আজকের পত্রিকা ডেস্ক

অ্যান্ড্রু হ্যারিসন। যুক্তরাজ্যের ব্র্যাডফোর্ডের একটি যুব কেন্দ্রে পুরুষদের স্বাস্থ্য ক্লিনিক পরিচালনার দায়িত্বে আছেন। একদিন ক্লিনিকের দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ শুনে তাকিয়ে দেখেন সেখানে কেউ নেই। পরে আবার শুনলেন, কেউ তার নাম ডাকছে। চারদিকে তাকিয়ে পরে একটি জানালার পাশে এক যুবককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। অবাক হয়ে কারণ জানতে চাইলে শোনেন ওই যুবক কনডম নিতে এসেছে।
কয়েক বছর আগের এই ঘটনার স্মৃতিচারণ করে হ্যারিসন বলেন, ‘আমি প্রথম তলায় ছিলাম। ছেলেটা ভবনের বাইরের দিকের ড্রেনের পাইপ বেয়ে উপরে উঠে এসেছিল। সে সরাসরি রিসেপশনে এসে কনডম চাইতে লজ্জা পাচ্ছিল।’
এই ঘটনাটি তুলে ধরে যুক্তরাজ্যের পুরুষদের স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত ভাবনার চিত্র। তাদের সমস্যাগুলোর পেছনে কারণ হিসেবে উঠে এসেছে—ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ এবং স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে যোগাযোগ করার আত্মবিশ্বাস ও দক্ষতার অভাব।
বিবিসির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ধূমপান, অ্যালকোহল পান ও মাদক গ্রহণের কারণে যুক্তরাজ্যের পুরুষেরা উচ্চ কোলেস্টেরল ও রক্তচাপের সমস্যায় বেশি ভোগে। ৭৫ বছর বয়সের আগেই হৃদ্রোগ, ফুসফুসের ক্যানসার, লিভারের রোগ এবং দুর্ঘটনায় প্রায় ৬০ শতাংশের বেশি হারে মৃত্যু হয়। এসব কারণে পুরুষদের গড় আয়ু নারীদের তুলনায় চার বছর কম।
পুরুষ স্বাস্থ্যে এই অবস্থা দেখে যুক্তরাজ্য কৌশল খুঁজছে কীভাবে পুরুষদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ানো যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পদক্ষেপ অনেক আগেই নেওয়া উচিত ছিল। কারণ পুরুষেরা নারীদের তুলনায় কম বয়সে মারা যায়। কিন্তু পুরুষদের স্বাস্থ্যের অবস্থা এত খারাপ কেন এবং এ সমস্যা সমাধানে করণীয় নিয়ে এতকাল কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
দাতব্য সংস্থা মেনস হেলথ ফোরামের সহপ্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক অ্যালান হোয়াইট লিডস বেকেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরুষদের জন্য একটি বিশেষ স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি বলেন, পুরুষ স্বাস্থ্যের বিষয়টি আরও গুরুত্বের সঙ্গে দেখা দরকার। উদাহরণ হিসেবে কোভিড মহামারির সময়কার কথা তুলে ধরেন তিনি।
হোয়াইট বলেন, কোভিডে নারীদের তুলনায় পুরুষ মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৯ হাজারেরও বেশি। সে সময় বিষয়টি নিয়ে কেউ ক্ষোভ দেখায়নি, যে কারণে বিষয়টি গুরুত্বও পায়নি।
হোয়াইট মনে করেন, শুধু জীবনধারার দোষ দিয়ে পুরুষদের খারাপ স্বাস্থ্যের ব্যাখ্যা দেওয়া খুব সহজ, কিন্তু ব্যাপারটি আসলে অনেক জটিল। এর পেছনে জৈবিক কারণও আছে। পুরুষদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে দুর্বল, যার ফলে সংক্রমণ সহজে প্রতিরোধ করতে পারে না। তবে অনেক পুরুষের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার দক্ষতাও কম থাকে।
অধ্যাপক হোয়াইট বলেন, ‘পুরুষেরা স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত বিষয়ে কম সচেতন। তারা কীভাবে নিজেদের স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলবে, কোন লক্ষণগুলো গুরুত্বপূর্ণ—তা চিনতে ও ব্যবস্থা নিতে শেখে না। সাধারণভাবে, কিশোর বয়স থেকে শুরু করে ৪০ বছর পর্যন্ত পুরুষদের স্বাস্থ্য প্রায় একই রকম থাকে। তারা অনেক সময় ধরে চিকিৎসকের কাছে যায় না।’
হোয়াইট বলেন, ‘নারীদের ক্ষেত্রে বিষয়টি আলাদা। জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ, জরায়ু পরীক্ষা এবং পরে সন্তান জন্মদানের কারণে তারা নিয়মিতভাবে স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে যুক্ত থাকে, যেটা পুরুষদের ক্ষেত্রে হয় না।’
পুরুষ ও ছেলেদের বিষয়ে কাজ করে থাকে অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ। তারা সরকারকে পুরুষদের জন্য একটি স্বাস্থ্য কৌশল তৈরি করতে উৎসাহিত করার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এই গ্রুপটির নীতিগত উপদেষ্টা মার্ক ব্রুকস মনে করেন এ অবস্থার পেছনে পুরুষের পুরুষত্ব জাহিরের চেষ্টাও একটা বড় কারণ।
তিনি বলেন, “আমাদের সমাজে পুরুষদের থেকে আলাদা রকমের প্রত্যাশা থাকে। তাদের বলা হয়, ‘পুরুষ হও’, শক্ত হও, সবকিছু চুপচাপ সহ্য করো।”
ব্রুকস মনে করেন, পুরুষদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে দারিদ্র্যের প্রভাবকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া দরকার। সবচেয়ে দরিদ্র ১০ শতাংশ এলাকার মানুষের গড় আয়ু সবচেয়ে ধনী এলাকার তুলনায় ১০ বছর কম। এই পার্থক্য নারীদের চেয়ে পুরুষদের ক্ষেত্রে আরও বেশি। সবচেয়ে দরিদ্র এলাকাগুলোতে একজন পুরুষের ৭৫ বছর বয়সের আগেই মারা যাওয়ার সম্ভাবনা ৩ দশমিক ৫ গুণ বেশি।
যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা এনএইচএস প্রতি ৪০ থেকে ৭৪ বছর বয়সীদের প্রতি পাঁচ বছর অন্তর একটি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার সুযোগ দেয়। এটি এমন অনেক রোগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যেগুলোতে অবহেলার কারণে পুরুষদের অকালে মৃত্যু হয়ে থাকে। কিন্তু দেখা যায়, দশজন পুরুষের মধ্যে চারজনেরও কম এই সুযোগ গ্রহণ করেন।
ব্রুকস বলেন, “স্বাস্থ্যসেবার যেভাবে নকশা করা হয়েছে, তা পুরুষদের জন্য কার্যকরভাবে কাজ করছে না। আপনি পিছিয়ে পড়া সমাজ ও নির্মাণ বা কারখানার মতো ‘ব্লু-কলার’ পেশার শ্রমিকদের অবস্থা উপেক্ষা করতে পারেন না। নির্মাণকাজ বা কোনো ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকায় কাজ করা একজন লোকের পক্ষে স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা জিপির কাছে যাওয়ার জন্য ছুটি নেওয়া খুব কঠিন। ”
তিনি আশা করেন, কর্মীদের দুই ঘণ্টা বেতনসহ ছুটি দেওয়া হবে যাতে তাঁরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে যেতে পারে। পাশাপাশি, এই স্বাস্থ্যসেবাগুলো যেন শিল্প এলাকা বা কারখানার কর্মীদের কর্মস্থলেই দেওয়া হয়।
তবে মার্ক ব্রুকস এটাও বলেন, শুধু স্বাস্থ্যসেবা নয়, বিষয়টি কর্মসংস্থানের সঙ্গেও জড়িত। পুরুষদের ৪০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে যেসব শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে, তাদের অনেকে এই সমস্যা প্রকাশ করতে ভয় পান। অনেকে প্রাথমিক লক্ষণগুলো উপেক্ষা করেন বা অসুস্থতা বসের কাছ থেকে গোপন রাখেন। তারা ভাবেন এতে তাদের চাকরি বা আয়ের ক্ষতি হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘চাকরি নিয়ে উদ্বেগ, আর্থিক দুশ্চিন্তা ও সম্পর্কজনিত সমস্যাগুলোই পুরুষদের মধ্যে আত্মহত্যার উচ্চহারের অন্যতম কারণ। আত্মহত্যা করা ব্যক্তিদের চার ভাগের তিন ভাগই পুরুষ।’
মেনস হেলথ ফোরামের সহপ্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক অ্যালান হোয়াইট বলেন, বর্তমানে চলমান কাউন্সেলিংয়ের ধরনগুলো পুরুষদের মানসিক অবসাদ বা উদ্বেগের লক্ষণগুলো সহজে ধরতে পারে না। সেগুলোর পরিষেবাগুলো পুরুষদের প্রকাশভঙ্গির সঙ্গে মেলে না। পুরুষেরা সাধারণত রাগ দেখায়, অতিরিক্ত অ্যালকোহল খায় অথবা চুপচাপ হয়ে যায় ও মানুষকে দূরে ঠেলে দেয়।
এসব ক্ষেত্রে জাতিগত পার্থক্যগুলোও গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন হোয়াইট। তিনি বলেন, ইংল্যান্ডে কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষদের প্রোস্টেট ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা দ্বিগুণ আর ভারত বা বাংলাদেশ থেকে আসা পুরুষদের ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি খুব বেশি।
তবে এসব তথ্যের মানে এটা নয় যে, পুরুষেরা তাদের নিজের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সচেতন হতে আগ্রহী নয়। ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরুষ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক পল গ্যালডাস বলেন, ‘পুরুষেরা নিজেদের কথা বলতে চায়, যুক্ত হতে চায় কিন্তু সেটা করতে হলে কার্যকর কাজ ও কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সুযোগ তৈরি করতে হবে।’
গ্যালডাস পুরুষ স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা সংস্থা ‘মোভেম্বার’-এর সঙ্গে একটি ছয় সপ্তাহের মানসিক ফিটনেস প্রোগ্রাম তৈরি করতে কাজ করেছেন। কোভিডের পর এনএইচএসের ফ্রন্টলাইন কর্মীদের ওপর এটি পরীক্ষা করা হয়েছিল। এখন এটি লিডস ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব তাদের যুব খেলোয়াড়দের জন্য ব্যবহার করছে।
এই প্রোগ্রামে পুরুষদের নিজেদের আচরণ কীভাবে মনের অবস্থাকে প্রভাবিত করে তা বুঝতে সাহায্য করা হয়। নিজেদের অভ্যাস পর্যবেক্ষণ করতে ও স্বাস্থ্যকর কাজের জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করতে তাদের উৎসাহ দেওয়া হয়।
গ্যালডাস বলেন, ‘এটা হতে পারে হাঁটতে যাওয়া, বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো, গলফ খেলা কিংবা সমস্যা সমাধানের দক্ষতা তৈরি করা। এসব কাজ মানসিক স্বাস্থ্যকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। ভালো মানসিক স্বাস্থ্য থেকে আসে ভালো শারীরিক স্বাস্থ্য।’
বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা স্থানীয় পর্যায়ে স্থানীয় পরিষদ এবং পুরুষদের বিভিন্ন গ্রুপের সঙ্গে মিলে পুরুষ স্বাস্থ্যের জন্য এ ধরনের প্রোগ্রাম তৈরির চেষ্টা করছে। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় উদ্যোগগুলোর একটি হলো—মেনস শেডস মুভমেন্ট। এখানে পুরুষদের একত্রিত হওয়ার সুযোগ মেলে। তাঁরা একসঙ্গে বসে ব্যবহারিক প্রকল্পের কাজ করতে করতে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে এবং একে অপরকে মানসিকভাবে সহায়তা করে।
অধ্যাপক হোয়াইট বলেন, এই ইতিবাচক উদ্যোগগুলোকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এখনই সময়। এ জন্য একটি জাতীয় পুরুষ স্বাস্থ্য কৌশল তৈরি করা খুবই জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
হোয়াইট বলেন, যুক্তরাজ্যে ২০২২ সালে নারীদের স্বাস্থ্য কৌশল তৈরি হয়েছিল। জাতীয় পুরুষ স্বাস্থ্য কৌশলটি তেমনই পুরুষদের স্বাস্থ্যের উন্নয়নে কাজ করবে। তিনি আশা করেন, এই কৌশলটি পুরুষদের জন্য একটি ‘জেগে ওঠার বার্তা’ হিসেবে কাজ করবে।
পুরুষদের উদ্দেশ্যে অধ্যাপক হোয়াইট বলেন, ‘আপনার কোমরের মাপ দেখুন। যদি বেশি ওজন থাকে, যদি পেট বড় হয়ে যায়, তাহলে এর পরিবর্তন আনার চেষ্টা করুন। শরীরচর্চা করুন, বাইরে যান, মানুষের সঙ্গে কথা বলুন। সুযোগ পেলেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা স্ক্রিনিং করান। আর শরীরে কোনো পরিবর্তন দেখলে বা সমস্যা দেখা দিলে সাহায্য নিন।’

অ্যান্ড্রু হ্যারিসন। যুক্তরাজ্যের ব্র্যাডফোর্ডের একটি যুব কেন্দ্রে পুরুষদের স্বাস্থ্য ক্লিনিক পরিচালনার দায়িত্বে আছেন। একদিন ক্লিনিকের দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ শুনে তাকিয়ে দেখেন সেখানে কেউ নেই। পরে আবার শুনলেন, কেউ তার নাম ডাকছে। চারদিকে তাকিয়ে পরে একটি জানালার পাশে এক যুবককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। অবাক হয়ে কারণ জানতে চাইলে শোনেন ওই যুবক কনডম নিতে এসেছে।
কয়েক বছর আগের এই ঘটনার স্মৃতিচারণ করে হ্যারিসন বলেন, ‘আমি প্রথম তলায় ছিলাম। ছেলেটা ভবনের বাইরের দিকের ড্রেনের পাইপ বেয়ে উপরে উঠে এসেছিল। সে সরাসরি রিসেপশনে এসে কনডম চাইতে লজ্জা পাচ্ছিল।’
এই ঘটনাটি তুলে ধরে যুক্তরাজ্যের পুরুষদের স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত ভাবনার চিত্র। তাদের সমস্যাগুলোর পেছনে কারণ হিসেবে উঠে এসেছে—ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ এবং স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে যোগাযোগ করার আত্মবিশ্বাস ও দক্ষতার অভাব।
বিবিসির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ধূমপান, অ্যালকোহল পান ও মাদক গ্রহণের কারণে যুক্তরাজ্যের পুরুষেরা উচ্চ কোলেস্টেরল ও রক্তচাপের সমস্যায় বেশি ভোগে। ৭৫ বছর বয়সের আগেই হৃদ্রোগ, ফুসফুসের ক্যানসার, লিভারের রোগ এবং দুর্ঘটনায় প্রায় ৬০ শতাংশের বেশি হারে মৃত্যু হয়। এসব কারণে পুরুষদের গড় আয়ু নারীদের তুলনায় চার বছর কম।
পুরুষ স্বাস্থ্যে এই অবস্থা দেখে যুক্তরাজ্য কৌশল খুঁজছে কীভাবে পুরুষদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ানো যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পদক্ষেপ অনেক আগেই নেওয়া উচিত ছিল। কারণ পুরুষেরা নারীদের তুলনায় কম বয়সে মারা যায়। কিন্তু পুরুষদের স্বাস্থ্যের অবস্থা এত খারাপ কেন এবং এ সমস্যা সমাধানে করণীয় নিয়ে এতকাল কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
দাতব্য সংস্থা মেনস হেলথ ফোরামের সহপ্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক অ্যালান হোয়াইট লিডস বেকেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরুষদের জন্য একটি বিশেষ স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি বলেন, পুরুষ স্বাস্থ্যের বিষয়টি আরও গুরুত্বের সঙ্গে দেখা দরকার। উদাহরণ হিসেবে কোভিড মহামারির সময়কার কথা তুলে ধরেন তিনি।
হোয়াইট বলেন, কোভিডে নারীদের তুলনায় পুরুষ মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৯ হাজারেরও বেশি। সে সময় বিষয়টি নিয়ে কেউ ক্ষোভ দেখায়নি, যে কারণে বিষয়টি গুরুত্বও পায়নি।
হোয়াইট মনে করেন, শুধু জীবনধারার দোষ দিয়ে পুরুষদের খারাপ স্বাস্থ্যের ব্যাখ্যা দেওয়া খুব সহজ, কিন্তু ব্যাপারটি আসলে অনেক জটিল। এর পেছনে জৈবিক কারণও আছে। পুরুষদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে দুর্বল, যার ফলে সংক্রমণ সহজে প্রতিরোধ করতে পারে না। তবে অনেক পুরুষের স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার দক্ষতাও কম থাকে।
অধ্যাপক হোয়াইট বলেন, ‘পুরুষেরা স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত বিষয়ে কম সচেতন। তারা কীভাবে নিজেদের স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলবে, কোন লক্ষণগুলো গুরুত্বপূর্ণ—তা চিনতে ও ব্যবস্থা নিতে শেখে না। সাধারণভাবে, কিশোর বয়স থেকে শুরু করে ৪০ বছর পর্যন্ত পুরুষদের স্বাস্থ্য প্রায় একই রকম থাকে। তারা অনেক সময় ধরে চিকিৎসকের কাছে যায় না।’
হোয়াইট বলেন, ‘নারীদের ক্ষেত্রে বিষয়টি আলাদা। জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ, জরায়ু পরীক্ষা এবং পরে সন্তান জন্মদানের কারণে তারা নিয়মিতভাবে স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে যুক্ত থাকে, যেটা পুরুষদের ক্ষেত্রে হয় না।’
পুরুষ ও ছেলেদের বিষয়ে কাজ করে থাকে অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ। তারা সরকারকে পুরুষদের জন্য একটি স্বাস্থ্য কৌশল তৈরি করতে উৎসাহিত করার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এই গ্রুপটির নীতিগত উপদেষ্টা মার্ক ব্রুকস মনে করেন এ অবস্থার পেছনে পুরুষের পুরুষত্ব জাহিরের চেষ্টাও একটা বড় কারণ।
তিনি বলেন, “আমাদের সমাজে পুরুষদের থেকে আলাদা রকমের প্রত্যাশা থাকে। তাদের বলা হয়, ‘পুরুষ হও’, শক্ত হও, সবকিছু চুপচাপ সহ্য করো।”
ব্রুকস মনে করেন, পুরুষদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে দারিদ্র্যের প্রভাবকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া দরকার। সবচেয়ে দরিদ্র ১০ শতাংশ এলাকার মানুষের গড় আয়ু সবচেয়ে ধনী এলাকার তুলনায় ১০ বছর কম। এই পার্থক্য নারীদের চেয়ে পুরুষদের ক্ষেত্রে আরও বেশি। সবচেয়ে দরিদ্র এলাকাগুলোতে একজন পুরুষের ৭৫ বছর বয়সের আগেই মারা যাওয়ার সম্ভাবনা ৩ দশমিক ৫ গুণ বেশি।
যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা এনএইচএস প্রতি ৪০ থেকে ৭৪ বছর বয়সীদের প্রতি পাঁচ বছর অন্তর একটি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার সুযোগ দেয়। এটি এমন অনেক রোগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যেগুলোতে অবহেলার কারণে পুরুষদের অকালে মৃত্যু হয়ে থাকে। কিন্তু দেখা যায়, দশজন পুরুষের মধ্যে চারজনেরও কম এই সুযোগ গ্রহণ করেন।
ব্রুকস বলেন, “স্বাস্থ্যসেবার যেভাবে নকশা করা হয়েছে, তা পুরুষদের জন্য কার্যকরভাবে কাজ করছে না। আপনি পিছিয়ে পড়া সমাজ ও নির্মাণ বা কারখানার মতো ‘ব্লু-কলার’ পেশার শ্রমিকদের অবস্থা উপেক্ষা করতে পারেন না। নির্মাণকাজ বা কোনো ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকায় কাজ করা একজন লোকের পক্ষে স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা জিপির কাছে যাওয়ার জন্য ছুটি নেওয়া খুব কঠিন। ”
তিনি আশা করেন, কর্মীদের দুই ঘণ্টা বেতনসহ ছুটি দেওয়া হবে যাতে তাঁরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে যেতে পারে। পাশাপাশি, এই স্বাস্থ্যসেবাগুলো যেন শিল্প এলাকা বা কারখানার কর্মীদের কর্মস্থলেই দেওয়া হয়।
তবে মার্ক ব্রুকস এটাও বলেন, শুধু স্বাস্থ্যসেবা নয়, বিষয়টি কর্মসংস্থানের সঙ্গেও জড়িত। পুরুষদের ৪০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে যেসব শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে, তাদের অনেকে এই সমস্যা প্রকাশ করতে ভয় পান। অনেকে প্রাথমিক লক্ষণগুলো উপেক্ষা করেন বা অসুস্থতা বসের কাছ থেকে গোপন রাখেন। তারা ভাবেন এতে তাদের চাকরি বা আয়ের ক্ষতি হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘চাকরি নিয়ে উদ্বেগ, আর্থিক দুশ্চিন্তা ও সম্পর্কজনিত সমস্যাগুলোই পুরুষদের মধ্যে আত্মহত্যার উচ্চহারের অন্যতম কারণ। আত্মহত্যা করা ব্যক্তিদের চার ভাগের তিন ভাগই পুরুষ।’
মেনস হেলথ ফোরামের সহপ্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক অ্যালান হোয়াইট বলেন, বর্তমানে চলমান কাউন্সেলিংয়ের ধরনগুলো পুরুষদের মানসিক অবসাদ বা উদ্বেগের লক্ষণগুলো সহজে ধরতে পারে না। সেগুলোর পরিষেবাগুলো পুরুষদের প্রকাশভঙ্গির সঙ্গে মেলে না। পুরুষেরা সাধারণত রাগ দেখায়, অতিরিক্ত অ্যালকোহল খায় অথবা চুপচাপ হয়ে যায় ও মানুষকে দূরে ঠেলে দেয়।
এসব ক্ষেত্রে জাতিগত পার্থক্যগুলোও গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন হোয়াইট। তিনি বলেন, ইংল্যান্ডে কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষদের প্রোস্টেট ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা দ্বিগুণ আর ভারত বা বাংলাদেশ থেকে আসা পুরুষদের ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি খুব বেশি।
তবে এসব তথ্যের মানে এটা নয় যে, পুরুষেরা তাদের নিজের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সচেতন হতে আগ্রহী নয়। ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরুষ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক পল গ্যালডাস বলেন, ‘পুরুষেরা নিজেদের কথা বলতে চায়, যুক্ত হতে চায় কিন্তু সেটা করতে হলে কার্যকর কাজ ও কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সুযোগ তৈরি করতে হবে।’
গ্যালডাস পুরুষ স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা সংস্থা ‘মোভেম্বার’-এর সঙ্গে একটি ছয় সপ্তাহের মানসিক ফিটনেস প্রোগ্রাম তৈরি করতে কাজ করেছেন। কোভিডের পর এনএইচএসের ফ্রন্টলাইন কর্মীদের ওপর এটি পরীক্ষা করা হয়েছিল। এখন এটি লিডস ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাব তাদের যুব খেলোয়াড়দের জন্য ব্যবহার করছে।
এই প্রোগ্রামে পুরুষদের নিজেদের আচরণ কীভাবে মনের অবস্থাকে প্রভাবিত করে তা বুঝতে সাহায্য করা হয়। নিজেদের অভ্যাস পর্যবেক্ষণ করতে ও স্বাস্থ্যকর কাজের জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করতে তাদের উৎসাহ দেওয়া হয়।
গ্যালডাস বলেন, ‘এটা হতে পারে হাঁটতে যাওয়া, বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো, গলফ খেলা কিংবা সমস্যা সমাধানের দক্ষতা তৈরি করা। এসব কাজ মানসিক স্বাস্থ্যকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। ভালো মানসিক স্বাস্থ্য থেকে আসে ভালো শারীরিক স্বাস্থ্য।’
বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা স্থানীয় পর্যায়ে স্থানীয় পরিষদ এবং পুরুষদের বিভিন্ন গ্রুপের সঙ্গে মিলে পুরুষ স্বাস্থ্যের জন্য এ ধরনের প্রোগ্রাম তৈরির চেষ্টা করছে। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় উদ্যোগগুলোর একটি হলো—মেনস শেডস মুভমেন্ট। এখানে পুরুষদের একত্রিত হওয়ার সুযোগ মেলে। তাঁরা একসঙ্গে বসে ব্যবহারিক প্রকল্পের কাজ করতে করতে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে এবং একে অপরকে মানসিকভাবে সহায়তা করে।
অধ্যাপক হোয়াইট বলেন, এই ইতিবাচক উদ্যোগগুলোকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এখনই সময়। এ জন্য একটি জাতীয় পুরুষ স্বাস্থ্য কৌশল তৈরি করা খুবই জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
হোয়াইট বলেন, যুক্তরাজ্যে ২০২২ সালে নারীদের স্বাস্থ্য কৌশল তৈরি হয়েছিল। জাতীয় পুরুষ স্বাস্থ্য কৌশলটি তেমনই পুরুষদের স্বাস্থ্যের উন্নয়নে কাজ করবে। তিনি আশা করেন, এই কৌশলটি পুরুষদের জন্য একটি ‘জেগে ওঠার বার্তা’ হিসেবে কাজ করবে।
পুরুষদের উদ্দেশ্যে অধ্যাপক হোয়াইট বলেন, ‘আপনার কোমরের মাপ দেখুন। যদি বেশি ওজন থাকে, যদি পেট বড় হয়ে যায়, তাহলে এর পরিবর্তন আনার চেষ্টা করুন। শরীরচর্চা করুন, বাইরে যান, মানুষের সঙ্গে কথা বলুন। সুযোগ পেলেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা স্ক্রিনিং করান। আর শরীরে কোনো পরিবর্তন দেখলে বা সমস্যা দেখা দিলে সাহায্য নিন।’

গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুলিতে তাঁর মস্তিষ্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তাঁর ফুসফুসেও আঘাত রয়েছে। তাঁকে কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টে অর্থাৎ অস্ত্রোপচার ছাড়া নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে...
১৭ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
১ দিন আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
১ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুলিতে তাঁর মস্তিষ্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তাঁর ফুসফুসেও আঘাত রয়েছে। তাঁকে কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টে অর্থাৎ অস্ত্রোপচার ছাড়া নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড।
১৪ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাদির জন্য যে মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে, তাতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন হাসপাতালটির আইসিইউ ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. জাফর ইকবাল।

এভারকেয়ার হাসপাতালের পরিচালক (মেডিকেল সার্ভিসেস) ডা. আরিফ মাহমুদ আজ শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমরা মেডিকেল বোর্ড গঠন করে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি। এই মুহূর্তে মিডিয়া ব্রিফের চেয়ে তার চিকিৎসার দিকেই আমাদের মনোযোগ বেশি। তার ভাই তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব। হাদির বর্তমান অবস্থা তার পরিবারকে আমরা ব্রিফ করেছি।’
মেডিকেল বোর্ডের পর্যবেক্ষণ ও সিদ্ধান্ত তুলে ধরে এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়, রোগীর মস্তিষ্ক ‘মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে। তাকে কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টে রাখা হয়েছে। ব্রেন প্রোটেকশন প্রটোকল (স্ট্রোক বা মস্তিষ্কের আঘাতের পর মস্তিষ্ককে আরও ক্ষতি থেকে বাঁচাতে বিশেষ চিকিৎসা পদ্ধতি ও যত্ন) অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা চালু থাকবে। শারীরিক অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলে আবার ব্রেনের সিটি স্ক্যান করা হতে পারে। হাদির ফুসফুসেও আঘাত রয়েছে। চেস্ট ড্রেইন টিউব (বুকের ভেতর থেকে বাতাস, রক্ত বা অন্যান্য তরল বের করতে ব্যবহৃত নমনীয় নল) দিয়ে অল্প পরিমাণ রক্ত নির্গত হওয়ায় তা চালু রাখা হয়েছে। ফুসফুসে সংক্রমণ ও এআরডিএস (তীব্র শ্বাসকষ্ট সিন্ড্রোম ফুসফুসের একটি গুরুতর অবস্থা) প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে ভেন্টিলেটর সাপোর্ট অব্যাহত রাখা হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হাদির কিডনির কার্যক্ষমতা ফিরে এসেছে। এটি বজায় রাখতে পূর্বনির্ধারিত ফ্লুইড ব্যালেন্স (শরীরে প্রবেশ করা তরল এবং শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া তরলের মধ্যকার ভারসাম্য) যথাযথভাবে চালিয়ে যাওয়া হবে। পূর্বে শরীরে রক্ত জমাট বাঁধা ও রক্তক্ষরণের মধ্যে অসামঞ্জস্যতা (ডিআইসি) দেখা দিলেও তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এ অবস্থা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী রক্ত ও রক্তজাত উপাদান সঞ্চালন অব্যাহত থাকবে।
মেডিকেল বোর্ড জানিয়েছে, হাদির মস্তিষ্কের নিচের অংশ বা গুরুমস্তিষ্কে আঘাতের (ব্রেন স্টেম ইনজুরি) কারণে রোগীর অবস্থা অত্যন্ত সংবেদনশীল; রক্তচাপ ও হৃৎস্পন্দনের ওঠানামা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে যে সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে, তা চলমান থাকবে। যেকোনো মুহূর্তে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটতে পারে। তাই রোগীকে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসে রাখা হয়েছে। হৃৎস্পন্দন বিপজ্জনকভাবে কমে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে টেম্পোরারি পেসমেকার (হৃদপিণ্ডের স্পন্দনের ধীরগতি বা অনিয়মিত গতি ঠিক রাখতে অস্থায়ী চিকিৎসা যন্ত্র) স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট টিম সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।
মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদির শরীরে আপাতত নতুন কোনো অস্ত্রোপচার বা হস্তক্ষেপ করা হবে না, পর্যবেক্ষণভিত্তিক চিকিৎসাই চলবে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, রেডিওলজি, আইসিইউ, অ্যানেস্থেশিয়া, নিউরোসার্জারি ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের চিকিৎসক ও সাপোর্টিভ স্টাফদের অসাধারণ ও মানবিক অবদানের জন্য মেডিকেল বোর্ড তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
হাসপাতালে ভিড় না করতে; কোনো ধরনের অনুমানভিত্তিক বা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার না করে মেডিকেল বোর্ডের প্রতি আস্থা রাখতে এবং রোগীর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও মর্যাদা রক্ষায় সবাইকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানিয়েছে মেডিকেল বোর্ড।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে সন্ধ্যার পর তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।
হাদির শারীরিক অবস্থার বিষয়ে শুক্রবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, বাম কানের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান দিক দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বুলেট হাদির মস্তিষ্কের কাণ্ড বা ব্রেন স্টেম পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যা চিকিৎসাবিজ্ঞানে ‘ম্যাসিভ ব্রেন ইনজুরি’ হিসেবে বিবেচিত।
তিনি জানান, আগামী ৭২ ঘণ্টা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং এ অবস্থায় কোনো ধরনের নতুন ইন্টারভেনশন করা হবে না। হাদি বর্তমানে ‘খুবই ক্রিটিক্যাল’ অবস্থায় রয়েছেন এবং তাকে আপাতত কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসে রাখা হয়েছে। তবে চিকিৎসকেরা এখনও আশার কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না।

গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুলিতে তাঁর মস্তিষ্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তাঁর ফুসফুসেও আঘাত রয়েছে। তাঁকে কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টে অর্থাৎ অস্ত্রোপচার ছাড়া নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড।
১৪ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে এভারকেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাদির জন্য যে মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে, তাতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন হাসপাতালটির আইসিইউ ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. জাফর ইকবাল।

এভারকেয়ার হাসপাতালের পরিচালক (মেডিকেল সার্ভিসেস) ডা. আরিফ মাহমুদ আজ শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমরা মেডিকেল বোর্ড গঠন করে চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছি। এই মুহূর্তে মিডিয়া ব্রিফের চেয়ে তার চিকিৎসার দিকেই আমাদের মনোযোগ বেশি। তার ভাই তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব। হাদির বর্তমান অবস্থা তার পরিবারকে আমরা ব্রিফ করেছি।’
মেডিকেল বোর্ডের পর্যবেক্ষণ ও সিদ্ধান্ত তুলে ধরে এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়, রোগীর মস্তিষ্ক ‘মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে। তাকে কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টে রাখা হয়েছে। ব্রেন প্রোটেকশন প্রটোকল (স্ট্রোক বা মস্তিষ্কের আঘাতের পর মস্তিষ্ককে আরও ক্ষতি থেকে বাঁচাতে বিশেষ চিকিৎসা পদ্ধতি ও যত্ন) অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা চালু থাকবে। শারীরিক অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলে আবার ব্রেনের সিটি স্ক্যান করা হতে পারে। হাদির ফুসফুসেও আঘাত রয়েছে। চেস্ট ড্রেইন টিউব (বুকের ভেতর থেকে বাতাস, রক্ত বা অন্যান্য তরল বের করতে ব্যবহৃত নমনীয় নল) দিয়ে অল্প পরিমাণ রক্ত নির্গত হওয়ায় তা চালু রাখা হয়েছে। ফুসফুসে সংক্রমণ ও এআরডিএস (তীব্র শ্বাসকষ্ট সিন্ড্রোম ফুসফুসের একটি গুরুতর অবস্থা) প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে ভেন্টিলেটর সাপোর্ট অব্যাহত রাখা হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হাদির কিডনির কার্যক্ষমতা ফিরে এসেছে। এটি বজায় রাখতে পূর্বনির্ধারিত ফ্লুইড ব্যালেন্স (শরীরে প্রবেশ করা তরল এবং শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া তরলের মধ্যকার ভারসাম্য) যথাযথভাবে চালিয়ে যাওয়া হবে। পূর্বে শরীরে রক্ত জমাট বাঁধা ও রক্তক্ষরণের মধ্যে অসামঞ্জস্যতা (ডিআইসি) দেখা দিলেও তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এ অবস্থা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী রক্ত ও রক্তজাত উপাদান সঞ্চালন অব্যাহত থাকবে।
মেডিকেল বোর্ড জানিয়েছে, হাদির মস্তিষ্কের নিচের অংশ বা গুরুমস্তিষ্কে আঘাতের (ব্রেন স্টেম ইনজুরি) কারণে রোগীর অবস্থা অত্যন্ত সংবেদনশীল; রক্তচাপ ও হৃৎস্পন্দনের ওঠানামা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে যে সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে, তা চলমান থাকবে। যেকোনো মুহূর্তে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটতে পারে। তাই রোগীকে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসে রাখা হয়েছে। হৃৎস্পন্দন বিপজ্জনকভাবে কমে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে টেম্পোরারি পেসমেকার (হৃদপিণ্ডের স্পন্দনের ধীরগতি বা অনিয়মিত গতি ঠিক রাখতে অস্থায়ী চিকিৎসা যন্ত্র) স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট টিম সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।
মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদির শরীরে আপাতত নতুন কোনো অস্ত্রোপচার বা হস্তক্ষেপ করা হবে না, পর্যবেক্ষণভিত্তিক চিকিৎসাই চলবে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, রেডিওলজি, আইসিইউ, অ্যানেস্থেশিয়া, নিউরোসার্জারি ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের চিকিৎসক ও সাপোর্টিভ স্টাফদের অসাধারণ ও মানবিক অবদানের জন্য মেডিকেল বোর্ড তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
হাসপাতালে ভিড় না করতে; কোনো ধরনের অনুমানভিত্তিক বা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার না করে মেডিকেল বোর্ডের প্রতি আস্থা রাখতে এবং রোগীর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও মর্যাদা রক্ষায় সবাইকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানিয়েছে মেডিকেল বোর্ড।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে সন্ধ্যার পর তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।
হাদির শারীরিক অবস্থার বিষয়ে শুক্রবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়) অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, বাম কানের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান দিক দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বুলেট হাদির মস্তিষ্কের কাণ্ড বা ব্রেন স্টেম পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যা চিকিৎসাবিজ্ঞানে ‘ম্যাসিভ ব্রেন ইনজুরি’ হিসেবে বিবেচিত।
তিনি জানান, আগামী ৭২ ঘণ্টা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং এ অবস্থায় কোনো ধরনের নতুন ইন্টারভেনশন করা হবে না। হাদি বর্তমানে ‘খুবই ক্রিটিক্যাল’ অবস্থায় রয়েছেন এবং তাকে আপাতত কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসে রাখা হয়েছে। তবে চিকিৎসকেরা এখনও আশার কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না।

পুরুষদের উদ্দেশ্যে অধ্যাপক হোয়াইট বলেন, ‘আপনার কোমরের মাপ দেখুন। যদি বেশি ওজন থাকে, যদি পেট বড় হয়ে যায়, তাহলে এর পরিবর্তন আনার চেষ্টা করুন। শরীরচর্চা করুন, বাইরে যান, মানুষের সঙ্গে কথা বলুন। সুযোগ পেলেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা স্ক্রিনিং করান। আর শরীরে কোনো পরিবর্তন দেখলে বা সমস্যা দেখা দিলে সাহায্য
০৬ এপ্রিল ২০২৫
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
১ দিন আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
১ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
১ দিন আগেমো. ইকবাল হোসেন

ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
মানুষের শরীরের গঠন অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। পৃথিবীর বেশির ভাগ প্রাণীর চেয়ে মানুষের খাদ্যাভ্যাস ভিন্ন। আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জন্য আলাদা পুষ্টির প্রয়োজন হয়। যেমন চোখের যত্নে ভিটামিন এ, ত্বকের যত্নে ভিটামিন বি, হাড়ের যত্নে ভিটামিন ডি ইত্যাদি। এসব চাহিদা পূরণ করে খাবার খেলে শরীরে সুখের হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায় এবং আমাদের সুখানুভূতি হয়, মন শান্ত থাকে।
মন ভালো রাখার অন্যতম হরমোন ডোপামিন। এটি নিঃসরণে খাবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আমাদের অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা যত বাড়বে, ডোপামিনের নিঃসরণও তত বাড়বে। তাই অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে গুড ফ্যাট বা ভালো চর্বিসমৃদ্ধ, গাঁজানো এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
সে ক্ষেত্রে চমৎকার খাবার হতে পারে শীতকালীন বিভিন্ন শাকসবজি। শিমের বিচি, মটরশুঁটি, বরবটিসহ অন্যান্য শাকসবজি ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে চমৎকার কাজ করে। এ ছাড়া সামুদ্রিক মাছ, মাছের তেল, অলিভ অয়েল, টক দই ইত্যাদি খাবারও পর্যাপ্ত খেতে হবে। আঁশের উৎস হিসেবে লালশাক, পালংশাক, সবুজ শাক খেতে হবে। ভাজাপোড়া, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ডুবোতেলে ভাজা খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
আমাদের মন ভালো রাখার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন হচ্ছে সেরোটোনিন। ৯০ শতাংশ সেরোটোনিন উৎপন্ন হয় অন্ত্রের এন্টেরোক্রমাফিন কোষের এন্টেরিক নার্ভাস সিস্টেম থেকে। এ জন্য অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখা বেশি জরুরি। অন্ত্রের পেশি নড়াচড়ায় সেরোটোনিন সাহায্য করে। মাত্র ১ শতাংশ সেরোটোনিন মস্তিষ্কে নিঃসৃত হয়। এই ১ শতাংশ সেরোটোনিন মুড, ঘুম, স্মৃতি, ক্ষুধা, মন ভালো থাকা ইত্যাদির ওপর প্রভাব বিস্তার করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার, ভিটামিন বি-১২ এবং ভিটামিন ডি সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়ায়। খাবারের পাশাপাশি রাতে ভালো ঘুম সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। সে ক্ষেত্রে পরিমিত রেডমিট, ব্রকলি, বাঁধাকপি, শিম, গাজরসহ সব ধরনের শীতকালীন সবজি এবং শীতের মিষ্টি রোদ দারুণ কাজ করে।
এ ছাড়া অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণসমৃদ্ধ খাবার, যেমন দারুচিনি, লবঙ্গ, হলুদ, ফ্ল্যাক্স সিড, চিয়া সিড খাদ্যতালিকায় যোগ করতে হবে।
শীতে শরীরে ব্যথার প্রকোপ কিছুটা হলেও বেড়ে যায়। তবে এন্ডোরফিন নামক হরমোন প্রাকৃতিকভাবে ব্যথা উপশম করে। শারীরিক বা মানসিকভাবে আহত হলে এন্ডোরফিন সক্রিয় হয়ে আমাদের ব্যথা নিরাময় করে। অতিরিক্ত ওজন, বিষণ্নতা, উচ্চ রক্তচাপ এন্ডোরফিনের নিঃসরণ কমিয়ে দেয়। তবে কিছু খাবার আছে; যেগুলো খেলে এন্ডোরফিন হরমোনের নিঃসরণ বাড়ে। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবারগুলো শরীরে ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এন্ডোরফিন নিঃসরণে সহযোগিতা করে। তাই শীতে মন ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পাতিলেবু, মোসাম্বি, পেয়ারা, কলা, জাম্বুরা ও কমলা খেতে হবে।
এর পাশাপাশি টমেটো, কাঁচা মরিচ, ক্যাপসিকাম ও পালংশাক শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি-এর জোগান দিতে পারে; সঙ্গে মেটায় আঁশ, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতিও।
এ ছাড়া শীতকালীন প্রায় সব শাকসবজি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর এবং ক্যানসার প্রতিরোধী গুণসমৃদ্ধ। এগুলো যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে বাড়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। শীতকালীন পালংশাক, গাজর, টমেটো, বিটরুট, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি হয়ে উঠতে পারে সুস্থ থাকার অন্যতম হাতিয়ার। শীতকালীন সবজি ভালো কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দিতে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে অত্যন্ত উপযোগী। তাই শীতকালে সুস্থতার অন্যতম চাবিকাঠি হতে পারে এসব সবজি।
আমাদের শরীরের অবহেলিত অঙ্গ ক্ষুদ্রান্ত্র। আমরা বিভিন্ন রকমের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাই। সেসবের প্রভাব পড়ে ক্ষুদ্রান্ত্রের ওপর। এসব অস্বাস্থ্যকর খাবারের ফলে আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমতে থাকে।
ফলে গ্যাসের সমস্যা, ফ্যাটি লিভার, কোলেস্টেরল, কোষ্ঠকাঠিন্য বা কিডনি সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। আবার বিভিন্ন ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও কমে যায় এসব ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা। তাই সুস্থ থাকতে এবং মন ভালো রাখতে শীতকাল হতে পারে আপনার জীবনের সেরা সময়।
খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে—
পুষ্টিবিদ ও জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
মানুষের শরীরের গঠন অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে কিছুটা ভিন্ন। পৃথিবীর বেশির ভাগ প্রাণীর চেয়ে মানুষের খাদ্যাভ্যাস ভিন্ন। আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জন্য আলাদা পুষ্টির প্রয়োজন হয়। যেমন চোখের যত্নে ভিটামিন এ, ত্বকের যত্নে ভিটামিন বি, হাড়ের যত্নে ভিটামিন ডি ইত্যাদি। এসব চাহিদা পূরণ করে খাবার খেলে শরীরে সুখের হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায় এবং আমাদের সুখানুভূতি হয়, মন শান্ত থাকে।
মন ভালো রাখার অন্যতম হরমোন ডোপামিন। এটি নিঃসরণে খাবারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আমাদের অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা যত বাড়বে, ডোপামিনের নিঃসরণও তত বাড়বে। তাই অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে গুড ফ্যাট বা ভালো চর্বিসমৃদ্ধ, গাঁজানো এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
সে ক্ষেত্রে চমৎকার খাবার হতে পারে শীতকালীন বিভিন্ন শাকসবজি। শিমের বিচি, মটরশুঁটি, বরবটিসহ অন্যান্য শাকসবজি ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতে চমৎকার কাজ করে। এ ছাড়া সামুদ্রিক মাছ, মাছের তেল, অলিভ অয়েল, টক দই ইত্যাদি খাবারও পর্যাপ্ত খেতে হবে। আঁশের উৎস হিসেবে লালশাক, পালংশাক, সবুজ শাক খেতে হবে। ভাজাপোড়া, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ডুবোতেলে ভাজা খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে।
আমাদের মন ভালো রাখার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন হচ্ছে সেরোটোনিন। ৯০ শতাংশ সেরোটোনিন উৎপন্ন হয় অন্ত্রের এন্টেরোক্রমাফিন কোষের এন্টেরিক নার্ভাস সিস্টেম থেকে। এ জন্য অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখা বেশি জরুরি। অন্ত্রের পেশি নড়াচড়ায় সেরোটোনিন সাহায্য করে। মাত্র ১ শতাংশ সেরোটোনিন মস্তিষ্কে নিঃসৃত হয়। এই ১ শতাংশ সেরোটোনিন মুড, ঘুম, স্মৃতি, ক্ষুধা, মন ভালো থাকা ইত্যাদির ওপর প্রভাব বিস্তার করে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন এবং আঁশসমৃদ্ধ খাবার, ভিটামিন বি-১২ এবং ভিটামিন ডি সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়ায়। খাবারের পাশাপাশি রাতে ভালো ঘুম সেরোটোনিনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। সে ক্ষেত্রে পরিমিত রেডমিট, ব্রকলি, বাঁধাকপি, শিম, গাজরসহ সব ধরনের শীতকালীন সবজি এবং শীতের মিষ্টি রোদ দারুণ কাজ করে।
এ ছাড়া অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণসমৃদ্ধ খাবার, যেমন দারুচিনি, লবঙ্গ, হলুদ, ফ্ল্যাক্স সিড, চিয়া সিড খাদ্যতালিকায় যোগ করতে হবে।
শীতে শরীরে ব্যথার প্রকোপ কিছুটা হলেও বেড়ে যায়। তবে এন্ডোরফিন নামক হরমোন প্রাকৃতিকভাবে ব্যথা উপশম করে। শারীরিক বা মানসিকভাবে আহত হলে এন্ডোরফিন সক্রিয় হয়ে আমাদের ব্যথা নিরাময় করে। অতিরিক্ত ওজন, বিষণ্নতা, উচ্চ রক্তচাপ এন্ডোরফিনের নিঃসরণ কমিয়ে দেয়। তবে কিছু খাবার আছে; যেগুলো খেলে এন্ডোরফিন হরমোনের নিঃসরণ বাড়ে। ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবারগুলো শরীরে ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এন্ডোরফিন নিঃসরণে সহযোগিতা করে। তাই শীতে মন ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পাতিলেবু, মোসাম্বি, পেয়ারা, কলা, জাম্বুরা ও কমলা খেতে হবে।
এর পাশাপাশি টমেটো, কাঁচা মরিচ, ক্যাপসিকাম ও পালংশাক শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি-এর জোগান দিতে পারে; সঙ্গে মেটায় আঁশ, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতিও।
এ ছাড়া শীতকালীন প্রায় সব শাকসবজি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর এবং ক্যানসার প্রতিরোধী গুণসমৃদ্ধ। এগুলো যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে বাড়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। শীতকালীন পালংশাক, গাজর, টমেটো, বিটরুট, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি হয়ে উঠতে পারে সুস্থ থাকার অন্যতম হাতিয়ার। শীতকালীন সবজি ভালো কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দিতে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে অত্যন্ত উপযোগী। তাই শীতকালে সুস্থতার অন্যতম চাবিকাঠি হতে পারে এসব সবজি।
আমাদের শরীরের অবহেলিত অঙ্গ ক্ষুদ্রান্ত্র। আমরা বিভিন্ন রকমের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাই। সেসবের প্রভাব পড়ে ক্ষুদ্রান্ত্রের ওপর। এসব অস্বাস্থ্যকর খাবারের ফলে আমাদের ক্ষুদ্রান্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমতে থাকে।
ফলে গ্যাসের সমস্যা, ফ্যাটি লিভার, কোলেস্টেরল, কোষ্ঠকাঠিন্য বা কিডনি সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে। আবার বিভিন্ন ধরনের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও কমে যায় এসব ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা। তাই সুস্থ থাকতে এবং মন ভালো রাখতে শীতকাল হতে পারে আপনার জীবনের সেরা সময়।
খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আরও কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে—
পুষ্টিবিদ ও জ্যেষ্ঠ পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল

পুরুষদের উদ্দেশ্যে অধ্যাপক হোয়াইট বলেন, ‘আপনার কোমরের মাপ দেখুন। যদি বেশি ওজন থাকে, যদি পেট বড় হয়ে যায়, তাহলে এর পরিবর্তন আনার চেষ্টা করুন। শরীরচর্চা করুন, বাইরে যান, মানুষের সঙ্গে কথা বলুন। সুযোগ পেলেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা স্ক্রিনিং করান। আর শরীরে কোনো পরিবর্তন দেখলে বা সমস্যা দেখা দিলে সাহায্য
০৬ এপ্রিল ২০২৫
গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুলিতে তাঁর মস্তিষ্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তাঁর ফুসফুসেও আঘাত রয়েছে। তাঁকে কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টে অর্থাৎ অস্ত্রোপচার ছাড়া নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে...
১৭ ঘণ্টা আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
১ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
১ দিন আগেডা. অবন্তি ঘোষ

চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
বীর্য পরীক্ষার পর শুক্রাণুর সংখ্যা, গতি, আকৃতি, পরিমাণ ইত্যাদি
দেখা হয়।
চিকিৎসা নির্ভর করে সমস্যা কেমন এবং কোন স্তরে রয়েছে, তার ওপর। সাধারণভাবে চিকিৎসা কয়েকটি ধাপে করা হয়।
শুক্রাণুর সংখ্যা ও গতি উন্নত করতে কিছু পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিন দেওয়া হয়, যেমন:
ওষুধ শুরুর পর রোগীকে তিন মাস পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। কারণ, নতুন শুক্রাণু তৈরিতে প্রায় ৭৫ দিন লাগে।
ওষুধে উন্নতি হলে স্বামী-স্ত্রী স্বাভাবিক পদ্ধতিতে গর্ভধারণের চেষ্টা করতে পারেন। প্রয়োজনে স্ত্রীকে ডিম্বাণু উৎপাদন বাড়ানোর ওষুধ দেওয়া হয়।
ভেরিকোসিল কিংবা শুক্রনালির ব্লকেজ থাকলে সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।
যাঁদের বীর্যে একেবারেই শুক্রাণু পাওয়া যায় না, যাকে অ্যাজোস্পার্মিয়া বলা হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে অণ্ডকোষ থেকে সরাসরি শুক্রাণু সংগ্রহ করে আইসিএসআই করাই সবচেয়ে কার্যকর।
গাইনি, প্রসূতি ও বন্ধ্যাত্ব রোগ বিশেষজ্ঞ, আলোক হেলথকেয়ার, মিরপুর-১০

চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
বীর্য পরীক্ষার পর শুক্রাণুর সংখ্যা, গতি, আকৃতি, পরিমাণ ইত্যাদি
দেখা হয়।
চিকিৎসা নির্ভর করে সমস্যা কেমন এবং কোন স্তরে রয়েছে, তার ওপর। সাধারণভাবে চিকিৎসা কয়েকটি ধাপে করা হয়।
শুক্রাণুর সংখ্যা ও গতি উন্নত করতে কিছু পুষ্টি উপাদান এবং ভিটামিন দেওয়া হয়, যেমন:
ওষুধ শুরুর পর রোগীকে তিন মাস পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। কারণ, নতুন শুক্রাণু তৈরিতে প্রায় ৭৫ দিন লাগে।
ওষুধে উন্নতি হলে স্বামী-স্ত্রী স্বাভাবিক পদ্ধতিতে গর্ভধারণের চেষ্টা করতে পারেন। প্রয়োজনে স্ত্রীকে ডিম্বাণু উৎপাদন বাড়ানোর ওষুধ দেওয়া হয়।
ভেরিকোসিল কিংবা শুক্রনালির ব্লকেজ থাকলে সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।
যাঁদের বীর্যে একেবারেই শুক্রাণু পাওয়া যায় না, যাকে অ্যাজোস্পার্মিয়া বলা হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে অণ্ডকোষ থেকে সরাসরি শুক্রাণু সংগ্রহ করে আইসিএসআই করাই সবচেয়ে কার্যকর।
গাইনি, প্রসূতি ও বন্ধ্যাত্ব রোগ বিশেষজ্ঞ, আলোক হেলথকেয়ার, মিরপুর-১০

