Ajker Patrika

ধর্মঘটে অচল বেনাপোল বন্দর

বেনাপোল প্রতিনিধি
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২১, ১৩: ৪৭
ধর্মঘটে অচল বেনাপোল বন্দর

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির ডাকা ধর্মঘটের টানা চার দিন ধরে অচলাবস্থার মধ্যে পড়েছে দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বেনাপোলের বাণিজ্যিক কার্যক্রম। বন্দরে আটকা পড়া আমদানি–রপ্তানি পণ্য বহন করতে না পারায় বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।

গতকাল সোমবার বন্দরের শ্রমিক ও ট্রাকচালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকায় অসহায় উপার্জন বন্ধ রয়েছে বন্দরের এসব শ্রমিক ও ট্রাক চালকদের। সন্তোষজনক সমাধানের মধ্য দিয়ে দ্রুত এ ধর্মঘট প্রত্যাহার চেয়েছেন তাঁরা।

এ দিকে বাস মালিক সমিতির সঙ্গে সরকার পক্ষের আলোচনায় ধর্মঘট প্রত্যাহারে বেনাপোল বন্দরে আটকে পড়া ভারতফেরত যাত্রীরা গন্তব্যে ফিরতে শুরু করেছেন।

বেনাপোল বন্দর হ্যান্ডেলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ধর্মঘটে টানা চার দিন ধরে বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালাস ও লোড দেওয়ার কাজ বন্ধ রয়েছে। এতে ব্যবসায়ীরা যেমন লোকসানে পড়েছেন তেমনি দিন আনা দিন খাওয়া বন্দর শ্রমিকেরাও কাজ হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন।’

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, ‘দেশের ১২টি স্থলবন্দর দিয়ে যে পরিমাণ পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয় যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়াতে তার ৭০ শতাংশ হয়ে থাকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে। টানা ধর্মঘটে বন্দর থেকে পণ্য খালাস নিতে না পারায় বাণিজ্যে অচলাবস্থা নেমে এসেছে।’

তিনি বলেন, ‘পচনশীল আমদানি ও রপ্তানি পণ্য নিয়ে বিপাকে পড়েছেন অনেকে আমদানিকারক। দ্রুত ধর্মঘট প্রত্যাহার না হলে বড় ধরনের খেসারত গুনতে হবে তাঁদের। কেবল ব্যবসায়ীদের না পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকায় সরকারও বড় অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে।’

বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক বলেন, ‘চার দিন ধর্মঘটের কারণে বেনাপোল বন্দরে প্রায় ভারতীয় ৭০০ ট্রাক পণ্য খালাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে। এ সব ট্রাকপ্রতি প্রতিদিন আমদানি কারককে ২ হাজার টাকা অতিরিক্ত ট্রাক ভাড়া গুনতে হচ্ছে। এ ছাড়া রপ্তানি পণ্যও আসতে পারছে না বন্দরে।’

বেনাপোল বন্দরে আমদানি পণ্য নিয়ে আসা ট্রাক চালক নাসির হোসেন বলেন, ‘ধর্মঘটের কবলে পড়ে আমি চার দিন বন্দরে আটকে আছি। বন্দর থেকে কোনো পণ্য পরিবহন করতে নিষেধ করেছেন মালিকেরা। তবে তাঁরা কোনো খরচ না পাঠানোয় দুর্ভোগের মধ্যে আছি।’

বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (প্রশাসন) আব্দুল জলিল বলেন, ‘ধর্মঘটের কারণে ব্যবসায়ীরা বন্দর থেকে পণ্য খালাস নিতে পারছেন না। তবে এ পথে ভারত থেকে পণ্য নিয়ে ট্রাকচালকেরা বন্দরে আসছেন। আমদানিকারকেরা পণ্য খালাস করতে বন্দর কর্তৃপক্ষ সব সময় প্রস্তুত রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আলাস্কা বৈঠকে পুতিনের দেহরক্ষীর হাতে ‘মলমূত্রবাহী স্যুটকেস’ কেন

সিলেটের ডিসি হলেন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে শাস্তি পাওয়া সারওয়ার আলম

শেখ মুজিবকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ছাত্রদল নেতার পোস্ট, শোকজ পেয়ে নিলেন অব্যাহতি

অপারেশন সিঁদুরে নিহত প্রায় দেড় শ সেনার তালিকা প্রকাশ করে মুছে ফেলল পাকিস্তানি টিভি

আমরা দখল করি লঞ্চঘাট-বাসস্ট্যান্ড, জামায়াত করে বিশ্ববিদ্যালয়: আলতাফ হোসেন চৌধুরী

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত