Ajker Patrika

খরচ ওঠা নিয়ে চিন্তায় কৃষক

ফরিদ খান মিন্টু, শরণখোলা (বাগেরহাট)
খরচ ওঠা নিয়ে চিন্তায় কৃষক

জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমনের জমি চাষের খরচ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। কৃষককে সার কিনতে হচ্ছে বেশি দামে। পাশাপাশি কৃষিশ্রমিকের মজুরিও বাড়তি। এতে এক বিঘা জমিতে সব মিলিয়ে যে পরিমাণ খরচ পড়ছে, ফসলে সেই খরচ উঠবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন বাগেরহাটের শরণখোলার কৃষকেরা।

এদিকে মৌসুমের শুরু থেকে মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত বৃষ্টির দেখা মেলেনি। এ কারণে এবার আমন চাষাবাদে পিছিয়ে পড়েছেন চাষিরা। নিয়ম অনুযায়ী ভাদ্র মাসের এই সময় বেশিরভাগ জমিতে চারা রোপণ সম্পন্ন হওয়ার কথা। কিন্তু এখন পর্যন্ত অনেক আবাদি জমির চাষ বাকি রয়েছে।

সময়মতো জমি চাষাবাদ শেষ করতে পারবেন কি-না, এমন হতাশায় পড়েছেন অনেকে। শরণখোলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে চাষিদের সঙ্গে কথা বলে এ সব তথ্য জানা গেছে।

উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের রাজৈর গ্রামের চাষি মো. হারুন হাওলাদার জানান, গত বছর পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষ করাতে বিঘাপ্রতি খরচ হয়েছে ২ হাজার টাকা। কিন্তু এবার সেখানে দিতে হচ্ছে ৪ হাজার। তা ছাড়া, গতবার শ্রমিকের মজুরি ছিল ৫০০ টাকা, এবার সেখানে দিতে হচ্ছে ৭০০ টাকা।

সারের দামও কেজিতে বেড়েছে ৭-৮ টাকা। জমি রাখা থেকে ফসল ওঠা পর্যন্ত বিঘাপ্রতি খরচ পড়ছে ১৩-১৪ হাজার টাকা। এই বিশাল খরচ করে ফসল কেমন হবে বলা যাচ্ছে না।

সাউথখালী ইউনিয়নের উত্তর সাউথখালী গ্রামের চাষি সেলিম হাওলাদার, বকুলতলা গ্রামের আবদুল বারেক হাওলাদার ও এনাম মীর জানান, গত বছর তাঁরা ১৮ টাকা কেজি দরে ইউরিয়া সার কিনেছেন। কিন্তু এবার কিনতে হচ্ছে ২৫ টাকা কেজি দরে। এবার সবকিছুতেই খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় সবাই হতাশায় রয়েছেন।

শরণখোলা উপজেলা কৃষি বিভাগের উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোস্তফা মশিউল আলম বলেন, ‘দীর্ঘ সময় অনাবৃষ্টির কারণে বীজতলা তৈরি এবং জমি চাষ কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। তারপরও নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই রোপণ সম্পন্ন হয়ে যাবে বলে আশা করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত