Ajker Patrika

আরেকটি ছুটির ঘণ্টা থেকে রক্ষা

বরিশাল প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ মার্চ ২০২২, ১২: ২৪
আরেকটি ছুটির ঘণ্টা  থেকে রক্ষা

আর একটি ছুটির ঘণ্টার মতো ট্র্যাজেডি হতে যাচ্ছিল বরিশাল নগরীর একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ৮ নম্বর নওগা ইন্দ্রকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই শিশু শিক্ষার্থীকে আটকে রেখে স্কুল তালবদ্ধ করে বাড়ি চলে যান সেখানকার শিক্ষকেরা ও দপ্তরি। বাচ্চাদের চিৎকার ও কান্নাকাটির শব্দ পেয়ে আটকে রাখার প্রায় এক ঘণ্টা পর তাদের উদ্ধার করা হয়। ঘটনার শিকার ওই দুই শিক্ষার্থী হচ্ছে বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মারজান শিকদার ও মুনমুন আক্তার। বৃহস্পতিবার স্কুল পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার বিকেলে বরিশাল সিটি করপোরেশনের কুদঘাটা নামক স্থানে।

শিক্ষার্থী মারজান শিকদারের মা শিরিন আক্তার আখি জানান, বুধবার স্কুল ছুটির সময় বেলা সাড়ে ৩টার দিকে শিক্ষিকা মাকসুদা বেগম তাঁর ছেলে মারজান ও চতুর্থ শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী মুনমুনকে অঙ্ক করতে বলেন। একপর্যায়ে শিক্ষিকা মাকসুদা বেগম অঙ্ক করতে দিয়ে নিজেই বাড়ি চলে যান। আর শিশু শিক্ষার্থী দুজন নিজেদের মতো করে অঙ্ক কষতে থাকে। অন্যদিকে প্রধান শিক্ষিকাসহ সবাই চলে গেলে দপ্তরিও স্কুলের কলাপসিবল গেটে তালা মেরে দেন। প্রায় এক ঘণ্টা পর শিশুদের কান্নাকাটির শব্দ পেয়ে স্থানীয় একটি মেয়ে এগিয়ে আসে। তবে স্কুলের গেটে তালা থাকায় ভেতরে যেতে পারেনি। পরে মারজানের বাবার নম্বর নিয়ে তাকে ফোন করে। তাঁর মাধ্যমে মারজানের মা শিরিন আক্তার জানতে পেরে স্কুলে ছুটে আসেন।

শিরিন আক্তারের থেকে জানা যায়, পরে স্কুলের দপ্তরি গেট খুলে দিলে পুলিশ ও স্থানীয় জনতা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শিশু দুটিকে উদ্ধার করে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা তানিয়া সুলতানা বলেন, ঘটনাটি অতি সামান্য। ওই দুই শিক্ষার্থী খেলার ছলে ছিল। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি রোববারের মধ্যে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।

সহকারী শিক্ষিকা মাকসুদা বেগম এবং দপ্তরির সঙ্গে যোগােযাগ করা সম্ভব হয়নি। ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম বলেন, প্রধান শিক্ষিকা এসে সবার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।

বরিশাল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ মজুমদার সাংবাদিকদের জানান, স্কুলটির শিক্ষক কিংবা কর্মচারী কেউ যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করেননি। সরেজমিনে জানতে বৃহস্পতিবারই তিনি স্কুল পরিদর্শনে যান। সেই সঙ্গে থানা শিক্ষা অফিসারকে একটি তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশও দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত