জাকির উদ্দিন আহম্মেদ
করোনার কারণে গত দুই বছর আমরা ঘরবন্দী ঈদ উদ্যাপন করেছি। কিন্তু এবার আমরা কেউ নাড়ির টানে যাচ্ছি বাড়িতে, আবার কারও হয়তো পরিকল্পনা দেশের ভেতরে বা বাইরে কোথাও বেড়াতে যাওয়ার। এবার লম্বা ছুটি পেয়ে সবাই যার যার মতো করে ছুটি কাটানোর পরিকল্পনা করেছেন। অনেকেই হয়তো ভুলে যাবেন নিজ নিজ অফিস, বাসা, কলকারখানা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সুরক্ষার কথা। ঈদের ছুটিতে আমাদের অসচেতনতার কারণে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যাওয়াও অসম্ভব নয়। তবে আমরা যদি কিছুটা সচেতন হই তাহলে অনেকাংশে এই দুর্ঘটনা ও ক্ষয়ক্ষতি থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।
যেহেতুআমরা ঈদের ছুটি কাটাতে চাই নিশ্চিন্তে ও আনন্দে, সেহেতু আমাদের একটু সচেতন হতেই হবে। অফিস, বাসাবাড়ি, কলকারখানা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের চুরি বা অগ্নিদুর্ঘটনা এড়ানোর লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এবং প্রতিরোধের জন্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তার বিভিন্ন ডিভাইস স্থাপন করতে পারি। আমরা জানি না বিপদের সময় ওই সব ডিভাইস সঠিকভাবে কাজ করবে কি না। অথবা আমাদের অনুপস্থিতিতে ডিভাইসগুলো সম্পূর্ণ সচল থাকবে কি না।
সব ধরনের চিন্তাকে মুক্তি দিয়ে আসুন, আমরা জেনে নিই ঈদের ছুটি নিশ্চিত ও আনন্দদায়ক করতে হলে আমাদের কী কী করতে হবে। আপনার অফিস, বাসাবাড়ি, কলকারখানা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে সিসিটিভি ক্যামেরা ও ফায়ার অ্যালার্ম সিস্টেম স্থাপন করা হলে, ছুটিতে যাওয়ার আগে নিচের বিষয়গুলো পরীক্ষা করে নিতে হবে।
সিসিটিভি ক্যামেরার ক্ষেত্রে: প্রতিটি সিসিটিভি ক্যামেরা সচল আছে কি না, অথবা বৈদ্যুতিক মিটারের মেইন সুইচ বন্ধ করে দিলে প্রতিটি ক্যামেরা ও রেকর্ডার সচল থাকবে কি না।
রেকর্ডারের হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ কার্যকর ও পর্যাপ্ত স্পেস আছে কি না।রিমোট ভিউর জন্য ইন্টারনেট-সংযোগ সচল আছে কি না। রিমোট ভিউ সফটওয়্যার (মোবাইল, ল্যাপটপ, ডেস্কটপ) সচল আছে কি না। রিমোট ভিউ ও অপারেশন অ্যাকসেস, যেমন ই-মেইল, এসএমএস, ছবি, নোটিফিকেশনগুলো সচল অথবা সঠিক অ্যাড্রেসে আছে কি না।
ফায়ার অ্যালার্ম সিস্টেমের ক্ষেত্রে: ফায়ার অ্যালার্ম সিস্টেমের কন্ট্রোল প্যানেলের ব্যাটারি চেক করতে হবে, চার্জ হচ্ছে কি না, চার্জ থাকছে কি না এবং ইলেকট্রিসিটি অফ করার পর অন্তত ১৫ মিনিট ডিভাইসগুলো চলছে কি না।
কন্ট্রোল প্যানেলের সঙ্গে যদি জিএসএস মডিউল সংযুক্ত থাকে তাহলে সিম সচল আছে কি না। সিমের ভেতর এসএসএস দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত রিচার্জ আছে কি না।
কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে ফায়ার অ্যালার্ম সিস্টেমের ফলস অ্যালার্ম হয় বলে অনেকেই বেলের সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে রাখেন, তা পুনরায় সংযোগ দেওয়া হয়েছে কি না।
প্রতিষ্ঠানের সিকিউরিটি গার্ড ফায়ার অ্যালার্ম সিস্টেম প্যানেলের পর্যবেক্ষণ অথবা পরিদর্শনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। ফায়ার হাইড্রেন্ট ও স্প্রিংকলার সিস্টেমের ক্ষেত্রে: পানির রিজার্ভ ট্যাংকে পর্যাপ্ত পানি আছে কি না।
ফায়ার পাম্পের বিদ্যুৎ-সংযোগ সঠিক আছে কি না।ফায়ার পাম্পে (ডিজেলচালিত) পর্যাপ্ত পরিমাণ ডিজেল আছে কি না এবং ব্যাটারির সংযোগ সঠিক আছে কি না।
পাম্প রুমের ডেলিভারি রাইজারে পানির প্রেশার (প্রেশার গেজ) সঠিক আছে কি না।প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার আগে একেবারে শেষ প্রান্তের হোজ রিল চালু করে পানির প্রেশার এবং সম্পূর্ণ সিস্টেম ন্যূনতম ১ মিনিটের জন্য চালু করে দেখতে হবে।এই করণীয়গুলো ঈদের ছুটির আগেই দায়িত্বের সঙ্গে সেরে নিতে হবে। আমরা জানি, বিভিন্ন বন্ধের সময় দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পায়। তাই আসুন, আমরা নিজের জীবন ও সম্পদ সুন্দর এবং নিরাপদ রাখি। এই ঈদ হোক সবার আনন্দের।