পুরুষদের উদ্দেশ্যে অধ্যাপক হোয়াইট বলেন, ‘আপনার কোমরের মাপ দেখুন। যদি বেশি ওজন থাকে, যদি পেট বড় হয়ে যায়, তাহলে এর পরিবর্তন আনার চেষ্টা করুন। শরীরচর্চা করুন, বাইরে যান, মানুষের সঙ্গে কথা বলুন। সুযোগ পেলেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা স্ক্রিনিং করান। আর শরীরে কোনো পরিবর্তন দেখলে বা সমস্যা দেখা দিলে সাহায্য
০৬ এপ্রিল ২০২৫
গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুলিতে তাঁর মস্তিষ্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তাঁর ফুসফুসেও আঘাত রয়েছে। তাঁকে কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টে অর্থাৎ অস্ত্রোপচার ছাড়া নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে...
১৭ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
১ দিন আগে
শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
১ দিন আগেডা. কাকলী হালদার

শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
সাধারণ সর্দি-কাশি: রাইনোভাইরাস দিয়ে সংক্রমণ হলে হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং হালকা গলাব্যথা পর্যন্ত হতে পারে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা: ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ হলে সাধারণ সর্দির চেয়ে গুরুতর সমস্যা দেখা যায়। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ জ্বর, শরীর ও পেশিতে প্রচণ্ড ব্যথা, ক্লান্তি এবং গাঢ় কাশি।
রেসপিরেটরি সিনসিশিয়াল ভাইরাস বা আরএসভি: এটি শিশুদের মধ্যে ব্রঙ্কিওলাইটিসের মতো গুরুতর শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়।
এ ধরনের রোগ নিউমোনিয়া অথবা স্ট্রেপটোকক্কাসজনিত গলাব্যথার মতো কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের দিকে মোড় নিতে পারে, যা অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
সংক্রমণ এড়াতে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে কিছু সহজ পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। যেমন—
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা: নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে খাওয়ার আগে, টয়লেট ব্যবহারের পরে, হাঁচি-কাশি দেওয়ার পরে, অপরিচ্ছন্ন কিছু স্পর্শ করার পর হাত ধোয়া জরুরি। হাঁচি-কাশির সময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করা এবং ব্যবহৃত টিস্যু নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা উচিত।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং পানি পান করা: পর্যাপ্ত ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ ফল; যেমন লেবু, কমলা, আমলকী ইত্যাদি এবং শাকসবজি খেয়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে হবে। পানিশূন্যতা এড়াতে হালকা গরম পানি পান করুন।
উষ্ণতা বজায় রাখা: কান, মাথা ও গলা ঢেকে গরম জামাকাপড় পরুন। ঘর উষ্ণ রাখুন এবং সরাসরি ঠান্ডা বাতাস এড়িয়ে চলুন।
ভিড় এড়িয়ে চলা: অসুস্থতা চলাকালে যেকোনো ভিড় অথবা জনসমাগমপূর্ণ স্থানে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
টিকা নেওয়া: শিশু, বয়স্ক বা দীর্ঘমেয়াদি রোগীদের মতো ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোনিয়ার টিকা নিতে পারেন।
সহকারী অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।

শীতকাল মানেই শুষ্ক, ঠান্ডা আবহাওয়া এবং তার সঙ্গে রোগজীবাণুর সহজ সংক্রমণ। এ সময় প্রধানত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত শ্বাসতন্ত্রের রোগগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হয় এবং বদ্ধ জায়গায় মানুষ কাছাকাছি থাকায় রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
সাধারণ সর্দি-কাশি: রাইনোভাইরাস দিয়ে সংক্রমণ হলে হাঁচি, নাক দিয়ে পানি পড়া এবং হালকা গলাব্যথা পর্যন্ত হতে পারে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা: ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণ হলে সাধারণ সর্দির চেয়ে গুরুতর সমস্যা দেখা যায়। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ জ্বর, শরীর ও পেশিতে প্রচণ্ড ব্যথা, ক্লান্তি এবং গাঢ় কাশি।
রেসপিরেটরি সিনসিশিয়াল ভাইরাস বা আরএসভি: এটি শিশুদের মধ্যে ব্রঙ্কিওলাইটিসের মতো গুরুতর শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ ঘটায়।
এ ধরনের রোগ নিউমোনিয়া অথবা স্ট্রেপটোকক্কাসজনিত গলাব্যথার মতো কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের দিকে মোড় নিতে পারে, যা অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
সংক্রমণ এড়াতে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে কিছু সহজ পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। যেমন—
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা: নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে খাওয়ার আগে, টয়লেট ব্যবহারের পরে, হাঁচি-কাশি দেওয়ার পরে, অপরিচ্ছন্ন কিছু স্পর্শ করার পর হাত ধোয়া জরুরি। হাঁচি-কাশির সময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করা এবং ব্যবহৃত টিস্যু নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা উচিত।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং পানি পান করা: পর্যাপ্ত ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ ফল; যেমন লেবু, কমলা, আমলকী ইত্যাদি এবং শাকসবজি খেয়ে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে হবে। পানিশূন্যতা এড়াতে হালকা গরম পানি পান করুন।
উষ্ণতা বজায় রাখা: কান, মাথা ও গলা ঢেকে গরম জামাকাপড় পরুন। ঘর উষ্ণ রাখুন এবং সরাসরি ঠান্ডা বাতাস এড়িয়ে চলুন।
ভিড় এড়িয়ে চলা: অসুস্থতা চলাকালে যেকোনো ভিড় অথবা জনসমাগমপূর্ণ স্থানে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
টিকা নেওয়া: শিশু, বয়স্ক বা দীর্ঘমেয়াদি রোগীদের মতো ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোনিয়ার টিকা নিতে পারেন।
সহকারী অধ্যাপক, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।

পুরুষদের উদ্দেশ্যে অধ্যাপক হোয়াইট বলেন, ‘আপনার কোমরের মাপ দেখুন। যদি বেশি ওজন থাকে, যদি পেট বড় হয়ে যায়, তাহলে এর পরিবর্তন আনার চেষ্টা করুন। শরীরচর্চা করুন, বাইরে যান, মানুষের সঙ্গে কথা বলুন। সুযোগ পেলেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা স্ক্রিনিং করান। আর শরীরে কোনো পরিবর্তন দেখলে বা সমস্যা দেখা দিলে সাহায্য
০৬ এপ্রিল ২০২৫
গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুলিতে তাঁর মস্তিষ্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তাঁর ফুসফুসেও আঘাত রয়েছে। তাঁকে কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্টে অর্থাৎ অস্ত্রোপচার ছাড়া নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে...
১৭ ঘণ্টা আগে
ডিসেম্বর মানেই হাড়কাঁপানো শীত। আর শীত মানেই খাবারের উৎসব। খেজুরের রস, পিঠা পায়েসের কমতি হয় না এ ঋতুতে। কনকনে ঠান্ডার বিপক্ষে যুদ্ধে আমাদের প্রধান হাতিয়ার খাবার। তবে সঠিক খাবার বাছাই করা না গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
১ দিন আগে
চিকিৎসাবিজ্ঞানে সব বন্ধ্যত্বের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশের জন্য পুরুষের সমস্যা দায়ী। এ ছাড়া পুরুষের বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে গেলে, শুক্রাণুর গতি কম থাকলে কিংবা একেবারেই শুক্রাণু না পাওয়া গেলে এবং স্বামী-স্ত্রী নিয়মিত সহবাসের পরও যদি এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ না হয়, তাহলে সেটিকে বলা হয় পুরুষ বন্ধ্যত্ব।
১ দিন আগে