
অস্ত্রোপচার, সংক্রমণ, আঘাতের কারণে ত্বকে দাগ হতে পারে। কিছু দাগ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মুছে যায় বা বিবর্ণ হয়। কিন্তু গভীর ক্ষতস্থানে দাগ সাধারণত স্থায়ী হয়। ত্বকের টিস্যু ক্ষত সারাতে পারলেও দাগ কেন দূর করতে পারে না?
উত্তরটি বোঝার জন্য ত্বকের স্তর সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা থাকতে হবে। মানুষের ত্বকে প্রধান তিনটি স্তর রয়েছে। ত্বকের বাইরের স্তরকে বলে এপিডার্মিস। এটি সবচেয়ে পাতলা স্তর। এটি চ্যাপ্টা কোষের স্তরের সমন্বয়ে গঠিত, যাকে বলা হয় এপিথেলিয়াল কোষ। কোষগুলো সম্মিলিতভাবে বর্ম হিসেবে কাজ করে যা বাইরের আঘাত থেকে দেহকে রক্ষা করে।
এপিডার্মিসের নিচে থাকে ডার্মিস। এটি ত্বকের সবচেয়ে পুরু স্তর যেটিতে স্নায়ু, রক্তনালি, লোমের ফলিকল, ঘর্ম ও তেল গ্রন্থি থাকে। ডার্মিসের মধ্যে কোলাজেন ও ইলাস্টিন নামক প্রোটিনের বড় তন্তুযুক্ত নেটওয়ার্ক রয়েছে যা যথাক্রমে ত্বকের গঠন এবং স্থিতিস্থাপকতা নিশ্চিত করে।
সর্বশেষ হাইপোডার্মিস হলো ত্বকের গভীরতম স্তর। শরীরে উষ্ণতা ধরে রাখার জন্য এই স্তরে চর্বি রয়েছে। অভ্যন্তরীণ প্রত্যঙ্গগুলোকে আঘাত থেকে রক্ষা করে এই স্তর।
পোড়ার মতো বিভিন্ন কারণে শুধু এপিডার্মিসের ক্ষতি হলে বাইরের স্তর উঠে যায়। তবে ত্বকের গভীর স্তরগুলো অক্ষত থাকে। কিন্তু যদি কোনো আঘাত ডার্মিসের গভীরে প্রবেশ করে, তাহলে এই ক্ষতিগ্রস্ত কোষ মেরামতের প্রয়োজন হয়।
ক্ষতস্থানকে আবৃত করার জন্য প্রথমেই ত্বক একটি আবরণ তৈরি করে ও এরপর ক্ষত নিরাময় শুরু করে। ত্বক সেই ক্ষতের মধ্যে টিস্যু পুনর্নির্মাণ করে। এটি এলোমেলোভাবে কাজ করার কারণে ত্বকে দাগ তৈরি হয়।
জনস হপকিন্স মেডিসিনের প্লাস্টিক ও পুনর্গঠনমূলক সার্জারির সহযোগী অধ্যাপক ড. ড্যামন কুনি বলেন, স্বাভাবিক ত্বকে একটি সুন্দর, মসৃণ প্যাটার্নে সাবধানে বোনা হয় ডার্মিসের কোলাজেন ফাইবারের নেটওয়ার্ক। অনেকটা কাপড়ের বোনার মতো। আঘাতের কারণে এই নেটওয়ার্ক ছিঁড়ে গেলে ফাঁক পূরণ করতে শরীর নতুন কোলাজেন ফাইবার তৈরি করে।
তবে ক্ষত জুড়ে নতুন ফাইবারগুলোকে সুন্দরভাবে একসঙ্গে বুননের পরিবর্তে শরীর সেগুলোকে একত্রে স্তূপাকারে জমা করে। এই অগোছালো কোলাজেনের স্তূপ বেশির ভাগ স্কার টিস্যু অর্থাৎ দাগ তৈরি করে। এই অংশ স্বাভাবিক ত্বকের চেয়ে আলাদা দেখায় ও কম নমনীয় হয়।
এই ধরনের আঘাতপ্রাপ্ত টিস্যুগুলো স্বাভাবিক টিস্যু থেকে আলাদা। এতে লোমের ফলিকল বা ঘর্ম গ্রন্থি থাকে না। ফরসা ত্বকের অধিকারীদের ক্ষেত্রে এসব দাগ প্রায় লাল বা হালকা গোলাপি হয়। এই রং ধীরে ধীরে বিবর্ণ হয়ে যায় ও স্বাভাবিক ত্বকের রঙের চেয়ে কিছুটা হালকা বা গাঢ় হতে পারে। আর বাদামি বা কালো বর্ণের মানুষের ত্বকের দাগগুলো প্রায়শই কালো দাগের মতো দেখায়।
কখনো কখনো শরীর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় ধরে স্কার টিস্যুর মধ্যে কোলাজেন রেখে দেয়, যার ফলে ‘কেলয়েড’ বা ‘হাইপারট্রফিক’ দাগ তৈরি হয়। এসব দাগ পুরু এবং কিছুটা উঁচু হয়ে থাকে। দাগগুলো লাল, গোলাপি ও বেগুনি বা একজন ব্যক্তির স্বাভাবিক ত্বকের রং থেকে কিছুটা গাঢ় হতে পারে। কেলয়েডের দাগগুলো মূল ক্ষতের চেয়ে বড় হয়। তবে হাইপারট্রফিক দাগগুলো ক্ষতের সমান হয়।
অন্যদের তুলনায় কিশোর–কিশোরী ও গর্ভবতী নারীদের হাইপারট্রফিক দাগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সম্ভবত হরমোনের পরিবর্তনের কারণে এটি হয়। কেলয়েডের দাগগুলো কালো ত্বকের ব্যক্তিদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
ড. ড্যামন কুনি বলেন, দাগ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিবর্ণ হতে পারে, কারণ এর মধ্যে থাকা কোলাজেন ফাইবারগুলো চ্যাপ্টা ও মসৃণ হতে শুরু করে। এই প্রক্রিয়াটি প্রায় ছয় থেকে ১৮ মাস ধরে হতে পারে। একটি দাগ কতটা বিবর্ণ হয় তা সেটির আকার, অবস্থান ও প্রকারের ওপর নির্ভর করে। তবে দাগ কখনই পুরোপুরি অদৃশ্য হয় না। কারণ এলোমেলো টিস্যু চারপাশের ত্বক থেকে আলাদা থাকে।
ক্ষতবিক্ষত ত্বককে সম্পূর্ণরূপে নিরাময় করতে পারে স্যালাম্যান্ডারের মতো কিছু প্রাণী। এদের ত্বকে দাগ পড়ে না। আশ্চর্যজনকভাবে মানুষও এটি করতে পারে। তবে সেটি গর্ভাবস্থার সেকেন্ড ট্রাইমেস্টার বা দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে (গর্ভাবস্থার ১৩ সপ্তাহ থেকে ২৭ সপ্তাহ) থাকার সময় ভ্রূণ এটি করতে পারে। এরপর মানুষ ক্ষত টিস্যু পুনরুৎপাদন করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। তবে এ কারণ বিজ্ঞানীরা জানেন না।
প্রাণীদের ওপর গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রাপ্তবয়স্কের ত্বক ভ্রূণে প্রতিস্থাপিত করলেও দাগ থাকে। এর থেকে বোঝা যায়, প্রাপ্তবয়স্ক ত্বকের কোষগুলো আঘাতের পরে পুনরুৎপাদনের পরিবর্তে দাগ সৃষ্টি করে। ত্বকের মধ্যে স্টেম সেলের সংখ্যা ও অবস্থানের পার্থক্যের জন্য ভ্রূণের ক্ষত দাগহীনভাবে নিরাময় হতে পারে। তবে এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আছে এই গবেষণা।
তবে কিছু চিকিৎসায় ক্ষতের দাগ হালকা হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, লেজার থেরাপি দাগের রং ও উজ্জ্বলতা পরিবর্তন করতে পারে। বিশেষ করে সিলিকন জেল শিট দিয়ে একটি দাগের ওপর ম্যাসেজ করার মাধ্যমে এটিকে মসৃণ ও সমান করতে পারে।
এ ছাড়া চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে দাগ অপসারণ করতে পারেন। হাইপারট্রফিক এবং কেলোয়েড দাগের আকারও কমাতে পারে স্টেরয়েড ইনজেকশন। স্টেরয়েড এই দাগের মধ্যে থাকা কোলাজেন ফাইবারগুলোর জট ছাড়াতে সাহায্য করে এবং প্রদাহ কমায়।
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স

অস্ত্রোপচার, সংক্রমণ, আঘাতের কারণে ত্বকে দাগ হতে পারে। কিছু দাগ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মুছে যায় বা বিবর্ণ হয়। কিন্তু গভীর ক্ষতস্থানে দাগ সাধারণত স্থায়ী হয়। ত্বকের টিস্যু ক্ষত সারাতে পারলেও দাগ কেন দূর করতে পারে না?
উত্তরটি বোঝার জন্য ত্বকের স্তর সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা থাকতে হবে। মানুষের ত্বকে প্রধান তিনটি স্তর রয়েছে। ত্বকের বাইরের স্তরকে বলে এপিডার্মিস। এটি সবচেয়ে পাতলা স্তর। এটি চ্যাপ্টা কোষের স্তরের সমন্বয়ে গঠিত, যাকে বলা হয় এপিথেলিয়াল কোষ। কোষগুলো সম্মিলিতভাবে বর্ম হিসেবে কাজ করে যা বাইরের আঘাত থেকে দেহকে রক্ষা করে।
এপিডার্মিসের নিচে থাকে ডার্মিস। এটি ত্বকের সবচেয়ে পুরু স্তর যেটিতে স্নায়ু, রক্তনালি, লোমের ফলিকল, ঘর্ম ও তেল গ্রন্থি থাকে। ডার্মিসের মধ্যে কোলাজেন ও ইলাস্টিন নামক প্রোটিনের বড় তন্তুযুক্ত নেটওয়ার্ক রয়েছে যা যথাক্রমে ত্বকের গঠন এবং স্থিতিস্থাপকতা নিশ্চিত করে।
সর্বশেষ হাইপোডার্মিস হলো ত্বকের গভীরতম স্তর। শরীরে উষ্ণতা ধরে রাখার জন্য এই স্তরে চর্বি রয়েছে। অভ্যন্তরীণ প্রত্যঙ্গগুলোকে আঘাত থেকে রক্ষা করে এই স্তর।
পোড়ার মতো বিভিন্ন কারণে শুধু এপিডার্মিসের ক্ষতি হলে বাইরের স্তর উঠে যায়। তবে ত্বকের গভীর স্তরগুলো অক্ষত থাকে। কিন্তু যদি কোনো আঘাত ডার্মিসের গভীরে প্রবেশ করে, তাহলে এই ক্ষতিগ্রস্ত কোষ মেরামতের প্রয়োজন হয়।
ক্ষতস্থানকে আবৃত করার জন্য প্রথমেই ত্বক একটি আবরণ তৈরি করে ও এরপর ক্ষত নিরাময় শুরু করে। ত্বক সেই ক্ষতের মধ্যে টিস্যু পুনর্নির্মাণ করে। এটি এলোমেলোভাবে কাজ করার কারণে ত্বকে দাগ তৈরি হয়।
জনস হপকিন্স মেডিসিনের প্লাস্টিক ও পুনর্গঠনমূলক সার্জারির সহযোগী অধ্যাপক ড. ড্যামন কুনি বলেন, স্বাভাবিক ত্বকে একটি সুন্দর, মসৃণ প্যাটার্নে সাবধানে বোনা হয় ডার্মিসের কোলাজেন ফাইবারের নেটওয়ার্ক। অনেকটা কাপড়ের বোনার মতো। আঘাতের কারণে এই নেটওয়ার্ক ছিঁড়ে গেলে ফাঁক পূরণ করতে শরীর নতুন কোলাজেন ফাইবার তৈরি করে।
তবে ক্ষত জুড়ে নতুন ফাইবারগুলোকে সুন্দরভাবে একসঙ্গে বুননের পরিবর্তে শরীর সেগুলোকে একত্রে স্তূপাকারে জমা করে। এই অগোছালো কোলাজেনের স্তূপ বেশির ভাগ স্কার টিস্যু অর্থাৎ দাগ তৈরি করে। এই অংশ স্বাভাবিক ত্বকের চেয়ে আলাদা দেখায় ও কম নমনীয় হয়।
এই ধরনের আঘাতপ্রাপ্ত টিস্যুগুলো স্বাভাবিক টিস্যু থেকে আলাদা। এতে লোমের ফলিকল বা ঘর্ম গ্রন্থি থাকে না। ফরসা ত্বকের অধিকারীদের ক্ষেত্রে এসব দাগ প্রায় লাল বা হালকা গোলাপি হয়। এই রং ধীরে ধীরে বিবর্ণ হয়ে যায় ও স্বাভাবিক ত্বকের রঙের চেয়ে কিছুটা হালকা বা গাঢ় হতে পারে। আর বাদামি বা কালো বর্ণের মানুষের ত্বকের দাগগুলো প্রায়শই কালো দাগের মতো দেখায়।
কখনো কখনো শরীর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় ধরে স্কার টিস্যুর মধ্যে কোলাজেন রেখে দেয়, যার ফলে ‘কেলয়েড’ বা ‘হাইপারট্রফিক’ দাগ তৈরি হয়। এসব দাগ পুরু এবং কিছুটা উঁচু হয়ে থাকে। দাগগুলো লাল, গোলাপি ও বেগুনি বা একজন ব্যক্তির স্বাভাবিক ত্বকের রং থেকে কিছুটা গাঢ় হতে পারে। কেলয়েডের দাগগুলো মূল ক্ষতের চেয়ে বড় হয়। তবে হাইপারট্রফিক দাগগুলো ক্ষতের সমান হয়।
অন্যদের তুলনায় কিশোর–কিশোরী ও গর্ভবতী নারীদের হাইপারট্রফিক দাগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সম্ভবত হরমোনের পরিবর্তনের কারণে এটি হয়। কেলয়েডের দাগগুলো কালো ত্বকের ব্যক্তিদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
ড. ড্যামন কুনি বলেন, দাগ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিবর্ণ হতে পারে, কারণ এর মধ্যে থাকা কোলাজেন ফাইবারগুলো চ্যাপ্টা ও মসৃণ হতে শুরু করে। এই প্রক্রিয়াটি প্রায় ছয় থেকে ১৮ মাস ধরে হতে পারে। একটি দাগ কতটা বিবর্ণ হয় তা সেটির আকার, অবস্থান ও প্রকারের ওপর নির্ভর করে। তবে দাগ কখনই পুরোপুরি অদৃশ্য হয় না। কারণ এলোমেলো টিস্যু চারপাশের ত্বক থেকে আলাদা থাকে।
ক্ষতবিক্ষত ত্বককে সম্পূর্ণরূপে নিরাময় করতে পারে স্যালাম্যান্ডারের মতো কিছু প্রাণী। এদের ত্বকে দাগ পড়ে না। আশ্চর্যজনকভাবে মানুষও এটি করতে পারে। তবে সেটি গর্ভাবস্থার সেকেন্ড ট্রাইমেস্টার বা দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে (গর্ভাবস্থার ১৩ সপ্তাহ থেকে ২৭ সপ্তাহ) থাকার সময় ভ্রূণ এটি করতে পারে। এরপর মানুষ ক্ষত টিস্যু পুনরুৎপাদন করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। তবে এ কারণ বিজ্ঞানীরা জানেন না।
প্রাণীদের ওপর গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রাপ্তবয়স্কের ত্বক ভ্রূণে প্রতিস্থাপিত করলেও দাগ থাকে। এর থেকে বোঝা যায়, প্রাপ্তবয়স্ক ত্বকের কোষগুলো আঘাতের পরে পুনরুৎপাদনের পরিবর্তে দাগ সৃষ্টি করে। ত্বকের মধ্যে স্টেম সেলের সংখ্যা ও অবস্থানের পার্থক্যের জন্য ভ্রূণের ক্ষত দাগহীনভাবে নিরাময় হতে পারে। তবে এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আছে এই গবেষণা।
তবে কিছু চিকিৎসায় ক্ষতের দাগ হালকা হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, লেজার থেরাপি দাগের রং ও উজ্জ্বলতা পরিবর্তন করতে পারে। বিশেষ করে সিলিকন জেল শিট দিয়ে একটি দাগের ওপর ম্যাসেজ করার মাধ্যমে এটিকে মসৃণ ও সমান করতে পারে।
এ ছাড়া চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে দাগ অপসারণ করতে পারেন। হাইপারট্রফিক এবং কেলোয়েড দাগের আকারও কমাতে পারে স্টেরয়েড ইনজেকশন। স্টেরয়েড এই দাগের মধ্যে থাকা কোলাজেন ফাইবারগুলোর জট ছাড়াতে সাহায্য করে এবং প্রদাহ কমায়।
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স

অস্ত্রোপচার, সংক্রমণ, আঘাতের কারণে ত্বকে দাগ হতে পারে। কিছু দাগ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মুছে যায় বা বিবর্ণ হয়। কিন্তু গভীর ক্ষতস্থানে দাগ সাধারণত স্থায়ী হয়। ত্বকের টিস্যু ক্ষত সারাতে পারলেও দাগ কেন দূর করতে পারে না?
উত্তরটি বোঝার জন্য ত্বকের স্তর সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা থাকতে হবে। মানুষের ত্বকে প্রধান তিনটি স্তর রয়েছে। ত্বকের বাইরের স্তরকে বলে এপিডার্মিস। এটি সবচেয়ে পাতলা স্তর। এটি চ্যাপ্টা কোষের স্তরের সমন্বয়ে গঠিত, যাকে বলা হয় এপিথেলিয়াল কোষ। কোষগুলো সম্মিলিতভাবে বর্ম হিসেবে কাজ করে যা বাইরের আঘাত থেকে দেহকে রক্ষা করে।
এপিডার্মিসের নিচে থাকে ডার্মিস। এটি ত্বকের সবচেয়ে পুরু স্তর যেটিতে স্নায়ু, রক্তনালি, লোমের ফলিকল, ঘর্ম ও তেল গ্রন্থি থাকে। ডার্মিসের মধ্যে কোলাজেন ও ইলাস্টিন নামক প্রোটিনের বড় তন্তুযুক্ত নেটওয়ার্ক রয়েছে যা যথাক্রমে ত্বকের গঠন এবং স্থিতিস্থাপকতা নিশ্চিত করে।
সর্বশেষ হাইপোডার্মিস হলো ত্বকের গভীরতম স্তর। শরীরে উষ্ণতা ধরে রাখার জন্য এই স্তরে চর্বি রয়েছে। অভ্যন্তরীণ প্রত্যঙ্গগুলোকে আঘাত থেকে রক্ষা করে এই স্তর।
পোড়ার মতো বিভিন্ন কারণে শুধু এপিডার্মিসের ক্ষতি হলে বাইরের স্তর উঠে যায়। তবে ত্বকের গভীর স্তরগুলো অক্ষত থাকে। কিন্তু যদি কোনো আঘাত ডার্মিসের গভীরে প্রবেশ করে, তাহলে এই ক্ষতিগ্রস্ত কোষ মেরামতের প্রয়োজন হয়।
ক্ষতস্থানকে আবৃত করার জন্য প্রথমেই ত্বক একটি আবরণ তৈরি করে ও এরপর ক্ষত নিরাময় শুরু করে। ত্বক সেই ক্ষতের মধ্যে টিস্যু পুনর্নির্মাণ করে। এটি এলোমেলোভাবে কাজ করার কারণে ত্বকে দাগ তৈরি হয়।
জনস হপকিন্স মেডিসিনের প্লাস্টিক ও পুনর্গঠনমূলক সার্জারির সহযোগী অধ্যাপক ড. ড্যামন কুনি বলেন, স্বাভাবিক ত্বকে একটি সুন্দর, মসৃণ প্যাটার্নে সাবধানে বোনা হয় ডার্মিসের কোলাজেন ফাইবারের নেটওয়ার্ক। অনেকটা কাপড়ের বোনার মতো। আঘাতের কারণে এই নেটওয়ার্ক ছিঁড়ে গেলে ফাঁক পূরণ করতে শরীর নতুন কোলাজেন ফাইবার তৈরি করে।
তবে ক্ষত জুড়ে নতুন ফাইবারগুলোকে সুন্দরভাবে একসঙ্গে বুননের পরিবর্তে শরীর সেগুলোকে একত্রে স্তূপাকারে জমা করে। এই অগোছালো কোলাজেনের স্তূপ বেশির ভাগ স্কার টিস্যু অর্থাৎ দাগ তৈরি করে। এই অংশ স্বাভাবিক ত্বকের চেয়ে আলাদা দেখায় ও কম নমনীয় হয়।
এই ধরনের আঘাতপ্রাপ্ত টিস্যুগুলো স্বাভাবিক টিস্যু থেকে আলাদা। এতে লোমের ফলিকল বা ঘর্ম গ্রন্থি থাকে না। ফরসা ত্বকের অধিকারীদের ক্ষেত্রে এসব দাগ প্রায় লাল বা হালকা গোলাপি হয়। এই রং ধীরে ধীরে বিবর্ণ হয়ে যায় ও স্বাভাবিক ত্বকের রঙের চেয়ে কিছুটা হালকা বা গাঢ় হতে পারে। আর বাদামি বা কালো বর্ণের মানুষের ত্বকের দাগগুলো প্রায়শই কালো দাগের মতো দেখায়।
কখনো কখনো শরীর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় ধরে স্কার টিস্যুর মধ্যে কোলাজেন রেখে দেয়, যার ফলে ‘কেলয়েড’ বা ‘হাইপারট্রফিক’ দাগ তৈরি হয়। এসব দাগ পুরু এবং কিছুটা উঁচু হয়ে থাকে। দাগগুলো লাল, গোলাপি ও বেগুনি বা একজন ব্যক্তির স্বাভাবিক ত্বকের রং থেকে কিছুটা গাঢ় হতে পারে। কেলয়েডের দাগগুলো মূল ক্ষতের চেয়ে বড় হয়। তবে হাইপারট্রফিক দাগগুলো ক্ষতের সমান হয়।
অন্যদের তুলনায় কিশোর–কিশোরী ও গর্ভবতী নারীদের হাইপারট্রফিক দাগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সম্ভবত হরমোনের পরিবর্তনের কারণে এটি হয়। কেলয়েডের দাগগুলো কালো ত্বকের ব্যক্তিদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
ড. ড্যামন কুনি বলেন, দাগ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিবর্ণ হতে পারে, কারণ এর মধ্যে থাকা কোলাজেন ফাইবারগুলো চ্যাপ্টা ও মসৃণ হতে শুরু করে। এই প্রক্রিয়াটি প্রায় ছয় থেকে ১৮ মাস ধরে হতে পারে। একটি দাগ কতটা বিবর্ণ হয় তা সেটির আকার, অবস্থান ও প্রকারের ওপর নির্ভর করে। তবে দাগ কখনই পুরোপুরি অদৃশ্য হয় না। কারণ এলোমেলো টিস্যু চারপাশের ত্বক থেকে আলাদা থাকে।
ক্ষতবিক্ষত ত্বককে সম্পূর্ণরূপে নিরাময় করতে পারে স্যালাম্যান্ডারের মতো কিছু প্রাণী। এদের ত্বকে দাগ পড়ে না। আশ্চর্যজনকভাবে মানুষও এটি করতে পারে। তবে সেটি গর্ভাবস্থার সেকেন্ড ট্রাইমেস্টার বা দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে (গর্ভাবস্থার ১৩ সপ্তাহ থেকে ২৭ সপ্তাহ) থাকার সময় ভ্রূণ এটি করতে পারে। এরপর মানুষ ক্ষত টিস্যু পুনরুৎপাদন করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। তবে এ কারণ বিজ্ঞানীরা জানেন না।
প্রাণীদের ওপর গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রাপ্তবয়স্কের ত্বক ভ্রূণে প্রতিস্থাপিত করলেও দাগ থাকে। এর থেকে বোঝা যায়, প্রাপ্তবয়স্ক ত্বকের কোষগুলো আঘাতের পরে পুনরুৎপাদনের পরিবর্তে দাগ সৃষ্টি করে। ত্বকের মধ্যে স্টেম সেলের সংখ্যা ও অবস্থানের পার্থক্যের জন্য ভ্রূণের ক্ষত দাগহীনভাবে নিরাময় হতে পারে। তবে এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আছে এই গবেষণা।
তবে কিছু চিকিৎসায় ক্ষতের দাগ হালকা হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, লেজার থেরাপি দাগের রং ও উজ্জ্বলতা পরিবর্তন করতে পারে। বিশেষ করে সিলিকন জেল শিট দিয়ে একটি দাগের ওপর ম্যাসেজ করার মাধ্যমে এটিকে মসৃণ ও সমান করতে পারে।
এ ছাড়া চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে দাগ অপসারণ করতে পারেন। হাইপারট্রফিক এবং কেলোয়েড দাগের আকারও কমাতে পারে স্টেরয়েড ইনজেকশন। স্টেরয়েড এই দাগের মধ্যে থাকা কোলাজেন ফাইবারগুলোর জট ছাড়াতে সাহায্য করে এবং প্রদাহ কমায়।
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স

