কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
পাটের রাজ্য বলে খ্যাত কিশোরগঞ্জ জেলা। প্রায় প্রতিটি উপজেলাতেই পাট চাষ হয়। এ বছরও ব্যতিক্রম হয়নি। তা ছাড়া এ বছর দামও ভালো পাচ্ছেন পাটচাষিরা।
তবে ভালো দামেও কৃষকদের মুখে হাসি নেই। তাঁদের অভিযোগ, বন্যার পূর্বাভাস ও পাট কেটে ফেলার পরামর্শ দেয়নি কৃষি বিভাগ। তাই বিঘাপ্রতি ১০ মণের জায়গায় উৎপাদন হয়েছে মাত্র চার মণ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ জেলায় ১৭ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। এর মধ্যে করিমগঞ্জ উপজেলায় ৬ হাজার ৭৬০ হেক্টর, কটিয়াদীতে ১ হাজার ৬২০ হেক্টর, নিকলীতে ২৮৫ হেক্টর, বাজিতপুরে ১ হাজার ১০০ হেক্টর ও তাড়াইল উপজেলায় ৭৪৮ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। এর মধ্যে দেশি জাতের পাট ১ হাজার ৪৯৫ হেক্টর, কেনাফ ৮ হাজার ৫৩০ হেক্টর, তোষা ৬ হাজার ৫৬০ হেক্টর ও মেস্তা ৬১৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। ইতিমধ্যে চাষিরা শতকরা ৯০ ভাগ জমির পাট কেটে ফেলেছেন।
করিমগঞ্জ উপজেলার গুণধর ইউনিয়নের বড়হাওর খয়রত গ্রামের পাটচাষি আবু নাইম বলেন, ‘প্রায় ৩০ বিঘা জমির মধ্যে ১০-১২ বিঘার পাট কেটে বিক্রি করেছি। বাকি ১৮-২০ বিঘার অর্ধেক নষ্ট হয়ে গেছে আর অর্ধেক কর্তন অযোগ্য ছিল। প্রতি বিঘায় উৎপাদন খরচ পড়ে ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা। পাট বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী ফসল হলেও সরকারের দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা বা প্রতিনিধি বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির চিত্র দেখে যাননি। কেনাফের উদ্ভাবনকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিজেআরআই-এর কোনো বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাও খোঁজ নেননি।’
সদর উপজেলার নীলগঞ্জ বাজারের পাইকারি পাট ব্যবসায়ী ইয়াছিন মিয়া জানান, বাজার দর ভালো। কৃষকেরা ভালো দাম পাচ্ছেন।
কটিয়াদী বাজারের পাট ব্যবসায়ী শ্যামল বণিক বলেন, ইতিমধ্যে ৯০০ মণ পাট ক্রয় করা হয়েছে। প্রতিদিন কৃষকের কাছ থেকে পাট ক্রয় করছেন। পাটের বাজার চড়া। বন্যা না হলে কৃষকেরা লাভবান হতেন।
পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আশরাফুল আলম বলেন, ‘কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে ব্যবস্থা নেবে। জনবল সংকটের কারণ আমরা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের তথ্য সংগ্রহ করতে পারিনি। চাষিদের পরামর্শ দিচ্ছি, ভালো মানের বীজ উৎপাদন করে ক্ষতি পুষিয়ে নিন।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুস সাত্তার বলেন, আলাদা করে পাটচাষিদের প্রণোদনা দেওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নেন এবং তাঁদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হয়। বাজারে পাটের দাম চড়া।
পাটের রাজ্য বলে খ্যাত কিশোরগঞ্জ জেলা। প্রায় প্রতিটি উপজেলাতেই পাট চাষ হয়। এ বছরও ব্যতিক্রম হয়নি। তা ছাড়া এ বছর দামও ভালো পাচ্ছেন পাটচাষিরা।
তবে ভালো দামেও কৃষকদের মুখে হাসি নেই। তাঁদের অভিযোগ, বন্যার পূর্বাভাস ও পাট কেটে ফেলার পরামর্শ দেয়নি কৃষি বিভাগ। তাই বিঘাপ্রতি ১০ মণের জায়গায় উৎপাদন হয়েছে মাত্র চার মণ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ জেলায় ১৭ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। এর মধ্যে করিমগঞ্জ উপজেলায় ৬ হাজার ৭৬০ হেক্টর, কটিয়াদীতে ১ হাজার ৬২০ হেক্টর, নিকলীতে ২৮৫ হেক্টর, বাজিতপুরে ১ হাজার ১০০ হেক্টর ও তাড়াইল উপজেলায় ৭৪৮ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। এর মধ্যে দেশি জাতের পাট ১ হাজার ৪৯৫ হেক্টর, কেনাফ ৮ হাজার ৫৩০ হেক্টর, তোষা ৬ হাজার ৫৬০ হেক্টর ও মেস্তা ৬১৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। ইতিমধ্যে চাষিরা শতকরা ৯০ ভাগ জমির পাট কেটে ফেলেছেন।
করিমগঞ্জ উপজেলার গুণধর ইউনিয়নের বড়হাওর খয়রত গ্রামের পাটচাষি আবু নাইম বলেন, ‘প্রায় ৩০ বিঘা জমির মধ্যে ১০-১২ বিঘার পাট কেটে বিক্রি করেছি। বাকি ১৮-২০ বিঘার অর্ধেক নষ্ট হয়ে গেছে আর অর্ধেক কর্তন অযোগ্য ছিল। প্রতি বিঘায় উৎপাদন খরচ পড়ে ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা। পাট বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী ফসল হলেও সরকারের দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা বা প্রতিনিধি বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির চিত্র দেখে যাননি। কেনাফের উদ্ভাবনকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিজেআরআই-এর কোনো বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাও খোঁজ নেননি।’
সদর উপজেলার নীলগঞ্জ বাজারের পাইকারি পাট ব্যবসায়ী ইয়াছিন মিয়া জানান, বাজার দর ভালো। কৃষকেরা ভালো দাম পাচ্ছেন।
কটিয়াদী বাজারের পাট ব্যবসায়ী শ্যামল বণিক বলেন, ইতিমধ্যে ৯০০ মণ পাট ক্রয় করা হয়েছে। প্রতিদিন কৃষকের কাছ থেকে পাট ক্রয় করছেন। পাটের বাজার চড়া। বন্যা না হলে কৃষকেরা লাভবান হতেন।
পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আশরাফুল আলম বলেন, ‘কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে ব্যবস্থা নেবে। জনবল সংকটের কারণ আমরা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের তথ্য সংগ্রহ করতে পারিনি। চাষিদের পরামর্শ দিচ্ছি, ভালো মানের বীজ উৎপাদন করে ক্ষতি পুষিয়ে নিন।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুস সাত্তার বলেন, আলাদা করে পাটচাষিদের প্রণোদনা দেওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নেন এবং তাঁদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হয়। বাজারে পাটের দাম চড়া।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