করোনার কারণে গত দুই বছর আমরা ঘরবন্দী ঈদ উদ্যাপন করেছি। কিন্তু এবার আমরা কেউ নাড়ির টানে যাচ্ছি বাড়িতে, আবার কারও হয়তো পরিকল্পনা দেশের ভেতরে বা বাইরে কোথাও বেড়াতে যাওয়ার। এবার লম্বা ছুটি পেয়ে সবাই যার যার মতো করে ছুটি কাটানোর পরিকল্পনা করেছেন। অনেকেই হয়তো ভুলে যাবেন নিজ নিজ অফিস, বাসা, কলকারখানা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সুরক্ষার কথা। ঈদের ছুটিতে আমাদের অসচেতনতার কারণে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যাওয়াও অসম্ভব নয়। তবে আমরা যদি কিছুটা সচেতন হই তাহলে অনেকাংশে এই দুর্ঘটনা ও ক্ষয়ক্ষতি থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।
যেহেতুআমরা ঈদের ছুটি কাটাতে চাই নিশ্চিন্তে ও আনন্দে, সেহেতু আমাদের একটু সচেতন হতেই হবে। অফিস, বাসাবাড়ি, কলকারখানা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের চুরি বা অগ্নিদুর্ঘটনা এড়ানোর লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এবং প্রতিরোধের জন্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তার বিভিন্ন ডিভাইস স্থাপন করতে পারি। আমরা জানি না বিপদের সময় ওই সব ডিভাইস সঠিকভাবে কাজ করবে কি না। অথবা আমাদের অনুপস্থিতিতে ডিভাইসগুলো সম্পূর্ণ সচল থাকবে কি না।
সব ধরনের চিন্তাকে মুক্তি দিয়ে আসুন, আমরা জেনে নিই ঈদের ছুটি নিশ্চিত ও আনন্দদায়ক করতে হলে আমাদের কী কী করতে হবে। আপনার অফিস, বাসাবাড়ি, কলকারখানা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে সিসিটিভি ক্যামেরা ও ফায়ার অ্যালার্ম সিস্টেম স্থাপন করা হলে, ছুটিতে যাওয়ার আগে নিচের বিষয়গুলো পরীক্ষা করে নিতে হবে।
সিসিটিভি ক্যামেরার ক্ষেত্রে: প্রতিটি সিসিটিভি ক্যামেরা সচল আছে কি না, অথবা বৈদ্যুতিক মিটারের মেইন সুইচ বন্ধ করে দিলে প্রতিটি ক্যামেরা ও রেকর্ডার সচল থাকবে কি না।
রেকর্ডারের হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ কার্যকর ও পর্যাপ্ত স্পেস আছে কি না।রিমোট ভিউর জন্য ইন্টারনেট-সংযোগ সচল আছে কি না। রিমোট ভিউ সফটওয়্যার (মোবাইল, ল্যাপটপ, ডেস্কটপ) সচল আছে কি না। রিমোট ভিউ ও অপারেশন অ্যাকসেস, যেমন ই-মেইল, এসএমএস, ছবি, নোটিফিকেশনগুলো সচল অথবা সঠিক অ্যাড্রেসে আছে কি না।
ফায়ার অ্যালার্ম সিস্টেমের ক্ষেত্রে: ফায়ার অ্যালার্ম সিস্টেমের কন্ট্রোল প্যানেলের ব্যাটারি চেক করতে হবে, চার্জ হচ্ছে কি না, চার্জ থাকছে কি না এবং ইলেকট্রিসিটি অফ করার পর অন্তত ১৫ মিনিট ডিভাইসগুলো চলছে কি না।
কন্ট্রোল প্যানেলের সঙ্গে যদি জিএসএস মডিউল সংযুক্ত থাকে তাহলে সিম সচল আছে কি না। সিমের ভেতর এসএসএস দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত রিচার্জ আছে কি না।
কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে ফায়ার অ্যালার্ম সিস্টেমের ফলস অ্যালার্ম হয় বলে অনেকেই বেলের সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে রাখেন, তা পুনরায় সংযোগ দেওয়া হয়েছে কি না।
প্রতিষ্ঠানের সিকিউরিটি গার্ড ফায়ার অ্যালার্ম সিস্টেম প্যানেলের পর্যবেক্ষণ অথবা পরিদর্শনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। ফায়ার হাইড্রেন্ট ও স্প্রিংকলার সিস্টেমের ক্ষেত্রে: পানির রিজার্ভ ট্যাংকে পর্যাপ্ত পানি আছে কি না।
ফায়ার পাম্পের বিদ্যুৎ-সংযোগ সঠিক আছে কি না।ফায়ার পাম্পে (ডিজেলচালিত) পর্যাপ্ত পরিমাণ ডিজেল আছে কি না এবং ব্যাটারির সংযোগ সঠিক আছে কি না।
পাম্প রুমের ডেলিভারি রাইজারে পানির প্রেশার (প্রেশার গেজ) সঠিক আছে কি না।প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার আগে একেবারে শেষ প্রান্তের হোজ রিল চালু করে পানির প্রেশার এবং সম্পূর্ণ সিস্টেম ন্যূনতম ১ মিনিটের জন্য চালু করে দেখতে হবে।এই করণীয়গুলো ঈদের ছুটির আগেই দায়িত্বের সঙ্গে সেরে নিতে হবে। আমরা জানি, বিভিন্ন বন্ধের সময় দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পায়। তাই আসুন, আমরা নিজের জীবন ও সম্পদ সুন্দর এবং নিরাপদ রাখি। এই ঈদ হোক সবার আনন্দের।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৩ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৩ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৪ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