অস্ত্রোপচার, সংক্রমণ, আঘাতের কারণে ত্বকে দাগ হতে পারে। কিছু দাগ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মুছে যায় বা বিবর্ণ হয়। কিন্তু গভীর ক্ষতস্থানে দাগ সাধারণত স্থায়ী হয়। ত্বকের টিস্যু ক্ষত সারাতে পারলেও দাগ কেন দূর করতে পারে না?
উত্তরটি বোঝার জন্য ত্বকের স্তর সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা থাকতে হবে। মানুষের ত্বকে প্রধান তিনটি স্তর রয়েছে। ত্বকের বাইরের স্তরকে বলে এপিডার্মিস। এটি সবচেয়ে পাতলা স্তর। এটি চ্যাপ্টা কোষের স্তরের সমন্বয়ে গঠিত, যাকে বলা হয় এপিথেলিয়াল কোষ। কোষগুলো সম্মিলিতভাবে বর্ম হিসেবে কাজ করে যা বাইরের আঘাত থেকে দেহকে রক্ষা করে।
এপিডার্মিসের নিচে থাকে ডার্মিস। এটি ত্বকের সবচেয়ে পুরু স্তর যেটিতে স্নায়ু, রক্তনালি, লোমের ফলিকল, ঘর্ম ও তেল গ্রন্থি থাকে। ডার্মিসের মধ্যে কোলাজেন ও ইলাস্টিন নামক প্রোটিনের বড় তন্তুযুক্ত নেটওয়ার্ক রয়েছে যা যথাক্রমে ত্বকের গঠন এবং স্থিতিস্থাপকতা নিশ্চিত করে।
সর্বশেষ হাইপোডার্মিস হলো ত্বকের গভীরতম স্তর। শরীরে উষ্ণতা ধরে রাখার জন্য এই স্তরে চর্বি রয়েছে। অভ্যন্তরীণ প্রত্যঙ্গগুলোকে আঘাত থেকে রক্ষা করে এই স্তর।
পোড়ার মতো বিভিন্ন কারণে শুধু এপিডার্মিসের ক্ষতি হলে বাইরের স্তর উঠে যায়। তবে ত্বকের গভীর স্তরগুলো অক্ষত থাকে। কিন্তু যদি কোনো আঘাত ডার্মিসের গভীরে প্রবেশ করে, তাহলে এই ক্ষতিগ্রস্ত কোষ মেরামতের প্রয়োজন হয়।
ক্ষতস্থানকে আবৃত করার জন্য প্রথমেই ত্বক একটি আবরণ তৈরি করে ও এরপর ক্ষত নিরাময় শুরু করে। ত্বক সেই ক্ষতের মধ্যে টিস্যু পুনর্নির্মাণ করে। এটি এলোমেলোভাবে কাজ করার কারণে ত্বকে দাগ তৈরি হয়।
জনস হপকিন্স মেডিসিনের প্লাস্টিক ও পুনর্গঠনমূলক সার্জারির সহযোগী অধ্যাপক ড. ড্যামন কুনি বলেন, স্বাভাবিক ত্বকে একটি সুন্দর, মসৃণ প্যাটার্নে সাবধানে বোনা হয় ডার্মিসের কোলাজেন ফাইবারের নেটওয়ার্ক। অনেকটা কাপড়ের বোনার মতো। আঘাতের কারণে এই নেটওয়ার্ক ছিঁড়ে গেলে ফাঁক পূরণ করতে শরীর নতুন কোলাজেন ফাইবার তৈরি করে।
তবে ক্ষত জুড়ে নতুন ফাইবারগুলোকে সুন্দরভাবে একসঙ্গে বুননের পরিবর্তে শরীর সেগুলোকে একত্রে স্তূপাকারে জমা করে। এই অগোছালো কোলাজেনের স্তূপ বেশির ভাগ স্কার টিস্যু অর্থাৎ দাগ তৈরি করে। এই অংশ স্বাভাবিক ত্বকের চেয়ে আলাদা দেখায় ও কম নমনীয় হয়।
এই ধরনের আঘাতপ্রাপ্ত টিস্যুগুলো স্বাভাবিক টিস্যু থেকে আলাদা। এতে লোমের ফলিকল বা ঘর্ম গ্রন্থি থাকে না। ফরসা ত্বকের অধিকারীদের ক্ষেত্রে এসব দাগ প্রায় লাল বা হালকা গোলাপি হয়। এই রং ধীরে ধীরে বিবর্ণ হয়ে যায় ও স্বাভাবিক ত্বকের রঙের চেয়ে কিছুটা হালকা বা গাঢ় হতে পারে। আর বাদামি বা কালো বর্ণের মানুষের ত্বকের দাগগুলো প্রায়শই কালো দাগের মতো দেখায়।
কখনো কখনো শরীর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় ধরে স্কার টিস্যুর মধ্যে কোলাজেন রেখে দেয়, যার ফলে ‘কেলয়েড’ বা ‘হাইপারট্রফিক’ দাগ তৈরি হয়। এসব দাগ পুরু এবং কিছুটা উঁচু হয়ে থাকে। দাগগুলো লাল, গোলাপি ও বেগুনি বা একজন ব্যক্তির স্বাভাবিক ত্বকের রং থেকে কিছুটা গাঢ় হতে পারে। কেলয়েডের দাগগুলো মূল ক্ষতের চেয়ে বড় হয়। তবে হাইপারট্রফিক দাগগুলো ক্ষতের সমান হয়।
অন্যদের তুলনায় কিশোর–কিশোরী ও গর্ভবতী নারীদের হাইপারট্রফিক দাগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সম্ভবত হরমোনের পরিবর্তনের কারণে এটি হয়। কেলয়েডের দাগগুলো কালো ত্বকের ব্যক্তিদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
ড. ড্যামন কুনি বলেন, দাগ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিবর্ণ হতে পারে, কারণ এর মধ্যে থাকা কোলাজেন ফাইবারগুলো চ্যাপ্টা ও মসৃণ হতে শুরু করে। এই প্রক্রিয়াটি প্রায় ছয় থেকে ১৮ মাস ধরে হতে পারে। একটি দাগ কতটা বিবর্ণ হয় তা সেটির আকার, অবস্থান ও প্রকারের ওপর নির্ভর করে। তবে দাগ কখনই পুরোপুরি অদৃশ্য হয় না। কারণ এলোমেলো টিস্যু চারপাশের ত্বক থেকে আলাদা থাকে।
ক্ষতবিক্ষত ত্বককে সম্পূর্ণরূপে নিরাময় করতে পারে স্যালাম্যান্ডারের মতো কিছু প্রাণী। এদের ত্বকে দাগ পড়ে না। আশ্চর্যজনকভাবে মানুষও এটি করতে পারে। তবে সেটি গর্ভাবস্থার সেকেন্ড ট্রাইমেস্টার বা দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে (গর্ভাবস্থার ১৩ সপ্তাহ থেকে ২৭ সপ্তাহ) থাকার সময় ভ্রূণ এটি করতে পারে। এরপর মানুষ ক্ষত টিস্যু পুনরুৎপাদন করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। তবে এ কারণ বিজ্ঞানীরা জানেন না।
প্রাণীদের ওপর গবেষণায় দেখা গেছে যে, প্রাপ্তবয়স্কের ত্বক ভ্রূণে প্রতিস্থাপিত করলেও দাগ থাকে। এর থেকে বোঝা যায়, প্রাপ্তবয়স্ক ত্বকের কোষগুলো আঘাতের পরে পুনরুৎপাদনের পরিবর্তে দাগ সৃষ্টি করে। ত্বকের মধ্যে স্টেম সেলের সংখ্যা ও অবস্থানের পার্থক্যের জন্য ভ্রূণের ক্ষত দাগহীনভাবে নিরাময় হতে পারে। তবে এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে আছে এই গবেষণা।
তবে কিছু চিকিৎসায় ক্ষতের দাগ হালকা হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, লেজার থেরাপি দাগের রং ও উজ্জ্বলতা পরিবর্তন করতে পারে। বিশেষ করে সিলিকন জেল শিট দিয়ে একটি দাগের ওপর ম্যাসেজ করার মাধ্যমে এটিকে মসৃণ ও সমান করতে পারে।
এ ছাড়া চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে দাগ অপসারণ করতে পারেন। হাইপারট্রফিক এবং কেলোয়েড দাগের আকারও কমাতে পারে স্টেরয়েড ইনজেকশন। স্টেরয়েড এই দাগের মধ্যে থাকা কোলাজেন ফাইবারগুলোর জট ছাড়াতে সাহায্য করে এবং প্রদাহ কমায়।
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ দিন আগে
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৬২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ রোববার (২ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে
রাশিয়ায় টিকটকে চলতি বছরের শুরুতে ভাইরাল হয় এক ধরনের ওজন কমানোর ওষুধ। ‘মলিকিউল’ নামে একটি পিল। তরুণদের ফিডে ভেসে উঠতে থাকে নানা ক্যাপশন—‘মলিকিউল খাও, খাবার ভুলে যাও, ওজন কমাও’, কিংবা ‘বড়সড় পোশাক পরে ক্লাসের পেছনের বেঞ্চে বসতে চাও?’
৩ দিন আগে
সময়স্বল্পতার কারণে অনেকে সকালের নাশতা খাওয়া বাদ দিয়ে দেন। সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যাওয়া, নির্দিষ্ট সময়ে অফিস কিংবা স্কুল-কলেজে পৌঁছানোর তাড়া ইত্যাদি কারণে নাশতা আর খাওয়া হয়ে ওঠে না। ক্ষুধা না থাকা, ব্যস্ত সময়সূচি কিংবা ওজন কমানোর কথা ভেবেও অনেক সময় সকালে নাশতা খাওয়া থেকে বিরত থাকেন অনেকে।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগের ২৪ ঘণ্টায়ও ডেঙ্গুতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১ হাজার ১৪৭ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৪২৯, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৬৬, বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩২, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৮, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৯, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৫, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭০, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৯ ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) নয়জন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৮৮ জন মারা গেছে। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭২ হাজার ৮২২ জন।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে দুজন পুরুষ ও তিনজন নারী। তাদের মধ্যে ১৪ বছরের কিশোরী আছে। অন্যদের বয়স যথাক্রমে ৩৫, ২৫, ৩৫, ৫৮ বছর।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৪২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৬৯ হাজার ৪৫২ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগের ২৪ ঘণ্টায়ও ডেঙ্গুতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১ হাজার ১৪৭ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৪২৯, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৬৬, বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩২, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৮, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৯, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬৫, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭০, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৯ ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) নয়জন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৮৮ জন মারা গেছে। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭২ হাজার ৮২২ জন।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে দুজন পুরুষ ও তিনজন নারী। তাদের মধ্যে ১৪ বছরের কিশোরী আছে। অন্যদের বয়স যথাক্রমে ৩৫, ২৫, ৩৫, ৫৮ বছর।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৪২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৬৯ হাজার ৪৫২ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

অস্ত্রোপচার, সংক্রমণ, আঘাতের কারণে ত্বকে দাগ হতে পারে। কিছু দাগ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মুছে যায় বা বিবর্ণ হয়। কিন্তু গভীর ক্ষতস্থানে দাগ সাধারণত স্থায়ী হয়। ত্বকের টিস্যু ক্ষত সারাতে পারলেও দাগ কেন দূর করতে পারে না?
২৭ জুলাই ২০২৪
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৬২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ রোববার (২ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে
রাশিয়ায় টিকটকে চলতি বছরের শুরুতে ভাইরাল হয় এক ধরনের ওজন কমানোর ওষুধ। ‘মলিকিউল’ নামে একটি পিল। তরুণদের ফিডে ভেসে উঠতে থাকে নানা ক্যাপশন—‘মলিকিউল খাও, খাবার ভুলে যাও, ওজন কমাও’, কিংবা ‘বড়সড় পোশাক পরে ক্লাসের পেছনের বেঞ্চে বসতে চাও?’
৩ দিন আগে
সময়স্বল্পতার কারণে অনেকে সকালের নাশতা খাওয়া বাদ দিয়ে দেন। সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যাওয়া, নির্দিষ্ট সময়ে অফিস কিংবা স্কুল-কলেজে পৌঁছানোর তাড়া ইত্যাদি কারণে নাশতা আর খাওয়া হয়ে ওঠে না। ক্ষুধা না থাকা, ব্যস্ত সময়সূচি কিংবা ওজন কমানোর কথা ভেবেও অনেক সময় সকালে নাশতা খাওয়া থেকে বিরত থাকেন অনেকে।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৬২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ রোববার (২ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১ হাজার ১৬২ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৪৩৬, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭৬, বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৬৩, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১০৮, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৫৪, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮৭, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৮, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩২ ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) আটজন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৮৩ জন মারা গেছে। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭১ হাজার ৬৭৫ জন।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে ১৩ বছরের এক কিশোর আছে। সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। অন্যদের বয়স যথাক্রমে ৫২, ৪২, ২৮ ও ৫০। তাঁদের মধ্যে দুজন নারী আর দুজন পুরুষ রয়েছেন। এই পাঁচজনের মধ্যে ডিএনসিসিতে একজন, ডিএসসিসিতে তিনজন ও রাজশাহীর হাসপাতালে আরও একজন চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৯৫১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৬৮ হাজার ৪১০ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৬২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আজ রোববার (২ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১ হাজার ১৬২ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ঢাকা মহানগরের হাসপাতালগুলোতে ৪৩৬, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭৬, বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৬৩, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১০৮, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৫৪, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮৭, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯৮, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩২ ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) আটজন ভর্তি হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৮৩ জন মারা গেছে। একই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৭১ হাজার ৬৭৫ জন।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া পাঁচজনের মধ্যে ১৩ বছরের এক কিশোর আছে। সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। অন্যদের বয়স যথাক্রমে ৫২, ৪২, ২৮ ও ৫০। তাঁদের মধ্যে দুজন নারী আর দুজন পুরুষ রয়েছেন। এই পাঁচজনের মধ্যে ডিএনসিসিতে একজন, ডিএসসিসিতে তিনজন ও রাজশাহীর হাসপাতালে আরও একজন চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৯৫১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৬৮ হাজার ৪১০ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে।

অস্ত্রোপচার, সংক্রমণ, আঘাতের কারণে ত্বকে দাগ হতে পারে। কিছু দাগ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মুছে যায় বা বিবর্ণ হয়। কিন্তু গভীর ক্ষতস্থানে দাগ সাধারণত স্থায়ী হয়। ত্বকের টিস্যু ক্ষত সারাতে পারলেও দাগ কেন দূর করতে পারে না?
২৭ জুলাই ২০২৪
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ দিন আগে
রাশিয়ায় টিকটকে চলতি বছরের শুরুতে ভাইরাল হয় এক ধরনের ওজন কমানোর ওষুধ। ‘মলিকিউল’ নামে একটি পিল। তরুণদের ফিডে ভেসে উঠতে থাকে নানা ক্যাপশন—‘মলিকিউল খাও, খাবার ভুলে যাও, ওজন কমাও’, কিংবা ‘বড়সড় পোশাক পরে ক্লাসের পেছনের বেঞ্চে বসতে চাও?’
৩ দিন আগে
সময়স্বল্পতার কারণে অনেকে সকালের নাশতা খাওয়া বাদ দিয়ে দেন। সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যাওয়া, নির্দিষ্ট সময়ে অফিস কিংবা স্কুল-কলেজে পৌঁছানোর তাড়া ইত্যাদি কারণে নাশতা আর খাওয়া হয়ে ওঠে না। ক্ষুধা না থাকা, ব্যস্ত সময়সূচি কিংবা ওজন কমানোর কথা ভেবেও অনেক সময় সকালে নাশতা খাওয়া থেকে বিরত থাকেন অনেকে।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ায় টিকটকে চলতি বছরের শুরুতে ভাইরাল হয় এক ধরনের ওজন কমানোর ওষুধ। ‘মলিকিউল’ নামে একটি পিল। তরুণদের ফিডে ভেসে উঠতে থাকে নানা ক্যাপশন—‘মলিকিউল খাও, খাবার ভুলে যাও, ওজন কমাও’, কিংবা ‘বড়সড় পোশাক পরে ক্লাসের পেছনের বেঞ্চে বসতে চাও?’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, ফ্রিজ ভর্তি নীল বাক্স। বাক্সের গায়ে ঝলমলে হোলোগ্রাম, তাতে লেখা ‘মলিকিউল প্লাস।’ বিভিন্ন অনলাইন স্টোরে অর্ডারের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। কিশোর-কিশোরীরা নিজেদের ‘ওজন কমানোর যাত্রা’ শেয়ার করছে সামাজিক মাধ্যমে।
কিন্তু এর পেছনে আছে ভয়ানক এক ফাঁদ। ২২ বছর বয়সী মারিয়া অনলাইনের এক জনপ্রিয় দোকান থেকে এই পিল কিনেছিলেন। দিনে দুইটা করে খেতেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে তার মুখ শুকিয়ে যায়, খাবারের প্রতি সম্পূর্ণ অনীহা তৈরি হয়। তিনি বলেন, ‘খাওয়ার তো ইচ্ছে হতোই না, পান করতেও চাইতাম না। ভেতরে-ভেতরে অস্থির লাগত, ঠোঁট কামড়াতাম, গাল চিবাতাম।’
এরপর মারিয়া প্রবল উদ্বেগে ভুগতে থাকেন। তাঁর মনে নেতিবাচক চিন্তা ভর করে। তিনি বলেন, ‘এই পিলগুলো আমার মানসিক অবস্থার ওপর ভয়ানক প্রভাব ফেলেছিল।’ সেন্ট পিটার্সবার্গে বসবাসকারী মারিয়া জানান, এমন ভয়াবহ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্য তিনি প্রস্তুত ছিলেন না।

অন্য টিকটক ব্যবহারকারীরাও জানান, পিল খাওয়ার পর তাদের চোখের মণি বড় হয়ে যায়, হাত কাঁপে, ঘুম আসে না। কমপক্ষে তিনজন স্কুলশিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এপ্রিলে সাইবেরিয়ার চিতা শহরের এক স্কুলছাত্রীকে ‘মলিকিউল’-এর অতিরিক্ত সেবনের পর হাসপাতালে নেওয়া হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সে দ্রুত ওজন কমিয়ে গ্রীষ্মের আগে ছিপছিপে হতে চেয়েছিল।
আরেক স্কুলছাত্রীর মা জানান, তাঁর মেয়েকে আইসিইউতে নিতে হয়েছিল, কারণ সে একসঙ্গে অনেকগুলো পিল খেয়েছিল। মে মাসে সেন্ট পিটার্সবার্গের ১৩ বছর বয়সী এক ছেলেকে হাসপাতালে নিতে হয়, কারণ সে হ্যালুসিনেশন ও আতঙ্কে ভুগছিল। স্কুলে ওজন নিয়ে উপহাস করার হতো তাকে। এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সে এক বন্ধুর মাধ্যমে এই পিল কিনেছিল।
মলিকিউল পিলের মোড়কে সাধারণত লেখা থাকে ‘প্রাকৃতিক উপাদান’, যেমন—ড্যান্ডেলিয়ন রুট ও মৌরি বীজের নির্যাস দিয়ে তৈরি। কিন্তু এ বছরের শুরুতে রুশ দৈনিক ইজভেস্তিয়ার সাংবাদিকেরা অনলাইনে কেনা পিল পরীক্ষার জন্য জমা দেন। তাতে পাওয়া যায় ‘সিবিউট্রামিন’ নামের একটি পদার্থ।
এই সিবিউট্রামিন প্রথমে ১৯৮০-এর দশকে অবসাদনাশক ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়, পরে ক্ষুধা দমনকারী হিসেবে প্রচলিত হয়। কিন্তু গবেষণায় দেখা যায়, এটি হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়, অথচ ওজন কমায় সামান্যই। ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এটি নিষিদ্ধ করা হয়। যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীনসহ অনেক দেশেই এখন অবৈধ।

