Ajker Patrika

ফটিকছড়িতে ভুয়া বৈদ্যের দৌরাত্ম্যের অভিযোগ

এস এম আক্কাছ উদ্দিন, ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম)
আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২১, ১৭: ০৭
ফটিকছড়িতে ভুয়া বৈদ্যের  দৌরাত্ম্যের অভিযোগ

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ভুয়া বৈদ্যের দৌরাত্ম্য আশঙ্কাজনকহারে বেড়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিভিন্ন এলাকায় কিছু অসাধু ব্যক্তি ভুয়া বৈদ্য সেজে জনগণকে প্রতারিত করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

সূত্রে জানা গেছে, কিছু মানুষ একটি আস্তানা তৈরি করে বৈদ্য সেজে যান। এঁদের কয়েকজন সহযোগী থাকে। তাঁরা তাদের প্রশংসা করেন। সাধারণ মানুষ তাতে বিশ্বাস করেন। বৈদ্যদের কাছে কোনো রোগী নিয়ে গেলে, বিভিন্ন রোগ আছে জানিয়ে ২ থেকে ৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাবিজ-কবচ করতে বলেন।

গ্রামের সহজ-সরল মানুষ এঁদের কথায় বিশ্বাস করে টাকা দেন। তবে কোনো সুফল পান না। তাঁরা এক বৈদ্যের কাছ থেকে অন্য বৈদ্যের বাড়িতে ঘোরাঘুরি করে টাকা খোয়াতে থাকেন। এসব কথিত বৈদ্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন।

অভিযোগ রয়েছেন, বৈদ্যরা রোগীকে ভয় দেখিয়ে বলেন ‘রোগী অল্প কয়েক দিনের মধ্যে মারা যাবে।’ এতে রোগী ও অভিভাবকেরা ভয়ে বৈদ্যর কাছে ভালো হওয়ার উপায় জানতে চান। এ সময় বৈদ্য তাবিজ-কবচের কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেন।

দরবার শরিফ এলাকার চা দোকানি মো. সফিউল আলম বলেন, ‘ইদানীং এলাকায় কয়েকটি দোকানে আস্তানা করেছেন বৈদ্যরা। পানি পড়া, ঝাড়-ফুঁকের মাধ্যমে বিভিন্ন কাজ করিয়ে দেওয়ার কথা বলে প্রতিদিন বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন তাঁরা। জনগণ না বুঝে টাকা দিচ্ছেন।’

নাজিরহাটের ব্যাংক কর্মকর্তা তাপস নাথ বলেন, ‘সম্প্রতি এসব এলাকায় একাধিক বৈদ্য আস্তানা গেড়ে বসেছেন। চিকিৎসার নামে সাধারণ মানুষের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন তাঁরা।’

বিবিরহাট বাজারের প্রবাসীর স্ত্রী রিনা আকতার বলেন, ‘পুরুষদের পাশাপাশি কতিপয় নারী বৈদ্য সেজে গ্রামের সহজ-সরল নারীদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন। এসব নারী বৈদ্য জিন হাজির করে দেওয়ার কথা বলে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যান।’

নিজেকে ভালো বৈদ্য দাবি করা নাজিরহাটের অহিদুল আলম বলেন, ‘অনেকে রোগী ভালো হচ্ছেন বলেই আমার কক্ষে এত মানুষের ভিড়। তিনি নাম না জানা কিছু প্রতিষ্ঠানের লিখিত কাগজপত্র দেখান।’

অপর নারী বৈদ্য (মহিলা হুজুর নামে পরিচিত) নানুপুরের রোজিনা আকতার নিজেকে একজন ধর্মান্ধ এবং পরহেজগার দাবি করে বলেন, ‘যা কিছু করি আল্লার ওপর ভরসা রেখে করি। এতে সাধারণ জনগণ লাভবান হন বলে বারবার আমার কাছে চিকিৎসা নেন। আমিও চিকিৎসা দিই।’

থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ধর্মের দোহাই দিয়ে জনগণকে প্রতারিত করছে বলে কিছু মানুষের মুখে আমরা শুনেছি। তাঁদের বৈধতা বলতে কিছু নেই। তাঁরা যাতে ভবিষ্যতে প্রতারণা করে জনগণকে বোকা বানাতে না পারেন, সে বিষয়ে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেব।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘বৈদ্যরা যা করছেন, সবই অবৈধ। তাঁদের বিরুদ্ধে লিখিত কোনো অভিযোগ নেই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

পিটুনিতে নিহত সেই শামীম মোল্লাকে বহিষ্কার করল জাবি প্রশাসন, সমালোচনার ঝড়

জনবল-সরঞ্জাম বেশি হলেও সমরশক্তিতে ভারত কি পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে

১০-১২তম গ্রেডে নিয়োগ: প্রতি পদের বিপরীতে দুজন থাকবেন অপেক্ষমাণ

মধুপুরে বিদ্যালয়ে ঢুকে শিক্ষককে জুতাপেটা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত