কর্নেল আবু তাহের
তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন মেধাবী সেনা অফিসার ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রথম দিকে তিনি পশ্চিম পাকিস্তানে আটকা পড়েছিলেন। তিনিসহ কয়েকজন বাঙালি সেনা অফিসার সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ১১ নম্বর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন তিনি। যুদ্ধের সময় সম্মুখ সমরে আহত হয়ে একটি পা হারান। তাঁর সব ভাইবোন ১১ নম্বর সেক্টরে যৌথভাবে যুদ্ধ করেছেন। তাই সে সময় ভাই-বোনদের দলটিকে ‘ব্রাদার্স প্লাটুন’ বলে ডাকা হতো।
১৯৬১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন এবং ১৯৬২ সালে কমিশনপ্রাপ্ত হন। পেশাজীবনে তিনি দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন। তাই ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কৃতিত্বের জন্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একমাত্র বাঙালি অফিসার হিসেবে তিনি ‘মেরুন প্যারাস্যুট উইং’ সম্মানে ভূষিত হন। ১৯৬৯ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে স্পেশাল কমান্ডো প্রশিক্ষণ নেন।
মুক্তিযুদ্ধের পরে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে কর্মরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্ব প্রদর্শনের জন্য ‘বীর উত্তম’ খেতাবে ভূষিত হন।
সেনাবাহিনীকে তিনি প্রকৃত দেশপ্রেমিক শক্তি হিসেবে দাঁড় করাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এ জায়গায় তিনি ব্যর্থ হন। তাই ১৯৭২ সালে এখান থেকে তিনি পদত্যাগ করেন। এরপর সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের স্বপ্ন নিয়ে জাসদের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থান ও পাল্টা অভ্যুত্থানের ঘটনার সময় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২৪ নভেম্বর তিনি গ্রেপ্তার হন। কারাগারে আটক থাকা অবস্থায় সামরিক ট্রাইব্যুনালের বিচারে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ১৯৭৬ সালের ২১ জুলাই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
তিনি ভারতের আসামের বদরপুরে ১৯৩৮ সালের ১৪ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন।
তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন মেধাবী সেনা অফিসার ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রথম দিকে তিনি পশ্চিম পাকিস্তানে আটকা পড়েছিলেন। তিনিসহ কয়েকজন বাঙালি সেনা অফিসার সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ১১ নম্বর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন তিনি। যুদ্ধের সময় সম্মুখ সমরে আহত হয়ে একটি পা হারান। তাঁর সব ভাইবোন ১১ নম্বর সেক্টরে যৌথভাবে যুদ্ধ করেছেন। তাই সে সময় ভাই-বোনদের দলটিকে ‘ব্রাদার্স প্লাটুন’ বলে ডাকা হতো।
১৯৬১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন এবং ১৯৬২ সালে কমিশনপ্রাপ্ত হন। পেশাজীবনে তিনি দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন। তাই ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কৃতিত্বের জন্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একমাত্র বাঙালি অফিসার হিসেবে তিনি ‘মেরুন প্যারাস্যুট উইং’ সম্মানে ভূষিত হন। ১৯৬৯ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে স্পেশাল কমান্ডো প্রশিক্ষণ নেন।
মুক্তিযুদ্ধের পরে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে কর্মরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্ব প্রদর্শনের জন্য ‘বীর উত্তম’ খেতাবে ভূষিত হন।
সেনাবাহিনীকে তিনি প্রকৃত দেশপ্রেমিক শক্তি হিসেবে দাঁড় করাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এ জায়গায় তিনি ব্যর্থ হন। তাই ১৯৭২ সালে এখান থেকে তিনি পদত্যাগ করেন। এরপর সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের স্বপ্ন নিয়ে জাসদের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থান ও পাল্টা অভ্যুত্থানের ঘটনার সময় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২৪ নভেম্বর তিনি গ্রেপ্তার হন। কারাগারে আটক থাকা অবস্থায় সামরিক ট্রাইব্যুনালের বিচারে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ১৯৭৬ সালের ২১ জুলাই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
তিনি ভারতের আসামের বদরপুরে ১৯৩৮ সালের ১৪ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৩ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৩ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৩ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