রাশিয়ায় এটি এখনো ওজন কমানোর ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়, তবে কেবল প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য এবং চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনে। প্রেসক্রিপশন ছাড়া সিবিউট্রামিন কেনাবেচা অপরাধ। কিন্তু তাতে এই ড্রাগের বিক্রি খুব একটা থামছে না। ব্যক্তিগত বিক্রেতা ও ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইনে এটি বিক্রি করছে—অনেক সময় বৈধ ওষুধের চেয়েও বেশি মাত্রায় এবং কোনো প্রেসক্রিপশন ছাড়াই।
এই অবৈধ পিলের দাম প্রায় ৮ থেকে ৯ ডলার, যা ২০ দিনের জন্য যথেষ্ট। অথচ রাশিয়ার বাজারে পরিচিত ওজন কমানোর ইনজেকশন যেমন ‘Ozempic’-এর দাম প্রতি মাসে ৪০ থেকে ১৬০ পাউন্ড (৫০ থেকে ২১০ ডলার)। সেন্ট পিটার্সবার্গের অন্তঃস্রাববিশেষজ্ঞ জেনিয়া সোলোভিয়েভা বলেন, ‘নিজে নিজে এই ওষুধ খাওয়া ভয়ানক বিপজ্জনক’, কারণ এসব তথাকথিত ‘ডায়েটারি সাপ্লিমেন্ট’-এ কত পরিমাণ সক্রিয় উপাদান আছে তা কেউ জানে না।
‘মলিকিউল’ বিক্রির দায়ে রাশিয়ায় নিয়মিত লোকজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সরকার অবৈধ বিক্রি বন্ধে হিমশিম খাচ্ছে। এপ্রিলে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত সেফ ইন্টারনেট লিগ বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানায়। এরপর কয়েকটি বড় অনলাইন মার্কেটপ্লেস মলিকিউল তাদের কার্ট থেকে সরিয়ে দেয়। কিন্তু অচিরেই এটি ফিরে আসে নতুন নামে—‘অ্যাটম।’ প্যাকেজিং প্রায় হুবহু আগের মতো।
সম্প্রতি রাশিয়ায় একটি আইন পাস হয়েছে, যাতে আদালতের আদেশ ছাড়াই ‘অবৈধ ফুড সাপ্লিমেন্ট বা খাদ্য পরিপূরক বিক্রি করা ওয়েবসাইট’ বন্ধ করা যায়। কিন্তু বিক্রেতারা এখন এসব পণ্যকে ‘স্পোর্টস নিউট্রিশন’ হিসেবে দেখিয়ে বিক্রি করছে।
টিকটকে এখনো এমন বিক্রেতা, যারা ‘মলিকিউল’ বিক্রি করছে। তবে নাম ভিন্ন—কখনো তা ‘মিউসলি’, ‘বিস্কুট’ বা ‘লাইটবাল্ব।’ কিছু বিক্রেতা তো আবার গোপনীয়তার ধারই ধারছেন না। কয়েক সপ্তাহ আগে বিবিসি এক জনপ্রিয় রুশ অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ‘মলিকিউল’-এর তালিকা খুঁজে পায়। জানতে চাইলে সংস্থাটি জানায়, তারা দ্রুত সিবিউট্রামিনযুক্ত সব পণ্য সরিয়ে ফেলেছে। তবে তারা স্বীকার করেছে, যেসব তালিকায় স্পষ্টভাবে ‘সিবিউট্রামিন’ লেখা নেই, সেগুলো শনাক্ত করা কঠিন।
যদি কেউ কোনোভাবে ‘মলিকিউল’ কিনতে সক্ষম হয়, তবুও বোঝা মুশকিল আসলে কী পাওয়া যাচ্ছে—আর এই পিল কোথায় তৈরি হচ্ছে, তা-ও অনিশ্চিত। বিবিসি কিছু বিক্রেতার কাছে এমন সনদপত্র পেয়েছে, যাতে লেখা আছে চীনের গুয়াংজু ও হেনান প্রদেশের কারখানায় উৎপাদিত। আবার কেউ কেউ দাবি করে, পণ্যটি জার্মানি থেকে আনা।
কিছু প্যাকেটে লেখা থাকে, এটি জার্মানির রেমাগেন শহরে তৈরি। কিন্তু বিবিসি খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, ওই ঠিকানায় এমন কোনো কোম্পানি নেই। আর কাজাখস্তানের কয়েকজন বিক্রেতা যারা রাশিয়ায় ‘মলিকিউল’ পাঠায়, তারা বিবিসিকে জানিয়েছে, তারা পণ্যটি বন্ধুদের কাছ থেকে বা রাজধানী আস্তানার কিছু গুদাম থেকে সংগ্রহ করে থাকে, কিন্তু মূল সরবরাহকারীর নাম জানে না।
এদিকে, অনলাইনে ইটিং ডিসঅর্ডার বা খাওয়ার ব্যাধি সংক্রান্ত অনেক কমিউনিটি এখন ‘মলিকিউল’ নামের ওষুধটি প্রচারের জায়গা হয়ে উঠেছে। ব্যবহারকারীরা হ্যাশট্যাগ আর নানা গোপন শব্দ ব্যবহার করে প্ল্যাটফর্মগুলোর নজরদারি এড়িয়ে যাচ্ছে। সোলোভিয়েভা বলেন, যেসব তরুণ-তরুণী আগে থেকেই ইটিং ডিসঅর্ডারে ভুগছে, তাদের জন্য মলিকিউল অত্যন্ত ক্ষতিকর। যারা পুনরায় অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকিতে আছে, তাদের হাতে সহজলভ্য এই ক্ষুধা দমনকারী ওষুধ ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনতে পারে।

রুশ সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার আন্না এনিনা নিজেও অতীতে অননুমোদিত ওজন কমানোর ওষুধ ব্যবহার করেছেন। তবে তিনি প্রকাশ্যে তাঁর অনুসারীদের সতর্ক করে বলেন, ‘আমি নিজে ইটিং ডিসঅর্ডারে ভুগেছি…এর পরিণতি ভয়াবহ হবে। তোমরা এর জন্য দশগুণ অনুতপ্ত হবে।’
মারিয়া সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছেন। অতিরিক্ত মলিকিউল খাওয়ার পর তিনি মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শিকার হন এবং হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। এখন তিনি বিভিন্ন ওজন কমানোর ফোরামে তরুণী ও মেয়েদের এই বড়ি না খেতে পরামর্শ দেন। এমনকি এক কিশোরীর বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদেরও সতর্ক করেছেন।
তবু মলিকিউল অনলাইনে এখনো জনপ্রিয়। আর মারিয়ার টিকটক ফিডে যখনই নতুন কোনো ভিডিও ভেসে ওঠে, তখন সেটি তাঁকে মনে করিয়ে দেয়—সেই পিলগুলোর কথা, যেগুলো তাঁকে অসুস্থ করে দিয়েছিল।

রাশিয়ায় টিকটকে চলতি বছরের শুরুতে ভাইরাল হয় এক ধরনের ওজন কমানোর ওষুধ। ‘মলিকিউল’ নামে একটি পিল। তরুণদের ফিডে ভেসে উঠতে থাকে নানা ক্যাপশন—‘মলিকিউল খাও, খাবার ভুলে যাও, ওজন কমাও’, কিংবা ‘বড়সড় পোশাক পরে ক্লাসের পেছনের বেঞ্চে বসতে চাও?’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, ফ্রিজ ভর্তি নীল বাক্স। বাক্সের গায়ে ঝলমলে হোলোগ্রাম, তাতে লেখা ‘মলিকিউল প্লাস।’ বিভিন্ন অনলাইন স্টোরে অর্ডারের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। কিশোর-কিশোরীরা নিজেদের ‘ওজন কমানোর যাত্রা’ শেয়ার করছে সামাজিক মাধ্যমে।
কিন্তু এর পেছনে আছে ভয়ানক এক ফাঁদ। ২২ বছর বয়সী মারিয়া অনলাইনের এক জনপ্রিয় দোকান থেকে এই পিল কিনেছিলেন। দিনে দুইটা করে খেতেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে তার মুখ শুকিয়ে যায়, খাবারের প্রতি সম্পূর্ণ অনীহা তৈরি হয়। তিনি বলেন, ‘খাওয়ার তো ইচ্ছে হতোই না, পান করতেও চাইতাম না। ভেতরে-ভেতরে অস্থির লাগত, ঠোঁট কামড়াতাম, গাল চিবাতাম।’
এরপর মারিয়া প্রবল উদ্বেগে ভুগতে থাকেন। তাঁর মনে নেতিবাচক চিন্তা ভর করে। তিনি বলেন, ‘এই পিলগুলো আমার মানসিক অবস্থার ওপর ভয়ানক প্রভাব ফেলেছিল।’ সেন্ট পিটার্সবার্গে বসবাসকারী মারিয়া জানান, এমন ভয়াবহ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্য তিনি প্রস্তুত ছিলেন না।

অন্য টিকটক ব্যবহারকারীরাও জানান, পিল খাওয়ার পর তাদের চোখের মণি বড় হয়ে যায়, হাত কাঁপে, ঘুম আসে না। কমপক্ষে তিনজন স্কুলশিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এপ্রিলে সাইবেরিয়ার চিতা শহরের এক স্কুলছাত্রীকে ‘মলিকিউল’-এর অতিরিক্ত সেবনের পর হাসপাতালে নেওয়া হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সে দ্রুত ওজন কমিয়ে গ্রীষ্মের আগে ছিপছিপে হতে চেয়েছিল।
আরেক স্কুলছাত্রীর মা জানান, তাঁর মেয়েকে আইসিইউতে নিতে হয়েছিল, কারণ সে একসঙ্গে অনেকগুলো পিল খেয়েছিল। মে মাসে সেন্ট পিটার্সবার্গের ১৩ বছর বয়সী এক ছেলেকে হাসপাতালে নিতে হয়, কারণ সে হ্যালুসিনেশন ও আতঙ্কে ভুগছিল। স্কুলে ওজন নিয়ে উপহাস করার হতো তাকে। এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সে এক বন্ধুর মাধ্যমে এই পিল কিনেছিল।
মলিকিউল পিলের মোড়কে সাধারণত লেখা থাকে ‘প্রাকৃতিক উপাদান’, যেমন—ড্যান্ডেলিয়ন রুট ও মৌরি বীজের নির্যাস দিয়ে তৈরি। কিন্তু এ বছরের শুরুতে রুশ দৈনিক ইজভেস্তিয়ার সাংবাদিকেরা অনলাইনে কেনা পিল পরীক্ষার জন্য জমা দেন। তাতে পাওয়া যায় ‘সিবিউট্রামিন’ নামের একটি পদার্থ।
এই সিবিউট্রামিন প্রথমে ১৯৮০-এর দশকে অবসাদনাশক ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়, পরে ক্ষুধা দমনকারী হিসেবে প্রচলিত হয়। কিন্তু গবেষণায় দেখা যায়, এটি হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়, অথচ ওজন কমায় সামান্যই। ২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এটি নিষিদ্ধ করা হয়। যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীনসহ অনেক দেশেই এখন অবৈধ।

রাশিয়ায় এটি এখনো ওজন কমানোর ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়, তবে কেবল প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য এবং চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনে। প্রেসক্রিপশন ছাড়া সিবিউট্রামিন কেনাবেচা অপরাধ। কিন্তু তাতে এই ড্রাগের বিক্রি খুব একটা থামছে না। ব্যক্তিগত বিক্রেতা ও ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইনে এটি বিক্রি করছে—অনেক সময় বৈধ ওষুধের চেয়েও বেশি মাত্রায় এবং কোনো প্রেসক্রিপশন ছাড়াই।
এই অবৈধ পিলের দাম প্রায় ৮ থেকে ৯ ডলার, যা ২০ দিনের জন্য যথেষ্ট। অথচ রাশিয়ার বাজারে পরিচিত ওজন কমানোর ইনজেকশন যেমন ‘Ozempic’-এর দাম প্রতি মাসে ৪০ থেকে ১৬০ পাউন্ড (৫০ থেকে ২১০ ডলার)। সেন্ট পিটার্সবার্গের অন্তঃস্রাববিশেষজ্ঞ জেনিয়া সোলোভিয়েভা বলেন, ‘নিজে নিজে এই ওষুধ খাওয়া ভয়ানক বিপজ্জনক’, কারণ এসব তথাকথিত ‘ডায়েটারি সাপ্লিমেন্ট’-এ কত পরিমাণ সক্রিয় উপাদান আছে তা কেউ জানে না।
‘মলিকিউল’ বিক্রির দায়ে রাশিয়ায় নিয়মিত লোকজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সরকার অবৈধ বিক্রি বন্ধে হিমশিম খাচ্ছে। এপ্রিলে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত সেফ ইন্টারনেট লিগ বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানায়। এরপর কয়েকটি বড় অনলাইন মার্কেটপ্লেস মলিকিউল তাদের কার্ট থেকে সরিয়ে দেয়। কিন্তু অচিরেই এটি ফিরে আসে নতুন নামে—‘অ্যাটম।’ প্যাকেজিং প্রায় হুবহু আগের মতো।
সম্প্রতি রাশিয়ায় একটি আইন পাস হয়েছে, যাতে আদালতের আদেশ ছাড়াই ‘অবৈধ ফুড সাপ্লিমেন্ট বা খাদ্য পরিপূরক বিক্রি করা ওয়েবসাইট’ বন্ধ করা যায়। কিন্তু বিক্রেতারা এখন এসব পণ্যকে ‘স্পোর্টস নিউট্রিশন’ হিসেবে দেখিয়ে বিক্রি করছে।
টিকটকে এখনো এমন বিক্রেতা, যারা ‘মলিকিউল’ বিক্রি করছে। তবে নাম ভিন্ন—কখনো তা ‘মিউসলি’, ‘বিস্কুট’ বা ‘লাইটবাল্ব।’ কিছু বিক্রেতা তো আবার গোপনীয়তার ধারই ধারছেন না। কয়েক সপ্তাহ আগে বিবিসি এক জনপ্রিয় রুশ অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ‘মলিকিউল’-এর তালিকা খুঁজে পায়। জানতে চাইলে সংস্থাটি জানায়, তারা দ্রুত সিবিউট্রামিনযুক্ত সব পণ্য সরিয়ে ফেলেছে। তবে তারা স্বীকার করেছে, যেসব তালিকায় স্পষ্টভাবে ‘সিবিউট্রামিন’ লেখা নেই, সেগুলো শনাক্ত করা কঠিন।
যদি কেউ কোনোভাবে ‘মলিকিউল’ কিনতে সক্ষম হয়, তবুও বোঝা মুশকিল আসলে কী পাওয়া যাচ্ছে—আর এই পিল কোথায় তৈরি হচ্ছে, তা-ও অনিশ্চিত। বিবিসি কিছু বিক্রেতার কাছে এমন সনদপত্র পেয়েছে, যাতে লেখা আছে চীনের গুয়াংজু ও হেনান প্রদেশের কারখানায় উৎপাদিত। আবার কেউ কেউ দাবি করে, পণ্যটি জার্মানি থেকে আনা।
কিছু প্যাকেটে লেখা থাকে, এটি জার্মানির রেমাগেন শহরে তৈরি। কিন্তু বিবিসি খোঁজ নিয়ে জানতে পারে, ওই ঠিকানায় এমন কোনো কোম্পানি নেই। আর কাজাখস্তানের কয়েকজন বিক্রেতা যারা রাশিয়ায় ‘মলিকিউল’ পাঠায়, তারা বিবিসিকে জানিয়েছে, তারা পণ্যটি বন্ধুদের কাছ থেকে বা রাজধানী আস্তানার কিছু গুদাম থেকে সংগ্রহ করে থাকে, কিন্তু মূল সরবরাহকারীর নাম জানে না।
এদিকে, অনলাইনে ইটিং ডিসঅর্ডার বা খাওয়ার ব্যাধি সংক্রান্ত অনেক কমিউনিটি এখন ‘মলিকিউল’ নামের ওষুধটি প্রচারের জায়গা হয়ে উঠেছে। ব্যবহারকারীরা হ্যাশট্যাগ আর নানা গোপন শব্দ ব্যবহার করে প্ল্যাটফর্মগুলোর নজরদারি এড়িয়ে যাচ্ছে। সোলোভিয়েভা বলেন, যেসব তরুণ-তরুণী আগে থেকেই ইটিং ডিসঅর্ডারে ভুগছে, তাদের জন্য মলিকিউল অত্যন্ত ক্ষতিকর। যারা পুনরায় অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকিতে আছে, তাদের হাতে সহজলভ্য এই ক্ষুধা দমনকারী ওষুধ ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনতে পারে।

রুশ সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার আন্না এনিনা নিজেও অতীতে অননুমোদিত ওজন কমানোর ওষুধ ব্যবহার করেছেন। তবে তিনি প্রকাশ্যে তাঁর অনুসারীদের সতর্ক করে বলেন, ‘আমি নিজে ইটিং ডিসঅর্ডারে ভুগেছি…এর পরিণতি ভয়াবহ হবে। তোমরা এর জন্য দশগুণ অনুতপ্ত হবে।’
মারিয়া সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছেন। অতিরিক্ত মলিকিউল খাওয়ার পর তিনি মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শিকার হন এবং হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। এখন তিনি বিভিন্ন ওজন কমানোর ফোরামে তরুণী ও মেয়েদের এই বড়ি না খেতে পরামর্শ দেন। এমনকি এক কিশোরীর বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদেরও সতর্ক করেছেন।
তবু মলিকিউল অনলাইনে এখনো জনপ্রিয়। আর মারিয়ার টিকটক ফিডে যখনই নতুন কোনো ভিডিও ভেসে ওঠে, তখন সেটি তাঁকে মনে করিয়ে দেয়—সেই পিলগুলোর কথা, যেগুলো তাঁকে অসুস্থ করে দিয়েছিল।

অস্ত্রোপচার, সংক্রমণ, আঘাতের কারণে ত্বকে দাগ হতে পারে। কিছু দাগ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মুছে যায় বা বিবর্ণ হয়। কিন্তু গভীর ক্ষতস্থানে দাগ সাধারণত স্থায়ী হয়। ত্বকের টিস্যু ক্ষত সারাতে পারলেও দাগ কেন দূর করতে পারে না?
২৭ জুলাই ২০২৪
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ দিন আগে
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৬২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ রোববার (২ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে
সময়স্বল্পতার কারণে অনেকে সকালের নাশতা খাওয়া বাদ দিয়ে দেন। সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যাওয়া, নির্দিষ্ট সময়ে অফিস কিংবা স্কুল-কলেজে পৌঁছানোর তাড়া ইত্যাদি কারণে নাশতা আর খাওয়া হয়ে ওঠে না। ক্ষুধা না থাকা, ব্যস্ত সময়সূচি কিংবা ওজন কমানোর কথা ভেবেও অনেক সময় সকালে নাশতা খাওয়া থেকে বিরত থাকেন অনেকে।
৪ দিন আগেফিচার ডেস্ক

