুলোতে অডিও ভিজ্যুয়াল মাধ্যমে উচ্চ চর্বি, লবণ ও চিনি যুক্ত খাদ্যপণ্যের (এইচএফএসএস) বিজ্ঞাপন দেখার পর শিশুদের তাৎক্ষণিক ও পরবর্তী খাবার গ্রহণের মধ্যে সম্পর্ক পাওয়া গেছে। কিন্তু ব্র্যান্ড-ভিত্তিক (যেখানে পণ্য নয়, শুধু লোগো বা চিহ্ন থাকে) কিংবা শুধু অডিও (যেমন পডকাস্ট বা রেডিও) মাধ্যমে বিজ্ঞাপন শিশুদের খাদ্যাভ্যাসে কী প্রভাব ফেলে—তা নিয়ে আগে খুব একটা তথ্য ছিল না।
এ ছাড়া, বিজ্ঞাপনের প্রভাব ব্যক্তির আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে কতটা ভিন্ন হয় এবং তা স্বাস্থ্যগত ভিন্নতায় কতটা ভূমিকা রাখে—সেটিও এত দিন স্পষ্ট ছিল না।
এই বিষয়টি আরও গভীরভাবে অনুসন্ধান করতে, গবেষকেরা একটি র্যান্ডমাইজড ক্রসওভার সমীক্ষা পরিচালনা করেন। সমীক্ষায় তাঁরা চর্বি, চিনি ও লবণ সমৃদ্ধ খাবারের বিজ্ঞাপন শিশুর তাৎক্ষণিক ও পরবর্তী খাবার গ্রহণের ওপর কতটা প্রভাব ফেলে তা পরিমাপ করেন। এই প্রভাব বিজ্ঞাপনের ধরন (শুধু ব্র্যান্ডের নাম দেখানো বনাম নির্দিষ্ট পণ্য দেখানো), বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যম (অডিও ভিজ্যুয়াল যেমন টিভি, ভিজ্যুয়াল যেমন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট, অডিও যেমন পডকাস্ট, কিংবা স্থিরচিত্র যেমন বিলবোর্ড) অথবা আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী ভিন্ন হয় কি না, সেটিও তাঁরা পর্যবেক্ষণ করেন।
গবেষণায় অংশ নেওয়া ২৪০ শিশু-কিশোরকে দুটি ভিন্ন সময়ে, ৫ মিনিট ধরে চর্বি, চিনি ও লবণ সমৃদ্ধ খাবারের বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। এরপর এ ধরনের খাবারের শুধু ব্র্যান্ডের লোগো এবং নাম দেখানো হয়। অডিও ভিজুয়াল (টিভি), ভিজুয়াল (সোশ্যাল মিডিয়া), অডিও (রেডিও বা পডকাস্ট) বা স্থিরচিত্র (বিলবোর্ড)—চার মাধ্যমেই বিজ্ঞাপন দেখানো হয় শিশু-কিশোরদের।
এরপর তাদের ইচ্ছামতো যেকোনো খাবার গ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়। খাওয়া শেষ হলে তাদের উচ্চতা ও ওজন মেপে শরীরের বিএমআই নির্ধারণ করেন গবেষকেরা। পাশাপাশি, তাদের বসবাসের এলাকার পোস্ট কোড ব্যবহার করে ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডের মাল্টিপল ডেপ্রিভেশন সূচক অনুযায়ী এলাকা-ভিত্তিক আর্থসামাজিক অবস্থান শনাক্ত করা হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, অস্বাস্থ্যকর খাবারের বিজ্ঞাপন দেখার পরে তারা গড়ে অতিরিক্ত ১৩০ ক্যালরি গ্রহণ করেছে—যা দুই টুকরো পাউরুটির সমান। মজার ব্যাপার হলো, বিজ্ঞাপনে পণ্য দেখানো হোক বা শুধু ব্র্যান্ডের লোগো—উভয় ক্ষেত্রেই ক্যালরি গ্রহণে একই প্রভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। অর্থাৎ, খাবারের ছবি ছাড়াও শুধু ব্র্যান্ডের লোগো, রং কিংবা ধ্বনিও শিশুদের মধ্যে অতিরিক্ত খাদ্যগ্রহণের প্রবণতা তৈরি করছে।
গবেষণা থেকে আরও জানা যায়, বিজ্ঞাপনের ধরন—যেমন অডিও ভিজুয়াল (টিভি), ভিজুয়াল (সোশ্যাল মিডিয়া), অডিও (রেডিও বা পডকাস্ট) বা স্থিরচিত্র (বিলবোর্ড)—প্রভাবের মাত্রায় তেমন কোনো পার্থক্য নেই। একইভাবে, শিশুদের আর্থসামাজিক অবস্থানও বিজ্ঞাপনের প্রভাব কম-বেশি করতে পারে না। তবে, শরীরের ওজন সূচক (বিএমআই) যেসব শিশুর বেশি, তারা তুলনামূলক বেশি ক্যালরি গ্রহণ করেছে।
এই গবেষণা এমন এক সময়ে সামনে এসেছে, যখন ইউরোপসহ অনেক দেশ শিশুদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান স্থূলতা নিয়ন্ত্রণে অস্বাস্থ্যকর খাবারের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ বা বিধিবদ্ধ করার পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, গবেষণার এই ফলাফল নীতিনির্ধারকদের জন্য একটি স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে যে—শিশুদের সুরক্ষায় বিজ্ঞাপন নীতিমালা ঢেলে সাজানোর সময় এখনই।
অধ্যাপক বয়ল্যান্ড বলেন, ‘এই গবেষণার ফলাফল দেখায়, উচ্চ চর্বি, লবণ ও চিনি যুক্ত খাবারের বিজ্ঞাপন শিশুদের দৈনিক ক্যালরি গ্রহণ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে দেয় এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা স্থূলতায় রূপ নেয়। বিশেষ করে ব্র্যান্ড-ভিত্তিক বিজ্ঞাপনের প্রভাব নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো বৈশ্বিক নিয়ন্ত্রণনীতি নেই, যা এখন অত্যন্ত জরুরি হয়ে উঠেছে।’
চীনা ও মার্কিন বিজ্ঞানীদের নেতৃত্বে একধরনের জটিল ফুসফুস ক্যানসারের চিকিৎসায় নতুন একটি ওষুধের আন্তর্জাতিক ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। এই ট্রায়ালে ইতিমধ্যে প্রমাণ পাওয়া গেছে, মুখে খাওয়ার ওই ওষুধ আগের চিকিৎসার তুলনায় বেশি নিরাপদ ও কার্যকর।
১৪ ঘণ্টা আগেএই গবেষণার ফলাফল আরও উদ্বেগজনক, কারণ, এতে পশুপালন খাত বা ওষুধ তৈরির কারখানা থেকে আসা অ্যান্টিবায়োটিকের হিসাব ধরা হয়নি—যা পরিবেশ দূষণের বড় উৎস হিসেবে বিবেচিত।
১৮ ঘণ্টা আগেগ্যাস স্টোভ থেকে নির্গত বেনজিনের কারণে ক্যানসারের ঝুঁকি এবং এর ফলে লিউকোমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বৃদ্ধি নির্ণয়ের এটিই প্রথম গবেষণা। গবেষকেরা বলছেন, ‘আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, গ্যাস স্টোভের সংস্পর্শ ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়, বিশেষ করে যেখানে বেশি বা মাঝারি পরিমাণে স্টোভ ব্যবহার করা হয়।’
১ দিন আগেকোনো কারণে মস্তিষ্কের রক্তসঞ্চালন বাধাগ্রস্ত হয়ে স্নায়ুকোষ নষ্ট হলে স্ট্রোক হয়। সাধারণত দুটি কারণে স্ট্রোক হয়—মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ ব্যাহত হলে এবং রক্তক্ষরণ ঘটলে।
২ দিন আগে