Ajker Patrika

রুশ-মার্কিন দ্বন্দ্বের নেপথ্যে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১২: ১৬
রুশ-মার্কিন দ্বন্দ্বের নেপথ্যে

অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকলেও সামরিক, ভূরাজনৈতিক ও বিভিন্ন ধরনের কৌশলগত যোগাযোগের কারণে রাশিয়া বর্তমান দুনিয়ার অন্যতম বিশ্ব শক্তি। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে চলতি বছরের জুনে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সরাসরি বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ বৈঠকের পর গতকাল মঙ্গলবার ভিডিও কলে আলোচনায় বসেন তাঁরা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাঁদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি।

দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়সহ দেশ দুটির মধ্যে পররাষ্ট্রবিষয়ক বা আন্তর্জাতিক একাধিক বিষয়ে উল্লেখযোগ্য মতবিরোধ রয়েছে। বাইডেন-পুতিন বৈঠকে কী কী বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন, তার একটা সারমর্ম করেছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম নেটওয়ার্ক আল জাজিরা।

আল জাজিরার বিশ্লেষণ, ২০১৪ সালে পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেনের ক্রাইমিয়া দ্বীপ দখলে নেয় রাশিয়া। এরপর যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে। ন্যাটোর সদস্যপদ হারায় মস্কো। ইউক্রেনকে কেন্দ্র করে ব্লক দুটির সম্পর্ক সম্প্রতি আরও খারাপ হয়েছে। ইউক্রেন সীমান্তে মস্কো ইতিমধ্যে প্রায় ৯৪ হাজার সৈন্য সমাবেশ করেছে এবং আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যে নিজেরা আক্রান্ত হতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউক্রেন।

কিন্তু অঞ্চলটিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সাম্প্রতিক তৎপরতার জবাবে মস্কো এমনটি করছে বলে জানিয়েছেন রুশ কর্মকর্তারা। ইউক্রেন আক্রমণের বিষয়টি ভিত্তিহীন বলেও দাবি করেছেন তাঁরা। গতকালের বৈঠকে বাইডেন-পুতিনের মধ্যে এটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।

পূর্ব ইউরোপের আরেক দেশ বেলারুশ নিয়েও যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয়দের সঙ্গে মতবিরোধ রয়েছে রাশিয়ার। সম্প্রতি বেলারুশ-পোল্যান্ড সীমান্তে ভয়াবহ শরণার্থীসংকট দেখা দিয়েছে। ২০১৫-১৬ সালের পর শরণার্থী নিয়ে ইউরোপে এবারই সবচেয়ে বেশি উত্তেজনা দেখা গেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের অভিযোগ, বেলারুশের কট্টর ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো শরণার্থীদের ‘অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করছে। আর এ ক্ষেত্রে লুকাশেঙ্কোকে সহায়তা করছেন পুতিন।

তৃতীয় যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে মার্কিন ও রুশ প্রেসিডেন্টের মধ্যে আলোচনা হতে পারে সেটাও ইউরোপকেন্দ্রিক। বাল্টিক সাগরের তলদেশে পাইপলাইন টেনে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহের কাজ প্রায় শেষ করেছে রাশিয়া। ‘নর্ড স্ট্রিম ২’ নামের এ পাইপলাইন জার্মান নিয়ন্ত্রকদের অনুমতি পেলেই গ্যাস সরবরাহ শুরু হবে। কিন্তু এ পাইপলাইন নিয়ে রাশিয়া রাজনীতি করতে পারে, ইউক্রেনকে অস্থিতিশীল করতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে হোয়াইট হাউস।

এ তো গেল আন্তর্জাতিক বিষয়। এর বাইরে দুই দেশের মধ্যে সাইবার আক্রমণ, কূটনীতি সমস্যা, রুশ কারাগারে আটক মার্কিনিদের মুক্তি এবং সিরিয়া পরিস্থিতি নিয়েও বাইডেন-পুতিন আলোচনা করতে পারেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে আল জাজিরার বিশ্লেষণে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত