ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে অভিভাবকেরা স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন থাকেন। সোশ্যাল মিডিয়া বা ইন্টারনেটে প্রচারিত নানা তথ্য অভিভাবকদের এ উদ্বিগ্নতাকে আরও বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিভাবকদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে দেওয়ার মতোই এক তথ্য প্রচার হতে দেখা যায়। কিছু ছবি যুক্ত করে ছড়িয়ে পড়া তথ্যগুলোতে দাবি করা হয়, ‘বাজারে নতুন এক কেক এসেছে। লুপো নামের এক ওষুধ কোম্পানির কোনো ট্যাবলেট আছে এই কেকে। সেই কেক খেলে বাচ্চাদের প্যারালাইসিস হয়।’ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত পোস্টগুলোতে তথ্যগুলো ছড়িয়ে দেওয়ার অনুরোধ করতেও দেখা যায়।
পোস্টগুলোতে সংযুক্ত ছবিগুলো নিয়ে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চে ইরানের বেসরকারি সংবাদ সংস্থা ফারারুর ওয়েবসাইটে ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রকাশিত এক প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। এ থেকে জানা যায়, ওই সময় ইরানের হোর্মোজগন, সিস্তন ও বালুচেস্তন প্রদেশে কেকের মধ্যে ট্যাবলেট পাওয়ার অভিযোগ উঠে এবং এই ঘটনার বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। পরে কেকগুলো পরীক্ষার জন্য হোর্মোজগন ইউনিভার্সিটি অব মেডিকেল সায়েন্সেসে পাঠানো হয়।
ইরানের আরও বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম সূত্রেও দেশটিতে কেকের ভেতর ট্যাবলেট পাওয়ার এ ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে জানা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গে একই বছরের ১৬ ডিসেম্বর ‘ইরানের গোয়েন্দা সংস্থার নতুন উদ্বেগ: ট্যাবলেটযুক্ত কেক’ নামে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ওই সময় ইরানের দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি প্রদেশে কেকের ভেতর ট্যাবলেট খুঁজে পাওয়া যায়। ফলে বেশ কয়েকটি কেক ফ্যাক্টরিকে বাজার থেকে তাদের পণ্য তুলে নিতে বাধ্য করা হয়। এ ঘটনায় কোনো প্রাণহানি বা বিষক্রিয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে সে সময় গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন ইরানের তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাইদ নামকি।
অর্থাৎ বাজারে নতুন কেক এসেছে এবং তা খেয়ে শিশুদের পক্ষাঘাতগ্রস্ত হওয়ার দাবিতে প্রচারিত কেকের ছবিগুলো ইরানের ভিন্ন একটি ঘটনার।
লুপো নামের কোনো ওষুধ কোম্পানি আছে?
অনুসন্ধানে লুপো নামের কোনো ওষুধ কোম্পানির অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান স্নোপসে ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রে একটি ভিডিও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওতে দাবি করা হয়, তুরস্কে তৈরি ওই কেকের মধ্যে প্যারালাইসিস ঘটাতে পারে, এমন ট্যাবলেট ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানটি ভিডিওটি নিয়ে অনুসন্ধানে জানায়, ভিডিওটিতে দাবি করা তথ্যটি প্রমাণের জন্য কোনো নির্ভরযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি এবং দাবিটি মিথ্যা।
এই প্রতিবেদন থেকে লুপ্পো (Luppo) নামের একটি কোকোনাট ক্রিম বারের নাম পাওয়া যায়। পরে এই সূত্রে অনুসন্ধানে সোলেন (Solen) নামের স্ন্যাকস, উপহার ও শিশুপণ্য তৈরির একটি প্রতিষ্ঠান খুঁজে পাওয়া যায়। তুরস্কের স্বীকৃত ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান টেইতের সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে সোলেনের লুপ্পো ব্র্যান্ডের কেকে ট্যাবলেট পাওয়ার দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। টেইত জানায়, ওই ভিডিওটি স্ক্রিপ্টেড ছিল। মূলত কেকটি ছিদ্র করে তাতে ট্যাবলেট ঢুকিয়ে ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছিল। এ ছাড়া ওই কেকটি কেবল ইরাকেই রপ্তানি করা হয়। এসব বিশ্লেষণের পরিপ্রেক্ষিতে ধারণা করা যায়, আলোচিত দাবিটির সূত্রপাত এখান থেকেই হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের জনপ্রিয় কয়েকটি সুপারশপের ওয়েবসাইট ঘুরে এই কেকটি বাংলাদেশে পাওয়া যায়নি।
চিকিৎসাধীন শিশুর ছবিটি নিয়ে যা জানা যায়
দাবির চিকিৎসাধীন শিশুর ছবিটি রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে ছবিটির ব্যাপারে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। বরং ফেসবুকে বিভিন্ন দেশে একই দাবির সঙ্গে আলোচিত ছবিটি প্রচার হতে দেখা যায়। যেহেতু শিশুর ছবিটির সঙ্গে প্রচারিত কেকের ভেতর ট্যাবলেট পাওয়ার ঘটনাটির প্রেক্ষাপট ভিন্ন ও লুপো নামের কোনো ওষুধ কোম্পানি নেই। আবার তুরস্কের সোলেন কোম্পানির লুপ্পো ব্র্যান্ডের কেকে ট্যাবলেট পাওয়া যাওয়ার দাবিটি ভিত্তিহীনও। তাই দাবির সঙ্গে প্রচারিত চিকিৎসাধীন শিশুর ছবিটির কোনো প্রাসঙ্গিকতা নেই। অর্থাৎ পুরো দাবিটিই ভিত্তিহীন ও মিথ্যা।
সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে অভিভাবকেরা স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন থাকেন। সোশ্যাল মিডিয়া বা ইন্টারনেটে প্রচারিত নানা তথ্য অভিভাবকদের এ উদ্বিগ্নতাকে আরও বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিভাবকদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে দেওয়ার মতোই এক তথ্য প্রচার হতে দেখা যায়। কিছু ছবি যুক্ত করে ছড়িয়ে পড়া তথ্যগুলোতে দাবি করা হয়, ‘বাজারে নতুন এক কেক এসেছে। লুপো নামের এক ওষুধ কোম্পানির কোনো ট্যাবলেট আছে এই কেকে। সেই কেক খেলে বাচ্চাদের প্যারালাইসিস হয়।’ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত পোস্টগুলোতে তথ্যগুলো ছড়িয়ে দেওয়ার অনুরোধ করতেও দেখা যায়।
পোস্টগুলোতে সংযুক্ত ছবিগুলো নিয়ে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চে ইরানের বেসরকারি সংবাদ সংস্থা ফারারুর ওয়েবসাইটে ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রকাশিত এক প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। এ থেকে জানা যায়, ওই সময় ইরানের হোর্মোজগন, সিস্তন ও বালুচেস্তন প্রদেশে কেকের মধ্যে ট্যাবলেট পাওয়ার অভিযোগ উঠে এবং এই ঘটনার বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। পরে কেকগুলো পরীক্ষার জন্য হোর্মোজগন ইউনিভার্সিটি অব মেডিকেল সায়েন্সেসে পাঠানো হয়।
ইরানের আরও বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম সূত্রেও দেশটিতে কেকের ভেতর ট্যাবলেট পাওয়ার এ ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে জানা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গে একই বছরের ১৬ ডিসেম্বর ‘ইরানের গোয়েন্দা সংস্থার নতুন উদ্বেগ: ট্যাবলেটযুক্ত কেক’ নামে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ওই সময় ইরানের দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি প্রদেশে কেকের ভেতর ট্যাবলেট খুঁজে পাওয়া যায়। ফলে বেশ কয়েকটি কেক ফ্যাক্টরিকে বাজার থেকে তাদের পণ্য তুলে নিতে বাধ্য করা হয়। এ ঘটনায় কোনো প্রাণহানি বা বিষক্রিয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে সে সময় গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন ইরানের তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাইদ নামকি।
অর্থাৎ বাজারে নতুন কেক এসেছে এবং তা খেয়ে শিশুদের পক্ষাঘাতগ্রস্ত হওয়ার দাবিতে প্রচারিত কেকের ছবিগুলো ইরানের ভিন্ন একটি ঘটনার।
লুপো নামের কোনো ওষুধ কোম্পানি আছে?
অনুসন্ধানে লুপো নামের কোনো ওষুধ কোম্পানির অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান স্নোপসে ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রে একটি ভিডিও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওতে দাবি করা হয়, তুরস্কে তৈরি ওই কেকের মধ্যে প্যারালাইসিস ঘটাতে পারে, এমন ট্যাবলেট ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানটি ভিডিওটি নিয়ে অনুসন্ধানে জানায়, ভিডিওটিতে দাবি করা তথ্যটি প্রমাণের জন্য কোনো নির্ভরযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি এবং দাবিটি মিথ্যা।
এই প্রতিবেদন থেকে লুপ্পো (Luppo) নামের একটি কোকোনাট ক্রিম বারের নাম পাওয়া যায়। পরে এই সূত্রে অনুসন্ধানে সোলেন (Solen) নামের স্ন্যাকস, উপহার ও শিশুপণ্য তৈরির একটি প্রতিষ্ঠান খুঁজে পাওয়া যায়। তুরস্কের স্বীকৃত ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান টেইতের সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে সোলেনের লুপ্পো ব্র্যান্ডের কেকে ট্যাবলেট পাওয়ার দাবিতে একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। টেইত জানায়, ওই ভিডিওটি স্ক্রিপ্টেড ছিল। মূলত কেকটি ছিদ্র করে তাতে ট্যাবলেট ঢুকিয়ে ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছিল। এ ছাড়া ওই কেকটি কেবল ইরাকেই রপ্তানি করা হয়। এসব বিশ্লেষণের পরিপ্রেক্ষিতে ধারণা করা যায়, আলোচিত দাবিটির সূত্রপাত এখান থেকেই হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের জনপ্রিয় কয়েকটি সুপারশপের ওয়েবসাইট ঘুরে এই কেকটি বাংলাদেশে পাওয়া যায়নি।
চিকিৎসাধীন শিশুর ছবিটি নিয়ে যা জানা যায়
দাবির চিকিৎসাধীন শিশুর ছবিটি রিভার্স ইমেজ অনুসন্ধানে ছবিটির ব্যাপারে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। বরং ফেসবুকে বিভিন্ন দেশে একই দাবির সঙ্গে আলোচিত ছবিটি প্রচার হতে দেখা যায়। যেহেতু শিশুর ছবিটির সঙ্গে প্রচারিত কেকের ভেতর ট্যাবলেট পাওয়ার ঘটনাটির প্রেক্ষাপট ভিন্ন ও লুপো নামের কোনো ওষুধ কোম্পানি নেই। আবার তুরস্কের সোলেন কোম্পানির লুপ্পো ব্র্যান্ডের কেকে ট্যাবলেট পাওয়া যাওয়ার দাবিটি ভিত্তিহীনও। তাই দাবির সঙ্গে প্রচারিত চিকিৎসাধীন শিশুর ছবিটির কোনো প্রাসঙ্গিকতা নেই। অর্থাৎ পুরো দাবিটিই ভিত্তিহীন ও মিথ্যা।
ভিডিওতে আধাপাকা ঘরের ভেতরে একজন বয়স্ক ব্যক্তির গলায় জুতার মালা ঝুলতে দেখা যায়। সেই ব্যক্তির পরনে জুব্বা ও মাথায় টুপি। মুখে পাকা দাড়ি। পাশেই আরেকজন সাদা পাঞ্জাবি-লুঙ্গি পরা মাঝ বয়সী ব্যক্তিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। ভিডিওটির শেষ দিকে গ্রাম পুলিশের শার্ট সদৃশ জামা ও লুঙ্গি পরে এক ব্যক্তিকে জুতার...
৬ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জেলের ভেতরে সেনাবাহিনীর একজন মেজরের যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন—এই দাবিতে দেশটির ইংরেজি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের নামে পেপার কাটিংয়ের একটি স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। সেটি একই ক্যাপশনে বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ এবং এক্স অ্যাকাউটেও পোস্ট করা হয়েছে
১ দিন আগেঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক গণকণ্ঠের ফেসবুক পেজে গতকাল শুক্রবার (২ মে) রাত ৯টায় প্রকাশিত ভিডিওটি সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে এরা কারা; কিভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।’
১ দিন আগেএক ব্যক্তি ঘরের মধ্যে এক নারীকে ঝাড়ু দিয়ে পেটাচ্ছে—এমন একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি একই ক্যাপশনে বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজে পোস্ট করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, একটি পাকা ঘরের মধ্যে নারীকে ঝাড়ু দিয়ে সজোরে আঘাত করছেন এক লোক। আর ওই নারী ব্যথার চোটে মেঝেতে বসে পড়েছেন।
২ দিন আগে