সময়স্বল্পতার কারণে অনেকে সকালের নাশতা খাওয়া বাদ দিয়ে দেন। সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যাওয়া, নির্দিষ্ট সময়ে অফিস কিংবা স্কুল-কলেজে পৌঁছানোর তাড়া ইত্যাদি কারণে নাশতা আর খাওয়া হয়ে ওঠে না। ক্ষুধা না থাকা, ব্যস্ত সময়সূচি কিংবা ওজন কমানোর কথা ভেবেও অনেক সময় সকালে নাশতা খাওয়া থেকে বিরত থাকেন অনেকে। কিন্তু যে কারণেই হোক না কেন, এর ফলে পুষ্টির ঘাটতি, পেটের আলসার এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়তে পারে।
পুষ্টিবিদ ইতি খন্দকার পরামর্শ দিয়েছেন, ‘নাশতা অবশ্যই সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে শেষ করতে হবে। নাশতায় ওটস, ডিম ও সবজি দিয়ে খিচুড়ি করে খেতে পারেন কিংবা লাল আটার মাঝারি আকারের দুটি রুটি, এক বাটি কম মসলাযুক্ত সেদ্ধ সবজি এবং একটি ডিম রাখতে পারেন। ১০-১৫ মিনিট পর পুদিনাপাতা, লেবুর রস ও টক দই মেশানো এক বাটি খোসাসহ শসার সালাদ খাবেন।
নাশতা না করার স্বাস্থ্যঝুঁকিগুলো
ক্লান্তি: সকালে খাওয়া নাশতা মস্তিষ্ক এবং শরীরের সঠিক ক্রিয়াকলাপের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও শক্তি সরবরাহ করে। তাই নাশতা বাদ দিলে বিপাকপ্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। ফলে ক্লান্তি, অমনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি দুর্বল হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
স্থূলতা: অনেকের ধারণা, সকালে নাশতা না খাওয়া ওজন কমাতে সাহায্য করে। অথচ তা একেবারেই সঠিক নয়। নাশতা বাদ দিলে প্রায়ই ক্ষুধা বেড়ে যায়। ফলে দুপুর বা রাতে বেশি খাওয়া হয়। এ ছাড়া নাশতা না করার কারণে শরীরের পুষ্টির ঘাটতি পূরণের জন্য অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ করা হতে পারে। তবে বিষয়টি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হয়তো ওজনও বাড়বে। ইতি খন্দকার পরামর্শ দেন, ট্রান্সফ্যাট, ফার্স্ট ফুড, কোল্ড ড্রিংকস, চিনি, মিষ্টিজাতীয় খাবার ইত্যাদি খাওয়া বাদ দিতে হবে। পাশাপাশি দৈনিক পরিমাণমতো পানি পান করতে হবে।
দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি: সকালে খাওয়া নাশতা বিপাকপ্রক্রিয়া শুরু করতে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। তবে এটি বাদ দিলে অস্থায়ীভাবে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়, যা ভারসাম্য পুনরুদ্ধারের জন্য শরীর হরমোন মুক্ত করতে প্ররোচিত করে। রক্তে শর্করার মাত্রার এই ওঠানামা ইনসুলিন প্রতিরোধক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, যা টাইপ-২ ডায়াবেটিসের প্রধান ঝুঁকির কারণ। এ ছাড়া সকালের নাশতা বাদ দেওয়া, না খেয়ে থাকার সময়কাল দীর্ঘায়িত করে। এতে প্রদাহ সৃষ্টিকারী উপাদান সাইটোকাইনস অতিরিক্ত নিঃসরণ হতে পারে। ফলে দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
পাকস্থলী ও ডিওডেনাল আলসার:
খাবার বাদ দেওয়া হলে পাকস্থলী অ্যাসিড তৈরি করার কাজ চালিয়ে যায়। কিন্তু তা প্রশমিত করার জন্য কোনো খাদ্য থাকে না। এতে পাকস্থলীর আস্তরণের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। ফলে দীর্ঘ মেয়াদে পাকস্থলী এবং ডিওডেনাল আলসার হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সকালের নাশতা বাদ দেওয়া ইসোফেগাস (খাদ্যনালি), পাকস্থলী, কোলন, যকৃৎ, পিত্তনালিসহ গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধির সঙ্গেও যুক্ত।
পিত্তথলিতে পাথর: খাবার খাওয়ার ফলে পিত্তথলি হজমের জন্য অন্ত্রে পিত্ত নিঃসরণ করে। দীর্ঘ সময়ের জন্য খাবার বাদ দিলে পিত্তথলির নিয়মিত সংকোচন বাধাগ্রস্ত হয়। এর ফলে পিত্ত জমাট বাঁধে। আর এই জমাট বাঁধার কারণে কোলেস্টেরল ও পিত্ত লবণ স্ফটিকের আকার ধারণ করে, যা পিত্তথলিতে পাথর তৈরি করে। এ ছাড়া খাবার বাদ দেওয়ায় কারণে অন্ত্রের কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে এবং মলের মাধ্যমে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল অপসারণকে ধীর করে দেয়। এ ছাড়া পিত্তথলিতে পাথর গঠনের ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি অবদান রাখে।
সকালবেলার নাশতায় অবশ্যই চার ধরনের খাবারের উপস্থিতি থাকা জরুরি। এগুলো হলো, প্রোটিনের মধ্যে ডিম, দুধ, চর্বিহীন মাংস ও শিম। জটিল কার্বোহাইড্রেটের মধ্যে ওটস, লাল চাল, বাকহুইট, লাল আটার রুটি, মিষ্টিআলু এবং ভুট্টা। স্বাস্থ্যকর চর্বির মধ্যে বাদাম, অ্যাভোকাডো ও জলপাই তেল এবং ফল ও সবজি।

সময়স্বল্পতার কারণে অনেকে সকালের নাশতা খাওয়া বাদ দিয়ে দেন। সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যাওয়া, নির্দিষ্ট সময়ে অফিস কিংবা স্কুল-কলেজে পৌঁছানোর তাড়া ইত্যাদি কারণে নাশতা আর খাওয়া হয়ে ওঠে না। ক্ষুধা না থাকা, ব্যস্ত সময়সূচি কিংবা ওজন কমানোর কথা ভেবেও অনেক সময় সকালে নাশতা খাওয়া থেকে বিরত থাকেন অনেকে। কিন্তু যে কারণেই হোক না কেন, এর ফলে পুষ্টির ঘাটতি, পেটের আলসার এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়তে পারে।
পুষ্টিবিদ ইতি খন্দকার পরামর্শ দিয়েছেন, ‘নাশতা অবশ্যই সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে শেষ করতে হবে। নাশতায় ওটস, ডিম ও সবজি দিয়ে খিচুড়ি করে খেতে পারেন কিংবা লাল আটার মাঝারি আকারের দুটি রুটি, এক বাটি কম মসলাযুক্ত সেদ্ধ সবজি এবং একটি ডিম রাখতে পারেন। ১০-১৫ মিনিট পর পুদিনাপাতা, লেবুর রস ও টক দই মেশানো এক বাটি খোসাসহ শসার সালাদ খাবেন।
নাশতা না করার স্বাস্থ্যঝুঁকিগুলো
ক্লান্তি: সকালে খাওয়া নাশতা মস্তিষ্ক এবং শরীরের সঠিক ক্রিয়াকলাপের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও শক্তি সরবরাহ করে। তাই নাশতা বাদ দিলে বিপাকপ্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। ফলে ক্লান্তি, অমনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি দুর্বল হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
স্থূলতা: অনেকের ধারণা, সকালে নাশতা না খাওয়া ওজন কমাতে সাহায্য করে। অথচ তা একেবারেই সঠিক নয়। নাশতা বাদ দিলে প্রায়ই ক্ষুধা বেড়ে যায়। ফলে দুপুর বা রাতে বেশি খাওয়া হয়। এ ছাড়া নাশতা না করার কারণে শরীরের পুষ্টির ঘাটতি পূরণের জন্য অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণ করা হতে পারে। তবে বিষয়টি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হয়তো ওজনও বাড়বে। ইতি খন্দকার পরামর্শ দেন, ট্রান্সফ্যাট, ফার্স্ট ফুড, কোল্ড ড্রিংকস, চিনি, মিষ্টিজাতীয় খাবার ইত্যাদি খাওয়া বাদ দিতে হবে। পাশাপাশি দৈনিক পরিমাণমতো পানি পান করতে হবে।
দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি: সকালে খাওয়া নাশতা বিপাকপ্রক্রিয়া শুরু করতে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। তবে এটি বাদ দিলে অস্থায়ীভাবে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়, যা ভারসাম্য পুনরুদ্ধারের জন্য শরীর হরমোন মুক্ত করতে প্ররোচিত করে। রক্তে শর্করার মাত্রার এই ওঠানামা ইনসুলিন প্রতিরোধক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, যা টাইপ-২ ডায়াবেটিসের প্রধান ঝুঁকির কারণ। এ ছাড়া সকালের নাশতা বাদ দেওয়া, না খেয়ে থাকার সময়কাল দীর্ঘায়িত করে। এতে প্রদাহ সৃষ্টিকারী উপাদান সাইটোকাইনস অতিরিক্ত নিঃসরণ হতে পারে। ফলে দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
পাকস্থলী ও ডিওডেনাল আলসার:
খাবার বাদ দেওয়া হলে পাকস্থলী অ্যাসিড তৈরি করার কাজ চালিয়ে যায়। কিন্তু তা প্রশমিত করার জন্য কোনো খাদ্য থাকে না। এতে পাকস্থলীর আস্তরণের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। ফলে দীর্ঘ মেয়াদে পাকস্থলী এবং ডিওডেনাল আলসার হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সকালের নাশতা বাদ দেওয়া ইসোফেগাস (খাদ্যনালি), পাকস্থলী, কোলন, যকৃৎ, পিত্তনালিসহ গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধির সঙ্গেও যুক্ত।
পিত্তথলিতে পাথর: খাবার খাওয়ার ফলে পিত্তথলি হজমের জন্য অন্ত্রে পিত্ত নিঃসরণ করে। দীর্ঘ সময়ের জন্য খাবার বাদ দিলে পিত্তথলির নিয়মিত সংকোচন বাধাগ্রস্ত হয়। এর ফলে পিত্ত জমাট বাঁধে। আর এই জমাট বাঁধার কারণে কোলেস্টেরল ও পিত্ত লবণ স্ফটিকের আকার ধারণ করে, যা পিত্তথলিতে পাথর তৈরি করে। এ ছাড়া খাবার বাদ দেওয়ায় কারণে অন্ত্রের কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে এবং মলের মাধ্যমে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল অপসারণকে ধীর করে দেয়। এ ছাড়া পিত্তথলিতে পাথর গঠনের ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি অবদান রাখে।
সকালবেলার নাশতায় অবশ্যই চার ধরনের খাবারের উপস্থিতি থাকা জরুরি। এগুলো হলো, প্রোটিনের মধ্যে ডিম, দুধ, চর্বিহীন মাংস ও শিম। জটিল কার্বোহাইড্রেটের মধ্যে ওটস, লাল চাল, বাকহুইট, লাল আটার রুটি, মিষ্টিআলু এবং ভুট্টা। স্বাস্থ্যকর চর্বির মধ্যে বাদাম, অ্যাভোকাডো ও জলপাই তেল এবং ফল ও সবজি।

অস্ত্রোপচার, সংক্রমণ, আঘাতের কারণে ত্বকে দাগ হতে পারে। কিছু দাগ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মুছে যায় বা বিবর্ণ হয়। কিন্তু গভীর ক্ষতস্থানে দাগ সাধারণত স্থায়ী হয়। ত্বকের টিস্যু ক্ষত সারাতে পারলেও দাগ কেন দূর করতে পারে না?
২৭ জুলাই ২০২৪
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৪৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ দিন আগে
দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ১৬২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আজ রোববার (২ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে
রাশিয়ায় টিকটকে চলতি বছরের শুরুতে ভাইরাল হয় এক ধরনের ওজন কমানোর ওষুধ। ‘মলিকিউল’ নামে একটি পিল। তরুণদের ফিডে ভেসে উঠতে থাকে নানা ক্যাপশন—‘মলিকিউল খাও, খাবার ভুলে যাও, ওজন কমাও’, কিংবা ‘বড়সড় পোশাক পরে ক্লাসের পেছনের বেঞ্চে বসতে চাও?’
৩ দিন আগে