Ajker Patrika

হাসি ফুটেছে ফুলচাষিদের

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২: ১৫
হাসি ফুটেছে ফুলচাষিদের

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশেই একটি গ্রাম বরইতলী। পাহাড় ছাপিয়ে দেখা মেলে গ্রামটির সারি সারি গোলাপ বাগান। এই গোলাপ ফুলের আধিপত্যে জনমুখে গ্রামের নাম পরিবর্তিত হয়ে ‘বরইতলী গোলাপ গ্রাম’ হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছে। করোনা কাটিয়ে এবার এখানকার ফুলচাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে।

পয়লা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ফুলের আশানুরূপ দাম পেয়েছেন কৃষকেরা। একই সঙ্গে ২১ ফেব্রুয়ারিতে বড় পরিসরে ফুল বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছেন ফুলচাষিরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই এলাকার অধিকাংশ মানুষের জীবিকার প্রধান উৎস ফুল। এখানে গোলাপ ফুলের পাশাপাশি গ্ল্যাডিওলাস, জারবেরা, গাঁদা ফুলের চাষও হয়। দীর্ঘ দুই দশক ধরে ঢাকাসহ সারা দেশে বরইতলীর ফুলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, বরইতলী ইউনিয়নের নতুন রাস্তার মাথা, নামারপাড়া, উপরপাড়া, খয়রাতিপাড়া, মাইজপাড়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় এসব জমিতে গোলাপের চাষ করা হয়। তবে করোনার সময় কিছুসংখ্যক ফুলচাষি লোকসানে পড়ে জমিতে অন্য ফসল চাষ করেছেন। করোনার পর বিয়ে, সামাজিক অনুষ্ঠানে ফুলের চাহিদা বাড়ায় আবার অনেকে ফুল চাষে ফিরে এসেছেন। নতুনভাবে আশার আলো দেখছেন।

চকরিয়া পৌর শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে বরইতলী গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাগানের হাজারো গাছে ফুটেছে গোলাপ। কয়েকজন নারী-পুরুষ গাছ থেকে গোলাপ কেটে ঝুড়িতে নিচ্ছেন। পাশে বাগানে কেউ কেউ পরিচর্যা করছেন। কেউ ফুলও তুলছিলেন। তা বান্ডিল করে খামারে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সেখান থেকে গাড়িতে করে সারা দেশে সরবরাহ করা হয়। বরইতলীর ছাড়া উপজেলার হারবাং ও সাহারবিলেও গোলাপের চাষ হয়।

ফুলচাষি আহসান উল্লাহ বলেন, ২ একর জমিতে গোলাপ এবং ১ একর জমিতে গ্লাডিওলাস চাষ করেছেন এবং বোরহান উদ্দিনও ৩৩ শতক জমিতে গ্লাডিওলাস এবং ১ একর ৪০ শতক জমিতে গোলাপের চাষ করেছেন। দুজনের বাগানেই ১৫ জন করে শ্রমিক কাজ করছেন। শ্রমিকদের বেশির ভাগই নারী। মজুরি কম হওয়ায় বাগানের কাজে নারী শ্রমিকদের চাহিদা বেশি।

আহসান উল্লাহ ও বোরহান উদ্দিন বলেন, প্রতি কানি জমি ২০-২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে বর্গা নিয়ে তাঁরা চাষ করেছেন। কলম দেওয়া গোলাপ একবার রোপণ করলে ৪-৫ বছর ফুল পাওয়া যায়। গ্লাডিওলাস চাষ করে তিন মাসের মধ্যেই ফুল বিক্রয় শেষ করতে হয়। তাঁদের মতে, ৪০ শতক জমিতে ফুল চাষ করতে ১ লাখ টাকা খরচা পড়ে। চাহিদা ও ন্যায্যমূল্য পাওয়া গেলে ভালো মুনাফা হয়।

বরইতলী গোলাপবাগান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে দুই বছর বন্ধ ছিল ফুল চাষ। তিন ভাগের এক ভাগ কৃষক চাষ ছেড়ে দিয়েছেন। ওই সময়টাতে আমরা বেশ ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। যার কারণে ফুল চাষ কমে গেছে। এখন মোটামুটি পরিস্থিতি ভালো রয়েছে।’

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এস এম নাসির হোসেন বলেন, চকরিয়ার সরকারি হিসাবে ১৮৫ হেক্টর জমিতে গোলাপ ও গ্লাডিওলাসের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ১২৫ হেক্টর জমিতে শুধু গোলাপ চাষ হয়। সরকারিভাবে ফুলচাষিদের সাহায্য করার কোনো সুযোগ নেই। তাই তাঁদের সে রকম সহযোগিতা দেওয়া যাচ্ছে না। শুধু ফুল চাষ নিয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ব্যাংকের চাকরি যায় জাল সনদে, একই নথি দিয়ে বাগালেন স্কুল সভাপতির পদ

৬৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ: ডেলটা গ্রুপের চেয়ারম্যান ফারুকসহ ১৫ জনের নামে মামলা

১ লাখ ৮২২ শিক্ষক নিয়োগ: যোগ্য প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা চলতি সপ্তাহে

‘মুসলিম ফ্রন্টগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করুন, ইন্টেরিম ভেঙে দিন’

‘বউ আমাকে মিথ্যা ভালোবাসত, টাকা না থাকলে ছেড়ে যাবে, তাই মরে গেলাম’

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত